সায়েন্স-টেক

যে জিনিষ মার্ক জাকার্বার্গ প্রথম থেকেই জানে সেটা গুগলের বুঝতে ১৬ বছর লাগছে। ১৬ বছর পর তারা রিয়েলাইজ করেছে যে ইউটিউব থেকে ডিসলাইক সরানো উচিত। যেহেতু পুরোপুরি সরাতে পারবে না, তাই কাউন্ট শো করা অফ করে দিচ্ছে।

আমি সবসময় বলি, ফেসবুকের জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে সবচাইতে বড় রিজনের একটা হচ্ছে ডিসলাইক বাটন না থাকা। মিলিয়ন মিলিয়ন পাবলিকের দাবীর মুখেও জাকারবার্গ ডিসলাইক এড করে নাই ফেসবুকে।

তো, যারা এটা নিয়া আমার সাথে এতদিন তর্ক করে আসলেন তারা এবার গুগলরে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, তারা কেন ডিসলাইক রিমুভ করতেছে।

আমেরিকায় গত এক বছরে ফ্যাক্টরিগুলোতে রোবটের ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। অটোমেশন ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পেছনে ইনভেস্টমেন্টও বাড়িয়ে দিয়েছে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো।

সুনামির আওয়াজ কয়জন টের পাচ্ছে?

I want to go here right now! What if people could go places like this anytime they want? Maybe in real or using VR? I won't mind if it's even VR! I want to sit down there and watch the sunset. I can use my imagination to fill the gap between reality & VR. After all, whatever we see is nothing but some electric signal & processing inside the brain.

ঠিক এরকম একটা জায়গা পৃথিবীর কোথাও থাকলে ভালো হতো। এই গাছটার নিচে বইসা থাকতাম। এই পরিবেশটার VR সংস্করণ বানানোর প্ল্যান আছে। একটা Oculus Rift কেনা দরকার।

VR যখন অনেক উন্নত হবে তখন মানুশ তাদের প্রিয় প্রিয় পরিবেশ তৈরির কাষ্টম অর্ডার দিবে বলে আমার মনে হয়। ফেসবুক তো VR দিয়ে রিমোট অফিস মিটিং চালু করতেছে। এন্টারটেইনমেন্ট থেকে শুরু করে ট্রাভেল পর্যন্ত VR দিয়ে হবে একসময়। ব্রেইন চোখ থেকে ইনপুট নিয়ে আমাদেরকে যে বাস্তবতা দেখায়/উপলদ্ধি করায়, ঐ লেভেলের সিমুলেশন একসময় VR দিয়ে সম্ভব হবে। গায়ে বৃষ্টি-বাতাস লাগার অনুভূতি, ফুলের গন্ধ, এসবও কৃত্তিমভাবে ব্রেইনের ভেতরে তৈরি করা সম্ভব। তখন এই পরিবেশ বাস্তব থেকেও বেশী ভালো লাগবে আপনার। কারণ, বাস্তবে আপনার নাক, চোখ ও নার্ভ সিস্টেম অতটা ভালো না দুনিয়ারে পুরোপুরি ফিল করার জন্য।

থ্রি-ডি'র (ক্যাড/ভিআর/এআর) ফিউচার অনেক ভালো। থ্রিডি নিয়া একটা স্টার্টাপ আইডিয়া দেই—

যেহেতু থ্রিডির মার্কেট এখনো অনেক বড় না, তাই স্টার্টাপটা শুরু হবে একটু অন্যরকম ফরম্যাটে। প্রথমে আপনি নিরিবিলি জায়গাতে একটা ৩/৪ রুমের বাসা ভাড়া নিবেন। সেখানে এক রুমে হবে টিউটোরিয়াল রুম, এক রুমে থ্রি-ডি স্টুডিও, এক রুমে কনফারেন্স (সাধারণত মাঝে যে কমন স্পেসটা থাকে, ওখানে) এবং বাকী রুমটা হবে অফিস।

টিউটোরিয়াল রুম
এই রুমে ৬টা হাই এন্ড কম্পিউটার থাকবে, যেগুলোতে থ্রি-ডির কাজ করা যাবে। এখানে ৬ জন শিক্ষার্থী জয়েন করবে। একজন ইনস্ট্রাকটর থাকবে, সে এদেরকে শেখাবে। শিক্ষা গ্রহণ করার পদ্ধতিও অন্যরকম হবে। প্রতিদিন চার ঘন্টা করে একজনের জন্য বরাদ্দ থাকবে। মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৬ জন = ৩০ হাজার টাকা দিবে মাসে। দুই ব্যাচ তৈরি করতে পারলে মাসে ৫০-৬০ হাজার ইনকাম। এটা দিয়ে বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি + টিউটরের বেতনের একাংশ হয়ে যাবে।

থ্রি-ডি স্টুডিও
স্টুডিওতে প্রথমে ২টা সিস্টেম দিয়ে শুরু হতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভেতরে যারা মোটামুটি কাজ শিখে ফেলবে, তারা এখানে কাজ করবে টাকার বিনিময়ে কিংবা ইন্টারর্ন হিসাবে। প্রতিষ্ঠান যেসব কাজ পাবে সেগুলো এখানে হতে পারে কিংবা ইন-হাউজ কোন প্রজেক্ট। ২জন এখানে সবসময় কাজ করলে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ সহজেই আর্ণ করা সম্ভব (দেশী বিদেশী কাজ মিলিয়ে)।

কনফারেন্স রুম
এই রুমটা কনফারেন্সের জন্য ভাড়া দেয়া যাবে। অনেকেই আজকাল মিটিং প্লেস ভাড়া নিচ্ছে। এর থেকেও মাসে একটা ভালো এমাউন্ট আসতে পারে।

টিউটোরিয়াল ফি + কনফারেন্স রুম ভাড়া + কনট্রাক্ট ওয়ার্ক = মোটামুটি চলার মত একটা এমাউন্ট আসতে থাকবে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের থ্রিডি শিখিয়ে তাদের ভেতর থেকে পটেনশিয়ালদের নিয়ে একটা টীম তৈরি করা, যারা ভবিষ্যতের বিশাল সম্ভববনাময় থ্রিডি মার্কেটপ্লেসে আপনার সাথে কাজ করবে।

এধরনের স্টুডিও যত বেশী হবে তত ভালো। মার্কেট তো বিশাল, কাজ করে শেষ করা যাবে না। খুটিনাটি আরো আইডিয়া লাগলে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। চেষ্টা করবো সাহায্য করতে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি