এমপিসাব যখন ছুটো আছিলেন, একদিন গাঁজা খাইলেন বন্ধুদের পাল্লায় পইড়া। তারপর তো টেনশনে পড়ে গেলেন! বাবা যেই কড়া.. কী জানি হয়!
খুব সাবধানে বাসায় ফিরেও লাভ হলো না। বাবা জেগে আছে। কিন্তু কিছু বুঝতে পারে নাই মনে হলো, ভাত খাইতে কইলেন।
ছুটো এমপিসাব ভাত নিলেন। তরকারী নিলেন। ডালও নিলেন। তারপর সুন্দর করে ভাত খাচ্ছেন। নিশ্চই বাবা কিছু ধরতে পারে নাই ভেবে ভয়ে ভয়ে একবার বাবার দিকে তাকায়া দেখেন- বাবা কটমট চোখে তাকায়া আছে।
"হারামজাদা, প্লেট কৈ তোর?"
Usama Container Laden!
মশারা দিন দিন বুদ্ধিমান হইতেছে। এই বুদ্ধিমান মশাদের নির্মূলের সবচাইতে ইফেক্টিভ পদ্ধতি হইতেছে শলার ঝাড়ুর ট্রিটমেন্ট, ঝাড়ুফাই। পদ্ধতিটা এরকম- একটা শলার ঝাড়ু পাশে নিয়ে বসবেন। মশা দেখা মাত্রই সপাং...
তো, হাতের কাছে একটা ঝাড়ু রাখছি। কিছুক্ষন পর পর চেয়ারসহ পেছনে চলে যাই আর পায়ের কাছের সব মশা মেরে ফেলি। ভালোই চলছিলো। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মশারাও আমার চেয়ারের সাথে সাথে পেছনে চলে যায়। সুতরাং চেয়ার থেকে নেমে চেয়ারের নিচে ঝাড়ুফাই করে মশা মারা শুরু করলাম। কিছুক্ষন পর তারা সেটার প্রতিকারও বের করে ফেললো। আমি পেছনে আসলে তারা এসে আমার গায়ে বসে যায়। এখন কি আমি নিজেকে ঝাড়ু দিয়ে বাড়ি দেব? কি মুসিবত!
যাহোক, ঝাড়ুর বদলে হাত দিয়ে কিছুক্ষন মারলাম। এভাবে কয়েকদিন চলার পর দেখি ঝাড়ু হাতে নিলেই মশারা সব দরজা দিয়ে দৌড়ে পালায়। এখন কি আমি ঝাড়ু হাতে নিয়ে বসে থাকবো?
তারপর একদিন খেয়াল করলাম, আমার রুমে কোন মশা নাই। সব রুমে মশা আছে আমার রুমে নাই। মশারা বুদ্ধিমান না হইলে এই সুবিধা আমি ক্যামনে পাইতাম? এজন্যই কবি বলেছেন, ভুদাই বন্ধু থিকা বুদ্ধিমান শত্রু ভালো।
একদিন এক জঙ্গলে একটা ইদুর ভাল্লুককে বিড়ি খেতে দেখে বললো - "ছেড়ে দাও ভাই নেশা, আমার সাথে চলো। দেখো জঙ্গলটা কত সুন্দর!"
ইদুরের কথা শুনে ভাল্লুক তার পিছে পিছে গেল।
যেতে যেতে দেখল একটা হাতি ড্রাগস নিচ্ছে। ইঁদুর হাতিকেও ড্রাগস ছেড়ে সুন্দর জঙ্গলের স্বপ্ন দেখালো। হাতি ড্রাগস ফেলে দিয়ে ইঁদুরের সাথে চলল।
আরেকটু সামনে যেতেই দেখা গেল একটা বাঘ হুইস্কি খাচ্ছে। ইঁদুর তাকেও একই কথা বলতে গেল। বাঘটা গ্লাস রাখলো। তারপর ইদুরকে কষে কয়েকটা থাপ্পর লাগালো!
"একি করছো? মারছ কেন?", হাতি অবাক হয়ে জানতে চাইলো।
বাঘ বললো— "এই বেটা গতকালও গাঁজা খেয়ে আমাকে পুরা জঙ্গল ঘুরাইছে!"
গতবছর আমি সোন্দরবন গেছিলাম। দেইখা আইছি, বাগ হরিনেরা অন্ধকারে কত কষ্ট কইরা জীবনাতিপাত করতেছে। বিদ্যুৎ নাই, তাই তাদের কোন স্মার্ট ফোনও নাই। কেমন আনস্মার্ট জীবনযাপন তারা করতেছে, ভাবতে পারেন? সর্কার রামপাল কইরা তাদের এই দুঃখ দূর করার চেষ্টা করতেছে, সেইটা কিছু লোকের সহ্য হয় না।
রামপাল কে হ্যাঁ বলুন।
একটা পিঁপড়ার গল্প
প্রতিদিন সকাল সকাল ছোট্ট পিঁপড়াটি অফিসে এসেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। প্রচুর কাজ করে সে, সময় কাটে তার চমৎকার সুখে।
অফিসের প্রধান, সিংহ অবাক হয়ে লক্ষ করে কোনো ধরণের সুপারভিশন ছাড়াই পিঁপড়া কাজ করে যাচ্ছে। সুপারভিশন ছাড়াই যদি পিঁপড়া এত কাজ করতে পারে, সিংহ ভাবে, তাহলে একজন সুপারভাইজার থাকলে তো সে আরো বেশি কাজ করতে পারবে।
সিংহ তাই তেলাপোকাকে সুপারভাইজার পদে নিয়োগ দিল; সুপারভাইজার হিসেবে তেলাপোকার রয়েছে প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে এবং চমৎকার সব রিপোর্ট লেখায় তার বেশ সুনাম।
তেলাপোকার প্রথম পদক্ষেপ হলো অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে একটি ঘড়ির ব্যবস্থা করা। লেখার কাজে তাকে সাহায্য এবং লেখা টাইপ করার জন্য একজন সেক্রেটারিরও প্রয়োজন হলো তার।
তেলাপোকা মাকড়শাকে তার সেক্রেটারি পদে নিয়োগ দিল, যার কাজ হলো সব নথিপত্র ম্যানেজ করা এবং ফোন কল তদারক করা।
তেলাপোকার রিপোর্ট দেখে সিংহ খুব খুশি হলো। সে তেলাপোকাকে নির্দেশ দিল প্রোডাকশন হার এবং ট্রেন্ড অ্যানালাইসিসের গ্রাফ তৈরি করে দিতে যাতে সেগুলি বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থাপন করা যায়।
তেলাপোকা এ কাজের জন্য একটি নতুন কম্পিউটার এবং একটি লেজার প্রিন্টার ক্রয় করল। এবং আই.টি. ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব নেয়ার জন্য মাছিকে নিয়োগ দিল।
পিঁপড়া, একদা যে প্রচুর কাজ করত এবং হাসি খুশি ছিল, এত সব পেপারওয়ার্ক, মিটিং অপছন্দ করা শুরু করল, কারণ এগুলি তার মূল কাজের অধিকাংশ সময় নষ্ট করতে লাগলো।
সিংহ এবার সিদ্ধান্ত নিল পিঁপড়া যে ডিপার্টমেন্টে কাজ করে, তার সামগ্রিক দায়িত্ব নেয়ার জন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া দরকার। এ কাজের ভার দেয়া হলো সিকাডা'কে, যার প্রথম কাজ হলো একটি কার্পেট এবং একটি এরগোনমিক চেয়ার কেনা।
সিকাডা'রও দরকার হলো একটি কম্পিউটার, এবং একজন ব্যক্তিগত সেক্রেটারির, যাকে সে তার আগের অফিস থেকে নিয়ে আসলো। সিকাডা বাজেট কন্ট্রোল স্ট্রাটেজিক অপটিমাইজেশন প্ল্যান এর উপর বেশ জোর দিল।
কিন্তু পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট এখন একটি বিষণ্ণ জায়গায় পরিণত হলো; সেখানে কাজ করে কেউ আর হাসে না, সবারই মন ভার থাকে।
ঠিক সে মুহূর্তে সিকাডা সিংহকে বুঝালো যে একটি ক্লাইমেটিক স্টাডি বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে। পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্টের পারফরমেন্স পর্যালোচনা করে সিংহ দেখল প্রোডাকশন বেশ কমে গেছে, তাই সে পেঁচার শরণাপন্ন হলো সমাধানের জন্য। পেঁচা বিশ্বখ্যাত, স্বনামধন্য একজন কনসালট্যান্ট।
পেঁচা তিন মাস ধরে কাজ করে বিশাল এক রিপোর্ট তৈরি করল। রিপোর্টটি কয়েকটি বড় বড় খন্ডে বিভক্ত, যার সারমর্ম: পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট ওভারস্টাফড।
মোটিভেশনের অভাব এবং নেগেটিভ অ্যাটিটিউডের কারণে পিঁপড়াকে ছাটাই করা হলো।
গল্প শেষ।
পুনশ্চঃ কর্পোরেট পিঁপড়া হইয়া যাইতেসে। যেকোনদিন মটিভেশনের অভাব জনিত কারণে ছাঁটাইও হইয়া যাইতে পারি। Corporate kills creativity! I just love my creative life.
কার্টেসীঃ ব্লগার ম্যাভেরিক ( মূল পোস্টের লিংক কমেন্টে)
'অ' তে অজগর... 'আ' তে আরেকটা অজগর...