চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

ব্যাকগ্রাউন্ডে কেমন ছবি দেয়া যায়, আধা ঘন্টা ধরে স্টক ফটো ঘাঁটাঘাটির পর মনে হলো থিংকার অফিসের সামনের রোডের ফটো দিয়া দেই। ভাল্লাগতেছে খুব! আমি তো এমনি এমনি হ্যাপি!!

এই নয় সকালে কাজ নিয়া বসলাম আর কারেং গেল গা! আচ্ছা, ফেসবুকে আসছি যখন, একটা জ্ঞানের কথা বইলা যাই। কেউ আজকাল আপনারে ঘন ঘন ম্যাসেজ দিচ্ছে মানে সে আপনারে মিস করতেছে, এরকম না।

আসলে তার কারেং নাই…

কষ্টে আছে
দুঃখরা— সব
উপেক্ষাতে
নিমজ্জিত।
কষ্টরা থাক
একলা বসে
নিজের রাজ্যে
নিজের মত।

ত্রিভুজ
উত্তরা, ঢাকা।

কারেং আসছে!

যে তিনটা কারণে ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুকের মত আরেকটা প্লাটফর্ম না হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী—

১) ফেসবুকের মত প্লাটফর্ম সরকার ও মিডিয়াগুলোর জন্য সমস্যাজনক। ফলে, তারা সর্বশক্তি দিয়ে এধরনের আরেকটা প্লাটফর্মের উত্থান ঠেকাবে। যেভাবে পাবলিকরে প্রাইভেসী জুজু দেখিয়ে ফেসবুকের রেভিনিউর বারোটা বাজাতে সক্ষম হয়েছে, তাতে বুঝা যায় এরা ভবিষ্যতেও সফল হবে। তবে এটা সরকারগুলোর জন্যও ক্ষতির কারণ হবে। পাবলিক ডিপ ওয়েবে চলে যাবে এবং বিচ্ছিন্ন ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে যা তারা একদমই নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না।

২) বিজ্ঞাপণ বেসড রেভিনিউর উপরে ভিত্তি করে কেউ আর মিডিয়া তৈরির চেষ্টা করবে না। অন্তত, এত লার্জ স্কেলে। বিজ্ঞাপণের মার্কেট গুগল আর অ্যাপলের হাতে চলে যাবে পুরোপুরি। আবার ইলন মাস্কও এদিকে হাত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যদের আর কোন চান্স নাই।

৩) পৃথিবী আবার সামন্তীয় যুগের দিকে রওনা দিয়েছে। ডিভাইড এন্ড রুল থিওরীর প্রবল জোয়ার আসতেছে আবার। পাবলিকের ভেতরে বিভক্তি চরমে পৌঁছাবে আগামী কয়েক দশকের ভেতরে।

ঘুম দেব তাই আগের পোস্ট অনলী মী করছি। অবস্থান বদলাই নাই। একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন— যারে তারে রাজাকার ট্যাগ দেয়া যেরকম খারাপ ছিলো শাহাবাগী ট্যাগ দেয়াও সেরকম খারাপ।

মতের মিল না হলেই ট্যাগ দেয়া বন্ধ হোক!

রোদে একটু চাঙা হওয়ার জন্য ছাদে রেখে এসেছিলাম। একটু আগে পানি দিতে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। প্রথমে কাঁচি দিয়ে কেটেছে, তারপর সিগারেট দিয়ে পুড়িয়েছে।

গাছটার অবস্থা দেখে যতটা না খারাপ লেগেছে তারচাইতে বেশী খারাপ লাগছে এদেশের লোকজনের মানসিকতা দেখে। আমি উত্তরার যে বাড়িটায় থাকি, এখানে একসেস পাওয়া লোকেরা দেশের টপ ১০% প্রিভিলিজড সোসাইটির। এদের ভেতরেও এরকম মানসিকতার লোক আছে ভাবতেই আরো মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

তবে এদেশ নিয়ে আমি এখনো আশাবাদী। এই পরিস্থিতির উন্নতি আমরা করবো, ইনশা'আল্লাহ।

এমাসের শেষের দিকে জাকারবার্গ মেটাভার্সের নতুন VR হেডসেট বাজারে আনতেছে। দাম বেশী হওয়াতে মাস পিপলের কাছে হয়তো পৌঁছাতে পারবে না, কিন্তু এটার সুপ্রিম কোয়ালিটি VR ইন্ড্রাস্ট্রিরে একটা ভালো বুস্ট দিবে।

২০২৩ এ অ্যাপলও VR হেডসেট বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে চারদিকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপল অবশ্য বহুদিন ধরেই VR এর উপরে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে। VR মার্কেটে অ্যাপল ঢুকে যাওয়া মানে রাতারাতি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির একটা জোয়ার সৃষ্টি হওয়া।

আগামী এক দশকের ভেতরে VR ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। ট্রেডিশনাল সোশ্যাল মিডিয়া (বিশেষ করে ফেসবুক) বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

আমরা যারা লেখালেখির জন্য ফেসবুক ব্যবহার করি, আমাদের বিকল্প চিন্তা করা উচিত এখন থেকেই।

পর্নোগ্রাফিক এডিকশনের প্রভাব থেকে সমাজরে রক্ষার জন্য পর্নোগ্রাফির প্রভাব নিয়ে কনটেন্ট যোগ করতেছে সুইডেনের স্কুল কারিকুলামে। এভাবে রক্ষা হবে? না মনে হয়! পশ্চিমারা বহু বছর ধরেই এগুলো নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করতেছে, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য। আমাদের বাংলাদেশে অবশ্য এগুলো খুব কুল আর স্মার্ট বিষয় হিসেবে ঢুকতেছে এখনো।

এই বিষয়ে আমার একটা পর্যবেক্ষন শেয়ার করি। ২০৭০ সাল নাগাদ পৃথিবীর অর্ধেকের বেশী লোক মুসলিম হয়ে যাওয়ার পেছনে যে কয়টা বিষয় কাজ করছে তার ভেতরে অন্যতম একটা হচ্ছে নন-মুসলিমদের পপুলেশন গ্রোথ কমে যাওয়া। আবার এই প্রোডাক্টিভিটি কমে যাওয়ার পেছনে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে পর্নোগ্রাফি। ফলে, আলটিমেটলি পর্নোগ্রাফিতে আসক্তরা কিন্তু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এইভাবে পৃথিবী নিজেরে রক্ষা করতেছে বলা যায়। যদিও বিষয়টা দুঃজনক! মানে, এদেরকে রক্ষা করতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু, এগুলো বলতে গেলে তারা আবার অফেন্ডেড হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশে। ব্যাপারটা একটু স্যাডই, তাই না?

থিংকার থেকে ৬৪ জেলা ট্যুর শুরু করার সময় যে ইউটিউব চ্যানেল চালু করার প্ল্যান, সেটার কনটেন্টে ভয়েস দেয়ার জন্য ভয়েস আর্টিস্ট নেব কিনা ভাবছিলাম।

সমস্যা হলো আমাদের ট্যুরগুলো তো প্রায় দেড় বছর ধরে চলবে। এমনকি আবহাওয়ার ও নানা প্রতিকূলতার কারণে দুই বছর ধরেও চলতে পারে। সেক্ষেত্রে এত লম্বা সময় ধরে একজন আর্টিস্টকে ধরে রাখা কঠিন। ট্রাভেল সিরিজের ভিডিওগুলোতে একটা নির্দিষ্ট ভয়েস রাখা মনে হয় ভালো। তাই নিজেই ভয়েস দেয়ার কথা ভাবছি।

আরো নানা ধরনের যেসব প্রতিবেদন বানাবো, সেগুলোর জন্য আলাদা আলাদা ভয়েস আর্টিস্ট নিতে পারি। এই যেমন— দেশের কবি-সাহিত্যিকদের উপরে একটা সিরিজ ভিডিও করার প্ল্যান আছে। সেখানে সাধারণ বর্ণনার পাশাপাশি সাহিত্যের আলাপ, কবিতা আবৃতি এসব থাকবে। আমি তো আবৃত্তিকার না। ফলে, ওসব ভিডিওতে ভয়েস আর্টিস্ট নিতেই হবে।

মূলত নিজের ভয়েস ও টোন টেস্ট করার জন্য এই ভিডিও। কারো কোন মতামত থাকলে দিতে পারেন। আমার হাতে আরো ৩ মাস আছে এগুলো প্রাকটিস ও ইমপ্রুভ করার জন্য।

লিংক এখানে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি