Ai (ChatGPT) রে তাতিয়ানা এগুলো জিজ্ঞেস করছে বসে বসে। ক্লাশ থ্রিতে থাকতেও ওর জিজ্ঞাসা, আমাদের বইয়ে বিজ্ঞানের কিছু নেই কেন? আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এখন ওর সেই জানার অভাব পুরণ করতেছে।
সামনের দিনগুলোতে Ai পড়ালেখার ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসতেছে, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকরা কি তার জন্য প্রস্তুত? সেরকম মনে হচ্ছে না এখন পর্যন্ত। আর কিছুদিনের ভেতরেই ক্লাশরুমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের এমন সব প্রশ্ন ও আলোচনার সন্মুখীন হতে যাচ্ছেন যা সম্পর্কে তারা হয়তো এখনো ভাবছেন না।
বাচ্চারা কিন্তু Ai ব্যবহার করে খুব দ্রুত অনেককিছু শিখে যাবে এখন। এরপর ওরা ক্লাশরুমে বোর হবে এবং শিক্ষকরা কিছুই জানে না ভাবতে শুরু করবে। সুতরাং নিজেদের আপডেট করতে শুরু করেন আপনারা। আমাদের পাঠ্যবই এই জেনারেশন এক্সরে কিন্তু স্যাটিসফাই করতে পারবে না।
আমার ব্রাউজারের একটা ট্যাবে সবসময় ChatGPT ওপেন থাকে এবং সারাদিনই এটা ব্যবহার করা হয় বলতে গেলে। বেশী ব্যবহার করলে এরা ঘন্টা খানেকের জন্য আর ব্যবহার করতে দিতো না, বলতো- আপনি গত এক ঘন্টায় খুব বেশী ব্যবহার করে ফেলছেন। গত দুইদিন ধরে একবারেই ঢুকতে দিচ্ছে না। এবং পাশে পেইড সাবসক্রাইবারদের জন্য লগইন অপশন দেখাচ্ছে। ChatGPT আমার এতই কাজে লাগে যে বছরে ২৪০ ডলার দিয়ে আমি এটা সাবসক্রাইব করার কথা ভাবছি।
"If something is free, ‘you’ are the product" বলে বেড়ানো লোকগুলো কী ভাবছে জানা গেলে ভালো হতো। আপনাদের এইসব কনস্পিরেসি আর ফালতু একটিভিজমের জন্য ফেসবুকের মত ফ্রি প্লাটফর্মগুলোও একদিন বন্ধ হয়ে যাবে এবং কোন কিছু্ই আমরা আর ফ্রি পাবো না। সেইদিনের জন্য রেডি থাইকেন আপনারা।
ভূমিকম্পে সিরিয়া আর তুরস্কে বিশাল বিশাল বিল্ডি যেভাবে ধ্বসে পড়তে দেখলাম, ভয়াবহ! এখন পর্যন্ত দুই হাজার লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খুবই দুঃখজনক!
Image source: Guardian News
সকল সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট ও ডাটা বলে ঢাকায় যেকোন সময় এধরনের বড় একটা ভূমিকম্প হবে। আরো এক যুগ আগে থেকেই আমরা এই ঝুঁকির ভেতরে আছি এবং একটা বড় ভূমিকম্প না হওয়া পর্যন্ত এই ঝুঁকি কাটবে না। বরং যত দেরিতে হবে টেকটনিক প্লেটের টেনশন তত বাড়বে এবং ভূমিকম্পটা তত মারাত্বক হবে। এরকম বড় মাপের ভূমিকম্পে ঢাকার অর্ধেকের বেশী বিল্ডিং টার্কি ও সিরিয়ার বিল্ডিংগুলোর মত ধ্বসে পড়বে এবং তাতে এক কোটি লোক মারা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিছু লোক মারা যাবে ইনস্ট্যান্ট, বাকীরা আফটার ইফেক্টে। বিশেষ করে আগুন ও অন্যসব সমস্যার কারণে। এরপর ঢাকারে রিকোভার করা পুরোপুরি অসম্ভব হয়ে যাবে। অন্তত আগামী একশ বছরেও এই শহর রিভাইব করা সম্ভব হবে না। আমরা একটা এটম বম্বের উপরে বাস করছি। কিন্তু, কোথাও কোন প্রস্তুতি বা কিছু নেই।
বাংলা একাডেমীর বইমেলার অবস্থা পয়লা বৈশাখের মত হবে। বইমেলারে আমজনতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটা নির্দিষ্ট ঘরনার ইভেন্টে পরিনত করা হচ্ছে। বইমেলা তার সার্বজনিনতা হারাচ্ছে।
কেন গুগল ধরা খাবে ChatGPT-র কাছে, তার একটা ছোট উদাহরণ পাবেন এখানে। এই সিম্পল প্রশ্নটার উত্তর জানার জন্য যদি আমার দশ/বারোটা ওয়েব লিংক ওপেন করে পনের/বিশ মিনিট ধরে পড়তে হয়, তাহলে তো সমস্যা। ChatGPT থেকে ২ সেকেন্ডে Yes/No জানা যাচ্ছে যেখানে, সেখানে পাবলিক কেন এত প্যারা নিবে?
একই কারণে Bing গুগলরে খেয়ে দিতে পারবে যখন ChatGPT ইন্টিগ্রেট করবে। তবে, মাইক্রোসফটের উচিত এই Bing নামটা পরিবর্তন করা। গুগলিং এর পরিবর্তে বিঙ্গিং বলা (সাউন্ড লাইক বেঙ্গিং) একটু সমস্যাজনকই!
বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেশি দেখানোর জন্য গত ১৫ বছর ধরে যে অটো পাশের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো, সেটার আফটার ইফেক্ট আর কিছুদিন পরেই বাংলাদেশীরা টের পেতে শুরু করবে। এদেশের অধিকাংশ জবই দেখবেন ভারতীয়দের দখলে চলে গেছে। এখনি ইন্ড্রাস্ট্রিগুলোর টপ পজিশন ভারতীয়দের দখলে যেতে শুরু করেছে।
ChatGPT দিয়ে একাডেমিক কনটেন্ট জেনারেট যদি এখনি নিষিদ্ধ করা না হয় তাহলে আগামী ১৫/২০ বছরে পুরো পৃথিবীর এডুকেশন সিস্টেম বাংলাদেশের মত হয়ে যাবে। কাজ করার মত লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না আর। এবং এটা ইনটেনশনালীই করা হবে বলে আমার মনে হচ্ছে।
আমরা জবলেস পৃথিবীর দিকে আগাচ্ছি।
ChatGPT টাইপ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সগুলো প্রফেশনাল ও একাডেমিক টেক্সট তৈরিতে অনেক স্মার্ট হলেও সাহিত্যের ক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবে না। মানুশরে টাচ করা, হ্যাপি করা... এটা Ai এর পক্ষে অসম্ভব। ফলে, Ai নিয়া সাহিত্যিকদের চিন্তার কিছু নাই। ইনফ্যাক্ট, চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব সাহিত্যিকদের কদর আরো বাড়াবে। কারণ এখন থেকে যত দিন যেতে থাকবে, পাবলিক ততই অসুখী হতে থাকবে। অসুখী লোকেরা সাহিত্য কনজিউম বেশী করবে।
Go Tesla gooooo…. HaHa
ইলন পাগলা তেসলারে প্রাইভেট কোম্পানী বানানোর পথে হাঁটতেছে। এটা করতে পারলে ইলন হবে পৃথিবীর প্রথম ট্রিলিওনিয়ার।
ক্লাশ সেভেনের পাঠ্য বইয়ে ইতিহাস বিকৃতি ও মুসলিমদেরকে ক্রিমিনাল হিসেবে উপস্থাপণের আফটার ইফেক্ট হতে যাচ্ছে মুসলিম ইতিহাস ও সভ্যতা নিয়ে অনেক বই বের হওয়া এবং সেগুলোর ব্যাপক প্রচার। সেই সাথে অভিভাবকরা সচেতনভাবে মুসলিমদের ইতিহাস ও সভ্যতা নিয়ে তাদের বাচ্চাদের লেসন দেয়া, আলাপ-আলোচনা করা।
বুমেরাং...!
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পক্ষে কোনদিনই রাজনীতি বুঝা সম্ভব হবে না। রাজনীতি বুঝতে হলে মানুশ বুঝা জরুরী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স কখনোই মানুশ বুঝতে পারবে না।