অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
আল্লাহর কাছে যা যা চাই, প্রায় সবই পেয়ে যাই দেখে নিজের জন্য চাওয়া অফ করে দিয়েছি অনেক বছর হলো। এখন শুধু চাই মানুশের জন্য কিছু করতে পারার তাওফিক। আশা করি আল্লাহ এই চাওয়াও পুরন করবে।
আর আপনাদের কাছে চাই শুধুই দোয়া।
জীবন নামক পরিক্ষার কঠিনতম প্রশ্ন হইতেছে সাকসেস। অন্যরা যখন ভাবতেছে আপনি সাকসেসফুল, তখন আসলে আপনার যাত্রা মাত্র শুরু। পুল সিরাতের গোড়ায় আপনি। সাকসেস আসলে একটা দায়।
এদেশে বইয়ের বিপনন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমও ভালো না। Thinkr Club থেকে একটা বই বিপনন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম দাঁড় করাচ্ছি। কমন বুকস্টোর বা লেখকদের পেজ থেকে বই অর্ডার করা যাবে এবং প্রতিটা জেলায় মাল্টিপল বুকপয়েন্ট থাকবে যেখান থেকে বই সংগ্রহ করা যাবে বা দিনে দিনে বাসায় শিপ করার উপায়ও থাকবে।
কথা হচ্ছে, ৬৪ জেলায় যদি ১০টা করেও বুক পয়েন্ট তৈরি করা হয় সেক্ষেত্রে ৬৪০-টা হয়। প্রতি পয়েন্টে ৫টা করে বই মজুত করলেও ৩২০০ বই ছাপাতে হবে আপনাদের। বাংলাদেশের কতজন লেখক ৩২০০টা বই ছাপানোর সাহস রাখেন? ৬৪ জেলায় একটা করে পয়েন্টে রাখলেও ৩২০টা বই আমাদের ওয়্যারহাউজে জমা দিতে হবে। সেটাও কতজন করতে পারবে?
ধরে নিন এটা একটা জরিপ পোস্ট। আমাদের তাড়া নেই, আমরা ধীরে ধীরে এই নেটওয়ার্ক দাঁড় করাবো। কিন্তু, আপনাদের সহযোগীতা পেলে খুব দ্রুত দাঁড়াতে পারে।
হঠাৎ করে বাতাসের কোয়ালিটি এতটা খারাপ কেন হচ্ছে? ঢাকা সিটির ভেতরে AQI দেখলাম ৬০০ এর উপরে, উত্তরার দিকে ৪০০ থেকে ৫০০-তে উঠানামা করছে। AQI ৩০০ এর বেশী হওয়া মানেই হ্যাজার্ড সিচ্যুয়েশন, তখন গ্যাস মাস্ক পড়ে থাকতে হয়। আমার এয়ার পিউরিফায়ার ২৪ ঘন্টা টানা কাজ করেও রুমের AQI ৫০ এর নিচে নামাতে পারছে না (AQI ৫০ এর নিচে থাকা হচ্ছে স্বাস্থ্যকর অবস্থা)।
রাস্তার পাশে হাবিজাবি গাছ না লাগিয়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ তো লাগানো যায়। বাংলাদেশে এমন কিছু ফলের গাছ আছে যেগুলো রাস্তার পাশে লাগালে আপনি খেয়েও শেষ করতে পারবেন না। গরীব লোকজনের ফল খাওয়ার পাশাপাশি দেশের সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতো তাহলে।
এয়ারপডসের নয়েজ ক্যান্সেলেশন ফিচারটার জন্য অ্যাপল কোম্পানীরে শান্তিতে নোবেল দেয়া উচিত। কত ফ্যামিলিতে যে এটা শান্তি স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে গোপনে গোপনে, টিম কুক কি তা জানে? তবে মাঝে মাঝে বিপত্তিরও কারণ হয়। বিশেষ করে ঘরের বাইরে কোথাও ব্যবহার করতে গেলে।
একদিন লিফটের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। আশেপাশে কেউ নাই দেখে হঠাৎ আমার সঙ্গীত প্রতিভা জাগ্রত হয়ে উঠলো। মুস্তফা জব্বারের বাংলা ভাষা একটিভিজমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এনরিকের Bailamos শুনতে শুনতে বাংলায় গাইতেছিলাম।
বাইলা মাছছছছছ
ভাজা কইরা খাবো বাইলা মাছছছছছ
একলাই খাবো, কাউরে দেব না
বাইলা মাছছছছছ
হঠাৎ মনে হইলে কেউ একজন পেছনে। তাকিয়ে দেখি এক শ্রদ্ধেয় বড় ভাই। দ্রুত এয়ারপডস কান থেকে খুলে ফেললাম।
'একলাই খাবে, না?', বড় ভাই মুচকি মুচকি হাসতেছে।
আমিও লাজুক ভঙ্গিতে হাসলাম। এরপর নয়েজ ক্যান্সেলেশন অন করে রাখার বিপত্তি নিয়া উনার একটা বিব্রতকর অভিজ্ঞতার কথা বললেন। আমরা দুইজনেই আবার হাসলাম।
ইলন পাগলারে পছন্দ করার এটাও একটা কারণ। পাগলা এইবার পুতিনরে কুস্তি লড়ার চ্যালেঞ্জ দিসে। যে জিতবো, ইউক্রেন তার।
রুপ জিনিষটা হচ্ছে চিঠির খামের মত। খামটা সুন্দর না হলে অনেকেই সেটা খুলে দেখার আগ্রহবোধ করে না, কিন্তু শেষ পর্যন্ত খামের ভেতরের চিঠিটাই বেশি গুরুত্ব পায়। খামটা পড়ে থাকে টেবিলের নিচে বা অন্য কোথাও।
ত্রিভুজ
১৫ জুলাই, ২০১০
কত ভালো ভালো লেখালেখির সাইট যে হারিয়ে গেল। সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ন লেখাও। এই হারিয়ে যাওয়ার পেছনেন নানা ধরনের কারণ থাকে। অর্থনৈতিক কারণ, ব্যস্ততার জন্য মেনটেইন করতে না পারা, আগ্রহ হারিয়ে ফেলা ইত্যাদি ইত্যাদি। কোন সাইট থেকে যদি রেগুলার একটা ইনকাম আসতে থাকে, তাহলে মনে হয় এই হারিয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব। এমনকি সাইটের মালিক মারা গেলেও সাইট যদি নিজেই নিজের খরচ তুলে যেতে পারে, তাহলে হারানোর তো কথা না।
সোশ্যাল মিডিয়ার ভবিষ্যত হচ্ছে পার্সোনাল সোশ্যাল মিডিয়া। আপনার ডাটা আপনার নিজের কাছে থাকবে। এটা এখনো সম্ভব হচ্ছে না কারণ কেউ নিজের পকেটের টাকা দিয়ে এটা চালাতে চায় না। কিন্তু যদি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া নিজেই নিজের খরচ বহন করে, মানে বছরে ১০০ ডলার খরচ থাকলে ১১০ ডলার অন্তত আয় হয়, তাহলে তো সম্ভব। তাই না?