২২৮৭৫ জন ফলোয়ারের ভেতরে ২১ ঘন্টায় ৬৩৩০ জনের নজরে এসেছে এই পোস্ট। আর ৩ ঘন্টা পর হয়তো সংখ্যাটা ৭ হাজারে পৌঁছাবে। সেক্ষেত্রে ৩০.৬% ফলোয়ারের নজরে (রিচ) যাচ্ছে পোস্ট। আগে কতজনের কাছে যেত জানা গেলে বুঝা যেত পরিবর্তনটা। মাসখানেক আগে ত্রিভুজ ডট নেটেের আর্টিকেল লিংক শেয়ার করার পর ২৪ ঘন্টায় প্রায় চার হাজার লোক ভিজিট করেছিলো সেই লিংক। সে হিসেবে রিচ বেড়েছে বলা যায়।
ফেসবুকের এই নতুন ফিচারগুলো ভালো লেগেছে। বেশী ভালো লেগেছে লেখালেখি থেকে মানিটাইজেশনের অপশনটা (যদিও বাংলাদেশে পুরোপুরি চালু হয়নি)।
গত বছর যখন লেখালেখি থেকে মানিটাইজেশন করার আইডিয়া শেয়ার করেছিলাম, তখন অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। ফেসবুকের মানিটাইজেশন চালু হওয়াতে এই ট্যাবু ভাঙা সহজ হবে। আবার— ফেসবুক শুধুমাত্র লেখকদের মানিটাইজেশন অপশন রেখেছে। আমি লেখক-পাঠক উভয়ের জন্যই মানিটাইজেশন ইন্ট্রোডিউস করতে যাচ্ছি থিংকার ক্লাউডে। ফলে, কারো লেখা ভালো লাগলে নিজের পকেট থেকে পে করতে হবে না পাঠকদের, আবার লেখকরাও তাদের সম্মাননা পাবেন।
ওভারঅল— ইটস অ্যা গুড মুভ মেটা (ফেসবুক)। কিপ ইট আপ!
আমাদের ডাটাবেসে পৃথিবীর ৯৯,৬৮১-টা জিও লোকেশন এবং ৪২,৬০৯-টা শহরের তথ্য আছে। এর ভেতরে কমপক্ষে ১০ হাজার বড় শহরে Town-Center তৈরি করার স্বপ্ন আছে আগামী দশ বছরে। পৃথিবীর ৮ বিলিয়ন লোকের ভেতরে কমপক্ষে ৪ বিলিয়ন লোক একদিন টাউন-সেন্টারের সিটিজেন হবে, এই স্বপ্ন নিয়ে কাজ করছি।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর বেটা রিলিজ হবে। এর মাঝে বাংলাদেশে দু'টো সিটি + আমেরিকায় একটা সিটি + ইংল্যান্ডে একটা সিটিতে পাইলটিং শুরু হবে। বাংলাদেশ বা দেশের বাইরে থেকে যারা কোন সিটিতে টাউন-সেন্টার শুরু করতে চান, তারা এখন থেকেই এপ্লাই-এ ক্লিক করে আবেদন করে রাখতে পারেন। রিলিজের পর থেকে আমরা যোগাযোগ শুরু করবো।
যারা থিংকার ক্লাউড থেকে ইতিমধ্যে আবেদন করে রেখেছেন, তাদের এখানে পুনরায় আবেদন করতে হবে না।
Town-Center জিনিসটা কী হইতে যাইতেছে, এটা যদি ইলন মাস্ক টের পায়, তাহলে ঝামেলা আছে অনেক।
ইলনরে টের পাইতে দেয়া যাবে না! :P
আমার ভার্চুয়াল সেটেলমেন্ট।
ছোটবেলা আমার একটা শহর তৈরির স্বপ্ন ছিলো। ওয়েস্ট্রান বইগুলোতে সেটেলারদের কান্ড-কারখানা দেখে এই স্বপ্ন ঢুকেছিলো মাথায়। বাস্তবে তো এই ধরনের শহর তৈরি সম্ভব না এখন আর, কিন্তু ভার্চুয়ালি সম্ভব। একটা শহরে যা যা থাকে, থিংকার Town Center এর ভেতরে তার সব যোগ করবো ধীরে ধীরে। এর একটা হচ্ছে প্রয়োজনীয় দোকানপাট।
ছয় ধরনের ই-কমার্স থাকবে প্রতিটা টাউনসেন্টারের সাথে। কম্পিউটার, মোবাইল, ইলেক্ট্রনিক্স, বুকস, ফ্যাশন ও গ্রোসারী (বা মুদি দোকান)। টাউন সেন্টার যারা চালাবে, তারা এই দোকান/ই-কমগুলো পরিচালনা করবে।
সাহিত্যে সিন্ডিকেট
একসময় ভাবতাম সাহিত্যের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে কাজ করবো। এখন তা ভাবি না। সিন্ডিকেটের দরকার আছে। আমি বরং সিন্ডিকেটগুলো আরো উস্কে দিতে সাহায্য করতে চাই। থিংকার ক্লাউডের ক্লাব ম্যানেজমেন্ট প্লাটফর্ম দিয়ে আপনারা সিন্ডিকেট ম্যানেজ করতে পারবেন। নতুন সিন্ডিকেটও বানাইতে পারবেন। ওয়েলকাম!
