চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

প্যারেন্টিং - ২৭

"না" বলতে শেখা খুব জরুরী। 'না' বলা শিখতে আমার অনেক সময় লেগেছিলো। 'না' বলার ক্ষেত্রে আমি মূলত বিবেচনা করি সময়। সময় সবচাইতে দামী কারেন্সী। কত কাজ করার আছে, অথচ আমাদের জীবন কত ছোট! গত আট বছরে অনেক ক্রাইসিসের ভেতর দিয়ে গিয়েছি, তারপরেও বহু ক্লায়েন্টরে 'না' বলে দিয়েছি শুধুমাত্র সময় নষ্ট হবে বলে। তারপরেও কত সময় নষ্ট করেছি জীবনে। অধিকাংশ সময় নষ্ট হয়েছে এই 'না' বলতে পারার কারণে।

আপনার বাচ্চাকে 'না' বলতে শেখান।

ইভ্যালি আসলে একটি কাচ্চির দোকান!

ইভ্যালি বন্ধ হবে না বা পালিয়ে যাবে না। ওরা যে বিজনেস মডেল ফলো করতেছে, এটা প্রফিটেবল। অনেকে পিরামিড স্কিমের সাথে গুলিয়ে ফেলতেছেন। ফলে ভাবতেছেন যে পালিয়ে যাবে। তবে, মিডিয়া যদি পেছনে লাগে তাহলে ওরা এই দুই/তিন বছর সময়টা পাবে না। ঐদিকটা তারা ভালোই ম্যানেজ করতে পারতেছে বইলা মনে হইতেছে (এখন পর্যন্ত)। প্রথম আলোর রিপোর্টটা ওদের মার্কেটিং এর কাজে লাগছে (আমি শিওর না এর জন্য প্রথম আলোরে ওরা পে করছে কিনা)।

ইভ্যালি যদি দুই/তিনশ কোটি টাকা হাতে নিয়ে নামতে পারতো তাহলে সকল অর্ডার ৪৫ দিনের ভেতরেই ডেলিভারি দিতে পারতো। ঐ পরিমান টাকা তারা পাবলিকের টাকা খাটিয়ে সহজেই তৈরি করে নিতে পারবে (কয়েক বছর লাগবে হয়তো), অথবা বড় কোন ইনভেস্টর চলে আসবে।

কাজটা ওরা ঠিক করতেছে না বেঠিক, এই আলাপে আজকে যাবো না।

স্যার, হোয়াট ইজ চেইন রিএ্যাকশন?

মনে করো— তোমার গার্লফ্রেন্ডের করোনা পজেটিভ। তাই তাকে কোয়ারিন্টিনে নিয়েছে, সাথে তোমাকেও। এখন তোমার গার্লফ্রেন্ডের আরো দুইটা বয়ফ্রেন্ড আছে, তোমারো আরো দুইটা গার্লফ্রেন্ড। এদের সকলকে কোয়ারিন্টিনে নেয়া হলো। এখন এদের প্রত্যেকেরই তিনটা করে বয়ফ্রেন্ড ও গার্লফ্রেন্ড আছে। তাদেরকেও নেয়া হলো। এবং...

ওয়ার্কপ্লেস পরিবর্তন করলে আমার কাজের গতি বাড়ে। মানে, একই অফিস বা রুমে না থেকে জায়গাটা পরিবর্তন করলে প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যায়। এটা কি সবারই হয়?

যে কয়জন শিক্ষককের কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে অধ্যাপক মনহর আলী স্যার তাদের ভেতরে অন্যতম। এই মাত্র জানতে পারলাম স্যার আজকে বিকালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

মানুষ নিয়া গবেষণা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ শতাধিক হিউমেন ট্রেইটের ব্যপারে ঘাঁটলাম। শ'খানেক মেজর হিউমেন ট্রেইট নিয়ে পড়ার পর নিজের অজান্তেই আপনি বলে উঠবেন- কীয়েক্টাবস্থা! মানুষ সম্পর্কে জানার জন্য মানুষের ট্রেইটগুলো জানার কোন বিকল্প নাই সম্ভবত। মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন।

মানুষের চরিত্র বাদ দিলেও যদি শুধু তাদের শারীরিক গঠন কিংবা ফ্যাশন নিয়েও পড়েন, আপনি আবার বলে উঠবেন- কীয়েক্টাবস্থা! এই যেমন, পুরুষদের ২০/২৫ রকমের চুলের স্টাইল দেখে ভাবতে পারেন, ছেলেরাও রং-ঢং-এ কমতিতে নাই। মেয়েদের চুলের স্টাইল নিয়ে আর কী বলবো। কত ধরনের হেয়ার স্টাইল যে আছে! এই যেমন পনি টেইল। পনি টেইল তো আমাদের দেশে বেশ পরিচিত। কিন্তু পিগ টেইল কি পরিচিত? হ্যাঁ, খুব ভালোভাবেই পরিচিত। মেয়েদের বেনী করা চুল হচ্ছে পিগ টেইল। ভাবছিলাম, এদেশের পাবলিক যদি জানে এটা পিগ টেইল, তারা কি আর চুল বেনী করবে?

একটা স্ক্রিনশটে শুধুমাত্র চুলের স্টাইলগুলোর একটা তালিকা দিলাম।

কারো ফেসবুক প্রোফাইল দেখেই তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেয়া যায়। এই একটা কারণে আমি কোনদিন ফেসবুক ছাড়তে পারবো না মনে হয়। এই যেমন কেউ Eid এর বাংলা ঈদ লিখছে না ইদ লিখছে, তা দেখেও আপনি তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দিতে পারবেন। ছোট একটা শব্দ দিয়েই।

বাংলাদেশের বিখ্যাত এক লেখককের ব্যপারে এক মেয়েকে দেখেছিলাম ভয়ানক সব অভিযোগ করতে। ঐ মেয়ে দাবী করেছিলো ঐ লেখকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনেন। শুধু চিনেন না, খুব ভালোভাবেই চিনেন। এবং এই লোক কোন লেভেলের খারাপ মানুষ তিনি জানেন.. ইত্যাদি ইত্যাদি। তো, সেই লেখকের সাথে আমার ভালো সম্পর্ক থাকায় ব্যপারটা নিয়ে জানতে চাইলাম। উনি বললেন, এই মেয়েকে তিনি চিনেন না। তারপর ইনবক্সে সেই মেয়েকে একটা ম্যাসেজ দিতে গিয়ে আবিষ্কার করলেন মেয়েটা তিন/চার বছর আগে খুব সুন্দর করে "ভাইয়া... আমি আপনার মস্ত ফ্যান..." টাইপ একটা ম্যাসেজ করেছিলো। কিন্তু সেই ম্যাসেজ লেখকের চোখে পড়ে নাই, ফলে জবাব দিতে পারেন নাই। আমরা ধারণা করলাম এই জবাব না দেয়াতেই উনি এত ক্ষ্যাপা। আমার পরিচিত আরেকজন আছে যিনি এই লেখককে দুই চোখে দেখতে পারেন না। দোষ ঐ একটাই, ইনবক্সে ম্যাসেজের রিপ্লাই পাননি।

এই স্টোরি বলার কারণ হচ্ছে আজকে ফেসবুক ইনবক্সে ফিল্টারড ম্যাসেজ চেক করে দেখি অসংখ্য চমৎকার সব ম্যাসেজ। যেহেতু ফিল্টারড ম্যাসেজ দুই/তিন বছর পর পর একবার চেক করা হয়, স্বভাবতই এগুলো চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। ভাবছি, কতজন এনিমি তৈরি হলো এভাবে কে জানে!

সহজ জীবন নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে।

তাতিন মনে হচ্ছে বাংলা একাডেমির কিছু একটা হয়ে যাবে। ঘুমানোর আগে সে আমাকে ম্যাসেজ পাঠায়—
"ভালো রাত"

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি