স্বপ্নে দেখলাম জার্মানী, যুক্তরাজ্য এবং আরেকটা কোন দেশের যেন প্রেসিডেন্ট সহ বইসা মোবাইলে গেম খেলতাছি। গেমে একজন আরেকজনরে সাইজ করে আর হাসতে হাসতে কুটি কুটি। ওবামারে (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওবামারেই দেখলাম) ফোন দিলাম, শুইনা সেও কয় আইতাছি।
এরকম একটা স্বপ্ন দেখার কারণ বুঝলাম না (স্বপ্নটা আসলেই দেখলাম, স্যাটেয়ার না)। বাস্তবে একটা রাষ্ট্রের সাথে আরেকটা রাষ্ট্রের এইরকম বন্ধুত্ব আসলে সম্ভব না। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্র কখনো রাষ্ট্রের বন্ধু হইতে পারে না। যারা ভাবে পারে, তারা হয় জানে না অথবা মিথ্যা বলে। এই কারণে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থাটা আমার পছন্দ না। শত্রু শত্রু খেলা বিরক্তিকর। মানুষ মানুষের শত্রু হবে কেন?
একটা ব্যপার ভাবছিলাম। আমাদের দেশের অফিস-আদালতের সময়টা ১০টা-৫টা থেকে পরিবর্তন করে ভোর ৫টা-১টা করলে কেমন হয়? মানুষজন ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়ে বের হয়ে পড়লো। অফিসগুলোতে লাঞ্চ ব্রেকের মত ১০টার দিকে ব্রেকফাস্ট ব্রেক দিলো। তারপর ১টায় ছুটি। লোকজন দুপুরে বাসায় ফিরে পরিবারের সাথে লাঞ্চ করলো, আপনজনের সাথে বাকীটা দিন কাটালো। শপিং করলো, ঘুরলো। তারপর সন্ধ্যায় ডিনার করে ৮টার ভেতরে ঘুমিয়ে গেল। এর পজেটিভ সাইডগুলোর ভেতরে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা যাক-
১) ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ফলে মানুষজনের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। কাজকর্ম অনেক দ্রুত হবে।
২) পরিবারের সাথে সময় দেয়ার মত যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যাবে।
৩) বাকী দিনটা যেহেতু ফ্রি, এসময়টা লোকজন শপিং আর ঘুরাঘুরি করতে পারলো। এতে ব্যবসাবানিজ্য বৃদ্ধি পাবে, পর্যটন/বিনোদন ব্যবসাগুলোও বৃদ্ধি পাবে।
৪) বিদ্যুৎ সমস্যা মিটবে। যেহেতু রাতের অধিকাংশ সময়টায় লাইট অফ থাকবে এবং শুধুমাত্র বেডরুমে ফ্যান/এসি চলবে। তাছাড়া সকালের ঠান্ডা পরিবেশের কারণে অফিসগুলোর বিদ্যুৎ কনজিউমও কমবে।
৫) ভোর রাতে যেহেতু বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা থাকে, অফিস যাওয়ার পথের গরমের কষ্টটা লাঘব হবে।
৬) স্কুল-কলেজগুলো ৮টার পরে শুরু হলে অফিসযাত্রীরা রাস্তায় জ্যামও কম পোহাবে। ভিআইপিরা সকাল দশটার পরে ও দুপুর ২টার পরে মুভ করে জ্যাম আরো কমাতে পারেন।
৭) স্কুল-কলেজ ও প্রফেশনাল কোর্সগুলো দুই শিফটে হতে পারে। এতে অফিস করার পাশাপাশি মানুষ ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্য দুপুরের পরে প্রফেশনাল কোর্স করতে পারবে।
৮) দুপুরের পরে ওভারটাইম কাজ করে লোকজন তাদের আয় বাড়াতে পারবে। সকালে অফিস করে বিকালে কোন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলো বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম কাজ করলো।
৯) প্রতিদিন দুপুরের পর অবসর পাওয়ার ফলে লোকজন পড়াশোনা ও বিনোদনে যথেষ্ঠ সময় দিতে পারলো। এতে দেশের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানসিক উন্নতি ঘটবে।
১০) অনেক ভোরে কার্যক্রম শুরু করায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে লেনদেন সহজ হবে। তাদের ওয়ার্কিং আওয়ারের সাথে সিন্ক করা সহজ হবে।
আরো অনেক সুবিধা আছে।
মাঝে মাঝে প্রশংসা করুন একটু ভিন্নভাবে। যার প্রশংসা করবেন সে যদি সেটাকে সমালোচনা মনে করে রাগ করে তাহলে বুঝবেন প্রশংসাটা তার প্রাপ্য ছিলো না বরং সে সমালোচনারই যোগ্য। অতঃপর নিজেকে ধন্যবাদ দিন, প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে।
রুপ জিনিষটা হচ্ছে চিঠির খামের মত। খামটা সুন্দর না হলে অনেকেই সেটা খুলে দেখার আগ্রহ বোধ করে না.. কিন্তু শেষ পর্যন্ত খামের ভেতরের চিঠিটাই বেশি গুরুত্ব পায়। খামটা পড়ে থাকে টেবিলের নিচে বা অন্য কোথাও...
স্ট্রেইট-কাট হওয়া ভাল। যার পছন্দ হবে না দুইদিন পর তার সাথে এমনিতেই ঝামেলা হবে, তারচাইতে প্রথমেই কেটে পড়ুক...
আপডেটঃ এই চিন্তার সাথে এখন আর আমি একমত না। (২১ জানুয়ারী, ২০২৪)
মনের ভেতরে অহংকার না আসা পর্যন্ত একজন ব্যাক্তি আরো বড় ও জ্ঞানী হতে থাকে। অহংকার এসে গেলেই এই অগ্রগতি থেমে যায়। মূর্খরা সবচাইতে বেশি অহংকারী হয়ে থাকে এবং অহংকারের কারণে তাদের মূর্খতা দূর হওয়ারও কোন উপায় থাকে না।