যে মাথামোটারা ইমরান খানরে গ্রেফতার করলো, তারা আসলে কী গেইন করলো? ইমরানের পপুলারিটি যেকোন সময়ের চাইতে তুঙ্গে এখন।
ইমরান খানের এরেস্টে লাভ হচ্ছে চায়নার, ক্ষতি হচ্ছে ডেমোক্রেসির। এই ইস্যুতে ইন্ডিয়ার ভূমিকা ইন্টারেস্টিং লাগতেছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স পলিটিক্যাল ন্যারেটিভেরও বারোটা বাজিয়ে দিবে। প্রপারলি ব্যবহার করতে পারলে শত বছর ধরে দাঁড় করানো ন্যারেটিভ এক বছরের ভেতরেই একদম জিরো করে দেয়া সম্ভব।
রাজনৈতিক বিশ্লেষন দেয়ার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে অর্থনীতি সম্পর্কে কোন জ্ঞানই না রাখা। আপনি অর্থনীতি সম্পর্কে যত বেশী জানবেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষন দেয়া তত কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে বিশ্ব-রাজনীতি নিয়া কোন আলাপে। কারণ, রাজনীতি বুঝার জন্য যে কয়টা বিষয়ে জ্ঞান থাকা লাগে, অর্থনীতি তার ভেতরে অন্যতম ও প্রধানতম।
হ্যাশ ট্যাগঃ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হলো।
আজকে একই দিনে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের খেলা। অন্য সময় হলে ফেসবুক ভেসে যেতো খেলা নিয়ে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনা ও ট্রলে। কিন্তু দেখেন— খেলা নিয়ে আওয়াজ নাই তেমন ফেসবুকে। এটা নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা হিসেবে দেখতে পারেন।
মনে করেন আপনার কাছে থিংকার ক্লাউডের ৫ ডলার/মাস একটা সাবক্রিপশন বিক্রি করলাম কিন্তু আপনি থিংকার ক্লাউডে লগইন করে দেখলেন কিছুই নাই, মানে আমি আপনাকে কিছুই দিচ্ছি না। মাঝে মধ্যে এক-দুই ডলারের বই বা কলম দেই এবং বাকী টাকা খেয়ে ফেলি। আপনি কী করতেন তখন? নির্বিকার থাকতেন?
(একজন প্রশ্ন করেছিলেন— 'রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলে কী হতো?' সেখানে এই রিপ্লাইটা দিতে গিয়ে দেখি কমেন্ট ডিলেট করে দিয়েছেন। তাই পোস্ট হিসেবে রাখলাম।)
রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলে দেশের খারাপ অবস্থায় কাজে মন বসানো যায় না। আবার পাবলিকের রাজনৈতিক সচেতনতার অভাবেই একটা দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে অধিকাংশ লোকের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি। তাহলে দেশের এত খারাপ অবস্থা আসা ঠেকানো যায়।
ঘুম দেব তাই আগের পোস্ট অনলী মী করছি। অবস্থান বদলাই নাই। একটা ব্যাপার মাথায় রাখবেন— যারে তারে রাজাকার ট্যাগ দেয়া যেরকম খারাপ ছিলো শাহাবাগী ট্যাগ দেয়াও সেরকম খারাপ।
মতের মিল না হলেই ট্যাগ দেয়া বন্ধ হোক!
তখন মেসে থাকি। নিকুঞ্জের একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করে ৪/৫ জন মিলে থাকা আরকি। AIUB-র এক ছোটভাই ছিলো, কম্পিউটার সায়েন্সে পড়তো বলে আমার সাথে একটু বেশী খাতির। সে একদিন বললো- 'ভাইয়া, রাজনীতি জিনিষটা আসলে কী? দুই মিনিটে বুঝাইতে পারবেন?'
আমি বললাম—
লুক এট আওয়ার মেস ম্যানেজার। আমাদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া, বাজার খরচ তুলে সে। খেয়াল করে দেখ, সে আমাদের টাকায় থাকে এবং খায়, কিন্তু বাসার সবচাইতে ভালো রুমটা তার দখলে। কোন মেস সদস্যের সাথে ঝামেলা হলেই বলে, 'তোমাদের জন্য আমি হ্যান করেছি, ত্যান করেছি... ব্লা ব্লা'।
এখন এই মেসটা মনে করো একটা দেশ আর সে হইলো ক্ষমতাসীন সরকার।
দ্যাটস পলিটিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স ইন টু মিনিটস!
জনগনরে বিভক্ত রাখা হচ্ছে ক্ষমতাশীনদের একটা গুরুত্বপূর্ন এজেন্ডা। কারণ, পাবলিক ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীর কোন সেনাবাহিনী বা কোন বাহিনীর পক্ষেই সেটার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নাই। তাই কখনো ধর্ম, কখনো জাতীয়তাবাদ, কখনো এটা-সেটা যা যা আছে, সবকিছু ব্যবহার করে শাসক-গোষ্ঠী জনগনরে বিভক্ত করতে থাকে। হাজার হাজার বছর ধরে তাই হয়ে এসেছে।
তারপর... তারপর যখন তারা বিপদে পড়ে, তখন জনগনরে এক হতে বলে। ঐক্যবদ্ধ হতে বলে। কারণ, নিজেদের স্বেচ্ছাচারীতার জন্য তাদের নিজেদের রাজত্বই তখন ধ্বংসের মুখে।
পৃৃথিবীর জনগন অবশ্য এক হয় একসময়। এসব অ্যাম্পায়ারদের বিরুদ্ধে। ইতিহাসে ঘুরে ঘুরে এরকম অনেকবার ঘটেছে। সব ভেঙ্গেচুরে আবার নতুন করে তৈরি করেছে পাবলিক। আমরা সম্ভবত সেরকম একটা সময়ের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আবারো। আগামী পঞ্চাশ-ষাট বছরের ভেতরে সব ভেঙেচুরে নতুন করে দাঁড়াবে আবার।