অনলাইনে প্রকাশিত চিন্তা-ভাবনা সমগ্র
বৎসরা, তোমরা যারা এখনো পড়ালেখা শেষ করো নাই তারা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে কোন নারীর প্রেমে পড়ার চাইতে ক্যারিয়ারের প্রেমে পড়ো, নারীকূলকে তাহলে আর প্রেমে ফেলার জন্য পটাইতে হইবে না।
যারা নতুন নতুন ওয়েবসাইট/এপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছো এই দিবসে তোমরা সকলে jQuery শিখতে শুরু করো, বিশ্বাস করো- এর প্রেমে তোমরা এতই হাবুডুবু খেতে থাকবে যে মনিটর থেকে চোখ ফেরাতে কষ্ট হইবেক।
তোমরা যারা ভাবছো প্রোগ্রামিং শিখবে তারা আজকে থেকেই শুরু করে দাও, এই বস্তু একবার মাথায় ঢুকে গেলে দুনিয়ার কোন শক্তি নাই তোমাকে কম্পিউটারের সামনে থেকে টেনে তোলে।
তোমরা যারা এখনো অনেক ছোট, গনিতকে ভয় ভয় লাগে তারা জেনারেল ম্যাথের বইটাকে গল্পের বই মনে করে একটু মনেযোগ দিয়ে পড়ে ফেলো, এটা এতই মজার যে একবার মাথায় ঢুকে গেলে দুনিয়ার সবকিছুর মাঝেই তুমি গনিত খুঁজে পাবে।
কি ব্যপার, উপদেশ দেয়া শুরু করলাম ক্যান, বৃদ্ধ হইয়া গ্যালাম নাকি!
ধরুন আমি একজন খারাপ মানুষ, তাতে আপনার আনন্দিত হওয়ার কি আছে? ধরুন আমি জাহান্নামে যাবো, তাতে তো শুধু শয়তানের আনন্দিত হওয়ার কথা, আমাদের "মুমিন মুসলমান"-রা আনন্দিত হয় কেন?
দেশের জন্য দেয়া একটা ফেসবুক স্টেটাস শুধু একটা ফেসবুক স্টেটাস না, একটা ধাক্কা। এরকম মিলিয়ন মিলিয়ন ধাক্কাতেই একদিন আমরা পাহাড় সরিয়ে দেব, দেশের মানুষকে বদলে দেব, দেশ বদলাবে। একটা সচেতনতামূলক ফেসবুক স্টেটাসকে এত ছোট করে দেখার কিছু নাই।
মাঝে মাঝে প্রশংসা করুন একটু ভিন্নভাবে। যার প্রশংসা করবেন সে যদি সেটাকে সমালোচনা মনে করে রাগ করে তাহলে বুঝবেন প্রশংসাটা তার প্রাপ্য ছিলো না বরং সে সমালোচনারই যোগ্য। অতঃপর নিজেকে ধন্যবাদ দিন, প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে।
রুপ জিনিষটা হচ্ছে চিঠির খামের মত। খামটা সুন্দর না হলে অনেকেই সেটা খুলে দেখার আগ্রহ বোধ করে না.. কিন্তু শেষ পর্যন্ত খামের ভেতরের চিঠিটাই বেশি গুরুত্ব পায়। খামটা পড়ে থাকে টেবিলের নিচে বা অন্য কোথাও...
স্ট্রেইট-কাট হওয়া ভাল। যার পছন্দ হবে না দুইদিন পর তার সাথে এমনিতেই ঝামেলা হবে, তারচাইতে প্রথমেই কেটে পড়ুক...
আপডেটঃ এই চিন্তার সাথে এখন আর আমি একমত না। (২১ জানুয়ারী, ২০২৪)
আমি সর্বাবস্থায় সুখী। যখন খারাপ সময় আসে তখন ভবিষ্যতের ভাল সময়ের কথা ভেবে সুখী হই, আর যখন ভাল সময় আসে তখন বর্তমানের ভালকে উপভোগ করি।
মনের ভেতরে অহংকার না আসা পর্যন্ত একজন ব্যাক্তি আরো বড় ও জ্ঞানী হতে থাকে। অহংকার এসে গেলেই এই অগ্রগতি থেমে যায়। মূর্খরা সবচাইতে বেশি অহংকারী হয়ে থাকে এবং অহংকারের কারণে তাদের মূর্খতা দূর হওয়ারও কোন উপায় থাকে না।
'অ' তে অজগর... 'আ' তে আরেকটা অজগর...