থিংকারে একটা নতুন সার্ভিস যুক্ত করতে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। মানে, লোকজন আপনার নিজের সাইট থেকেই আপনার সাথে কানেক্টেড হবে, আপনার লেখালেখি ও কাজকর্ম সম্পর্কে জানবে। বিস্তারিত কিছুদিন পর জানাবো।
And https://www.trivuz.net is coming soon :)
যাদের লেখা পড়তে চাই, ফেসবুক তাদেরকে টাইমলাইন থেকে সরিয়ে দেয়াতে থিংকার বুকমার্কে সব এড করে নিলাম। Thinkr Club-এর এই ফিচারটা পেইড সাবসক্রাইবারদের জন্য হলেও ভাবছি আমার ফ্রেন্ডলিস্টে যারা আছে, তাদেরকে ফ্রি-তে দেব। আগ্রহীরা ইনবক্সে টোকা দিন। ফলোয়ার লিস্টের যারা নিয়মিত লাইক/কমেন্ট দিয়ে থাকেন, তারাও যোগাযোগ করতে পারেন।
যেহেতু ফিচারটার পারমিশন প্ল্যান বান্ডেল হিসেবে ডিজাইন করা এবং এপ্লিকেশনে এখনো প্রতিটা ফিচারের আলাদা একসেস পারমিশন অপশন এড করা হয়নি, তাই আমি পার্সোনালি আপনাদের বুকমার্ক পেজটা সাজিয়ে দেব। এজন্য ইনবক্সে আপনার থিংকার username/email এর সাথে একটা টেক্সট বা এক্সেল ফাইলে পছন্দের লোকদের লিংক সেভ করে পাঠাতে হবে। লিংকের সংখ্যা কম হলে সরাসরি ইনবক্সেও লিংক দিতে পারেন।
ঠিক এরকম একটা জায়গা পৃথিবীর কোথাও থাকলে ভালো হতো। এই গাছটার নিচে বইসা থাকতাম। এই পরিবেশটার VR সংস্করণ বানানোর প্ল্যান আছে। একটা Oculus Rift কেনা দরকার।
VR যখন অনেক উন্নত হবে তখন মানুশ তাদের প্রিয় প্রিয় পরিবেশ তৈরির কাষ্টম অর্ডার দিবে বলে আমার মনে হয়। ফেসবুক তো VR দিয়ে রিমোট অফিস মিটিং চালু করতেছে। এন্টারটেইনমেন্ট থেকে শুরু করে ট্রাভেল পর্যন্ত VR দিয়ে হবে একসময়। ব্রেইন চোখ থেকে ইনপুট নিয়ে আমাদেরকে যে বাস্তবতা দেখায়/উপলদ্ধি করায়, ঐ লেভেলের সিমুলেশন একসময় VR দিয়ে সম্ভব হবে। গায়ে বৃষ্টি-বাতাস লাগার অনুভূতি, ফুলের গন্ধ, এসবও কৃত্তিমভাবে ব্রেইনের ভেতরে তৈরি করা সম্ভব। তখন এই পরিবেশ বাস্তব থেকেও বেশী ভালো লাগবে আপনার। কারণ, বাস্তবে আপনার নাক, চোখ ও নার্ভ সিস্টেম অতটা ভালো না দুনিয়ারে পুরোপুরি ফিল করার জন্য।
তাতিয়ানার আজকে ফাইনাল পরিক্ষা শেষ হয়েছে। আগামী বছর থেকে সে ক্লাশ ওয়ানের ছাত্রী হবে। আমি ঠিক করেছি তাতিয়ানাকে এখন থেকেই স্বনির্ভরতা ও বাস্তব জ্ঞান অর্জনের শিক্ষা দেব। বাসার ভেতরে ওকে একটা স্মল বিজনেস খুলে দেব। সেখানে আমি এক হাজার + ফারাহ এক হাজার = দুই হাজার টাকা ইনভেস্ট হবে। তাতিয়ানা ওয়ার্কিং পার্টনার হিসেবে কাজ করবে। তিনজনের ৩০% করে শেয়ার, কোম্পানীর শেয়ার ১০%।
দুই হাজার টাকা ক্যাপিটাল দিয়ে তাতিয়ানা একটা বক্স, চা, কফি, শ্যাম্পু মিনি প্যাক ও এটা সেটা কিনবে, যেগুলো আমাদের প্রায়ই কিনতে হয়। বাইরে থেকে এসব জিনিষ আমরা আর না কিনে ২০% বেশী প্রাইসে ওর কাছ থেকে কিনবো। যতদিন পর্যন্ত % হিসাব ও করতে পারবে না, ততদিন আমরা প্রাইসট্যাগ লিখে দেব। কিন্তু, কোন জিনিষ কত টাকায় কিনলো এবং কতটাকায় বিক্রি করলো, এই হিসাব এখন থেকেই ওর নিজের করতে হবে। যোগ-বিয়োগ করে বের করবে, কত টাকা প্রফিট হলো। এতে যোগ-বিয়োগের বাস্তব প্রয়োগ সম্পর্কে ওর ধারণা পরিষ্কার হবে। তারপর প্রতি মাসের প্রফিটকে তিন ভাগ করে তিন পার্টনারের মাঝে বন্টন করবে। ভাগ করার ব্যপারটা কিভাবে কাজে আসে, এটা ওর কাছে পরিষ্কার হবে তাতে।
প্রতি মাসে ওর নিজের ভাগের টাকাগুলো জমিয়ে রাখবে অথবা রি-ইনভেস্ট করবে। টাকার পরিমান যথেষ্ঠ হলে একটা ব্লেন্ডার ও আনুসাঙ্গিক জিনিষপত্র কিনে জ্যুস কর্ণার খুলতে বলবো। এই জ্যুস কর্ণার যেহেতু পুরোপুরি ওর নিজের প্রফিটের টাকায় গড়া, তাই এর পুরো মালিকানা ওর নিজের হবে। ফলে, জ্যুস কর্নার থেকে যা যা বিক্রি করবে তার পুরো প্রফিট ওর নিজের হবে। এতে বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে ওর ধারণা তৈরি হবে। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের জ্যুস, লাচ্ছি, স্যান্ডউইচ বানানো শিখবে। এই ব্যবসা থেকে টাকা জমাতে থাকবে আরো বড় কোন বিজনেস করার জন্য।
নিজের ছোট খাবারের দোকান চালানোর জন্য সেলফ সোর্সিং শেখাবো। বারান্দায় দুই/তিনটা টবে আলু গাছ লাগিয়ে সেই গাছের আলু ভেজে বিক্রি করে দেখবে, কেমন প্রফিট হয়। বাজার থেকে আলু কেনার খরচ বেঁচে যাওয়াতে কিভাবে প্রফিট বেড়ে গেল, সেটা ও নিজেই বুঝতে পারবে। এতে রিটেইলের পাশাপাশি প্রোডাকশন ব্যপারটা বুঝতে পারবে, সেই সাথে আলু চাষ করতে গিয়ে কৃষি বিজ্ঞানের হাতে-খড়ি হবে।
আরেকটু বড় হওয়ার পর তার এই আলু ক্ষেতের কষ্টিং ক্যালকুলেট করতে বলবো। আমাদের বাসার প্রতি স্কয়ার ফিটের ভাড়া + আলুর বীজ + সার (যদি লাগে) + ডেইলি বা উইকলি লেবার ক্যালকুলেট করে ও প্রোডাকশন কষ্ট বের করবে। বাজারে আলুর কেজি এবং বারান্দার ছোট আলুক্ষেতে উৎপাদিত আলুর কেজি তুলনা করে ও বুঝতে পারবে এভাবে আলু চাষ করাটা লাভজনক কিনা। ফিজিবিলিটি স্টাডির হাতে-খড়ি হবে তাতে।
আরেকটু বড় হলে ওকে ওয়েব ডিজাইন এবং প্রোগ্রামিং শেখাবো। ও নিজের শেখা জ্ঞান ব্যবহার করে নিজের ই-কমার্স সাইট তৈরি করবে। সেই সাইট থেকে শুধুমাত্র আমরাই না, আমাদের ফ্যামিলির সবাই এবং ওর বন্ধু-বান্ধবরা কিনতে পারবে। বিজনেস স্কেল বাড়বে সাথে টেকনোলজি কিভাবে বিজনেসে হেল্প করছে, বুঝতে পারবে। তখন কফি, চকলেট, জ্যুস, স্যান্ডুইচের পাশাপাশি জামা-কাপড়, জুতাও এবং আরো অনেক কিছু বিক্রি করতে পারবে। এগুলোর মার্কেটিং করতে হবে কিভাবে শেখাবো। তাতে মার্কেটিং এর হাতে-খড়ি হবে। আবার— ভেন্ডর, কাস্টমার, ইনভেন্টরি, রেভিনিউ, প্রফিট, লস ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবে।
যেহেতু ই-কমার্সের প্রোডাক্ট ডেলিভারীর ব্যপার আছে, তাই থার্ড পার্টি কোন সার্ভিস ব্যবহার করা শেখাবো। রিয়েল লাইফ বিজনেস ও ইন্টিগ্রেশনের ব্যপারে ধারণা তৈরি হবে তাতে। ব্যবসা আরেকটু বড় হলে বেতন দিয়ে দুই/চারজন লোক নেয়ার প্রসেসে কিভাবে আগাতে হয়, দেখিয়ে দেব। এটা ওর বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও টীম ওয়ার্কের ধারণা পরিষ্কার করবে।
বছরের পর বছর ধরে এরকম টুকিটাকি অনেক ব্যপারের সাথে পরিচিত হতে থাকবে যা পড়ালেখার বিষয়গুলোর উপযোগীতা ওর কাছে পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। ক্লাশ টেন পার হওয়ার আগেই ওর ব্যবসা এমন একটা লেভেলে চলে যাবে যে— বাসা থেকে ওকে আর হাত খরচ নিতে হবে না। স্কুল-কলেজে যা পড়াচ্ছে, এগুলো ওর কাছে মিনিংফুল হবে। পড়ালেখা করে, অনলাইন রিসার্চ করে নিজের ব্যবসা নিজেই বড় করতে থাকবে এবং নিজেকে সমৃদ্ধ করতে থাকবে।
একটা ছেলে বা মেয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেই চাকরি/ক্যারিয়ার নিয়ে যে প্রেশারটায় পড়ে, এটা তার অনেক সম্ভবনা নষ্ট করে দেয়। যদি কলেজ থেকেই তারা ক্যারিয়ার নিয়ে কাজ শুরু করতো তাহলে এই সমস্যাটা হতো না। কমপক্ষে ভার্সিটি প্রথম বর্ষ থেকে।
আবার, এই ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন হওয়া ও কাজ শুরু করার ফলে পড়ালেখাও তার কাছে অর্থবহ হতে শুরু করে। ধরুন, একজন একাউন্টসের স্টুডেন্ট। সে যদি কোন প্রতিষ্ঠানে পার্ট টাইম একাউন্টেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে, তখন সে পাঠ্যবইয়ের পড়ায় আরো বেশী মনোযোগ দিতে পারবে। তার কৌতুহল বাড়বে নিজের সাবজেক্ট নিয়ে। এদেশের স্টুডেন্টরা অযথা প্রচুর সময় নষ্ট করে। এই প্রবনতা কমে আসবে।
আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে, অধিকাংশ স্টুডেন্টরা জানে না যে ক্যারিয়ার নিয়ে এত আগে কাজ করতে হয়।
দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে, কী করবে... কিভাবে করবে, এই গাইডলাইন নাই।
তৃতীয় সমস্যা, কাজ বা ব্যবসা করার জন্য যে লিংক ও যোগাযোগ দরকার, সেগুলোও অধিকাংশের নাই।
ভার্সিটিয়ানে এই তিনটি সমস্যারই সমাধান করা হয়েছে। এবছরের ভেতরেই আমরা স্টুডেন্টদের সচেতনতা, গাইডলাইন ও যোগাযোগ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার কাজগুলো শুরু করবো।
কিছুদিন পরে যখন আপনি ভার্সিটিয়ানে বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলোর পেজে যাবেন, এরকম প্রতিটা ভার্সিটির পেজেই বাংলার সকল কৃতি সন্তানদের দেখতে পাবেন। এদের প্রত্যেকের জন্য উইকির মত একটা পেজও বানাচ্ছি আমরা..। উইকির মত শুধুই বোরিং তথ্য না বরং স্টুডেন্টরা ফলো করতে পারে, এমনভাবে তাদের প্রোফাইল সাজানো হবে। টাইমলাইন স্টাইলে। সেখানে তাদের একাডেমিক কৃতিত্ব এবং ক্যারিয়ার গড়ার স্টেপগুলো থেকে শুরু করে অনেক কিছুই থাকবে।
ভার্সিটির পেজগুলোর মত স্কুল-কলেজের পেজও পরে আসবে। তাতে বাংলাদেশের সমস্ত কৃতি সন্তানদের হাইলাইট করা সম্ভব হবে। এদের সকলের আলাদা লিস্টও পাবেন। মানে, একসাথে আপনি বাংলাদেশে সমস্ত কৃতি ব্যক্তিত্বের তালিকা + প্রোফাইল পাবেন। আর এ-সবই করা হচ্ছে নবীনদের পথ দেখাতে... মোটিভেট করতে। ভার্সিটিয়ান তরুনদের মেন্টর হিসেবে কাজ করবে।
আর হ্যাঁ, এরকমটা পুরো পৃথিবীর জন্যই করা হচ্ছে.. কিন্তু বাংলাদেশের প্রায়োরিটি আগে :)
যোগ্যতা ব্যপারটা শুধুমাত্র সার্টিফিকেট আর প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক না। বাংলাদেশের কথাই ধরুন। এখানে বড় বড় পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে কয়টা সীট? এর বাইরে যোগ্যরা নাই? আছে! একটা বড় সংখ্যার যোগ্য লোক ভালো ভার্সিটিগুলোতে চান্স পায় না। এদের যোগ্যতা প্রমাণের একটা টুল হবে ভার্সিটিয়ান।
আপনি কোথায় পড়ছেন বা রেজাল্ট কেমন হচ্ছে, সেটাই বড় কথা না। আপনি কী শিখছেন, কতটুকু জ্ঞান অর্জন করছেন এবং বর্তমান ও ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য নিজেকে কতটুকু উপযুক্ত করে তুলছেন, সেটা হচ্ছে আপনার আসল যোগ্যতা। এই যোগ্যতা অর্জন ও প্রমাণের প্লাটফর্ম বানাচ্ছি আমরা।
আগামী কয়েক দশকের ভেতরে বেকার সমস্যা হবে পৃথিবীর প্রধানতম সমস্যা। বেকারদের যদি সরকারী ভাতা দিয়ে সন্তুষ্ট করা না যায়, তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে জনগন ভার্সেস রাষ্ট্র। আর এই দুর্যোগের দিনগুলোতে ভার্সিটিয়ান আপনাকে হেল্প করবে জব পেতে, বেটার ক্যারিয়ার গড়তে।
আমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম কলেজে থাকতে। ভার্সিটিতে উঠতে উঠতে আমার তৈরি করা হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাজারে চলে এসেছিলো এবং আমি নিজের সমস্ত খরচ নিজের কাজ থেকে তুলতে শুরু করেছিলাম। এগুলো মূলত আমি সেল্ফ মটিভেটেড হয়ে করেছিলাম। তবুও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেক ভুল করেছে, অনেক জায়গায় ধীর গতিতে এগিয়েছি, অনেকবার ভুল পথে সময় নষ্ট করেছি। কিন্তু আমার সবচাইতে বড় গেইন ছিলো অন্য দিকে। যেহেতু পড়ালেখার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে জড়িয়ে গিয়েছিলাম সেহেতু পড়ালেখাটা আমার কাছে অনেক অর্থবহ ছিলো। আমাদের এডুকেশন সিস্টেম এত বাজে হওয়ার পরেও কলেজ ও ভার্সিটির বইগুলো থেকে আমি অনেক শিখতে পেরেছি, সেগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পেরেছি। আমি মনে করি, প্রতিটা স্টুডেন্টের উচিত পড়ালেখার পাশাপাশি কোন না কোন কাজের সাথে জড়িয়ে যাওয়া। এতে করে পড়ালেখা থেকে সত্যিকার অর্থেই কিছু শেখা যাবে, স্কিল বাড়বে ও অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। আর বোনাস হিসেবে কিছুটা অর্থও উপার্জন হবে। এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর ক্যারিয়ার গড়তে সহজ হবে। ২ বছরের কলেজ লাইফ ও ৪/৫ বছরের ভার্সিটি লাইফ মিলে ৬/৭ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা একজন মানুষকে গড়ার জন্য যথেষ্ঠ। কেউ যদি কলেজ লাইফ থেকেই শুরু করতে না চায় তবুও ভার্সিটির ৪/৫ বছরের অভিজ্ঞতা অনেক হেল্প করবে। পাশাপাশি উপার্জিত অর্থের একটা অংশ জমাতে পারলে সেটা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে আসে।
এই পুরো ব্যপারটা স্টুডেন্টদের জন্য সহজ করতে, তাদের একাডেমিক দিকগুলোতে হেল্প করতে ও পরবর্তীতে ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করার জন্য গত ছয় বছর ধরে একটা প্লাটফর্ম দাঁড় করাতে কাজ করছিলাম। প্রজেক্টটা এখন ম্যাচিউর স্টেজে আছে এবং খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যপি শুরু হবে।
এই ব্যপারটা এখানে শেয়ারের একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারদের কাছ থেকে একটা বিষয়ে মতামত জানা। পড়ালেখার পাশাপাশি কোন না কোন কাজের সাথে জড়ানোকে আপনারা কিভাবে দেখছেন? বা এই বিষয়ে আপনাদের মতামত কী?
একসময় আমার ধারণা ছিলো একটা দেশের রাজনীতি ঠিক করলে দেশটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পরে দেখলাাম, মানুষ ঠিক না করে শুধু রাজনীতি ঠিক করে কোন লাভ নাই। ইন ফ্যাক্ট, মানুষ ঠিক না থাকলে রাজনীতিবিদরাও ঠিক হয় না। কারণ, তারা জনগনেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এই উপলদ্ধি আমার জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমার সমস্ত চিন্তা-ভাবনা, কাজকর্ম, প্রজেক্ট.. সবকিছুরই একটা মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ ঠিক করা। এর জন্য যে কয়েকটা প্রজেক্ট আমি হাতে নিয়েছি তার ভেতরে আছে-
১) বই লেখা (টপিকঃ প্যারেন্টিং, কমনসেন্স ও কার্টেসি, সার্ভাইভাল ও ব্যবহারিক জ্ঞান, হিউম্যান সিভিলাইজেশন ও হিস্টোরী)
২) শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্টুডেন্টদের নিয়ে কাজ করার জন্য একটা প্লাটফর্ম। কর্মসংস্থানের ব্যপারেও এই প্লাটফর্ম ম্যাসিভলি হেল্প করবে। এটা আমার সবচাইতে বড় ও দীর্ঘমেয়াদি দু'টো প্রকল্পের একটি। একইসাাথে আমার ক্যারিয়ারেরও অংশ।
৩) গ্রীন ব্লাড প্রকল্প (এটা একটা সামাজিক আন্দোলন। একটা কমিউনিটি দাঁড়াবে। কর্মজীবন থেকে অবসরের পর এটার কার্যক্রম শুরু হবে। এখন প্রস্তুতিপর্ব চলছে..)
এগুলো আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য... purpose of my life.