চিন্তা



অনেকে ভাবেন— আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স যদি সব জব খেয়ে ফেলে এবং লোকজনের যদি ইনকাম না থাকে, তাহলে কোম্পানীগুলো কাস্টমার কোথায় পাবে?

এই প্রশ্ন যারা করেন তাদের পারসেপশন থেকে এধরনের জিজ্ঞাসা ভ্যালিড। কারণ, তারা মনে করেন অর্থ উপার্জনের জন্যই সবাই সবকিছু করে। কিন্তু দুনিয়ার আরো ডাইমেনশন আছে। একজন মুদি দোকানদার দিন শেষে কত টাকা রেভিনিউ হলো, কত প্রফিট হলো তা নিয়ে যেভাবে ভাবেন একজন কোটিপতি সেভাবে ভাবেন না। আবার একজন কোটিপতির ভাবনার সাথে একজন বিলিয়নারের ভাবনার বিস্তর পার্থক্য।

টপ লেভেলে রেসটা মূলত ক্ষমতার, অর্থ উপার্জনের নয়। ৮ বিলিয়ন লোকের মৌলিক চাহিদা ফ্রি-তে প্রোভাইড করার বিনিময়ে যদি পুরো দুনিয়ার উপরে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়; তাহলে— 'প্রোডাক্ট কেনার লোক থাকবে কিনা', এই প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।

প্রতিটা লোকের দুরাবস্থার পেছনে তার নিজের কিছু না কিছু দায় থাকে। কেউ যদি এই দায় একদমই স্বীকার করতে না চায়, সকল দোষ অন্যের উপরে চাপাতে চায়— তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কিছুদিন পর তিনি আপনার উপরেও দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে।

চল্লিশ বছর আগের ছবি নয়, একটু আগে মেঘনা নদীর মাঝ থেকে তুলেছি। নদীতে প্রচুর বাতাস। একটা ট্রলার পাল তুলে দিয়ে সেই সুবিধা নিচ্ছে।

যান্ত্রিক সভ্যতা যে কিছুকিছু বিষয়ে আমাদের বুদ্বিবৃত্তিক অবনতি ঘটিয়েছে, পাল হারিয়ে যাওয়া হচ্ছে তার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আমার ধারণা পাল আবার ফিরে আসবে। মানবজাতিরে বেশীদিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। বিনা খরচে বাতাসের এই শক্তি ব্যবহার করার মত বুদ্ধি আমরা ফিরে পাবো।

বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না কারণ বই না কিনলে আপনি অন্যকিছু কিনতেন। এত কম খরচের রিটেল থেরাপি নাই আর।

কেউ ভূত ভয় পাচ্ছে দেখে মুচকি মুচকি হাসছেন? ভূতের ভয় আপনারো আছে। আপনার ফিয়ারগুলো হচ্ছে আপনার ভূত। ভূতের মতই এগুলো আপনার কল্পনাতে তৈরি। নিজের ভূত/গোস্টরে ডিফিট করেন, অনেকদূর যেতে পারবেন।

যদি আপনি একজন ভালো দার্শনিক হয়ে ওঠেন তাহলে আপনার মিসটেকগুলোও পৃথিবীর জন্য পজেটিভ ঘটনা হতে পারে। অন্যরা যাতে একই ভুল না করে, সেই গাইডলাইন দিয়ে যেতে পারবেন।

কারো আচরণে পরিবেশের প্রভাব যদি বিবেচনা করতে পারেন, তাহলে দেখবেন আর জাজমেন্টাল হচ্ছেন না। ক্ষমা বা ওভারলুক করা সহজ হবে।



আমাদের অনুপ্রেরণার সবচাইতে বড় উৎস আমাদের প্রিয় মানুশেরা। যার জীবনে যত বেশী প্রিয় মানুশ আছে, তার জীবন ততই আনন্দময়। তাহলে প্রিয় মানুশ আমরা কিভাবে বানাবো?

যে আমার ম্যাসেজ তিনদিন পর জবাব দেয় তার ম্যাসেজও আমি দেখামাত্র (ফ্রি থাকলে) জবাব দেই। এর মানে এই না যে আমি নিজের গুরুত্ব কমাচ্ছি। এর মানে হচ্ছে আমার কমিউনিকেশন স্কিল তার থেকে ভালো। বেটার কমিউনিকেশন স্কিল আপনারে সুপিরিওর করে, ইনফিরিঅর না।



এই মূত্যুর জন্য একটা ‘গাড়ল সমাজ’ দায়ী।
এই মূত্যুর জন্য ব্যাড প্যারেন্টিং দায়ী।
এই মূত্যুর জন্য মুখস্ত বিদ্যা নির্ভর শিক্ষা-ব্যবস্থা দায়ী যা থেকে অধিকাংশই একটা সার্টিফিকেট ছাড়া আর কিছু অর্জন করতে পারে নাই এবং গাড়ল হয়ে উঠেছে।
এই গাড়লেরা সার্চিফিকেট অর্জন ও সরকারী জব পাওয়ারেই সবকিছু মনে করে। এই গাড়লদের কাছে সার্টিফিকেট ও ইনস্টিটিউশনাল প্রাইডই সবকিছু হয়ে উঠেছে এবং এরা মিলে একটা আধা-শিক্ষিত অমানবিক ‘গাড়ল সমাজ’ তৈরি করছে।
যেদিন আমরা এই গাড়ল সমাজ ভেঙ্গে নতুন সমাজ তৈরি করতে পারবো সেদিন এধরনের দুঃখজনক মূত্যু ঠেকানো যাবে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি