চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

ইয়েট এনাদার এক্স-পেরি-পেরি-'মেন্টাল' রেসিপি।

অনলাইন থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে রিসার্চ পেপার পড়া আমার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। মূলত নতুন কিছু জানতে ভালো লাগা থেকে করি আরকি। আর এটা করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছি যে আসলে কত কম জানি। সবচাইতে দুঃখের বিষয় হচ্ছে চাইলেও সব জানা সম্ভব না। অন্তত এই ছোট জীবনে সম্ভব না আরকি। যেসব বিষয়ে আমার আগ্রহ, সেগুলো পুরোপুরি বুঝার জন্য অন্তত হাজার পাঁচেক বছর বাঁচতে হবে। ফলে, সব বুঝার চেষ্টা করা অনর্থক।

আপনি তখনি একটা বিষয়ে সর্বোচ্চ জানতে সক্ষম হবেন যখন অন্য হাজারো বিষয়ে কিছু্ই জানবেন না বা কম জানবেন। আসলে একটা বিষয়ে পুরো মনোযোগ দিলে তো অন্য বিষয়গুলো জানা তো সম্ভব না। একটা বিশেষ সেক্টরে যে যত জ্ঞানী অন্য হাজারো সেক্টরে সে ততই অজ্ঞ হওয়া স্বাভাবিক তাই।

সব বিষয়েই জানার ভান করে ও মতামত দিতে যায় যারা, তারা মূলত মিডিওকর।

পাকিস্থানী আর ভারতীয় ক্রিকেট ফ্যানরা নামাজ পড়ছে একসাথে। মুসলিমদের কোন বর্ডার নাই। [photo]

পরিস্থিতি কত দ্রুত খারাপ দিকে যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা সবচাইতে ভালো টের পাচ্ছে। বাংলাদেশ কিন্তু প্রডিউস করে না খুব বেশী জিনিষ। ব্যবসাগুলো দাঁড়িয়ে আছে মূলত ইমপোর্টের উপরে। আর ইমপোর্ট বিষয়ক কোন সিদ্ধান্তের ফল সাথে সাথে টের পাওয়া যায় না। কমপক্ষে পাঁচ/ছয় মাস লাগে বুঝতে।

আজকে ইমপোর্টে রেস্ট্রিকশন দেয়া মানে পাঁচ/ছয় মাস পরে ঐ ইমপোর্টের সাথে রিলেটেড ব্যবসাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া। ফ্যাক্টরিগুলোর উৎপাদনে প্রভাব পড়ে এতে। রিটেইল মার্কেটেও পন্যের অভাবে ব্যবসা সীমিত হয়ে আসে। ফলে, ব্যবসায়ীরা নিজেদের বাঁচাতে লোক ছাঁটাই করতে বাধ্য হবে। লোক ছাঁটাই হওয়া মানে লোকজনের ক্রয়ক্ষমতাও কমে যাওয়া। ক্রয়ক্ষমতা কমা মানে ব্যবসা কমে যাওয়া। ব্যবসা কমে যাওয়া মানে আরো লোক ছাঁটাই হওয়া। এভাবে পরিস্থিতি খুব দ্রুত খারাপের দিকে যায়।

ফুড, আইটি, চিকিৎসা আর এডুকেশন। এই চারটা ইন্ড্রাস্ট্রির লোকজন কোনভাবে টিকে যাবে, বাকী সবাইকে ভুগতে হবে। সে আপনি এখন যত ভালো অবস্থাতেই থাকেন না কেন।

পাবলিকের খারাপ দিন আসতেছে শুনে যারা আনন্দ পাচ্ছে, এরকম সকলকে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করলাম এবং ফলোয়ার লিস্ট থেকেও রিমুভ করলাম।

যে অবস্থার দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বহু লোক ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হবে।

গত ১৫ বছরে মিছিলে গুলি করে মানুষ মারার বিষয়ে আমজনতা ও “বুদ্ধিজীবি” মহলের তেমন কোন আপত্তি যে দেখা যায় নাই, এটা সকল রাজনৈতিক দলের জন্যই বিপদজনক।

৫ বাংলাদেশের জাতীয় নাম্বার। সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন!

বাংলায় অসংখ্য ভুল পরিভাষা/প্রতিশব্দের ভেতরে 'মধ্যবিত্ত' অন্যতম, যেটা আমাদেরকে 'বিত্ত' দিয়ে বড়-ছোট ভাবা শেখায়। এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

প্যারেন্টিং - ৫৫
বড়দের সাথে আপনারা ঠিক যেভাবে মনোযোগ ও গুরুত্ব দিয়ে আলাপ করেন ও আড্ডা দেন, বাচ্চাদেরকেও একইরকম গুরুত্ব দিবেন। এটা তাদের আত্ম-বিশ্বাস বাড়াবে এবং চিন্তাশীল হতে সাহায্য করবে।

তবে, বড়দের সাথে যা যা বলা যায়; বাচ্চাদের সাথে তার সব বলা যাবে না। এই যেমন— বাচ্চাদেরকে পৃথিবীর খারাপ ও জটিল বিষয়গুলো বলবেন না। মানুশ সম্পর্কে খারাপ ধারনা দিরেন না। তারা জানতে চাইলেও না।

আজকে বিদ্যুৎ কেন চলে যায় জানতে চাচ্ছিলো তাতিয়ানা।
বললাম— আমরা গরীব দেশ যে, এজন্য।
‘আমরা কেন গরীব’, এটা ছিলো তাতিনের পরের প্রশ্ন।
‘তুমি আরো বড় হলে বুঝতে পারবে’, বললাম আমি।

এরপর ছোটরা কেন জানতে পারবে না, বড় হতে হবে কেন এই টাইপ আরো বহু আলোচনা হলো। তারপর ওর নিজের গল্পে ফেরত গেলাম আমরা।

এখন আমি যদি ওকে বলি যে দূর্নীতিবাজদের কারণে আমরা গরীব, সেটা মানুষ সম্পর্কে ওর ভেতরে একটা নেগেটিভ ইমেজ তৈরি করবে। এসব ধারনা ওর সুন্দর পৃথিবীটা ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দিবে যা ক্রিয়েটিভ হওয়ার পথে বাঁধা সৃষ্টি করবে।

১৬ বছরের নিচের যাদের বয়স, তাদের পৃথিবীটা সুন্দর ও স্বপ্নীল রাখা জরুরী।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি