চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

সামনে খারাপ সময় আসতেছে বলে নাকি শুধু ভয় দেখাই। এবার কিছু আশার আলোও দেখাই—

১) কিছু জায়গা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সে দিয়ে কাজ হবে না, এসবে হিউম্যান লাগবেই। এদেশের মানুশের গড় আইকিউ অনেক ভালো। শুধুমাত্র বাজে একটা শিক্ষা ব্যবস্থা তাদের পুরো ইয়ুথটা ধ্বংস করে দেয় বলে এরা ভালো করতে পারে না। যদি শিক্ষা ব্যবস্থার এই ধ্বংস থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন, সেল্ফ লার্নিং এ ফোকাস করতে পারেন, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনেক সুযোগও তৈরি হবে। আর যেহেতু ভবিষ্যতে রিমোট জব অনেক বাড়বে, তাই বাংলাদেশে বসেই আপনি সেসব জব করতে পারবেন।

২) ভবিষ্যতে ফিকশানের চাহিদা অনেক বাড়বে। খুব খারাপ সময় আসলে পাবলিক এন্টারটেইনমেন্টের পেছনে যেহেতু অনেক খরচ করতে পারবে না সেহেতু তারা ফিকশান থেকে এই চাহিদা মেটাবে। ফলে, যাদের কল্পনা-শক্তি ভালো, তারা লেখালেখিতে মনোযোগ দিতে পারেন।

৩) নন-ফিকশানের চাহিদাও অনেক বাড়বে। বিশেষ করে স্কিল ডেভেলপ বিষয়ক কনটেন্টের। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশীরা এক্ষেত্রে অনেক ভালো করতে পারবে। এদেশের লোকজনের বুদ্ধিমত্তা তুলনামূলকভাবে অন্যসব দেশ থেকে ভালো। ছোটবেলা থেকে একটু সিরিয়াস হতে হবে এসবে অংশ নেয়ার জন্য।

৪) কৃষিতে আমাদের ভবিষ্যত ভালো। কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন বিষয়ক শিক্ষার বিষয়ে একটু সিরিয়াস হলে অনেকেই ভবিষ্যত পৃথিবীর চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারবেন নিজেকে/নিজেদের।

৫) আমাদের এখানে পারিবারিক বন্ধন এমনিতেই অনেক ভালো। কিছু আধা-শিক্ষিত লোকজন বাদে সকলেরই ফ্যামিলি ভ্যালু মোটামুটি ভালো। এটায় আরো ফোকাস করা গেলে এই বন্ধন আরো উন্নত করা সম্ভব। এটা আমাদেরকে অনেক বিপর্যয় থেকেই রক্ষা করবে।

এই পাঁচটা বিষয় নিয়ে একটু ভাবেন, কাজ করেন। আর শেখার চেষ্টা করেন। মুখস্ত-বিদ্যা থেকে বের হয়ে আসেন। আমরা টিকে যাবো এভাবেই।

টাকা মূলত একটা কাগজের রিসিপ্ট ছাড়া আর কিছুই না। মানে, আপনি কারো কাছে ১০০ একর জমি জমা রাখলেন আর সে আপনারে একটা রিসিপ্টে লিখে দিলো যে আপনি তার কাছে ১০০ একর জমি পান। এবং এটাও লিখে দিলো যে- 'চাহিবা মাত্র ইহার বাহককে ফেরত দিতে বাধ্য থাকিবে'। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে এই সম্পদ আর কোনদিনই ফেরত দিবে না সে।

আর আপনার জমা রাখা ঐ ১০০ একর জমি থেকে প্রতি বছর ৫-১০ একর জমি গাপ করে ফেলা হইতেছে ইনফ্লেশন (inflation) বা মুদ্রাস্ফীতি (মুদ্রাস্ফীতি একটা ভুল টার্ম আসলে)।
এখন এই রিসিপ্ট (টাকা) আপনি ব্যাংকে রাখেন আর ঘরে রাখেন, সম্পদ কিন্তু সেই লোকের কাছেই জমা রইলো। এটারেই ব্যাংকে টাকা রাখা বুঝিয়েছি।

