চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

যারা সফট পাওয়ারের গুরুত্ব বুঝে না, তাদের সাথে বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপ করে লাভ নাই।

টুইটারের টপ ট্রেন্ডিং এখন #leavingtwitter
লোকজন টুইটার ছেড়ে যাবে সেটা তাদেরকে টুইটারেই জানাতে হচ্ছে। হাহা

পৃথিবীর বর্তমান অর্ডার ও রাজনীতি পরিবর্তনের ক্ষমতা আছে টুইটারের। ফলে, এই বিশাল শক্তিশালী টুলের একমাত্র মালিক হওয়া মানে ইলন মাস্কের পৃথিবীর সম্রাট হয়ে ওঠা, এক প্রকার।

প্যারেন্টিং - ৩৮
আপনার বাচ্চাদের নৈতিকভাবে উন্নত করা প্যারেন্ট হিসেবে আপনার দায়িত্ব। আপনার বাচ্চারা যদি বড় হয়ে অন্যদের ঠকায়, ঘুষখোর হয়, প্যারেন্ট হিসেবে এটা আপনার ব্যর্থতাই।

কিন্তু কিভাবে বাচ্চাদের নৈতিক দিকগুলো নিয়ে কাজ করবেন? এর নানা উপায় আছে। তবে সবচাইতে ইফেক্টিভ সম্ভবত নিজেদের ফ্যামিলির সততার ইতিহাস তুলে ধরা। আমার নিজের জীবন থেকে এর একটা উদাহরণ দেই-
আমাদের পূর্বপুরুষরা ছিলেন মূলত ডাক্তার ও শিক্ষক। কিন্তু একই সাথে তাদের অনেক কৃষি জমিও ছিলো। আমাদের এই কৃষি জমিগুলোর পাশে অন্যদের জমি ছিলো। গ্রামে দু'টো জমির মাঝখানে একটা ডিভাইডার থাকে, যেটাকে বলে 'আইল'। মাঝে মাঝে এমন হতো যে, অন্যের জমির লতা জাতীয় কোন ফসল আইল ক্রস করে আমাদের জমিতে চলে আসতো। আমার দাদারা সেই আইল ধরে হেঁটে গিয়ে অন্যের জমির লতা তুলে তাদের জমির দিকে সরিয়ে দিতেন। কারণ, এই লতা থেকে যদি কোন মরিচ কিংবা কুমড়া আমাদের জমিতে ফলে যায় এবং আমাদের জমির কর্মীরা মনের ভুলে সেই ফসল তুলে নিয়ে আসে, তাহলে অন্যের হক নষ্ট করা হলো।

এধরনের আরো অনেক গল্প আমরা ছোটবেলা শুনেছি। নিজের জীবনে এর প্রতিফলনও দেখি। গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে উঠে পুদিনা পাতা রং চা খেতে ভালো লাগে আমার। মাঝে মাঝে বাসায় পুদিনা পাতা থাকে না। আমাদের ছাদে এক প্রতিবেশীর টবে প্রচুর পুদিনা পাতা। ছাদে গিয়ে ওদের একটা পুদিনা পাতা ছিড়ে নিয়ে আসতে বাঁধে আমার। কখনো ঐ টবগুলো থৈকে একটা পুদিনা পাতাও আনি নাই, আনবোও না।

ধর্ম সবচাইতে ভালো উপায় নৈতিকতা উন্নত করার। আপনার ফ্যামিলি যদি ধর্মীয় দিক থেকে রিচ থাকে, তাহলে সেদিক থেকে তাদেরকে বুঝান অন্যদের হক মেরে খাওয়ার পরিনতি কী হতে পারে।

ইসলামের দৃষ্টিতে, আপনি যদি কারো এক টাকাও মেরে খান, সেটা হবে তার হক নষ্ট করা। অন্যের হক মেরে খেলে ঐ ব্যক্তি ক্ষমা করার পর সৃষ্টিকর্তা ক্ষমা করবে, তার আগে নয়।

নৈতিক দিক থেকে উন্নত করা মানে শুধু এটুকু নয়। গীবত, কষ্ট দেয়া, অপবাদ দেয়াসহ আরো অনেক বিষয় আছে। ওসব নিয়ে ভবিষ্যতে আলাপে হবে।

আম্রিকা যেতে হবে।
গিয়ে বলবো— ইলন মাস্ক,
আপনাকে আমি কিনে ফেলতে চাই।
কত দেব বলেন?
ইলন মাস্ক হয়তো বলবে,
আমার সম্পদের পরিমান তো ২৬৫ বিলিয়ন,
সেটাই দেন।
আচ্ছা, আপনাকে আমি কিনে ফেললাম।
আপনি এখন আমার,
আপনার সম্পদও।
২৬৫ বিলিয়ন বের করেন তো,
পে করে দেই।

ইলন মাস্ক টুইটারকে বেটার করবে বলেই আমার বিশ্বাস। টুইটারে নিয়মিত হওয়া শুরু করবো এবার।

মাঝে মাঝে শাওয়ার নিতে নিতে গান গাই। আর এতেই উত্তরা কাকমুক্ত হয়েছে। উত্তরা গ্রামবাসী আমার এই অবদানের কথা জানে না। একটা টিভি চ্যানেলের মালিক হলে পুরো দেশকে কাকমুক্ত করে ফেলবো, সেদিন জানবে।

পিক ফর অ্যাটেনশন!

একজন জানতে চাচ্ছিলেন, দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কেন লিখি না আগের মত।

আসলে সময়ের অভাব। কোন ইস্যু নিয়ে কিছু লিখতে হলে সেটা নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়। হুট করে হোমপেজে কিছু একটা দেখেই শেয়ার করে দেয়া বা কিছু বলে ফেলা বোকামী। অনেক সময় সেটা গুজব প্রোপাগেটে সহায়ক হয়। আজকাল তো সব জায়গাতেই গুজবের ছড়াছড়ি, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতেও। আমার আসলে মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া কোনটার উপরেই ঈমান নাই। একটিভিজমের গুরুত্ব অস্বীকার করতেছি না কিন্তু এরচাইতেও গুরুত্বপূর্ন কাজ আছে করার মত। তাছাড়া, একটিভিজমের জন্য তো বহু লোক আছে।

মাঝে মধ্যে বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা আর ইনসাইট তো শেয়ার করি। ইদানিং সেটা করাও বিপদজনক। দেখা গেল সোশ্যাল মিডিয়াতে কোন একটা ইস্যু চলতেছে যা আমার জানা নাই। ঐদিকে আমার শেয়ার করা কোন ইনসাইটরে সেই ইভেন্টের সাথে রিলিভেন্ট ভেবে কে যে কী মনে করে, বলা মুশকিল। ফলে, লেখালেখিটা ধীরে ধীরে ফেসবুক থেকে ত্রিভুজ ডট নেটে নিয়ে যাচ্ছি।

আর, আপনি যদি মনে করেন সোশ্যাল একটিভিজম করে সমাজের যতটুকু উপকার করতে পারবেন; কাজ করে তারচাইতে বেশী করতে পারবেন, তাহলে কাজে মনোযোগ দেয়াই ভালো। মানে, আমার এরকমই মনে হয় আরকি।

New member in the family, sensor panel.
আমি কখনো বুড়ো হবো না, এখনো এসব ভালো লাগে ????

রাত জাগা থেকেে বের হয়ে আসার পর রাতের নিস্তব্ধতাটুকু মিস করি অনেক। এজন্য ঘুমের প্যাটার্ন চেঞ্জ করার চেষ্টা করছি অনেকদিন ধরেই। রাত ৮:৩০ বা ৯টায় ঘুমিয়ে ভোর ৪টায় উঠার অভ্যাস তৈরি করতে চাচ্ছি। রোজার মাসে এই অভ্যাস তৈরি করা সহজ হলেও পুরানো অভ্যাসের কারণে ঠিকঠাকমত ঘুম আসলে ভাঙ্গে না। কখনো রাত ১২টায় ঘুম ভেঙ্গে যায় কখনো ২টায়। চেষ্টা চালিয়ে গেলে হয়ে যাবে একদিন।

গভীর রাতে উঠে এক কাপ গরম চা নিয়ে বসার পর একটা অদ্ভুত ভালো লাগার ফিলিংস হয়।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি