চিন্তা ভাবনা

অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র

প্যারেন্টিং - ৫৯

ফেসবুক বা টুইটার টাইপ সোশ্যাল মিডিয়া ইয়ং জেনারেশনের জন্য অত ক্ষতিকর আমার কখনোই মনে হয় নাই। কিন্তু গত এক মাস ধরে ফেসবুক রিল দেখে বুঝলাম— এটা শতভাগ নিষিদ্ধ করা উচিত বাচ্চা ও টিনএজারদের জন্য। কেন ও কিভাবে ক্ষতিকর, এই ব্যাখ্যা পরে দেব। ইমিডিয়েটলি আমার সাজেশন হচ্ছে ২০ বছরের নিচের কাউকে এই তিনটা জিনিষের (ফেসবুক রিল, ইউটিউব শর্ট ও টিকটক) ধারেকাছেও যেতে দেয়া উচিত না।

যদি মনে হয় আপনার বাচ্চা লুকিয়ে এগুলো দেখার সম্ভবনা আছে, সেক্ষেত্রে তাদেরকে স্মার্টফোন না দিয়ে বাটন/ফিচার ফোন দিন। আর কাজ বা অনলাইন ক্লাসের জন্য কম্পিউটার/ল্যাপটপ দিন এবং সেটা তার পার্সোনাল রুমে না দিয়ে লিভিং রুমে রাখুন।

সহজ জীবন - ৩১

একজন ব্যক্তির সার্ভাইব করার জন্য খুব বেশী কিছু লাগে না। একদম না হইলেই নয় এরকম চাহিদাগুলো হচ্ছে—
১) খাদ্য - সুষম খাবার বা ব্যালেন্স ডায়েট, যা আসলে খুব বেশী না পরিমানে।
২) পোশাক - বেঁচে থাকার জন্য খুব বেশি লাগে না। তবে সামাজিক কারণে এর চাহিদা কমে-বাড়ে।
৩) বাসস্থান - নিরাপদে থাকার ও ঘুমানোর একটা জায়গা।
৪) চিকিৎসা - যা আবার সবসময় লাগে না এবং সুষম খাবার খেলে ও লাইফস্টাইল ভালো হলে প্রয়োজন কমে আসে।

জীবনমান আরো উন্নত করার জন্য—
৫) শিক্ষা

একজন ব্যক্তি মূলত এই ৫টা সোর্স থেকেই তাদের জীবনের আনন্দ খুঁজে নেয়। কিন্তু নিজের চাহিদা খুব বেশী না হওয়ার ফলে সে এখান থেকে খুব বেশী হ্যাপিনেস হার্ভেস্ট করতে পারে না। বিলগেটস বলছিলেন- 'আপনি কোটিপতি হওয়ার পরেও যে বার্গারটা খাবেন সেটা ঐ লাখপতি থাকার সময়কার সমানই টেস্ট বা আনন্দ দিবে।' এখন আপনি দশটা বার্গার খেয়ে দশগুন আনন্দ পাবেন না যেহেতু ব্যক্তির চাহিদা অত বেশী না।

মৌলিক চাহিদা সীমিত হওয়ার কারণে আরো হ্যাপিনেসের জন্য আপনাকে আরো উৎসের সন্ধান করতে হবে। এরকম একটা অসীম উৎস হচ্ছে অন্যের জন্য কিছু করা। যখন আপনি অন্যদের জন্য কিছু করার মাঝে আনন্দ খুঁজে পাবেন— তখন আপনার জীবনে আনন্দের উৎস হবে অসীম।

ফিজিক্সের পাশাপাশি ইকোনমিক্সেও ব্যাচেলর আছে ইলনমাস্কের। ছোটবেলা থেকেই জিনিয়াস কম্পিউটার প্রোগ্রামার। বারো বছর বয়সে ভিডিও গেমস খেলতে গিয়ে গেমস পছন্দ না হওয়াতে নিজেই নিজের গেমস বানিয়ে নিয়েছিলেন এবং সেটা ৫০০ ডলারে বিক্রিও করেছেন। আর ছোট বেলা থেকেই পড়ুয়া, এখনো পড়েন।

১৯৯৫ সালে নিজের ছোটভাই কিম্বলসহ মাত্র ২৮ হাজার ডলার ফান্ডিং নিয়ে একটা কোম্পানী তৈরি করেন এবং চার বছরের মাথায় সেই কোম্পানী ৩০৭ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দেন।

২০০০ সালে এক্সকম নামে একটা ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস তৈরি করেন যেটা প্রথম মাসেই দুই লাখের উপরে গ্রাহক ধরতে সমর্থ হয়। পরে পেপ্যালের সাথে এই কোম্পানী মার্জ হয় এবং দুই বছর পর ১.৫ বিলিয়ন ডলারে eBay কিনে নেয়।

অটোমোবাইল ইন্ড্রাস্ট্রি ও রকেট সায়েন্সে উনার অবদান তো সবাই জানেন মনে হয়। স্পেস এক্সের চীফ ইঞ্জিনিয়ারও ইলন মাস্ক নিজে। এছাড়া আরো কয়েকটা ইন্ড্রাস্ট্রিতেও গ্রাউন্ডব্রেকিং ইনোভেশন আছে উনার (যেমন বোরিং কোম্পানী, স্যাটেলাইট বেসড ইন্টারনেট কোম্পানী স্টারলিংক)।

অর্থনৈতিক দিক থেকে যদি দেখতে চান, পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান ধনী যার আড়াই'শ বিলিয়ন ডলারের উপরে সম্পদ।

এরকম একটা লোকরে অর্থনৈতিক পরামর্শ দেয়ার আগে মনে হয় একটু ভাবা উচিত।

আপনি বেগুন নিয়া কেন গবেষণা করলেন? ঝিঙ্গা নিয়া কেন করলেন না?

বলেন! জবাব দেন!!

"If you give yourself 30 days to clean your home, it will take you 30 days. But if you give yourself 3 hours, it will take 3 hours.”
— Elon Musk

Started New Job at Thinkr Cloud
October 2022 — CEO

Thinkr Cloud is an IT service company that provides many Cloud Based tools. We are here to help people to prepare for the fourth industrial revolution.

সহজ জীবন - ৩০ (অজ্ঞতা খারাপ না অত)

কেউ কোন একটা দিকে সেরা হওয়ার মানে হচ্ছে তার অন্য আরো অনেক বিষয়ে কম জানার সম্ভবনা থাকে যেহেতু সব জানার পেছনে সময় ব্যায় করতে পারে না তারা।

তাই আপনার কাছে ইরিলিভেন্ট কোন বিষয়ে অজ্ঞতা খারাপ না অত।

সহজ জীবন - ২৯ (গ্লোবাল ভেরিয়েবল)

বিষয়টা প্রথম নিজের ভেতর থেকে অনুধাবন করি অনলাইনে গেমস খেলতে গিয়ে। ২০০৩/০৪ এর দিকের কথা। তখন স্টুডেন্ট ছিলাম ফলে আনন্দ, রাগ, আবেগ-অনুভূতি একটু বেশীই কাজ করতো। অনলাইন গেমসে কেউ অ্যাটাক দিলে, সিটি ধ্বংস করে দিলে.. কী যে রাগ হতো! তখন মনে হতো ঐ গেমটাই বুঝি সবকিছু। তারপর, সেই গেম কোথায় হারিয়ে গেল! কিন্তু গেমগুলো থেকে হওয়া কিছু বন্ধুর সাথে এখনো যোগাযোগ আছে। এখানে ঐসব গেমসের স্কোর, ক্ষমতা, ট্রফিগুলো ছিলো লোকাল ভ্যারিয়েবল। আর গেমগুলো থেকে পাওয়া বন্ধুরা হচ্ছে গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল।

আপনার ছোটবেলার খেলনাগুলো, স্কুলে বিতর্ক প্রতিযোগীতার ফল, ফুটবল-ক্রিকেটের স্কোর, রেজাল্ট ছিলো লোকাল ভ্যারিয়েবল। সেসব দেখেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্কুল থেকে পাওয়া শিক্ষা, বন্ধুত্ব, উপলদ্ধিগুলো রয়ে গিয়েছে।

আগে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ন ছিলো কিন্তু এখন আর নাই, এরকম সকল ব্যাপারের সাথে রিলেটেড ভ্যারিয়েবলগুলো লোকাল ভ্যারিয়েবল। কিন্তু সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষা, উপলব্ধি, বন্ধুরা হচ্ছে গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল। জীবনে এরকম অনেক গ্লোবাল ভ্যারিয়েবল আছে। এগুলো ধরতে পারা জরুরী।

লোকাল ভ্যারিয়েবলগুলো ইরিলিভেন্ট হয়ে যায়, গ্লোবাল ভ্যারিয়েবলগুলো থেকে যায়। লোকাল ভ্যারিয়েবলগুলো এমনভাবে ইরিলিভেন্ট হয়ে যায়, হারিয়ে যায়, যেন এদের কোন অস্তিত্বই ছিলো না কোনকালে। আজকে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ন কোন লোকাল ভ্যারিয়েবলও একদিন ইরিলিভেন্ট হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে।

আমার রুমে রইদ আসে। প্রতিদিন খালি গায়ে ১৫ মিনিট এই রইতে শুইয়া থাকি। এটা আমার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিন ১০/১৫ মিনিট রইদে থাকার চেষ্টা করে দেখেন। নিজেই ধরত্ পারবেন পার্থক্যটা। প্রতিদিন না পারলেও সপ্তাহে অন্তত ৩০ মিনিট সরাসরি সূর্যের আলোতে থাকা উচিত।

ওকে নেটফ্লিক্স, য়্যু গট মী!



মোরাল অব দ্য স্টোরিঃ সকালবেলা ফেসবুক আর নেটফিলিক্সে ঢোকা যাবে না।

পুনশ্চঃ আমি অবশ্য ভোর চারটা থেকে কাজ করতেছি টানা। তাই আমার জন্য আজকে এই মোরাল প্রযোজ্য নহে!

Update: ভালো বানায় নাই। বিরক্ত হয়ে দেখা বন্ধ করে দিলাম। ১৯৩০ সালের বানানোটা এর থেকে অনেক ভালো ছিলো। নেটফ্লিক্সের বানানো কোনকিছুই ভালো হয় রেয়ারলি।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি