বাংলাদেশ আসল ধাক্কাটা খাবে আর দুই বছর পরে, যখন এতদিনের তৈরি ঋণ ফেরত দেয়া শুরু হবে। কাগজে কলমে দরিদ্র দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়ার ফলে অনেক আন্তর্জাতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে, যেটা পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দিবে। ঐসময় যারাই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, পাবলিকের মাইর থেকে বাঁচা খুব কঠিন হবে। ফলে, বর্তমানে যে সংকট চলছে, এর থেকে বের হয়ে আসতে পারলেও লীগ মনে হয়না সেই সময়টাতে ক্ষমতায় থাকতে চাইবে। সামনের নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসবে, এরা হবে বলির পাঠা।
শ্রীলঙ্কায় এক এমপি এবং সাবেক এক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
The far left hates everyone, themselves included!
— Elon Musk
এটলিস্ট এটা বুঝা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সরাসরি রাজ্য হওয়ার পরেও যতটুকু স্বাধীন আমরা ততটুকু নই। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন রিগ করতে পারে না দিল্লী, আমাদেরটা পারে।
বাংলাদেশের কিছু পাবলিক এত কিউট যে— গত দশ বছরে ট্যাক্স ভ্যাট কয়েকগুন বাড়ার পরেও, বিদ্যুৎ বিল থেকে শুরু করে সকল খরচ এত এত বাড়ানোর পরেও কোন ব্যর্থতার দায় সরকাররে দিতে রাজী না। সব দোষ তারা চাপায় নিরীহ জনগনের উপরে। হাউ সুইট!
এরকম দ্যাশে রাজনীতি করার মজাই আলাদা!
আধিপত্যবাদী সম্রাজ্য টেকে না বেশীদিন। নিজেদের সেরা ভাবা আর অন্যদের তুচ্ছ ভাবা এমন একটা অযোগ্যতা, যেটা শেষ পর্যন্ত নিজের ধ্বংসের কারণ হয়। এই কারণে রোমানরা হারাইয়া গেছে, আর কখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারে নাই এবং পারবেও না (গ্রীক আর ইটালিয়ানদের এ্যাটিটিউড খেয়াল করলে আপনি এইটা বুঝতে পারবেন)। পারস্য সম্রাজ্য হারিয়ে গেছে, আর কখনো ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে না। অটোমানদের পতন হইছে (যখনই তারা অংহকারী হয়ে উঠছে, তার পর থেকে তাদের পতন শুরু)। জার্মানরা এত যোগ্য হওয়ার পরেও পারে নাই। ফরাসীরা পারে নাই, তাদের চাইতে একটু কম নাক উঁচা বৃটিশরা পারছে। আরবরা পারে নাই, কোনদিন পারার সম্ভবনাও নাই। তারপর এই রোগ দেখা গেল ট্রাম্প আর মোদীর ভেতরে। তার জন্য আম্রিকা আর ভারতরে বড় মূল্য দিতে হচ্ছে।
চাইনিজদেরও এই রোগ আছে, ফলে ওরাও বড় কিংবা দীর্ঘ মেয়াদী সম্রাজ্য তৈরি করতে পারবে না।
ব্যবসার কাছে রাজনীতি আর দেশের কোন অস্তিত্ব নাই। ব্যবসার জন্যই রাজনীতি, রাজনীতির জন্য ব্যবসা না।