অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
ঈডেনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে যারা মাইর খাচ্ছিলো তাদের ভিডিওতে দেখলাম আল্লাহরে ডাকতেছে। এর আগে ঢাকা ভার্সিটির ছাত্রলীগের এক নেত্রীরে যখন জুতার মালা দেয়া হচ্ছিলো, তখনি উনি আল্লাহর কাছে বিচার দিছিলেন।
জুলুমবাজদের এই আল্লাহর কাছে বিচার চাওয়ার ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং লাগে আমার কাছে।
Bangladesh
A
Death Valley!
মাত্র ১৫ বছর আগে ব্লগে এই একই কথা বলার জন্য আমারে 'মৌলবাদী' ট্যাগ দিয়েছিলো 'প্রগতিশীল' ব্লগাররা। আমি বলেছিলাম- 'কোন মেয়ে হিজাব পড়তে চাইলে সেটায় বাধা দিলেও তো তার অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়।' এখন দেখেন Amnesty International-ও একই কথা বলে।
ইসলামের খুটিনাটি বিষয়গুলো নিয়ে এদেশের মুসলিমরা যতটা সিরিয়াস, তার সিকিভাগ সিরিয়াসনেস যদি ঘুষ/দুর্নীতি আর লোক ঠকানোর বিষয়ে থাকতো, তাহলে এই দেশে দুর্নীতি বলে কিছু থাকতো না।
ক্যারিয়ার ও জীবনের কয়েকটা মেজর সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে।
১) বর্তমানে হাতে থাকা দু'টো ক্লায়েন্টের কাজ আগামী অক্টোবর নাগাদ শেষ হবে। এরপর আর নতুন কোন ক্লায়েন্ট নেব না আমরা।
২) ২০২৩-২৪ সাল কাটাবো বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ঘুরে। সপ্তাহে একটা জেলায় গেলে দেড় বছরের ভেতরে পুরো বাংলাদেশ কাভার করা সম্ভব।
৩) নভেম্বর-ডিসেম্বর ফ্যামিলির সাথে ঘুরতে বের হবো। ফলে, আমার যাযাবর জীবনের শুরু হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বর থেকে।
এই ঘুরাঘুরির সময়টা কাজের পাশাপাশি বইগুলো লিখে শেষ করবো সব। সেই সাথে একটা ইউটিউব চ্যানেল শুরু করবো বাংলাদেশের উপরে। ৬৪ জেলায় ঘুরতে ঘুরতে জেলাগুলোর উপরে প্রামান্যচিত্র তৈরি করবো।
দেখা যাক কী হয়। আল্লাহ ভরসা!
তখন মেসে থাকি। নিকুঞ্জের একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে ৪/৫ জন মিলে থাকা আরকি। AIUB-র এক ছোটভাই ছিলো, কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তো বলে আমার সাথে একটু বেশী খাতির। সে একদিন বললো- 'ভাইয়া, রাজনীতি জিনিষটা আসলে কী? দুই মিনিটে বুঝাইতে পারবেন?'
আমি বললাম—
লুক এট আওয়ার মেস ম্যানেজার। আমাদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া, বাজার খরচ তুলে সে। খেয়াল করে দেখ, সে আমাদের টাকায় থাকে এবং খায়, কিন্তু বাসার সবচাইতে ভালো রুমটা তার দখলে। কোন মেস সদস্যের সাথে ঝামেলা হলেই বলে, 'তোমাদের জন্য আমি হ্যান করেছি, ত্যান করেছি... ব্লা ব্লা'।
এখন এই মেসটা মনে করো একটা দেশ আর সে হইলো ক্ষমতাসীন সরকার।
দ্যাটস পলিটিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স ইন টু মিনিটস!
গতি যখন শতকেই সঠিক, মনে থাকবে?
জীবনে একবারই চড়েছিলাম, মনে থাকবে!
যেসকল পোর্টাল/সাইট বা মিডিয়া ক্লিক বেইট করে, তাদের প্রতি আমার কোন রেসপেক্ট নাই। এদের বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতা কাটুক, এইটুকই চাওয়া।
সবকিছুতে দূর্নীতিবাজদের বাদ দিয়ে আমজনতারে ব্লেইম দেয়া পাবলিকগুলার বুদ্ধি-শুদ্ধির অবস্থা যে আমরা জানতে পারলাম, এটাই IQ বিতর্কের প্রাপ্তি আপাতত।
পার্টনারশীপ - ৯
বাবা-মা'য়ের পরে আমাদের সবচাইতে আপন হওয়ার কথা ভাই/বোনরা। এই ভাই বোনদের সাথে যদি কারো সম্পর্ক ভালো না থাকে, সেটা খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার।
ভাই-বোনদের সাথেও যে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে, এটা প্রথমে যখন জেনেছি তখন এই প্রশ্নগুলো জেগেছিলো-
কারো আপন ভাইবোন কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে?
কেন কেউ নিজের ভাইবোনদের হিংসা করবে?
ইগো কেন ও কিভাবে কাজ করে এখানে?
স্কুলে থাকতে যখন গল্প-উপন্যাসে এধরনের বিষয়ের সন্ধান পাই, তখন ভেবেছি এগুলো বাস্তবে ঘটে না হয়তো। কলেজে উঠার কিছুদিন আগে প্রথম এধরনের ঘটনা নোটিশ করি আমাদের পরিচিত এক পরিবারে। তখন থেকে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছি। এর সব উত্তর যে খুঁজে পেয়েছি, এরকম না। তবে এটুকু বলতে পারি যে- এর সাথে প্যারেন্টিং জড়িত। এই বিষয়ে প্যারেন্টিং সিরিজ/বইয়ে আরো বিশদ আলাপ থাকবে। আপাতত এর থেকে বের হয়ে আসার কিছু উপায় বের করার চেষ্টা করি।
এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পেছনে যেসব মাইন্ডসেট কাজ করে, তার পেছনে কাজ করে কিছু ক্যালকুলেশন। সম্পর্ক যে ক্যালকুলেশনের ব্যাপার না, এটা বুঝার মত ম্যাচুরিটি না থাকার ফলে লোকজন এই হিসাব করে। এছাড়াও আছে দুনিয়া সম্পর্কে অজ্ঞতা।
এই ম্যাচুরিটি আর দুনিয়ার জ্ঞান তো কারো ভেতরে সরাসরি ইনজেক্ট করার উপায় নেই, তবে কিছু বিষয় নিয়ে ভাবা যেতে পারে।
আপনার বয়স যদি এখন ২৫ হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ভাইবোনদের সাথে কাটানো সময়ের পরিমান কমপক্ষে ২০ বছর। ৭৩০৫ দিন হয় ২০ বছরে। এর মাঝে অন্তত ৭ হাজার দিন আপনি অবশ্যই ভাই-বোনদের সাথে একসাথে থেকেছেন ধরে নেয়া যায়। এই ৭ হাজার দিনে হয়তো আপনার মন খারাপ হওয়ার মত ও রেগে যাওয়ার মত অনেকগুলো কারণ ঘটিয়েছে আপনার ভাই বা বোন। কিন্তু, কতটি?
এক্ষেত্রে ভেবে দেখেন, আপনার প্রিয় কোন বন্ধু বা ব্যক্তির সাথে আপনি কতদিন কাটিয়েছেন?
আমি বলবো, যাদেরকে আপনি নিজের ভাই-বোনের চাইতেও বেশী পছন্দ করেন, তাদের সাথে মাত্র ৭০ দিন থেকে আসেন। ভার্সিটি হল বা মেসে যারা থেকেছেন, কিংবা দেশের বাইরে আছেন, তারা জানেন আমি কী বলতে চাচ্ছি। এই ৭০ দিন থাকার পর আপনিও জানতে পারবেন। কমপক্ষে এক মাস থেকে আসুন। বুঝতে পারবেন, আরেকজন মানুশের সাথে একসাথে থাকলে কত কী হতে পারে।
এই একমাস থাকা না গেলেও আপনি জানবেন একদিন। কিন্তু অনেক পরে। হয়তো দূরে চলে যাওয়ার পর অথবা বিয়ের পর। কিন্তু, সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন? অপেক্ষা না করে একটু ভেবে দেখতে পারেন।
একই পরিবেশে ও পরিস্থিতিতে বড় হওয়া আপনার ভাইবোনদের সাথে মননগত যে মিল আপনার আছে, সম্পূর্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে আসা আরেকজনের সাথে সেই মিল না থাকাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে, একই ঘরের ভাই-বোনদের সাথেই যদি আপনি মিলে-মিশে না থাকতে পারেন তাহলে দূরের কারো সাথে থাকবেন কিভাবে?
ভাবতে থাকেন।