অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
পরিস্থিতি কতটা জটিল চিন্তা করেন। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে ওয়েস্ট কিছুই না করে চুপচাপ থাকলে পারমানবিক অস্ত্রহীন দূর্বল দেশগুলো হুমকিতে পড়ে যায়।
আবার, ওয়েস্ট মুভ করলে ওয়েস্টেরই সবচাইতে বেশী ক্ষতি হবে যেটা ওয়ার্ল্ড অর্ডার পরিবর্তনের বিষয়টাকে ত্বরান্বিত করে। এটাও আমাদের মত দূর্বল দেশগুলোর জন্য বিপদের।
ওয়েস্ট ভার্সেস রাশিয়া অর্থনৈতিক যুদ্ধে সবচাইতে বেশী লাভবান হচ্ছে চিন।
পক্ষ সবসময়ই একটা রাজনৈতিক ব্যাপার। সে আপনি বুঝে নেন বা না বুঝে...
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যে পশ্চিমারা (আমেরিকা ও ইউরোপ) ইউক্রেনকে সাহায্য করবে না, এইটুক বুঝ যার নাই সে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কিভাবে হলো? সিরিয়াসলি!
উত্তরায় কাচ্চি ভাই যখন প্রথম আসে, তখন এদের বিরিয়ানীটা চমৎকার ছিলো। ২৫০ টাকার বিরিয়ানীতে এত রাইস দিতো যে দুইজন খাওয়া যেত। আর মাটন পিস দু'টোও সলিড ছিলো, ৮০% মিট থাকতো অন্তত। আর এখন বিরিয়ানীর প্রাইস ৩০০ টাকা, রাইস আগের চাইতে অর্ধেক প্রায় এবংমাটন পিস দু'টোতে খাওয়ার মত কিছুই থাকে না (৮০%-ই হাড্ডি)। এরপরেও কাচ্চি ভাই পাবলিক এখনো কেন খায় কে জানে!
ফেসবুকের হোমপেজে গিয়া দেখি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে। মানে, পাবলিক লাগায়া দিতেছে আরকি। কারো কারো পোস্ট দেখে মনে হইলো, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেলেই তারা অনেক খুশী হবে। না লাগলেই বরং হতাশ হয়ে পোস্ট ডিলিট মারবে। এইদিকে আমিও একটু হতাশ। যুদ্ধ নিয়া না। বিশ্ব-রাজনীতি নিয়া এদেশের পাবলিকের অজ্ঞতা দেখে। অজ্ঞতা তো থাকতেই পারে। কত বিষয়ে আমিওতো অজ্ঞ। কিন্তু অজ্ঞরা যখন বিশেষজ্ঞের মত কথা বলতে শুরু করে, তখন সেটা একটু বিরক্তিকরই।
যাহোক, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগার মত কিছুই ঘটে নাই। ঘটবেও না। খামোখা প্যানিক ছড়াইয়েন না রে ভাই। আপনার ছড়ানো প্যানিক জিনিষপত্রের দাম আরো বাড়িয়ে দিলে পরে আপনারই কান্না-কাটি করা লাগবে।
ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিযোগীতা বা 'দেখাইয়া দিমু' মানসিকতা এজন্য ভুল যে, এটা আপনার লক্ষ্যকে আপনার সারাউন্ডিং এর ভেতরে আটকে ফেলতে পারে। একটা জোক বলি-
এক ফকির শুক্রবারে মসজিদের সামনে যেতে দেরী করায় অন্য ফকিররা তাকে আর জায়গা দিচ্ছিলো না। তখন সে বলে- 'দাঁড়া, আমার একদিন কোটি টাকা হইবো। তখন একটা মসজিদ বানায়া সেইটার সামনে একলা ভিক্ষা করমু, তোদের কাউরে ঐখানে দাঁড়াইতে দিমু না।'
লিস্টের বোদ্ধাদের প্রতি
খুব অজনপ্রিয় কিছু বলতে গেলে ইচ্ছা করেই একটু ইডিওসিঙ্ক্রাটিক টোনে বলি। আপনারা অফেন্ডেড হইয়েন না।
পাইরেটেড বই-সফটওয়্যার ব্যবহার করে বড় হওয়া একটা জাতিরে দূর্নীতি মুক্ত করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এরকম মনে হয় আরকি। আপনার ভিন্ন কিছু মনে হলে জানাতে পারেন। আমার কেন মনে হয়, সেই ব্যাখ্যা আরেকদিন দেব।
ইন্টারনেট এখন যেরকম ওপেন আছে, এরকম আরো দুই/তিন'শ বছর যদি থাকে, তাহলে পৃথিবী থেকে অনেক ভাষাই বিলুপ্ত হয়ে দুই/একটা ভাষা প্রাধান্য বিস্তার করবে। এক ভাষাও হতে যেতে পারে। দেশ ও সীমান্ত জিনিষটাও কাজ করবে না অধিকাংশের মননে।