চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

নাথিং ডে
মাঝে মাঝে পুরো একটা দিন কিছুই করবেন না। সারাদিন চুপচাপ বসে থাকুন বা শুয়ে। মোবাইলও ধরা যাবে না।

বাগান তত্ত্ব - ১০

জীবনটাও একটা বাগানের মতন। সারাজীবন ধরে যা যা গাছ লাগাচ্ছেন, সেই বাগানই তৈরি হচ্ছে। যদি আগাছা নির্মূল না করেন, তাহলে জংলা তৈরি হবে। পরে আরেকজনের সুন্দর গোছানো বাগান দেখে আফসোস করে লাভ হবে না।

আমার একটা উইন্ডোজ ডেস্কটপ আছে। গতকালকে পুরো কম্পিউটার ফরম্যাট দিয়ে উইন্ডোজ ১১ লাগিয়েছি। মাইক্রোসফটের সাইট থেকে সরাসরি ইনস্টলার মিডিয়া (পেন ড্রাইভে) বানাতে ৫-৬ মিনিটের মত লাগলো। ৫গিগাবাইট সাইজের এই ড্রাইভ অনলাইন থেকে এত দ্রুত তৈরি হতে দেখেই মুগ্ধ! উইন্ডোজও ইন্সটল হয়ে গেল দশ মিনিটের ভেতরে। কনফিগারেশন আর প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার-টুল সেটাপ করতে অবশ্য ঘন্টাখানেক লেগেছে। কিন্তু, পুরো ট্রানজিশনটা খুব স্মুদ ছিলো।

সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে ওয়েব সার্ভার (MAMP) প্যাকেজ + নেটবিনস + মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজারে বারোটা ট্যাব মিলিয়ে মাত্র ৬ গিগাবাইট জায়গা নিয়েছে RAM-এ এবং সিপিউ ইউজেস ২% - ১০% এর ভেতরে থাকছে। ইউজার ইন্টারফেস আর ইউএক্সও স্মুদ বেশ। নেটবিনসের মত খতরনাক IDE ১০ সেকেন্ডে ওপেন ও রেডি হয়ে যাওয়াটাও ইন্টারেস্টিং লেগেছে। মাইক্রোসফটের এত উন্নতি দেখে ভালো লাগতেছে।

দীর্ঘদিনের ম্যাক ব্যবহার থেকে স্লোলি আবার উইন্ডোজে ফিরে আসতেছি বলা যায়। কোড করা ছাড়া ম্যাকবুক তেমন ব্যবহার করা হচ্ছে না আজকাল। অবশ্য দু'টো ২৭" মনিটর উইন্ডোজে পিসিতে কানেক্টেড থাকাটা বড় কারণ ছিলো এতদিন, কিন্তু উইন্ডোজ ১১ আসলেই ভালো লাগতেছে। মনে হইতেছে উইন্ডোজেই ব্যাক করবো পুরোপুরি।

অ্যাপল দিন দিন বাজে হইতেছে আর মাইক্রোসফট স্মুদ হইতেছে। গুড জব মাইক্রোসফট!

বাড়ি-গাড়ি না কিনে কৃষি জমি কিনেন। ভবিষ্যতে গোল্ড মাইনের চাইতেও দামী হবে কৃষি জমি।

জনগনরে বিভক্ত রাখা হচ্ছে ক্ষমতাশীনদের একটা গুরুত্বপূর্ন এজেন্ডা। কারণ, পাবলিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীর কোন সেনাবাহিনী বা কোন বাহিনীর পক্ষেই সেটার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নাই। তাই কখনো ধর্ম, কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনো এটা-সেটা যা যা আছে, সবকিছু ব্যবহার করে শাসক-গোষ্ঠী জনগনরে বিভক্ত করতে থাকে। হাজার হাজার বছর ধরে তাই হয়ে এসেছে।

তারপর... তারপর যখন তারা বিপদে পড়ে, তখন জনগনরে এক হতে বলে। ঐক্যবদ্ধ হতে বলে। কারণ, নিজেদের স্বেচ্ছাচারীতার জন্য তাদের নিজেদের রাজত্বই তখন ধ্বংসের মুখে।

পৃৃথিবীর জনগন অবশ্য এক হয় একসময়। এসব ‌অ্যাম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। ইতিহাসে ঘুরে ঘুরে এরকম অনেকবার ঘটেছে। সব ভেঙ্গেচুরে আবার নতুন করে তৈরি করেছে পাবলিক। আমরা সম্ভবত সেরকম একটা সময়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আবারো। আগামী পঞ্চাশ-ষাট বছরের ভেতরে সব ভেঙেচুরে নতুন করে দাঁড়াবে আবার।

Winter is coming!

মনে করেন অদৃশ্য হয়ে গেছেন আপনি। এরপর নিজের সৌন্দর্যটুকু বুঝার চেষ্টা করুন। আপনার অনুপস্থিতিতেও বিরাজ করে এই সৌন্দর্য।

Ha Ha Ha (Only for High IQ people... sorry, high internet speed people) [video]

আমরা যখন ছোট ছিলাম, কাঁচের বোতলে এক লিটার কোক (১০০০ মিলি) এর দাম ছিলো ২২ টাকা। এখন তার চার ভাগের এক ভাগ (২৫০মিলি) প্লাস্টিকের বোতলের কোক ২৫ টাকা। চারগুনের বেশী বেড়েছে দাম। একটা ব্যানসন সিগারেটের দাম ছিলো ৩ টাকা, এখন ১৬ টাকা। পাঁচগুনের বেশী বেড়েছে দাম।

এটাই উন্নতির সাইন্স!

ভার্সিটিয়ান-থিংকার নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে কতকিছুর সন্ধান যে পেলাম। পৃথিবীজুড়ে কত কী যে হচ্ছে! এগুলোর সাথে যখন আমাদের দেশের অবস্থা তুলনা করি, নিজেদেরকে কয়েক'শ বছর পিছিয়ে পড়া মনে হয়। টাকা/পয়সা/ইনফ্রাস্ট্রাকচার/টেকনোলজির দিক থেকে না, মন-মানসিকতার দিক থেকে।

কয়েকটা বিভাগীয় শহর (বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম) বাদ দিলে, বাকী জেলাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। মফস্বল শহর আর গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যে কী নিয়ে ব্যস্ত! গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড/ইউটিউব/টকটক/ফেসবুক, এগুলোই এদের জগতের বেশীরভাগটা দখল করে রেখেছে। দুনিয়া সম্পর্কে এদের কোন ধারণাই নাই। খেয়াল করলে দেখবেন, বেশীরভাগ টিকটকার ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর। সকলেই যে ওরকম; তাও-না। এসব জায়গাতেও এগিয়ে থাকা স্মার্ট ছেলে-মেয়েরা আছে। কিন্তু, তারা সংখ্যায় অনেক কম।

সবচাইতে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এদেরকে নিয়ে ভাবার মত তেমন কেউ নেই এদেশে। এদেশের বুদ্ধিজীবিতা মূলত ঢাকা নির্ভর। ঢাকারেই তারা বাংলাদেশ ভাবে। বরং ঢাকার বাইরের কিছু বিভাগীয় শহর ও জেলা শহরের ইন্টেলেকচ্যুয়ালরা ঢাকার স্বঘোষিত ইন্টেলেকচ্যুয়ালদের থেকে অনেক আপডেটেড ও বাস্তবমুখী।

একটা জাতির মূল উন্নতি হচ্ছে লোকজনের মন-মানসিকতার উন্নতি। এই জায়গাটা নিয়ে আমাদের প্রচুর কাজ করতে হবে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি