চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

Thinkr Note (আমাদের ড্যুয়াল স্ক্রিন ট্যাব) এর দাম ২০০ ডলারের উপরে চলে যাচ্ছে দেখে কম দামের ভেতরে একটা ই-রিডার এর ডিজাইন করার চেষ্টা করছি। সবচে কমদামি কিন্ডেলের দাম তো ১২-১৫ হাজার। এর অর্ধেক দামে যদি এটা আনা সম্ভব হয়, তাহলে অনেকের হাতেই ই-রিডার পৌঁছে দেয়া যায়।

৭ ইঞ্চি x ৩ ইঞ্চি সাইজের এই ই-রিডারে এমন দুটো অতিরিক্ত সুবিধা থাকবে যা কিন্ডলে নেই—
১) পোর্টেবিলিটি (কিন্ডলের অর্ধেক ওজন ও সহজে বহনযোগ্য)
২) রেগুলার বুক সাইজে বই পড়ার সুবিধা (ল্যান্ডস্কেপ)

ল্যান্ডস্কেপ মুডে ২.৫ ইঞ্চিতে পৃষ্ঠার পুরোটা একসাথে দেখা যাবে না; যা হয়তো কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করবে, তবে এতে পড়ায় ফোকাস বাড়বে। আরেকটা সুবিধা হলো খুব ছোট আর হালকা হওয়াতে এক হাতে ধরেই ঘন্টার পর ঘন্টা বই পড়া যাবে। পেপার জিসপ্লের কারণে এক চার্জে এক সপ্তাহ ব্যবহার করা যাবে কমপক্ষে।

একজন নিয়মিত পাঠক হিসেবে আমি এরকম কিছু পছন্দ করবো সন্দেহ নাই, কিন্তু অন্যরা কিভাবে নিবে সেটাই দেখার বিষয়।

প্যারেন্টিং - ৫৪

সমালোচনা/গীবত/পরনিন্দা থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখবেন এবং বয়স ১০/১২ হওয়ার পর এসব থেকে যেন তারা দূরে থাকে সেই শিক্ষা দিন।
সমালোচনা/গীবত/পরনিন্দা জিনিষটা মূলত আত্মতুষ্টির জন্য করে লোকে। এটা বিনোদনের উপকরন। অসুস্থ বিনোদন।

এই অসুস্থ বিনোদনে অভ্যস্ত হওয়ার অনেকগুলো খারাপ দিক আছে। এর ভেতরে একটা হচ্ছে— এটা তাদেরকে বন্ধুহীন করে দিবে।

বিশেষ করে ফ্যামিলির কারো ব্যাপারে বাচ্চাদের কখনো উস্কে দিবেন না। ফ্যামিলির এই ব্যাপারটা নিয়ে পরের পর্বে বিস্তারিত বলবো।

প্যারেন্টিং - ৫৩

আমি আর তাতিন আজকে আলাপ শুরু করেছিলাম একটা বই নিয়ে। তাতিন বইটা পড়ে শুনাচ্ছিলো আমাকে। যেসব যায়গা ও বুঝতে পারছিলো না সেগুলো জিজ্ঞেস করছিলো। আমি ওকে এক লাইন ধরিয়ে দিয়ে চিন্তা করার সময় দেই, ও নিজেই বাকীটা বের করে। এটা ওকে চিন্তা করতে শেখায়।

তারপর সেই আলাপ ওর স্কুলের গল্পে পরিনত হলো।

সময় পেলেই আপনার বাচ্চার সাথে গল্প করবেন এবং গল্প করার সময় তাদের কথা বেশী শুনবেন। আপনি তাদেরকে জ্ঞান দেয়ার চাইতে ওদেরকে নিজে চিন্তা করে জ্ঞান প্রডিউস করতে দিবেন। এতে বাচ্চাদের চিন্তা-শক্তি বাড়বে এবং বেশী শিখবে। আপনি নিজেই সব বলতে থাকলে আর ব্যাখ্যা দিতে থাকলে ওরা শিখবে কম মুখস্ত করবে বেশী। আর শেখার আনন্দটা হারিয়ে যাবে।

এবং আলোচনা ওদের মত করে চলতে দিবেন। পড়ালেখা থেকে সেটা স্কুল বা বন্ধুদের গল্পে যেতে থাকলে যেতে দিন। এসব আলাপের সঞ্চালক আপনি হবেন না, আপনার বাচ্চাকে হতে দিন।

প্যারেন্টিং - ৫২

নিজের খারাপ পরিস্থিতির জন্য অন্যদের দোষারোপ করা বা ব্লেইম দেয়া একটা মানসিক সমস্যা। এই সমস্যার শুরু হয় একদম ছোটবেলা থেকে।
অনেক প্যারেন্ট আছে যারা বাচ্চাদের অযথাই বকাঝকা করে, সবকিছু নিয়েই ব্লেইম দিতে থাকে। এতে বাচ্চাটা সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকে, কখনো কী দোষ করে ফেললো, আবার কী নিয়ে বকা খাবে। এরকম ভয়ের ভেতরে বাস করায় তার সঠিক মানসিক গঠন ব্যহত হয়। একটা সময় পর এদের কাছে এরকম বকাঝকা করা, ব্লেইম দেয়াটা স্বাভাবিক বিষয়ে পরিনত হয় ফলে বড় হয়ে নিজেরাও অন্যদের ব্লেইম দিতে শুরু করে। সবকিছুতেই অন্যদের দোষ খুঁজে পায়, নিজের ভুল অন্যদের উপরে চাপানোর চেষ্টা করে এবং নিজের দুরাবস্থার জন্য অন্যদের দায়ী করার চেষ্টা করে।

এরপর এরা যখন প্যারেন্ট হয়, নিজেদের বাচ্চাদের সাথেও একই কাজ করতে থাকে। তাতে এদের বাচ্চারাও বড় হয়ে এরকম হয়। একটা দুষ্ট চক্রে (vicious circle) আটকা পড়ে থাকে এরা। খুব অল্প সংখ্যকই এই চক্র থেকে বের হতে পারে।

এধরনের চক্রে যদি আপনার নিজেকে আবিষ্কার করে থাকেন, তাহলে এটা ভাঙার চেষ্টা করুন। ভালো প্যারেন্ট হওয়ার জন্য এধরনের চক্র থেকে বের হতে পারা জরুরী।

প্যারেন্টিং - ৫১
চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে কার্যকরী কিছু লিখতে চাচ্ছি, তাই এত সময় লাগছে প্যারেন্টিং বইটা লিখতে। তাছাড়া এই টপিকের প্রায় সব গবেষণা ও বই লেখা হয়েছে পশ্চিমাদের প্রেক্ষাপটে। আমাদের সাথে ওদের বাস্তবতার অনেক অমিল আছে। তাই, একই ধরনের প্যারেন্টিং আমাদের এখানে কম ইফেক্টিভ হবে।

প্যারেন্টিং নিয়ে এখন পর্যন্ত বাংলা ভাষায় প্রকাশিত যে কয়টা বই পড়লাম, সব কয়টাই দেখলাম ইংরেজী বইগুলোর কপি-পেস্ট। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট মিসিং ওখানে। চতুর্থ-শিল্প বিপ্লবের বাস্তবতাও উপেক্ষিত। এরকম কপি-পেস্ট টাইপ কিছু লিখতে চাচ্ছি না। ফলে একটু অপেক্ষা করতে হবে আপনাদের।

প্যারেন্টিং - ৫০

একজন ব্যক্তি কিসে আনন্দ পাচ্ছে, এটা পর্যবেক্ষন করে তার সম্পর্কে অনেক কিছু বলে দেয়া যায়। আবার একটা বাচ্চার আনন্দের প্রধান উৎসগুলো পর্যবেক্ষন করে তার ভবিষ্যত কেমন হতে যাচ্ছে অনুমান করা যায় অনেকটাই।

আপনার বাচ্চারা কিসে আনন্দ পাচ্ছে সেটা পর্যবেক্ষন করুন। তার আনন্দের উৎসগুলো পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়ন্ত্রন করুন।
বাচ্চাদের এন্টারটেইনমেন্ট বা চিত্তবিনোদের উৎসও নিয়ন্ত্রন করুন। 'বাচ্চা তো, কী আর হবে' ভেবে যদি আপনি তাকে ভুল বা খারাপ সোর্স থেকে আনন্দ নিতে দেন, আলটিমেটলি সেটা তার জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলবে।

একটা এক্সপেরিমেন্টাল কুক করলাম। নাম দিসি নুডলস্তা। সেই টেস্টি হইসে! রেসিপিটা নুডলস বানানোর ঐ রেসিপিটার মতই, তাই নতুন করে লিখলাম না কিছু।

তেলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর ফলে বড় ধরনের যেসব বিপদ আসতে যাচ্ছে তার ভেতরে একটা হচ্ছে কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়া। ফসল ফলিয়ে যদি লাভ করতে না পারে, যদি নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে আমাদের খাদ্য উৎপাদন করতে হয় তাদেরকে, সেটা তারা কেন করবে? এখন যদি কৃষকরা উৎপাদনে না যায়, সেটার ফল আপনি দেখতে পাবেন আরো ৬ মাস থেকে এক বছর পরে।

এভাবে চলতে থাকলে দেশে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে যাতে কোটি কোটি মানুশ মারা যেতে পারে।

সবচাইতে কম খরচে ব্যালেন্স ডায়েট নিশ্চিত করার জন্য একটা লিস্ট বানানোর কথা ভাবছি অনেকদিন ধরেই। এটা এসময় খুব কাজে দিতো পাবলিকের। নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞরা এগিয়ে আসেন প্লীজ!

যদি IMF এর লোন পাওয়ার জন্যই সরকার জ্বালানির মূল্য এভাবে বাড়িয়ে থাকে, তাহলে দেশ মারাত্বক অর্থনৈতিক সংকটে আছে। আপনি আমি যতটুকু জানি বা গেস করতে পারি, তার চাইতে অনেক বেশী খারাপ অবস্থা।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি