অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
জীবন থেকে আমার সবচাইতে বড় শিক্ষাটা হচ্ছে- মানুশের সাথে ভালো ও ফেয়ার থাকা সবচাইতে ভালো পলিসি। হেল্প করা, গোচরে বা অগোচরে। এটা তারা নোটিশ না করলেও আপনি নিজে থেকে করতে থাকবেন। কোনধরনের ফলাফল আশা না করেই।
মজার বিষয় হলো, এগুলো সবসময় রিটার্ন করে। আপনার পথ তাদের সাথে একদিন ক্রস করবেই। আর মানুশ ভুলে না।
তবে, উলটোটাও ঘটে। যখন আপনি কারো জীবন পরিবর্তন করে দেয়ার মত ফেভার করবেন, তারা আপনার থেকে দূরে সরে যাবে। এমনকি আপনার ক্ষতি করারও চেষ্টা করবে। আমাদের নিজেদের ফ্যামিলিতেই দেখেছি এটা। যারা আমাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে বড় হয়েছে, এরা পরবর্তীতে দূরে সরে গেছে। কৃতজ্ঞ হওয়ার পরিবর্তে আমাদের বিরুদ্ধে অন্যদের কাছে উলটা পালটা বলেছে। এটা তারা করে হীনমন্যতা থেকে, আই গেস! কারো জন্য খুব বেশী করলে তারা নিজেদেরকে আপনার থেকে ছোট ভাবতে থাকে। এর ফলে এরা আপনাকে সবসময় ছোট করার একটা দুর্বল চেষ্টা করে যেতে থাকে। সেল্ফ ডিফেন্স টাইপ ব্যাপার আরকি।
কিন্তু, নিজেদের ভেতর থেকে তারা জানে আপনি তাদের জন্য করেছিলেন। যতই আপনার পেছনে লেগে থাকুক, মানুশের সহজাত প্রভৃতি তাদেরকে এটা কখনো ভুলতে দিবে না। একদিন না একদিন তারা নিজেদের ভুল বুঝবেই। সুতরাং তাদের ব্যাপারে চিল!
তো, মূল কথা হচ্ছে- বি ফেয়ার, বি হেল্পফুল। ইটস এমাজিং!
ভালো বাংলা সফটওয়্যারের অনেক অভাব। গত দশ/পনের বছরে অনেকেই একটা ভালো বাংলা ডিকশনারী আর বাংলা স্পেল চেকার বানানোর অনুরোধ করেছেন। এত টেকনোলজিস্ট চারদিকে, কিন্তু ভালো কোন বাংলা সফটওয়্যার কেন নাই বলেন তো? কারণ একটাই। এদেশের মানুশ টাকা খরচ করে এসব সফটওয়্যার কিনবে না। এর জন্য দায়ী পাইরেটেড উইন্ডোজ/অফিস ও ফ্রি বাংলা টাইপিং সফটওয়্যারের প্রচলন। ফলে, ৫০০/১০০০ টাকা খরচ করে একটা সফটওয়্যার কেনার মত দুই/তিন হাজার পাবলিক খুঁজে পাওয়াও কঠিন এদেশে।
ধরেন একটা বাংলা ডিকশনারী প্রজেক্ট শুরু করলাম। গতানুগতিক ডিকশনারী না হয়ে যদি একটু ইনোভেটিভ ও ইনফরমেটিভ কিছু করতে যাই, ডাটা এন্ট্রি করতেই খরচ আছে ৭-৮ লাখ টাকা। সফটওয়্যার না হয় ফ্রি বানিয়ে দিলাম, কিন্তু ডাটা এন্ট্রি এবং লজিস্টিক খরচ কে বহন করবে? স্পেলচেকার প্রজেক্টে তো আরো বেশী বাজেট দরকার।
যতদিন আপনারা শুধু ফ্রি খুঁজতে থাকবেন ততদিন বাংলায় ভালো কিছু আসবে না।
সহজ জীবন - ১৯
ভালো থাকা সহজ। ভালো থাকার জন্য আপনার লাগবে-
১) ফ্যামিলির সদস্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক।
২) ভালো কিছু বন্ধু-বান্ধব।
৩) পুষ্টিকর খাবার।
৪) সুস্থ্য বিনোদন।
৫) জীবিকার জন্য কিছু স্কিল/দক্ষতা।
৬) মানুশের জন্য কিছু করার মানসিকতা।
আর এসব বিষয় নিশ্চিত করার জন্য আপনার লাগবে জ্ঞান। ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ বুঝার ক্ষমতা তৈরি হওয়ার জন্য জ্ঞান লাগে। জ্ঞান ছাড়া বোধ-বুদ্ধির উন্নয়ন ঘটে না। ফ্যামিলি ও আপনার পরিবেশ থেকে যদি এগুলো অর্জন করতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো। অথবা বাইরে থেকেও নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে এর সন্ধানে থাকতে হবে। জানার আগ্রহ থাকতে হবে। জ্ঞানী কারো শিষ্য হওয়া সবচাইতে সহজ উপায়। তবে, অন্ধভাবে অনুকরণ করবেন না। চিন্তা করা শিখতে হবে। চিন্তা না করলে জ্ঞান অর্জন সম্ভব না।
আপনি যত বেশী জ্ঞানী হবেন, অন্যের সাথে মিলেমিশে থাকার ক্ষমতা ততই বৃদ্ধি পাবে। কিভাবে ভালো বন্ধু বানানো যায়, কিভাবে মানুশের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হয়, এসব জানা থাকা লাগে। হিউম্যান ট্রেইটগুলো নিয়ে স্টাডি করতে পারেন নিজের ভেতরে থাকা খারাপ ট্রেইটগুলো সনাক্ত করে দূর করার জন্য। সম্পর্ক ও বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে সমাজে প্রচলিত ধ্যান-ধারণাগুলোর উপরে খুব বেশী বিশ্বাস রাখবেন না। এই যেমন, আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে- 'ভালো মানুশেরা একটু রাগী হয়ে থাকে'। এইসব ফালতু ধারণা থেকে নিজেকে বের করে আনতে হবে। আপনার চারপাশের ৯৯% মানুশও যদি ভুল জিনিষে বিশ্বাস করে আপনি সেটা না করে যেটা সঠিক মনে হচ্ছে সেই ১% এ থাকুন। তবে, রিজিড হবেন না। আপনার ঐ ১% ভুলও হতে পারে। মূল বিষয় হচ্ছে ভুলের থিওরীতে আটকে না থাকা। তাহলে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল বাড়বে, বন্ধু বাড়বে।
পুষ্টিকর খাবার খুব গুরুত্বপূর্ন। আর সেটাও তখনি নিশ্চিত হবে যখন আপনি ব্যালেন্স ডায়েট সম্পর্কে জানতে পারবেন। কখন কী খেতে হবে, কিভাবে খেতে হবে, কখন না খেয়ে থাকতে হবে, এসব জ্ঞান অর্জন করা খুব কঠিন কিছু না। চাইলেই জেনে নিতে পারেন। জানার কোন বিকল্প নাই।
সুস্থ্য বিনোদন অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারণ, আপনি যদি মানুশের দুঃখ দেখে আনন্দ পান তাহলে বন্ধুহীন হয়ে যাবেন। কুৎসা রটিয়ে, সমালোচনা করে, অন্যের ক্ষতি করে যদি আপনাকে বিনোদন নিতে হয় তাহলে আপনি একসময় একা হয়ে যাবেন। অন্যকে খোঁচা দিতে, 'উচিৎ কথা' নামক অসুস্থ চর্চা করতে যদি আপনার খুব ভালো লাগে, তাহলে নিশ্চিত থাকেন আপনাকে কেউ পছন্দ করবে না। অন্যের ভালো দেখে যদি আপনার ভেতরে হিংসা হয়, তাহলে আপনি বন্ধুহীন হয়ে যাবেন। মানুশ কিন্তু এই হিংসাটা টের পায়। যার ভালো কিছু শুনে আপনি একবার হিংসা অনুভব করেছেন, সে আপনাকে আর কখনোই বিশ্বাস করবে না।
অসুস্থ বিনোদন আপনাকে সাময়িক আনন্দ দিলেও এরকম সকল অসুস্থ বিনোদন আপনাকে ধীরে ধীরে অসুখী মানুশে পরিনত করবে। তাই, কোনটা সুস্থ্য বিনোদন আর কোনটা অসুস্থ বিনোদন, এই জ্ঞান ও বোধ আপনার থাকা লাগবে।
আপনি যদি নিজের জীবিকা নিজে উপার্জন করতে না পারেন, তাহলে পরনির্ভরশীল হয়ে যাবেন। পরনির্ভরশীল মানুশ কখনোই ভালো থাকতে পারে না। আর জীবিকার জন্য আপনার লাগবে স্কিল/দক্ষতা। এসব দক্ষতা অর্জনের জন্য জ্ঞান। শুধু পরিশ্রম দিয়ে এসব হয় না। খেয়াল করলেই দেখতে পাবেন, স্বল্প আয়ের লোকজন কত পরিশ্রম করে। তাদের সমস্যা একটাই, জ্ঞানের অভাব। জ্ঞানের কোন বিকল্প নেই এখানে।
মানুশের জন্য কিছু করার যে ভালো, এটা বুঝার একমাত্র উপায় হচ্ছে জ্ঞানী হওয়া। এটা কিভাবে ভালো তা ভাষায় প্রকাশ করে বুঝানো সম্ভব না। আপনি যত জ্ঞানী হতে থাকবেন ততই বিষয়টা পরিষ্কার হতে থাকবে।
সুতরাং দেখতেই পাচ্ছেন, ভালো থাকার জন্য আসলে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে জ্ঞান। জ্ঞান অর্জন করুন, ভালো থাকুন।
ফেসবুকে একটা ভাইরাল পোস্ট কিছুদিন পর পরই চোখে পড়ে। পোস্টটা এরকম-
Before you get married...
Discuss bills, parenting styles, credit, debt, religion, how to deal with family, what beliefs will be instilled in your children, childhood traumas, sexual expectations, partner expectations, financial expectations, family health history, mental health history, bucket list, dream home, careers and education, political views and whatever else comes to mind.
“Love is not enough.”
এটা খুবই সত্য কথা। এর সাথে আরো কিছু বিষয় আছে।
কিভাবে বুঝবেন পার্টনারশীপ পারফেক্ট হতে পারে এই টাইপ গাইডলাইন দেয়া কঠিন ব্যাপার। একটা সহজ উপায় হচ্ছে অন্যজনের ইন্টারেস্ট ও ট্রেইটের সাথে নিজের ট্রেইটগুলোর মিল বের করা। ম্যাচমেকিং সাইটগুলো এধরনের এলগরিদম ব্যবহার করে। কিন্তু, এটাই যথেষ্ঠ না। যাকে বিয়ে করছেন তার ফ্যামিলিও গুরুত্বপূর্ন। মানে, ম্যাচিং শুধুমাত্র দুইজনের সাথে করলে হয় না, দু'টো ফ্যামিলিও ম্যাচ করতে হয়।
প্যারেন্টিং নিয়ে যে বইটা লিখছি, ওটার প্রথম অধ্যায় হচ্ছে- 'ভালো প্যারেন্টস নিশ্চিত তখনি হবে যখন ম্যারেজটা ভালো হবে।' সেখানে এই বিষয়গুলো কাভার করতে গিয়ে প্রথম অধ্যায়ের সাইজ এত বড় হয়ে যাচ্ছে যে মনে হচ্ছে ম্যারেজ নিয়ে একটা আলাদা বই লেখা দরকার। তো ভাবছি, এটা নিয়ে আলাদা বই লিখবো কিনা।
Midnight snacks recipe:
উপাদানঃ
১) দুইটা স্পাইসি নুডলস প্যাকেট
২) তিনটা দেশি পেঁয়াজ
৩) চিলি সস
৪) চিজ
৫) তেল ও পানি।
প্রস্তুতপ্রনালীঃ
দুই কাপ পানি গরম করবেন। একটু গরম হলেই নুডলসের প্যাকেটে থাকা একটা মশলা আর একটা পেঁয়াজ কুচি করে মিশিয়ে দিবেন। পুরোপুরি গরম হওয়ার পর নুডলস ছেড়ে দিবেন। একটু পরে এক স্লাইসের অর্ধেক (বা হাফ টেবল চামচ) চিজ দিয়ে দিবেন।
প্যানে এক টেবল চামচ তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি দিবেন। পেঁয়াজ কিছুটা লালচে হয়ে এলে নুডলসের প্যাকেটের ভেতরে থাকা একটা স্পাইস ও এক টেবল চামচ চিলি সস দিবেন। এরপর কিছুক্ষন নাড়তে হবে। তারপর এক স্লাইস চিজ দিয়ে আরো কিছুক্ষন নাড়বেন।
সেদ্ধ হওয়া নুডলস ঢেলে দিবেন এবার। তারপর ভালো করে মশলা মাখানো পর্যন্ত প্যানে ভাজতে থাকুন।
হয়ে গেল স্পেশাল নুডলস ????
আমেরিকায় গত এক বছরে ফ্যাক্টরিগুলোতে রোবটের ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। অটোমেশন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পেছনে ইনভেস্টমেন্টও বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো।
সুনামির আওয়াজ কয়জন টের পাচ্ছে?
Happiness is meeting an old friend…
কুপার্ট সার্ভিসটা ভালো। আমার ৪০০ টাকার মত বাঁচিয়ে দিলো আজকে। লেখালেখির জন্য ফেসবুক ভালো জায়গা না। ব্যক্তিগত সাইট চালু করতেছি আবার, ত্রিভুজ ডট নেট। কামিং সুন...
থিংকারে একটা নতুন সার্ভিস যুক্ত করতে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। মানে, লোকজন আপনার নিজের সাইট থেকেই আপনার সাথে কানেক্টেড হবে, আপনার লেখালেখি ও কাজকর্ম সম্পর্কে জানবে। বিস্তারিত কিছুদিন পর জানাবো।
And https://www.trivuz.net is coming soon :)
বাংলাদেশে লেখকদের মূল্য দেয়া হয় না, ফলে এখানে ভালো লেখক তৈরি হয় না। আমি মনে করি ইন্টেলেকচ্যুয়াল ওয়ার্কের মূল্য দেয়া উচিত। একজন কষ্ট করে রাত-দিন খেটে একটা আর্টিকেল লিখলে আপনার উচিত সেটা অন্তত ৩ টাকা দিয়ে হলেও কিনে পড়া। অথবা কোন লেখকের সাইটে আপনি বছরে ১০০ বা ৫০০ টাকা দিয়ে সাবসক্রাইব করলেন, তারপর তাদের সমস্ত লেখা ফ্রি পড়লেন। এতে প্রফেশনাল লেখক তৈরি হবে। পাঠকরাও ভালো ভালো লেখা পাবেন।
লেখকরা বই প্রকাশের আগে প্রি-অর্ডার বিক্রি করতে পারলে ভালো। থিংকারে ৫০ বা ১০০ টাকা দিয়ে আপনি একজন লেখকের আপকামিং বইয়ের প্রি-অর্ডার করার পর সেই বইটা প্রকাশ হওয়ার আগে অনলাইনে ধীরে ধীরে পড়তে থাকলেন। যখন কোন পাবলিকেশন্স থেকে হার্ড-কপি বের হবে, তখন সেই বই আপনার বাসায় পৌঁছে যাওয়ার পর বাকী মূল্য প্রদান করলেন। এতে বই লেখার প্রতি অনেকের আগ্রহ তৈরি হবে। লেখকও বুঝতে পারবেন তার বইটা ছাপা হওয়ার পর কত কপি বিক্রি হতে যাচ্ছে। প্রকাশকদের জন্যও এটা ভালো।
এরকম সকল ধরনের ইন্টেলেকচ্যুয়াল ওয়ার্কেরই মূল্য দেয়ার ব্যবস্থা থাকা উচিত। এই ব্যবস্থা থাকার পরেও কেউ চাইলে তার অধিকাংশ লেখা বিনামূল্যে প্রকাশ করতে পারেন। সেটা লেখকের মর্জি।