অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
এই বাকী দেয়ার বিষয়টা নিয়ে ভাবছিলাম। পুরান ঢাকার এক সু ব্যবসায়ী আমাকে বলেছিলেন— মার্কেটে তাদের কোটি কোটি টাকা আটকে আছে। আর এই টাকা নাকি কখনোই তোলা যাবে না। এধরনের কথা আগেও শুনেছি কিন্তু বিষয়টা যে এতটা ভয়ংকর ও বাস্তব তা জানা ছিলো না। এই যে একজন গরীব হোটেল মালিকের দোকানে মাত্র ৪/৫ বছরে ৬ লাখ টাকা বাকী খেয়ে ফেললো, এই টাকাও তো উনি ফেরত পান নাই। সব ব্যবসায়তেই নাকি এই অবস্থা।
দেশের সার্বিক উন্নতির জন্য এই অবস্থার পরিবর্তন দরকার।
কিন্তু, কিভাবে এই পরিবর্তন আনা যায়?
কাস্টমারদের রাতারাতি বাকি খাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে? নাহ!
ব্যবসায় বাকী লেনদেন বন্ধ করা যাবে? নাহ!
এই পরিস্থিতির উন্নতি করার উপায় হচ্ছে- FinTech বা ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গুলোতে টেকনোলজির ব্যবহার। ১৭/১৮ কোটি লোকের দেশে রাতারাতি FinTech দিয়ে এই সমস্যার সমাধান আনা কঠিন হওয়ারই কথা। কিন্তু আমি একটা হাইব্রিড সলিউশনের কথা ভাবছিলাম, যেটা সম্ভব মনে হচ্ছে।
এই আইডিয়াগুলো নিয়ে আরো ভাবতে হবে তাই পরে কখনো শেয়ার করবো। আপাতত বাকী লেনদেনের বিষয়টা নিয়ে আরো তথ্য জানা দরকার। যাদের এরকম বাকীতে লেনদেন করতে হয়, তাদের কারো চোখে এই লেখা পড়লে ইনবক্সে আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করলে ভালো হতো। মানে, কিভাবে আপনারা লেনদেনটা করেন, কেন করতে হয়, এর থেকে বের হওয়ার পথের বাঁধাগুলো কী কী.. এসব আরকি।
প্রায় পনের আগে গর্ব করে লিখেছিমাম— ‘আমেরিকায় কারেন্ট চলে গেলে সব লুটপাট হয়ে যায় কিন্তু আমাদের এখানে হয় না এরকম কিছু। জাতি হিসেবে এটা নিয়ে আমরা গর্ব করতেই পারি।’
এই গর্ব আর করতে পারছি না চট্টগ্রাম বিশ্ব-বিদ্যালয়ের ছাত্রদের বাকী খেয়ে এক হোটেল মালিককে নিঃস্ব করে দিতে দেখে। এই লোকটা আপনাদের কাছে যে ৫/৬ লাখ টাকা পায় সেটা ফেরত দিয়ে দিয়েন আপনারা। এছাড়া আর কী বলবো!
Siyana & Mama will explore the world together! Nothing can beat family time!
এখন থেকে ১০/১২ বছর আগের ফেসবুক এক্টিভিটিসগুলো দেখতেই কেমন অদ্ভুত লাগে! বেঁচে থাকলে ৭০/৮০ বছর বয়সে এখনকার লেখালেখি/পাগলামি দেখে কেমন লাগবে ভাবছিলাম। ফেসবুক হয়তো থাকবে না কিন্তু আমার লেখালেখি/ওয়ালটা তো ত্রিভুজ ডট নেটে থেকে যাবে।
আরেকটা বিষয়ও ভাবছি। থিংকার ক্লাউডে লেখকদেরকে সাবস্ক্রাইব করার একটা অপশন চালু হচ্ছে। মানে আমাকে বা আপনার প্রিয় কোন লেখককে আপনি বছরে ১ ডলার দিয়ে সাবসক্রাইব করতে পারবেন। তাহলে আমি বা আপনার প্রিয় লেখক মারা গেলেও তার সাইটটা বন্ধ হবে না। এধরনের একটা সাইট রান করার জন্য তো ৫০/৬০ ডলারের বেশী লাগে না বছরে। মাত্র ৫০/৬০ জন লোক যদি প্রতি বছর সাবস্ক্রিপশন রিনিউ করে, তাহলেই যথেষ্ট। এভাবে আমরা অনেকের ভালো অবদানগুলো টিকিয়ে রাখতে পারবো। আমার নিজের প্রিয় কিছু লোক আছে, যাদের কর্ম টিকিয়ে রাখতে আমি সাবসস্ক্রিপশন চালিয়ে যাবো আজীবন।
Town-Center জিনিসটা কী হইতে যাইতেছে, এটা যদি ইলন মাস্ক টের পায়, তাহলে ঝামেলা আছে অনেক।
ইলনরে টের পাইতে দেয়া যাবে না! :P
প্যারেন্টিং, পার্টনারশীপ ও জীবনের জন্য প্রযুক্তি। এই তিনটা বই আগামী বছর পাবলিশের জন্য মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। বিশেষ করে ৬৪ জেলা ট্রাভেলের সময়টায় এই বই তিনটার পেছনে প্রচুর সময় দেয়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু এক প্রকাশকের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানতে পারলাম কিছুদিন আগে যে বই পাবলিশ করতে ৪০ হাজার টাকা খরচ হতো সেটা এখন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আমার এই তিনটা বইয়ের কোনটাই ৫০০ পৃষ্ঠার নিচে না। এর ভেতরে প্যারেন্টিং বইটার হাজার পৃষ্ঠা ছাড়াতে পারে বলে মনে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তো মনে হয় না ১৫০০ টাকার নিচে মূল্য নির্ধারণ করা যাবে। ১৫০০ টাকা দিয়ে কতজন এই বই কিনতে পারবে?
বইটার কনটেন্ট থিংকার ক্লাউডে থাকবে, কিন্তু কাগজের বই পাবলিশের পর সেটা অনলাইনে এভেইলেবল করবো। যারা হার্ড কপি কিনবে, তারা অনলাইন কপি ফ্রি পাবে। প্রকাশকদের দিকটা মাথায় রেখেই এটা করতে হচ্ছে। এখন এই মূল্যস্ফিতিতে কী করা যায়!
ভদ্রতাবোধ এমন একটা ব্যাপার যা একমাত্র ফ্যামিলি থেকে অর্জন করা যায়। এজন্য অভদ্রদের কিছু বলে লাভ নাই!
ডেডলাইন দেয়াই হয় পেছানোর জন্য। :D যারা ১০ তারিখের রিলিজের জন্য অপেক্ষা করছিলেন কষ্ট করে আরো দুইদিন অপেক্ষা করেন প্লিজ।
পুরা সিস্টেম রিফ্যাক্টরিং করে ফেলছি। PHP 7.1 থেকে PHP 8.1-এ আপগ্রেড পুরোপুরি ডান। PHP 8.1 এর পারফরমেন্স দেখে টাশকিতো! ত্রিভুজ ডট নেট দেইখেন, কী পরিমান ফার্স্ট রান করে।
কিছু টেস্টিং আর বাগ ফিক্সিং বাকী আছে। ১২ তারিখে সব রেডি পাবেন, ইনশা'আল্লাহ।
মানুশ নিজের সবচাইতে পুরানো কোন স্মৃতি পর্যন্ত মনে করতে পারে? আমার হামাগুড়ি দেয়ার বয়স পর্যন্ত স্মৃতি মনে আছে। সবারই কি এরকম?
Congratulation MIT Team!