সম্পদরে এভাবে রিসিপ্টে রুপান্তরিত করে রাখা বোকামি এজন্য। একারণে দেখবেন শত কোটি টাকার মালিকদের ব্যাংকে এক কোটি টাকাও ক্যাশ থাকে না বা কারেন্সিতে থাকে না কিছু।

আমরা যেই খারাপ সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছি, এটা খুব সহজে কাটবে না আর। ২০৩০ এর দিকে এমনিও বড় ধরনের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্যয় শুরু হওয়ার কথা, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের কারণে। সেই বিপর্যয় শুরুর আগেই এখন যে বিপর্যয়ে আমরা প্রবেশ করতে যাচ্ছি, এর থেকে বের হয়ে আসার আগেই ২০৩০-এর বিপর্যয় শুরু হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।

সামনে খুব খারাপ দিন আসতেছে। বি প্রিপেয়ার্ড!

গত এক বছরে ডলারের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এটা নিয়ে সবচাইতে বেশী বিপদে আছে সম্ভবত সৌখিন সাইট/পোর্টাল মালিকরা। এই অবস্থায় যারা নিজের সখের সাইটটা কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে চাচ্ছেন, তারা কনটেন্টগুলো অনলাইনে আর্কাইভ করার জন্য আমাদের থিংকার ক্লাউড ব্যবহার করতে পারেন। আমরা লাইফ-টাইম ফ্রি আর্কাইভিং সুবিধা দিচ্ছি।

এর সবচাইতে বড় সুবিধা হলো— আবার যখন নিজের সাইট/পোর্টার অনলাইনে ফেরত আনতে চাইবেন, তখন বসে বসে কপি-পেস্ট করতে হবে না। এক ক্লিকেই আপনার সাইট আবার অনলাইনে লাইভ হয়ে যাবে (সাইটে লাখ লাখ পোস্ট/লেখা থাকলেও)।

এরকম যারা আছেন (মানে সাইট চালাতে চাচ্ছেন না বা বিরতি দিতে চাচ্ছেন এবং লেখাগুলো ব্যাকাপ রাখতে চান), তারা ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা থিংকারের অফিসে চলে আসতে পারেন।

একজন জ্ঞানী লোক নির্জনতায় নিজের সঙ্গ উপভোগ করে, বাকীরা লোনলিনেসে আক্রান্ত হয়। Knowledge saves you from loneliness and makes you a solitary man.

'এত জেনে বা চিন্তা করে কী লাভ?', জানতে চেয়েছিলো একজন।
বলেছিলাম— মনে কর দুইজন লোক হেঁটে যাচ্ছে পাশাপাশি। একজন দেখছে রুক্ষ মরুভূমি। অথচ একই পথে হেঁটে যাওয়া অন্যজন দেখছে সবুজ অরণ্য, ঝরনা, পানি, ঝিরঝির বাতাস।
একজন জ্ঞানী ও চিন্তকের সাথে সাধারণের দেখার পার্থক্য অনেকটা এরকমই।

আপনার যদি মনে হয় এই গান আমি গেয়েছি, তাহলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের অগ্রগতি সম্পর্কে আপনার সার্চ দেয়ার সময় হয়েছে। আমার একটা স্টিল ফটো থেকে এই ভিডিওটা তৈরি করে দিয়েছে reface নামের একটা এপ। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এই এপটা। [video]

চা শ্রমিকদের সাথে যা করা হচ্ছে, এটা স্লেভারি। দাস প্রথা এখনো রয়ে গেছে।

গাড়ি কিনতে গেলাম, ৯০ লাখ চায়। ৩০ লাখ কইলাম, দিবো না। পাঁচ টাকা বাড়িয়ে দেব বললাম, তাও দিলো না!

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ আর দূর্নীতি করে এমনিতেই BRTC-র অধিকাংশ বাস বন্ধ করে দিয়েছে এরা। যে অল্প কিছু বাস আছে, সেগুলোও বন্ধ করতে চাচ্ছে। গণপরিবহন আর্মির হাতে তুলে দেয়া হোক। [photo]

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি