প্রেডিকশন

হিউম্যান ব্রেইনরে একসময় নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে কানেক্টেড করে কম্পিউটারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। মানে আপনার ব্রেইনের প্রসেসিং পাওয়ারটা ব্যবহার করা হবে কম্পিউটিং এর জন্য। সেক্ষেত্রে ব্রেইন ভাড়া দিতে পারবে লোকজন।



আগামী কয়েক বছরের ভেতরে যদি এই টেকনোলজি এভেইলেবল হয়, ঠিক কত পার্সেন্ট লোক নিজের ব্রেইন ভাড়া দিতে রাজী হবে? খুব বেশী না আমার ধারণা। কিন্তু, পৃথিবীরে খুব খারাপ একটা সময়ের ভেতর দিয়ে নিতে পারলে (যখন কোটি কোটি লোক কয়েক বছর জবলেস হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করবে) প্রচুর লোক ব্রেইন ভাড়া দিতে রাজী হবে। পাঁচটা মৌলিক চাহিদার মিনিমাম সংকুলানের বিনিময়েই রাজী হবে।

কিন্তু, মানুশের তো চাহিদা কখনো কনস্ট্যান্ট না। ফলে, এদের জন্য ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে স্বর্গ তৈরি করা হবে। তারা সেখানে যা চাইবে সব পাবে।

~ ভি.আর এরা - সিটি অব লাইট

টেক প্রেডিকশন



আগামী বিশ্বকাপ ফুটবল VR (Virtual Reality) দিয়ে দেখা যাবে। তখন আপনার মনে হবে স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখতেছেন। এখন এই প্রযুক্তি কি অ্যাপন আনবে না মেটা, সেটাই দেখার বিষয়।

আমজনতা মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার উপরে এতই ক্ষ্যাপা যে তারা ইলন মাস্করে নিয়া যত নেগেটিভ নিউজ করে, ইলন মাস্কের ফলোয়ার ততই বাড়ে। প্রতিদিন প্রায় ৩ লাখ করে বাড়তেছে ফলোয়ার।



এভাবে চলতে থাকলে পাগলা একদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ালে পাশ করে যাবে :P

অ্যাপলের সাথে ইলন মাস্কের যুদ্ধটা এনজয় করতেছিলাম। মাস্ক অ্যাপলরে এমন থ্রেট দিছে, টিম কুক ভয় পেয়ে গেছে। এই ওয়ার আরো কিছুদিন চললে ভালো হতো।

বিশেষ করে মাস্ক যদি সত্যিই স্মার্টফোন মার্কেটে নেমে পড়তো, সেটা একটা গেম চেঞ্জিং ব্যাপার হতো। স্টার লিংক + স্মার্টফোন = সামথিং এমার্জিং

যাদের কম্পিউটার নাই এবং কেনার সামর্থ কম তারা স্মার্টফোন বেচে দিয়ে হলেও কম্পিউটার কিনে রাখেন। কিছুদিন পর কম্পিউটারের দাম এত বাড়বে যে আর কিনতে পারবেন না। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য কম্পিউটার থাকা জরুরী এখন।

বহু কোম্পানী রিক্রুটমেন্ট বন্ধ রেখেছে। এর সাথে এখন যুক্ত হচ্ছে ছাঁটাই। বিশেষ করে টেক জায়ান্টদের ছাঁটাই চোখে পড়ার মত! উইন্টার ইজ কামিং টু অল!

Paid social media is the future! Mark my word

যে তিনটা কারণে ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুকের মত আরেকটা প্লাটফর্ম না হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী—

১) ফেসবুকের মত প্লাটফর্ম সরকার ও মিডিয়াগুলোর জন্য সমস্যাজনক। ফলে, তারা সর্বশক্তি দিয়ে এধরনের আরেকটা প্লাটফর্মের উত্থান ঠেকাবে। যেভাবে পাবলিকরে প্রাইভেসী জুজু দেখিয়ে ফেসবুকের রেভিনিউর বারোটা বাজাতে সক্ষম হয়েছে, তাতে বুঝা যায় এরা ভবিষ্যতেও সফল হবে। তবে এটা সরকারগুলোর জন্যও ক্ষতির কারণ হবে। পাবলিক ডিপ ওয়েবে চলে যাবে এবং বিচ্ছিন্ন ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকবে যা তারা একদমই নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না।

২) বিজ্ঞাপণ বেসড রেভিনিউর উপরে ভিত্তি করে কেউ আর মিডিয়া তৈরির চেষ্টা করবে না। অন্তত, এত লার্জ স্কেলে। বিজ্ঞাপণের মার্কেট গুগল আর অ্যাপলের হাতে চলে যাবে পুরোপুরি। আবার ইলন মাস্কও এদিকে হাত দিতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যদের আর কোন চান্স নাই।

৩) পৃথিবী আবার সামন্তীয় যুগের দিকে রওনা দিয়েছে। ডিভাইড এন্ড রুল থিওরীর প্রবল জোয়ার আসতেছে আবার। পাবলিকের ভেতরে বিভক্তি চরমে পৌঁছাবে আগামী কয়েক দশকের ভেতরে।

এমাসের শেষের দিকে জাকারবার্গ মেটাভার্সের নতুন VR হেডসেট বাজারে আনতেছে। দাম বেশী হওয়াতে মাস পিপলের কাছে হয়তো পৌঁছাতে পারবে না, কিন্তু এটার সুপ্রিম কোয়ালিটি VR ইন্ড্রাস্ট্রিরে একটা ভালো বুস্ট দিবে।

২০২৩ এ অ্যাপলও VR হেডসেট বাজারে আনতে যাচ্ছে বলে চারদিকে আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। অ্যাপল অবশ্য বহুদিন ধরেই VR এর উপরে ইনভেস্ট করে যাচ্ছে। VR মার্কেটে অ্যাপল ঢুকে যাওয়া মানে রাতারাতি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির একটা জোয়ার সৃষ্টি হওয়া।

আগামী এক দশকের ভেতরে VR ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবে। ট্রেডিশনাল সোশ্যাল মিডিয়া (বিশেষ করে ফেসবুক) বন্ধ হয়ে যাওয়ার একটা বড় কারণ হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।

আমরা যারা লেখালেখির জন্য ফেসবুক ব্যবহার করি, আমাদের বিকল্প চিন্তা করা উচিত এখন থেকেই।

ইলিয়াস হোসেনের প্রতিবেদনের কারণে কিছু নিরপরাধ লোকের জীবন বেঁচে যাবে হয়তো। কিন্তু তারচাইতেও বড় উপকার হবে যদি আম জনতা মিডিয়া ট্রায়ালে অংশ নেয়া বন্ধ করে। বহু লোকরেই দেখতেছি নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হতে। গুড সাইন!

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি