চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

আমির খান কাজটা ভালো করে নাই। এভাবে ফোন বন্ধ করে রাখবে!?

তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি!

প্যারেন্টিং - ২৮

যখন আপনি নিজের জন্য কিছু বানাবেন তখন বাকীদেরও জিজ্ঞেস করবেন তারা খেতে চায় কিনা। সেটা এক কাপ চা হলেও। আপনার বাচ্চাকে এটা শেখাবেন। এবং আপনার সকল বাচ্চাকে রান্না করা শেখাবেন। শুধু মেয়েদের না, ছেলেদেরও।

সেফুদাঃ মদ খা!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীঃ সাবধানে খাইস!!

টিকাওয়ালা আসছে শুনে স্কুল খালি করে পলায়া যাওয়া আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টিকা নিতে দেইখা আমোদিত!

নিজেরে প্রায়ই বলি,
'আমি তো একটি জিনিয়াস!'
তারচাইতে বেশী বলি, 'আমি এত গাধা ক্যান?'

প্যারেন্টিং - ২৯

আপনার বাচ্চাকে বলবেন, কোনকিছু না জানা থাকা দোষের কিছু না। দোষ আছে শিখতে না চাওয়াতে। অজ্ঞতা ও মূর্খতার ভেতরে পার্থক্য শেখাবেন। কোনকিছু না জানাকে 'অজ্ঞতা' বলে। অজ্ঞতা সহজে দূর করা যায়। জ্ঞানের অভাবে মানুষ মূর্খ হয়। জ্ঞান অর্জন করার অক্ষমতা মূর্খদের অন্যতম বড় বৈশিষ্ট। একারণে মূর্খতা সহজে দূর হয় না।

জ্ঞান অর্জন করার এই অক্ষমতার পেছনে হাজারটা কারণ আছে। তার ভেতরে অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে- তথ্য ও জ্ঞানের ভেতরে পার্থক্য করতে না পারা।

আমাদের এখানে মনে করা হয় যে যত বেশি তথ্য জানে সে তত বড় জ্ঞানী। কিন্তু, তথ্য আর জ্ঞানের ভেতরে পার্থক্য আছে। ব্যাপারটা একটা সহজ উদাহরণ দিয়ে বুঝাই। উইকিপিডিয়াতে অনেক তথ্য আছে। একটা কম্পিউটারে যদি উইকিপিডিয়ার সমস্ত তথ্য রেখে দেন সে কি জ্ঞানী হয়ে যাবে? নাহ! সে দুনিয়ার সকল তথ্য জানবে কিন্তু সে জ্ঞানী না। তথ্যরে যেভাবে প্রসেস করার পর জ্ঞান হয়, সেই প্রসেস করার ক্ষমতা পৃথিবীর কোন কম্পিউটারের এখনো হয়নি। ফলে পৃথিবীর সবচাইতে বেশী তথ্য মেমরীতে নিয়ে বসে থেকেও একটা কম্পিউটার একটা পাঁচ বছরের বাচ্চার চাইতে কম জ্ঞানী। এজন্য কম্পিউটার/রোবটকে গবেট বলা হয়। আপনার বাচ্চাকে গবেট বানাবেন না।

প্যারেন্টিং - ৩০

'বাচ্চারা তাদের বাবাকে ঘৃণা করছে', এটা আমাদের দেশে প্রচুর দেখা যাচ্ছে এখন। এর পেছনে মূলত থাকে মায়েদের ক্রমাগত অভিযোগ এবং ক্ষেত্র বিশেষে পলিটিক্স। যেসব বাবাদের তাদের বাচ্চারা ঘৃণা করে, সেসব বাবাদেরও যে কোন দোষ নেই এরকম না। কিন্তু, ঘৃণা সেটার সমাধান না। কারণ, কোনকিছুই একতরফা ঘটে না। ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে। ক্ষমা একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার যেটা অনেক সমস্যা সমাধান করতে পারে।

দিন শেষে একজন মানুশের কাছে সবচাইতে আপন হচ্ছে তার বাবা-মা। এই পৃথিবীতে মাত্র দুইজন মানুশই সত্যিকার অর্থে নিঃস্বার্থভাবে আপনার জন্য কিছু করবে। আপনার বাবা-মা হচ্ছে সেই দুইজন। তাই, বাচ্চাদের কাছ থেকে এই বাবা-মা-কে কেড়ে নিবেন না। কোনভাবেই না।

এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত? (৪)

শিক্ষা পদ্ধতি হওয়া উচিত প্রশ্ন ভিত্তিক। টেক্সটবুকে সাজানো প্রশ্ন না, শিক্ষার্থীদের করা প্রশ্ন। যেকোন একটা বিষয় নিয়ে প্রথমে শিক্ষার্থী নিজে পড়বে এবং পড়তে গিয়ে যেসব প্রশ্ন তার মাথায় আসবে সেগুলো লিখে ফেলবে। প্রশ্ন মানে এরকমও হতে পারে যে- যা সে বুঝতে পারছে না সেগুলো লিখে ফেললো।

শিক্ষক প্রথমে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করবেন। সেই আলোচনা থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রশ্নগুলো কাটতে শুরু করবে। কাটাকাটি শেষে যেসব প্রশ্ন রয়ে যাবে সেগুলো হবে আলোচনার বিষয়। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে (সফটওয়্যার ব্যবহার করলে সহজ) সেগুলোর উত্তর দিতে শুরু করবেন শিক্ষক।

এখানে আপনার মনে হতে পারে, একটা ক্লাশে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকলে তাদের প্রত্যেকের ১০টা করে প্রশ্ন মানে তো ৫০ x ১০ = ৫০০ প্রশ্ন। ৫০০ প্রশ্নের জবাব দেয়া তো সম্ভব না। আসলে ব্যাপারটা এরকম না। দেখা যাবে এই ৫০০ প্রশ্নের অধিকাংশই একই ধরনের প্রশ্ন। দুই/তিনজনের ১৫-২০টা প্রশ্নের সমাধান দেয়ার পর দেখা যাবে ৫০০ প্রশ্নের প্রায় সবগুলোরই জবাব চলে এসেছে। সফটওয়্যার ব্যাবহার করা হলে শিক্ষার্থী ক্লাশ চলাকালীন সময়ে নিজেদের উত্তর পেয়ে যাওয়া প্রম্নগুলো টিক দিয়ে ফেলবে। ফলে শিক্ষক জানতে পারবেন আর কতটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। যদি প্রশ্নের সংখ্যা খুব বেশী হয় এবং ক্লাশের সময় শেষ হয়ে যায়, তাহলে শিক্ষক সেই প্রশ্নগুলো পরের ক্লাশে জবাব দেয়ার জন্য সংরক্ষন করে রাখবেন।

এই প্রশ্নগুলো শিক্ষকদের ক্লাশ লেকচার তৈরিতে সাহায্য করবে। দেশের সামগ্রীক একাডেমিক কনটেন্ট তৈরি ও পরিমার্জনেও সাহায্য করবে।

আপনি একা ভালো হয়ে লাভ নাই, অন্যদেরও ভালো করার চেষ্টা করবেন। সেটা আচরণে, কাজে, ক্যারিয়ারসহ সকল বিষয়েই। আপনার আশেপাশে ও দেশে যত বেশী যোগ্য লোক তৈরি হবে আপনার জন্য সেটা ততই পজেটিভ।

ধরেন আপনি অনেক যোগ্য হয়ে উঠলেন। একটা বড় প্রতিষ্ঠানে বড় পদে আছেন। কিন্তু সেখানে বাদবাকীরা পার্শ্ববর্তী কোন দেশের লোক যারা আবার আপনার দেশের লোকজনকে ঘৃণা করে। নিজে যত যোগ্যই হয়ে উঠেন না কেন; আপনি সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারবেন না।

আমার পূর্বপুরুষদের চারপ্রজন্ম পর্যন্ত ইতিহাস জানি। আমার বাবা-চাচা, দাদা, দাদার বাবা ও চাচা, তাঁর বাবা ও চাচা। আমার দাদা এবং তাঁর পূর্বপুরুষেরা সব ছিলেন শিক্ষক ও ডাক্তার। কিন্তু একইসাথে তাদের অনেক জমি ছিলো এবং সেখানে তারা চাষ করতেন। তার মানে কৃষকও। কৃষি কাজ নিয়ে তাদেরকে কখনো লজ্জিত হতে শুনিনি বরং প্রচুর ফসল আর মাছের উৎপাদন থাকায় শিক্ষকতা ও ডাক্তারি বলতে গেলে বিনা পয়সাতেই করতেন। শিক্ষক ও ডাক্তার হিসেবে উনাদের অনেক সুনাম ছিলো। চাইলে কৃষি কাজ না করেও ভালো থাকতে পারতেন।

মাঝে মাঝে ভাবি, কবে থেকে ও কিভাবে আমরা কৃষি কাজরে ছোট হিসেবে দেখা শুরু করলাম?

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি