অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
বিকালে বাসার আশেপাশে কোথাও পাস্তা বানাচ্ছিলো সম্ভবত, ভাবলাম সন্ধ্যার দিকে বের হয়ে পাস্তা খেয়ে আসবো। আর বের হওয়া হলো না, ভাবলাম টেকোস থেকে ফুড-পান্ডায় অর্ডার দেই। পাস্তা খেতে ইচ্ছা করলেই টেকোসে অর্ডার দেই সবসময়, আজকে শপটাই খুঁজে পেলাম না! টেকোস (উত্তরা সেক্টর ১১'র ব্রিজের পাশে) কি বন্ধ হয়ে গেছে?
উত্তরায় ম্যাক্সিকান স্টাইলে ভালো পাস্তা আর কারা বানায় খুঁজতে খুঁজতে একটা বিষয় ভাবতেছিলাম। এই যে কিছু খেতে ইচ্ছা হলেই আমরা রেস্টুরেন্ট কিংবা বাসায় বসে অর্ডার দিয়ে খেয়ে ফেলি, এই সুবিধা না থাকলে কী করতাম? প্রাচীন কালে যারা শিকার করে বা ফসল ফলিয়ে খাবার যোগাড় করতো, তাদের বিষয়টা নিয়ে ভাবি মাঝে মাঝে। এসব ভাবনা জীবনের আনন্দ বাড়িয়ে তোলে...
পিক ফর ডিস্টার্বিং য়্যু... :P
দেখেন, ভারত যদি আমাদের প্রতি এত বৈরি না হতো এবং আমাদেরকে তাদের শত্রুতে পরিনত না করতো, আমরা তাদেরকে এই ইস্যুতে সাহায্য করতে পারতাম। এই নিউজ দেখে যে বাংলাদেশীদের এত আনন্দ হচ্ছে, সেটা ঘটতো না।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারনেই ভারতের উচিত ছিলো আমাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা। তারা উলটা আমাদেরকে শত্রুতে পরিনত করেছে। এর জন্য তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে সামনে।
প্রতিটা লোকের দুরাবস্থার পেছনে তার নিজের কিছু না কিছু দায় থাকে। কেউ যদি এই দায় একদমই স্বীকার করতে না চায়, সকল দোষ অন্যের উপরে চাপাতে চায়— তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কিছুদিন পর তিনি আপনার উপরেও দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে।
কানাডার সবচাইতে বড় ব্যাংক RBC সফটার ইকোনমির প্রেডিকশন দিয়ে কর্মী ছাঁটাই করবে ঘোষণা করেছে।
ক্রমশ দুর্বল হতে থাকা বা খারাপ ইকোনমির সুশীল ভাষা হচ্ছে সফটার ইকোনমি (Softer Economy)। এর মানে জিডিপি গ্রোথ কমতে থাকবে, বেকাত্ব বাড়তে থাকবে, পাবলিকের ক্রয় ক্ষমতা কমতে থাকবে, ইনভেস্টমেন্ট কমতে থাকবে, ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল প্রোডাকশন কমতে থাকবে, স্টক মার্কেট দুর্বল হতে থাকবে এবং ক্রেডিট কন্ডিশনের অবস্থা খারাপ হতে থাকবে। ওভারঅল অর্থনীতি খারাপের দিকে যাওয়া।
সফটার ইকোনমির দোহাই দিয়ে কর্মী ছাঁটাই চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকেই যাবে। এবং এসব প্রতিষ্ঠান পরে যে আবার কর্মী নিবে, এরকমও আমার মনে হচ্ছে না। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের বেশ কিছু ব্রেকথ্রু ঘটেছে গত বছরের শেষের দিকে। প্রতিষ্ঠানগুলো খরচ বাঁচাতে AI এর পেছনেও ইনভেস্ট করে যাচ্ছে বিগত এক দশক ধরে।
বিশ্ব পরিস্থিতি সব দিক থেকেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম ভয়াবহ ভূমিকম্প হচ্ছে ঢাকায়। একের পর এক বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ছে। আমি কিভাবে যেন একটা নৌকায় করে পানির মাঝখানে চলে গিয়েছি। ঐদিন ১২ নাম্বার সেক্টরের যে ছবিটা দিয়েছিলাম, ঐ বিলের মাঝখানে মনে হলো। উত্তরার বিল্ডিংগুলো ভেঙ্গে পড়া দেখছিলাম।
ঢাকা একটা বড় ধরনের ভূমিকম্পের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। গবেষকদের তথ্যমতে ঢাকার অধিকাংশ বিল্ডিং এতে কলাপস করবে। কিন্তু, কবে এই ভূমিকম্প হবে কেউ জানে না। এবছরও হতে পারে কিংবা কয়েক বছর পরে।
আজকে এই নিউজটা দেখে মনে হলো এই সফটওয়্যার যদি ঢাকার ভূমিকম্পটা প্রেডিক্ট করে দিতে পারে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো। সংশ্লিষ্ট কেউ যদি থাকেন, দেখেন তো এদের সাথে যোগাযোগ করে কিছু করা যায় কিনা!
টাউন-সেন্টারে Stories নামে একটা ফিচার যুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন দেশ ও জনপদের লোকজনের জীবন সংগ্রামের কাহিনী পাবলিশ হবে।
বিভিন্ন সেক্টরে সফল লোকদের পাশাপাশি আমরা সকল শ্রেণী ও বর্ণের সাধারণ লোকদের স্টোরিও পাবলিশ করবো। সফল লোকদের স্টোরির পড়ে লোকজন যেমন অনুপ্রাণিত হতে পারবে; বাকীদের স্টোরি জানার মাধ্যমে একটা দেশ-সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।
আপনি যদি মনে করেন আপনার স্টোরি অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে কিংবা আপনার দেশ ও সমাজ সম্পর্কে অন্যদের ধারণা দিতে পারবে, তাহলে আমাদের ই-মেইলে story@town-center.net স্টোরি পাঠিয়ে দিন। অক্টোবরে রিলিজের পরে প্রাথমিক একটা বাছাইয়ের পর আপনার এলাকার টাউন-সেন্টারে এই স্টোরি পাবলিশ হবে। এসব স্টোরি থেকে বাছাইকৃত কিছু স্টোরি বাংলাদেশ-সেন্টারে প্রমোট করা হবে এবং পরবর্তীতে গ্লোবাল পেজে (town-center.net) পাবলিশ হবে।
লোকাল টাউন-সেন্টারের জন্য স্টোরি বাংলায় লিখে পাঠান। আর যদি মনে করেন গ্লোবালি পাবলিশ হওয়ার যোগ্য, তাহলে সাথে এর ইংরেজী সংস্করণও পাঠাবেন। কিংবা আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের অনুবাদক টীমও ইংরেজী ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিতে পারবে।
যাদের বায়োগ্রাফি/অটোবায়োগ্রাফি বই পাবলিশ হয়েছে কিংবা বিভিন্ন মিডিয়াতে ইন্টারভিউ ও ফিচার প্রকাশ হয়েছে, তারা স্টোরির সাথে এগুলোর লিংক পাঠাবেন।
এটা একটা মাল্টি টাইমার। অনেকগুলো এলার্ম একসাথে সেট করতে পারবেন। অল্প সময়ের জন্য কিংবা লম্বা সময়ের কাউন্ট-ডাউন টাইমার সেট করে রেখে দিতে পারবেন, পজ ও ডিটিলও করতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময়ে এলার্ম বেজে উঠবে।
কিছু ডাউনলোড করতে হবে না, সরাসরি ওয়েব থেকে ব্যবহার করতে পারবেন। ডাটা লোকালি সেভ হবে, তাই প্রাইভেসী ইস্যু নেই। এলার্ম সেট করার পর সেগুলো এক্সপোর্ট করে অন্য মেশিন থেকে ইমপোর্ট করতে পারবেন।
আজ থেকে ১২ বছর আগে উত্তরা সেক্টর ১২ ছিলো এরকম। আমি তখন ১৪ নাম্বার সেক্টরের ১২/১৩/১৪-র মোড়ে থাকি। ওখান থেকে দুই মিনিট হেঁটে নদীর পাড়ে যাওয়া যেত। পথে এই দৃশ্য তুলেছিলাম ১২ বছর আগের একদিন সকাল ১০টায়।
টাউন-সেন্টারের পাইলটিং ও আলফা টেস্টিং শেষ হয়েছে এই মাসে। অক্টোবর নাগাদ পাবলিকের জন্য ওপেন করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ও চাঁদপুর টাউন-সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী তিন মাসে অন্তত ৩০টা জেলায় ৩০টা সেন্টার চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছি। প্ল্যান ছিলো এবছরের ভেতরে ৬৪ জেলায় এক্সপান্ড করার, সেটা সম্ভব হচ্ছে না আপাতত। ৬৪ জেলায় আগামী বছরের মার্চ/এপ্রিল নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে।
প্রতি জেলায় সর্বোচ্চ দশ জন উপ-পরিচালক নিচ্ছি এখন। প্রথম তিন মাসের একটিভিটিসের উপরে ভিত্তি করে তাদের ভেতরে একজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন। টাউন-সেন্টারের মাধ্যমে CSAI, Thinkr Club এবং Varsitian এর কার্যক্রমও দেশব্যাপি চালু হতে যাচ্ছে।
MTFE নিয়ে যতজন আমাকে ইনবক্সে জিজ্ঞেস করেছে, সবাইকেই বলেছি— “Stay away!”
কয়েকজন জানতে চেয়েছিলো পাবলিক পোস্ট দিয়ে লোকজনকে সতর্ক করছি না কেন। আমার উত্তর ছিলো— এধরনের স্ক্যামে যারা পা দেয়, এরা এসে তর্ক জুড়ে দিলে সেই আলাপে এনগেজ হওয়ার মত সময় আমার নেই। তাছাড়া, এধরনের স্ক্যামের ভিকটিম যারা হয়, তারা বেশ আক্রমনাত্বক হয়। মানে ভিকটিম না হওয়া পর্যন্ত আরকি!
বিতর্ক এড়াতে এসব নিয়ে প্রাইভেট গ্রুপে আলাপ করা বেটার পলিসি।