চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

কত কিছু যে করার আছে! সময়ের এত অভাব…

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পৃথিবীতে যতটা আলোড়ন তুলেছিলো উইল স্মিথের চটকানা তারচাইতে বেশী আলোড়ন তুলেছে। ইন্টারেস্টিং

বাংলাদেশে একবার এক উপস্থাপক টিভি ক্যামেরার সামনে দুজন মেয়েরে খুব অশ্লীল কিছু কথা বলছিলো। ওখানে যদি ঐ মেয়েদের হাসবেন্ড থাকতো এবং সেটা যদি উইল স্মিথ হতো, তাহলে বাংলার টিভি চ্যানেলে আমরাও কিছু ঐতিহাসিক দৃশ্য দেখতে পেতাম।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধটারে আমার পোস্ট-প্যানডেমিক ইফেক্ট মনে হইতেছে। দুই বছরের প্যানডেমিকের ফলে রাশিয়ার এনার্জি সেক্টর যে পরিমান লস খেয়েছে, এক যুদ্ধ বাঁধিয়ে সেই গ্যাপ পুরন করে ফেলতেছে বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়ার রপ্তানিকৃত পন্যের তিন ভাগের দুই ভাগই হচ্ছে তেল-গ্যাস। যুদ্ধ লেগে যাওয়অর পর এগুলো এখন তারা ৩০% বেশী দামে বেচতে পারতেছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর যে সক্ষমতা, তাতে ইউক্রেন দখল করতে তাদের এক সপ্তাহের বেশী লাগার কথা না। যে এয়ার সুপিরিওরিটি ওরা প্রথম তিন দিনের ভেতরেই নিতে পারতো সেটা ওরা নেয় নাই এমনকি ফুলস্কেলে হামলা করে দখলও করে নিচ্ছে না। এয়ার সুপিরিওরিটির বিষয়টা নিয়ে কমেন্টে একটা ভিডিও লিংক দিচ্ছি, দেখতে পারেন।

এই যুদ্ধটার পেছনে জিওপলিটিক্যাল অনেক কারণ থাকলেও (জিওপলিটিক্যাল কারণ নিয়ে আরেকটা লিংক দিয়েছি কমেন্টে), ইকোনমিক রিকোভারীই প্রধান মনে হচ্ছে। নয়তো এই যুদ্ধ এত লম্বা করার কথা না। এরা এই যুদ্ধ আরো কয়েক মাস ধরে ঝুলিয়ে রাখলেও অবাক হবো না।

ভুলও হতে পারে আমার, কিন্তু এরকমই মনে হচ্ছে আরকি।

স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য যোগ্যতা লাগে। ৫০ বছরেও আমাদের কোন উন্নতি না হওয়ার এবং ভারতের অধীনে (আনঅফিশিয়ালী) চলে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ এই অযোগ্যতা। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এমনভাবে ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে যাতে এই যোগ্যতা আমরা আর কোনদিনই অর্জন করতে না পারি। কিন্তু, বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র স্কুল-কলেজই একমাত্র জায়গা না যোগ্যতা অর্জন করার জন্য। এখন আমাদের হাতে ইন্টারনেট আছে।

আপনি শিখতে চাইলে, জানতে চাইলে, নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে অনলাইনই যথেষ্ঠ। অনলাইনে অফুরন্ত রিসোর্স আছে। আপনাকে শুধু চাইতে হবে। এদেশের স্বাধীনতা ধরে রাখা নিয়ে যদি আপনার ভেতরে আসলেই কোন বোধ কাজ করে, তাহলে নিজেকে যোগ্য করে তুলুন।

অনেকদিন ধরেই খেয়াল করছি, সোশ্যাল মিডিয়াতে আগের মত আর ইস্যু তৈরি হচ্ছে না। লোকজনের ম্যাচুরিটি বাড়তেছে।

যারা স্মার্টফোনের বদলে বাটন ফোন ব্যবহার করছে, তাদের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত স্মার্টফোনের ব্যবহাকারীদের থেকে ভালো।

প্যারেন্টিং - ৩৬

সবকিছুর উপরে একজন মানুশের সাথে আরকেজন মানুশের সম্পর্কই যে অনলী ম্যাটার করে, এটা কেউ ছোটবেলা বুঝতে পারলে সে কখনো স্বার্থপর ও হিংসুক হবে না। আপনার বাচ্চাকে এই রিয়েলাইজেশনটা দেয়ার চেষ্টা করবেন। এন্ড অব দ্য ডে মানুশ কতটা একা ও নিঃসঙ্গ, এটা বুঝাতে পারলে সবচাইতে ভালো।

থিংকার ক্লাবের আর্টিকেল এডিটরে Related from vAi প্যানেলটা হচ্ছে থিংকার ক্লাবের পেইড ফিচারগুলোর ভেতরে অন্যতম একটা ফিচার। যেকোন বিষয়ে লেখালেখি করার সময় আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স vAi আপনাকে সেই বিষয়ের উপরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও ফ্যাক্ট জানাবে। ডান দিকের এই প্যানেলটায় সেসব তথ্যের আংশিক দেখাবে এবং ক্লিক করলে রেফারেন্স সহ বিস্তারিত জানাবে। vAi এর এই তথ্য ব্যাংক প্রতিদিনই সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং এর উৎকর্ষতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

আর নিচের More from vAi-এ ক্লিক করলে আরো চমৎকার একটা প্যানেল আসে যেখানে তথ্য ও ফ্যাক্টের পাশাপাশি আরো অনেক ধরনের সাহায্য পাবেন। এই প্যানেলটা নিয়ে আরেকদিন বলবো অথবা আমাদের অফিসে এসে দেখে যেতে পারেন।

থিংকার ক্লাবের সাথে reMarkable এর মত একটা e-Ink ডিভাইস যোগ করতে চাই যেটা ব্যবহার করে Thinkr Club-এর সবকিছু করা যাবে (বই পড়াসহ)। reMarkable-এর দাম অনেক বেশী, ৪০০ ডলারের উপরে (ট্যাক্স সহ)। আমরা ১০০ ডলারের ভেতরে প্রাইস রাখতে চাই। এধরনের ডিভাইস নিয়ে কাজ করেছেন কিংবা করতে আগ্রহী (ইনভেস্টর হিসেবে), এরকম কারো চোখে যদি এই লেখাটা পড়ে, কাইন্ডলি ইনবক্সে আসবেন? আমরা পার্টনারশীপেও কাজ করতে পারি।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি