অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
বাংলাদেশের অফিসগুলোতে দুই ধরনের লোক দেখা যায়। এক গ্রুপ লোক আছে যারা তাদের কাজের ব্যাপারে সিরিয়াস, প্রচুর কাজ করেও। আরেক গ্রুপ আছে যারা মনে করে কাজের চাইতে গ্রুপিং লবিং ও তেল দেয়া বেশী জরুরী। অফিসে নতুন কেউ ঢুকলেই এই দ্বিতীয় গ্রুপটা নতুনদেরকে তাদের দলে রিক্রুট করার চেষ্টা করে। নতুনদেরকে বুঝায় যে- 'আপনি যদি চুপচাপ শুধু কাজ করতে থাকেন আপনার উপরে আরো কাজ চাপিয়ে দেয়া হবে। আপনাকে খাটাতে খাটাতে মেরে ফেলা হবে.. ব্লা ব্লা!' ফলে, নতুনদের অনেকে ভয় পেয়ে এই আড্ডাবাজ ফাঁকিবাজদের গ্রুপে জয়েন করে ফেলে এবং আলটিমেটলি লুজার হয়। বাংলাদেশে এই দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকদের সংখ্যা বেশী।
একটা সহজ ব্যাপারই অনেকে বুঝতে পারে না বা চায় না যে- আপনি যদি প্রথম দিকে অতিরিক্ত কাজ করেন সেটা আপনার এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করে। আপনার স্কিল বাড়াতে সাহায্য করে। এভাবে একজন ব্যক্তি অ্যাসেটে পরিনত হয়। আর এই অ্যাসেটদের কখনো জবের অভাব হয় না। এদেরকে কোন অফিস হারাতে চায় না।
We become so obsessed with the destination that we forget about the journey. Enjoy the journey.
বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা নিয়ে কিছু বললে যে লোকে অফেন্ডেড হয়, এটাও একটা বুদ্ধিবৃ্ত্তিক সংকট। নিজেদের সীমাবদ্ধতা বুঝতে পারা এবং স্বীকার করা না গেলে সেই সীমাবদ্ধতা কখনো কাটে না।
ব্রেইন মূলত একটা হার্ডওয়্যার। সেখানে পারিবারিক শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা হচ্ছে আপনার অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার। এখন সুপার কম্পিউটারে যদি আপনি উইন্ডোজ ৯৫ ইন্সটল করেন, তাহলে এই কম্পিউটার দিয়ে কী হবে? আমাদের সমাজ ও শিক্ষা ব্যবস্থা তাই করছে। এরা বরং মেধাবীদের ধ্বংস করে যাচ্ছে। দুই/চারজন নিজের উদ্যোগে এখানে স্বশিক্ষিত হয়ে কিংবা দেশের বাইরে গিয়ে ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কিছুটা বাঁচিয়েছে নিজেদের।
আর আমাদের দেশের ভেতরে নটরডেম বাঁচাচ্ছে অল্প কিছু শিক্ষার্থীদের। আপনি দেখবেন ঢাবি ও বুয়েটের অধিকাংশ ভালো ছাত্ররা নটরডেম থেকে আসা। কারণ, ওরা এদেশের আজগুবি শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক কিছুই মানে না। সব কলেজে লটারি দিয়ে ভর্তি হয়, ওখানে লটারি দিয়ে হওয়া যায় না।
জাতীয়তাবাদ এবং জাতির বিকাশের ধারণা দুটো আলাদা বিষয়।
— বদরুদ্দীন উমর
গত ১৫ বছর ধরে বহু লোকরে এটা বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফলাফল খুব একটা আশাপ্রদ না, এখন পর্যন্ত।
https://samakal.com/editorial-subeditorial/article/211289508
প্রথম আলো: তা বাঙালি মুসলমানের মধ্যে মননশীলতা তৈরি হলো না কেন?
বদরুদ্দীন উমর: শরীরে ইনজেকশন দিয়ে তো মননশীলতা তৈরি করা যায় না। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করেও এটি পাওয়া যাবে না। এর জন্য চর্চা দরকার। আজ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে দেখুন, জ্ঞানের চর্চা বলে কিছু নেই। কিন্তু ভারতে মোদি সরকার যতই দুর্বৃত্তায়ন চালাক না কেন, সেখানে প্রগতিশীলেরা, কমিউনিস্টরা ইতিহাসচর্চা করছেন। রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিব, অমিয় কুমার বাগচীর মতো অনেক ইতিহাসবিদ আছেন। আর আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকান, কোনো ইতিহাসবিদ নেই।
মানুশ বলতে যদি আপনি শুধু একটা শরীরই বুঝে থাকেন তাহলে বলেন তো, এই Conjoined Twins যখন গাড়ি চালানোর মত বিপদজনক একটা কাজ করে, তখন কোন ব্রেইনটা সিদ্ধান্ত নেয়? দুই ব্রেইন একসাথে সিদ্ধান্ত নিলে দুইটা ব্রেইনেরই পারফেক্ট সিন্ক্রোনাইজেশন লাগবে। সেটা কি সম্ভব? সম্ভব হলে সেই সিন্ক্রোনাইজেশন-এর পেছনে কে বা কী কাজ করছে?
ছোটবেলা এক খাটে ৫/৬জন কাছাকাছি বয়সের ভাই-বোন-কাজিনদের সাথে লেপের নিচে ঢুকে ভূতের গল্প শুনার সেই দিনগুলো যে আর কখনোই আসবে না, এটা ভাবতেই শীতকালটা আরো শীতল হয়ে আসে।
বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে RO (Reverse Osmosis) প্রযুক্তির পানির ফিল্টার থাকা একেবারে বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে। এই প্রযুক্তির ভালো পিউরিফায়ারগুলোর দাম একটু বেশী, কিন্তু ফ্যামিলির কারো ক্যান্সার হলে যে পরিমান খরচ হয় সে তুলনায় নগন্য।
এই মানুশগুলোর জন্য কিছু করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু আমার সেই ক্ষমতা নেই। যদি আকিজ গ্রুপের মত কোন গ্রুপের মালিক হতাম বা নীতি নির্ধারনী পর্যায়েও থাকতাম তাহলে এদের জন্য ৩০-৫০ টাকার ভেতরে এনার্জি বার/ব্যালেন্স বার টাইপ কোন প্রোডাক্ট বের করতাম। উন্নত বিশ্বে এধরনের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। এতে একজন মানুশের জন্য প্রয়োজনীয় সকল খাদ্য উপাদান থাকে।
তবে আমার একটা ক্ষমতা আছে। চিন্তা করার ক্ষমতা। বেশ কয়েক বছর ধরেই একটা আইডিয়া নিয়ে ভাবতেছি। এরকম একটা শপ যদি করা যায় যেখান থেকে মিনিমাম কস্টে ব্যালেন্স ডায়েট নিশ্চিত করা যায়। অনেক ঘাঁটাঘাটি করে ও চিন্তা করে এরকম একটা আইডিয়া দাঁড় করিয়ে রেখেছি। আপাতত আইডিয়াটা আমার আইডিয়া বুকে ঘুমাচ্ছে। সময় থাকলে বাস্তবায়ন শুরু করতে পারতাম। সময় নাই। কিংবা যথেষ্ঠ পরিমান টাকা থাকলেও টিম তৈরি করে শুরু করে দেয়া যেত। একদিন সময় কিংবা টাকা হলে অবশ্যই এই প্রজেক্ট শুরু করবো।