অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
লেখালেখি ট্রেনের মতন। একবার থামিয়ে দিলে আবার শুরু করা কঠিন, সময় লাগে। শত ব্যস্ততার মাঝেও এজন্য কখনো লেখা বন্ধ রাখি নাই। ফেসবুকে হোক বা নিজের ডায়েরিতে, লিখে গেছি। সেই প্রাইমারি স্কুল থেকেই। কিন্তু; মিটিং এমনই এক বস্তু, আপনি কিছু আর লিখতে পারবেন না। প্রতিদিন ৩/৪টা অনলাইন/অফলাইন মিটিং করতে করতে আমার লেখক স্বত্বা মারা যাচ্ছে। হ্যাশট্যাগঃ পৃথিবীর সবচাইতে আনপ্রোডাক্টিভ কাজ হচ্ছে মিটিং।
প্রিমিয়াম একাউন্ট থাকলে scribd-এ Snapshots নামে একটা চমৎকার ফিচার একসেস করতে পারবেন। এতে ২০০-৩০০ পৃষ্ঠার একটা বইয়ের দশ থেকে পনের মিনিটের সামারি অডিও পাওয়া যায়। গত তিন বছরে এখান থেকে আমি প্রায় ২০০ বইয়ের স্ন্যাপশট শুনে পরে ডিসাইড করেছি মূল বইটা পড়বো কি পড়বো না। আরো ভালো ব্যাপার হচ্ছে সেই বইয়ের মূল কপিও ওখানে পড়া যায়। খুবই কাজের একটা জিনিষ।
এই তিন বছরে আমি মাত্র তিন মাসে ৯ ডলার করে ২৭ ডলার পে করেছি। বাকী মাসগুলো পেয়েছি লোকজন আমার রেফারেল লিংক থেকে একাউন্ট করায়। এমনিতে আপনি ওখানে জয়েন করলে ১ মাসের ফ্রি প্রিমিয়াম একাউন্ট পাবেন, কিন্তু আমার রেফারেল থেকে জয়েন করলে দুই মাসের জন্য ফ্রি। সাথে আমিও এক মাস ফ্রি পাবো। লিংক এখানে।
Town-Center.net হতে যাচ্ছে পৃথিবীর প্রথম ট্রু ডিস্ট্রিবিউটেড সোশ্যাল মিডিয়া যার অথেনটিকেশন বাদে আর কোন ডাটাই আমরা সংরক্ষণ করবো না। ইউজারের ডাটার দায়িত্ব তার নিজের। ব্যবহাকারীরা তাদের ফ্রেন্ডদের সাথে পিয়ার-টু-পিয়ার কমিউনিকেট করবে। আমরা স্টোরেজ সলিউশন আর হোম সার্ভার বিক্রি করবো অবশ্য, কিন্তু সেটার একসেসও আমাদের হাতে থাকবে না। ঘরে ঘরে সার্ভার গড়ে তুলবে সবাই।
ChatGPT-র কারণে ট্রেডিশনাল বই জিনিষটা হারিয়ে যাবে বা যাওয়ার উপক্রম হবে। কিভাবে তা ঘটবে বলি—
প্রথমত, ChatGPT ব্যবহার করে যেকোন বিষয়ে বিশাল বই লিখে ফেলা যায় রাতারাতি। অলরেডি আমাজন এটা নিয়ে বিপদে পড়েছে। এই ফেব্রুয়ারীতে এক সপ্তাহে আমাজনে ২০০+ বই সাবমিটেড হয়েছে যা ChatGPT দিয়ে লেখা। আমেরিকার একটা ম্যাগাজিন লোকজনের কাছ থেকে লেখা নেয়া নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে একই কারণে, ChatGPT দিয়ে লেখা ৫০০+ আর্টিকেল সাবমিট হয়েছে এক সপ্তাহের ভেতরে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থী ও পাঠকরা ChatGPT থেকে এত সহজে তথ্য পাচ্ছে এবং সামনে যখন আপডেটেড তথ্য পাওয়া শুরু করবে (যার একটা নমুনা Bing ইতিমধ্যে তাদের সার্চ ইঞ্জিনে দেখিয়েছে), তখন আপনার লেখা (মোটামুটি ব্যাকডেটেড) বইগুলো কেউ পড়বে না। আগামী বছরের ভেতরে লেখকরা টের পাবে এই বিষয়টা।
তাহলে উপায় কী?
উপায় হচ্ছে বইরে বইয়ের চাইতে বেশী কিছু করা। কয়েক বছর আগে আমি চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবের উপযোগী বইয়ের একটা কনসেপ্ট দাঁড় করিয়েছি। আমার প্যারেন্টিং বিষয়ক বইটা এধরনের নতুন প্রজন্মের বইয়ের একটা উদাহরণ হতে যাচ্ছে। এবছরের ভেতরেই পাবলিশ করবো এটা, তারপর বিস্তারিত জানাবো।
তবে, যারা আমার সাথে একইসাথে এধরনের বই পাবলিশ করতে আগ্রহী, তারা একদিন চলে আসেন থিংকারের অফিসে। এবছর আমরা অনেকগুলো বই পাবলিশ করতে পারবো তাহলে।
আমার এই ফ্রেমওয়ার্ক ChatGPT-র সাথে ফাইট করে টিকে থাকার উপযোগী করে তৈরি করা। একইসাথে এটা লেখকদের জন্য একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
পুনশ্চঃ এই বই একইসাথে হার্ডকপি ও সফটকপি হতে পারে। ফলে, হার্ডকপির ক্ষেত্রে আপনার পরিচিত পাবলিশারের সাথেও কাজ করতে পারবেন। তবে, ডিজিটাল কপির কপিরাইট আপনার হাতে রাখতে হবে। যারা থিংকার থেকে ডিজিটাল কপি রিলিজে আগ্রহী, শুধুমাত্র তারা আসবেন।
মাইক জিনিষটা নিষিদ্ধ করা উচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষন দেয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে অর্থনীতি সম্পর্কে কোন জ্ঞানই না রাখা। আপনি অর্থনীতি সম্পর্কে যত বেশী জানবেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষন দেয়া তত কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে বিশ্ব-রাজনীতি নিয়া কোন আলাপে। কারণ, রাজনীতি বুঝার জন্য যে কয়টা বিষয়ে জ্ঞান থাকা লাগে, অর্থনীতি তার ভেতরে অন্যতম ও প্রধানতম।
হ্যাশ ট্যাগঃ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হলো।
Just like old times. We ain’t get older…
আসলে বলতে চাচ্ছে— বিয়েটা করো আগে, বোঝবা পরে মনু!

কচুরি ফুল

ওকে! :|