সায়েন্স-টেক

এমাসের শেষের দিকে জাকারবার্গ মেটাভার্সের নতুন VR হেডসেট বাজারে আনতেছে। দাম বেশী হওয়াতে মাস পিপলের কাছে হয়তো পৌঁছাতে পারবে না, কিন্তু এটার সুপ্রিম কোয়ালিটি VR ইন্ড্রাস্ট্রিরে একটা ভালো বুস্ট দিবে।

২০২৩ এ অ্যাপলও VR হেডসেট বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে চারদিকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপল অবশ্য বহুদিন ধরেই VR এর উপরে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে। VR মার্কেটে অ্যাপল ঢুকে যাওয়া মানে রাতারাতি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির একটা জোয়ার সৃষ্টি হওয়া।

আগামী এক দশকের ভেতরে VR ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। ট্রেডিশনাল সোশ্যাল মিডিয়া (বিশেষ করে ফেসবুক) বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

আমরা যারা লেখালেখির জন্য ফেসবুক ব্যবহার করি, আমাদের বিকল্প চিন্তা করা উচিত এখন থেকেই।

বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে টাকা কামানোর জন্য ২০১১ সালে Shane Fulmer নামে এক লোক World Population Review নামে একটা ওয়েব সাইট বানিয়ে নানা ধরনের Ranking দেখিয়ে বেড়াচ্ছে, যার কোন ক্রেডিবিলিটি নাই। Shane Fulmer নামের ঐ লোকের কোথাও কোন পরিচিত আপনি পাবেন না, World Population Review নামের কোন সংস্থারও কোন অস্তিত্ব নাই।

এই সাইটের সোর্স ব্যবহার করে বাংলাদেশের কোন একটা পোর্টাল ক্লিক বেইট টাইপ একটা আর্টিকেল ছাপিয়েছে, আর সেটা নিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায় লোকজন বাংলাদেশীদের আইকিউ ১৫০তম প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
কিয়েক্টাবস্থা!

আমার একটা উইন্ডোজ ডেস্কটপ আছে। গতকালকে পুরো কম্পিউটার ফরম্যাট দিয়ে উইন্ডোজ ১১ লাগিয়েছি। মাইক্রোসফটের সাইট থেকে সরাসরি ইনস্টলার মিডিয়া (পেন ড্রাইভে) বানাতে ৫-৬ মিনিটের মত লাগলো। ৫গিগাবাইট সাইজের এই ড্রাইভ অনলাইন থেকে এত দ্রুত তৈরি হতে দেখেই মুগ্ধ! উইন্ডোজও ইন্সটল হয়ে গেল দশ মিনিটের ভেতরে। কনফিগারেশন আর প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার-টুল সেটাপ করতে অবশ্য ঘন্টাখানেক লেগেছে। কিন্তু, পুরো ট্রানজিশনটা খুব স্মুদ ছিলো।

সবচাইতে বড় ব্যাপার হচ্ছে ওয়েব সার্ভার (MAMP) প্যাকেজ + নেটবিনস + মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজারে বারোটা ট্যাব মিলিয়ে মাত্র ৬ গিগাবাইট জায়গা নিয়েছে RAM-এ এবং সিপিউ ইউজেস ২% - ১০% এর ভেতরে থাকছে। ইউজার ইন্টারফেস আর ইউএক্সও স্মুদ বেশ। নেটবিনসের মত খতরনাক IDE ১০ সেকেন্ডে ওপেন ও রেডি হয়ে যাওয়াটাও ইন্টারেস্টিং লেগেছে। মাইক্রোসফটের এত উন্নতি দেখে ভালো লাগতেছে।

দীর্ঘদিনের ম্যাক ব্যবহার থেকে স্লোলি আবার উইন্ডোজে ফিরে আসতেছি বলা যায়। কোড করা ছাড়া ম্যাকবুক তেমন ব্যবহার করা হচ্ছে না আজকাল। অবশ্য দু'টো ২৭" মনিটর উইন্ডোজে পিসিতে কানেক্টেড থাকাটা বড় কারণ ছিলো এতদিন, কিন্তু উইন্ডোজ ১১ আসলেই ভালো লাগতেছে। মনে হইতেছে উইন্ডোজেই ব্যাক করবো পুরোপুরি।

অ্যাপল দিন দিন বাজে হইতেছে আর মাইক্রোসফট স্মুদ হইতেছে। গুড জব মাইক্রোসফট!

দ্যা গড ইকুয়েশন
থিওরী অব এভরিথিং এর খোঁজে
লেখক- মিচিও কাকু
অনুবাদক- আবুল বাসার

দারুণ একটা বই। আমার ঈদের ছুটিটা উপভোগ্য করে দিয়েছে। বিজ্ঞান ভালোবাসেন এরকম সকলের জন্য মাস্ট রিড।
[photo]

অনলাইনে একটা ব্যাগ অর্ডার দিলাম। হ্যাম্প (Hemp) ফাইবারের তৈরি (মানে গাঁজা গাছ থেকে তৈরি সুতা)। এই ফাইবারের সাসটেইনেবিলিটি নাকি সবচাইতে ভালো। ব্যাগ কোম্পানী এটার জন্য লাইফ টাইম ওয়ারেন্টি দিচ্ছে। এর আগে হ্যাম্প ফাইবারের তৈরি জুতা বের করেছিলো এরা, সেটার ট্রাস্ট পাইলট রেটিং দেখে এদেরকে লেজিট মনে হলো।

প্রোডাক্টিভ হলে পাবলিক কত কী করতে পারে! আনপ্রোডাক্টিভরা তো গাঁজা খাইয়াই কুল পায় না!

এডুটেকের যতটুকু বিকাশ ২০৩০ নাগাদ হওয়ার কথা, কোভিডের কারণে সেটা এখনি হচ্ছে। আমেরিকার এডুটেক মার্কেট নিয়ে আমরা গত দুই মাস ধরে ঘেঁটে যা বুঝলাম, ওখানে প্রচুর সম্ভবনা আছে আমাদের জন্য। আমরা যে কয়টা সার্ভিস স্টাডি করলাম, খুব সাধারণ সব সার্ভিসে মিলিয়ন মিলিয়ন পেইড সাবসক্রাইবার।

আমেরিকার এডুটেক মার্কেট বুমিং। ওখানকার স্কুল শুটিং এর ঘটনাগুলো প্যারেন্টসদের মনে যে ভীতি তৈরি করেছে, এটাও এডুটেকের উত্থানে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। বিশেষ করে গত সপ্তাহে যে ১৯টা বাচ্চাকে মেরে ফেললো, আমেরিকানদের উপরে সেটা মারাত্বক প্রভাব ফেলছে। ওখানকার স্কুলিং সিস্টেম পুরোপুরি অনলাইনে চলে আসলেই প্যারেন্টসরা খুশী, এমন একটা অবস্থা।

বাংলাদেশে যারা এডুটেকে ইনভেস্ট করতেছেন, আপনারা আমেরিকার দিকে নজর দেন। এত বিশাল মার্কেট, আমরা ১০০ টা স্টার্টাপ দিয়েও পুরো মার্কেট কাভার করতে পারবো না। ভারতীয়রা ঐ মার্কেটটা খেয়ে ফেলার আগেই আসেন আমরা ধরতে শুরু করি।

বাংলাদেশের আবহাওয়ার আদ্রতা ও তাপমাত্রায় এই ডিভাইসটা (WaterGen) প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫ লিটার বিশুদ্ধ সুপেয় পানি তৈরি করতে পারবে বাতাস থেকে। বাংলাদেশে পাওয়া গেলে কিনতাম একটা। কেউ ইমপোর্ট করেন ভাই। ঢাকার ওয়াশার পানির যে অবস্থা! গুলশান, বনানী, উত্তরায় অন্তত বিশ-ত্রিশ হাজার ডিভাইস চোখ বন্ধ করে বেচতে পারবেন।

PyScript is going to make our life so easy!

একটা গ্যাজেট টিপস দেই।

Mac Mini M1 এর সাথে Lenovo Yoga Tab 13 (Yoga Pad Pro) কিনবেন। Lenovo Yoga Tab 13 ট্যাবটা এক্সটার্নাল মনিটর হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

Mac Mini M1 + Lenovo Yoga Tab 13 + Bluetooth keyboard & Mouse = ম্যাকবুক এবং এন্ড্রয়েড ট্যাব। টাচ স্ক্রিন ম্যাক ওএস ব্যবহারের অভিজ্ঞতা হবে এটা থেকে। আরো মজার বিষয় হচ্ছে, Mac M1-এ যেহেতু আইফোন/আইপ্যাডের অ্যাপগুলো নেটিভলি রান করে, ফলে ট্যাবটা একইসাথে Android ও iOS ট্যাব হিসেবে ব্যবহার সম্ভব।

এই ট্যাবটার পেন সাপোর্ট ভালো, তাই নোট টেকিং ডিভাইস হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।

Mac Mini M1 এর সাথে আলাদা করে ডিসপ্লে এড করে ল্যাপটপের অল্টারনেটিভ তৈরির একটা ভিডিও লিংক দিলাম: https://www.youtube.com/watch?v=XFZ5l9SaIVw
সাথে Lenovo Yoga Tab 13 এর একটা রিভিউ: https://www.youtube.com/watch?v=WcF-oaiTInw

এয়ার পিউরিফায়ার কিনলাম। পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত শহরে বাস করার জন্য এই জিনিষ থাকা বাধ্যতামূলক মনে হয় আমার কাছে।

একটা এয়ার মনিটরিং এপ মোবাইলে সেটাপ করার পর ঢাকার বাতাসের অবস্থা দেখে মাস খানেক ধরে এয়ার পিউরিফায়ার নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে যা বুঝলাম সংক্ষেপে তা শেয়ার করি। ভবিষ্যতে যারা কিনবেন, তাদের কাজে আসবে হয়তো!

এয়ার পিউরিফায়ারে মূলত তিন ধরনের ফিল্টার থাকে-

১) ডাস্ট ফিল্টারঃ যেটা রুমের ধূলিবালি আটকে ফেলে।
২) কার্বন ফিল্টারঃ ধূয়া, দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন ধরনের বড় দূষন (মূলত এলার্জির কারণ হয় যেগুলো) ধরে ফেলে এটা।
৩) HEPA ফিল্টারঃ HEPA ( high-efficiency particulate absorbing) ফিল্টার মূলত বাতাস থেকে অতি ক্ষুদ্র পার্টিকেলগুলে ধরে। ঢাকার বাতাসে এসব পার্টিকেলের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চাইতে অনেকগুন বেশী। খেয়াল রাখতে হবে, True HEPA যেন থাকে। HEPA11 True HEPA ফিল্টার না। কমপক্ষে HEPA12 বা HEPA13 হতে হবে।

কিছু ব্রান্ড স্মার্ট অ্যাপ (IoT) ইন্টিগ্রেশনসহ কম দামে এয়ার পিউরিফায়ার বিক্রি করে যেগুলো আসলে কাজের না। ওসব পিউরিফায়ারে দেখবেন এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং ইন্ডিকেটর আছে যা স্মার্ট ফোন থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিন্তু এগুলো গিমিকি ফিচার। একটা ভালো এয়ার মনিটরিং সেন্সর ডিভাইসের দাম ২০০ থেকে ৩০০ ডলার। আর ওরা পুরো ডিভাইসের দামই রাখে ৩০০ ডলারের ভেতরে। কিভাবে সম্ভব? (IoT) ইন্টিগ্রেটেড পিউরিফায়ার নিতে হলে আপনাকে ৭০ থেকে ৯০ হাজার বাজেটের পিউরিফায়ার নিতে হবে। তাই, এই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। রুমের বাতাস আসলেই ক্লিন করতে পারছে কিনা; সেটা স্মার্ট অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন (IoT) থেকে বেশী জরুরী।

কমদামী পিউরিফায়ারগুলোতে আবার ডাস্ট ফিল্টার থাকে না সামনে, ফলে ভেতরের HEPA-ফিল্টারটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ২-৩ মাস পরপর আপনাকে ৩-৪ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ফিল্টার লাগাতে হবে। তাই ডাস্ট ফিল্টার আছে কিনা সামনে, এটা দেখে কিনতে হবে। তাহলে HEPA-ফিল্টারটা সহজে নষ্ট হবে না। আমার এটার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে ৩-৪ বছর পরে। কিছু পিউরিফায়ার ১০ বছরেরও গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।

আরেকটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। কিছু ব্রান্ড কার্বন ফিল্টার ও HEPA ফিল্টার একসাথে প্যাক করে দেয়। এই দু'টো ফিল্টার আলাদা থাকা ভালো। তাহলে HEPA ফিল্টারের আগে আপনি কার্বন ফিল্টারটা রাখতে পারবেন যেটা HEPA ফিল্টারের লাইফ টাইম ও কার্যকারীতা বাড়িয়ে দিবে। আবার পরে শুধুমাত্র HEPA ফিল্টারটা আলাদা করে ক্লিন করা কিংবা পরিবর্তন করা যাবে।

আফটার সেলস সার্ভিসও এখানে জরুরী। পরে যদি আপনি ফিল্টার খুঁজে না পান তাহলে পুরো মেশিনই বাতিল। তাই, ব্রান্ড নেম ও এভেইলেবিলিটি দেখে নেয়া উচিত।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি