অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
আমরা আইটি ইন্ড্রাস্ট্রির লোকেরা যে সবসময় বলি—বাংলাদেশী ক্লায়েন্টরা প্রশংসা করে না, বিদেশী ক্লায়েন্টরা কত সুন্দর প্রশংসা করে এবং বোনাসও দেয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখলাম, প্রশংসা করলে এদেশের লোকজন কাজের কোয়ালিটি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে বিদেশীদের সাথে কাজের অভিজ্ঞতা নাই এরকম লোকজন/কোম্পানীগুলো এই কাজ করে। এটা সম্ভবত আমাদের জাতীয় সমস্যা। এজন্যই বাংলাদেশী ক্লায়েন্টরা প্রশংসা করতে চায় না হয়তো!
Black & White
আপনি যদি পৃথিবীতে একা থাকতেন, তাহলে এখন যা যা করেন তার অধিকাংশই অর্থহীন লাগতো।
/ ২০১৬
পোস্ট কোভিড এরা-তে রিমোট জব বাড়তেছে। আইটিতে তো আমরা এই সুবিধা পেয়ে আসতেছি এক যুগেরও বেশী সময় ধরে। অন্যরাও এখন পাবে।
রিমোট জব বাড়ার ফলে পৃথিবীতে একটা ব্যাপক পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। আপনাকে শহরে থাকতে হবে না বা বিদেশ যেতে হবে না নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী জব করার জন্য। এটা কোম্পানীগুলোর জন্য যেমন ভালো পাবলিকের জন্যও ভালো। বিকেন্দ্রীকরণ হবে। শহর কেন্দ্রীক সভ্যতার পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে যা মানব সভ্যতার একটা বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
ফেসবুক যে 'খারাপ', সেটা আমাদেরকে ফেসবুকে এসেই বলতে হয়। আর তো কোথাও বলার জায়গা নাই। বলার একটা জায়গা দরকার, কি বলেন? তো, এই বলার জায়গা যদি ফ্রি হয় তাহলেও তো সমস্যা। তখন পাবলিক ডাটা বেচার অভিযোগ তুলবে। কিন্তু, পেইড করলে কি কেউ আসবে? আপনি আসবেন?
আমার ওয়ার্ক ডেস্কের পাশে কী সোন্দর রইদ এসে পড়ে। দুপুরে গোছল করে এক ঘন্টার মত এই রইদ পাই। আর বারান্দায় যাওয়া লাগে না।
শীতকালে প্রত্যেকদিন গোছল করবেন। তারপর আধা ঘন্টা রইদে বইসা থাকবেন। ভিটামিন ডি পাইবেন, শরীর ও মন ভালো থাকবে।
এই পরামর্শ যাদের কাজে লাগবে, তারা আমারে এক'শ টাকা বিকাশ করবেন। যারা লাভ দিবেন নাকি হাহা দিবেন ভেবে কনফিউড, তারা দুই'শ দিবেন।
হ্যাশট্যাগঃ নো ফ্রি এডভাইস
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী একটা এডুকেশন সিস্টেম তৈরি ও দাঁড় করানো হচ্ছে আমার জীবনের লক্ষ্য। লেভেল বেসড এডুকেশন সিস্টেম এর একটা ধাপ (বিস্তারিত লিংক কমেন্টে)। এর সাথে স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর একটা পদ্ধতি যোগ করার উপায় নিয়ে কাজ করছি। সেই সাথে ইফেক্টিভ এডুকেশন কনটেন্ট নিয়েও কিছু কাজ এগিয়েছে। ফিউচার জব মার্কেট কেমন হবে, সেখানে কী কী স্কিল দরকার হবে, এসবও আমাদের গবেষণার বিষয়।
বর্তমান একাডেমিক সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়। সময়রে যতটা সম্ভব ইফেক্টিভলি ব্যবহার করতে না পারলে আপনি টিকতে পারবেন না সামনে। অটোমেশন যত বাড়বে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্যবহার যত বাড়বে আপনার জন্য তত কঠিন হয়ে যাবে সবকিছু। ২০৩০ সাল রে একটা ডেডলাইন হিসেবে দেখতেছে সব বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, কোভিড-১৯ এসে এই ডেডলাইন আরো এগিয়ে নিয়ে আসছে। রিমোট জব নিয়ে এত হৈচৈ অন্তত ২০২১ এ হওয়ার কথা ছিলো না। খারাপ দিন খুব দ্রুত এগিয়ে আসতেছে রে ভাই। তাই, আপনারা এখনি সচেতন হওয়া শুরু করেন। আপনার বাচ্চারে, ভাই-বোনরে সতর্ক করেন। তারা যেন এই সার্টিফিকেট ভিত্তিক শিক্ষ-ব্যবস্থার উপরে পুরোপুরি নির্ভর না করে।
এসব নিয়া তো প্রায় এক যুগ ধরেই বলতেছি। সাম্প্রতিক সময়ে জব-মার্কেটের অবস্থা, দ্রব্য-মূল্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি নিয়ে লোকজনের হতাশা দেখে মনে হলো আবারো রিমাইন্ড করি।
তিনটা টার্কিশ টিভি সিরিজ দেখে ওদের ফ্লিম ইন্ড্রাস্ট্রিরে বলিউড কোয়ালিটি ভাবতে শুরু করেছিলাম। টার্কিশ সিরিজ বা মুভি দেখার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। Mucize The Miracle দেখে মনে হলো- নাহ, আরো কিছু টার্কিশ মুভি দেখা যেতে পারে।
ট্রু-স্টোরি বেসড মুভি। ভালো লাগছে।
দেড়-দুই কিলোমিটার পথ রিকশায় যাওয়া লাগে কেন? সময় বাঁচানো তো উদ্দেশ্য না, কারণ হেঁটে গেলে আরো কম সময় লাগে।
বয়স একটা ধারণা মাত্র। আত্মার কোন বয়স নাই। যে বায়োলজিক্যাল বডিতে আত্মা কিছুদিন বাস করতে আসে, সেই শরীর কর্মক্ষমতা হারায় মাত্র। এর বেশী কিছু না। আপনার যদি মনে হয় আপনি বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন, তাহলে বুড়ো হয়ে যাবেন। বায়োলজিক্যাল বডির মৃত্যুর আগেই কত মানুশ মারা যায়।