ভার্সিটিয়ান-থিংকার প্রজেক্ট একটা স্টেজে চলে আসার পর এগ্রোতে ইনভেস্ট করবো। তখন এরকম একটা সেটাপ তৈরি করবো। চারপাশে বিস্তীর্ণ চাষের জমি + দীঘি আর মাঝখানে এরকম নিজের বাসা ও ফুড প্রসেসিং প্ল্যান্ট। থিংকারের সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে রিসোর্ট টাইপ এই সেটাপ। ইলন মাস্কের স্টার লিংক ও সোলার সিস্টেম লাগাবো। পুরোপুরি অফ গ্রিড!
বেঁচে থাকলে আগামী দশ বছরের ভেতরে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে ফেলতে পারবো ইনশা'আল্লাহ। বাকী জীবন এরকম কিছুর সাথেই কাটানোর ইচ্ছা।
প্যারেন্টিং - ৫৬
বাচ্চাদের প্যারেন্টিং এর তিনটা ধাপ আছে—
১) প্রথম হাজার দিনঃ প্রেগনেন্ট হওয়ার দিন থেকে এই ১ হাজার দিন কাউন্ট শুরু হয়
২) Toddler - হাঁটিহাটি পা পাঃ প্রথম ১ হাজার দিন পার হওয়ার পর থেকে ৫ বছর বয়স পর্যন্ত
৩) Kid বা শিশুকালঃ ৫ থেকে ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত
প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মাঝে আরেকটা ধাপ আছে যেটাকে infant (ছানা) বলে। প্রথম ১ হাজার দিনের ভেতরে এটা কেটে যায়, তাই আলাদা করে ধরা হয়নি এখানে।
আমাদের দেশের স্কুলিং সিস্টেমে এই ধাপগুলো মানা হয় না। হলে ১৩ বছর পর্যন্ত প্রাইমারী স্কুল বা জুনিয়র স্কুল এবং ১৩ এর পর থেকে হাই স্কুল শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু দেশ না মানুক, আপনি-আমি তো মানতে পারি। বাচ্চাদের এডুকেশন থেকে শুরু করে সবকিছু এই তিনটা ধাপ মেনে করা সবচাইতে ভালো। সেভাবেই সব সাজাচ্ছি কিডস প্লাটফর্মে ও আমার প্যারেন্টিং বইয়ে।
দেশের প্রচলিত এডুকেশন সিস্টেমের সাথে এই ধাপগুলোকে কিভাবে এডজাস্ট করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে অনেক। বিশেষ করে আমাদের দেশের অভিভাবকরা যেখানে বাচ্চা সঠিক বেড়ে উঠার চাইতে স্কুলের রেজাল্টকে বেশী গুরুত্ব দেয়, সেখানে এই কাজটা বেশ কঠিনই বলা যায়।
কিন্তু, এরকম সচেতন প্যারেন্টও আছে যাদের কাছে বাচ্চার সঠিক বেড়ে উঠা বেশী গুরুত্বপূর্ন। তাদের উচিত অন্যদেরও সচেতন করা। কারণ, একা ভালো প্যারেন্ট হয়ে লাভ নেই তেমন। বাচ্চাদের উপযোগী ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আপনাকেও ভূমিকা রাখতে হবে।
আজ হতে ২২ বছর আগে যখন আমি কলেজে পড়ি তখন ভারতীয় একটা আইটি ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটে সি++, জাভা ও ডাটাবেস ডিজাইন (MS SQL SERVER) শিখে একটা হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বানিয়েছিলাম। ডিস্ট্রিবিউটেড এপ্লিকেশন। সেই এপ্লিকেশন আমি অনেকগুলো হসপিটালের কাছে বিক্রি করেছিলাম।
ঐ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পদ্ধতি খুবই চমৎকার ও ইফেক্টিভ ছিলো। নো ওয়ান্ডার, ভারতীয়রা আইটিতে আজ এত এগিয়ে! বাংলাদেশে এখনো ঐ মানের সিলেবাস ও শিক্ষা পদ্ধতির কোন ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট দেখি নাই। হয়তো আছে, আমার চোখে পড়ে নাই। বাংলাদেশী যে কয়টা প্রতিষ্ঠান আমার চোখে পড়েছে তাদের কোনটারেই সেই ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের কোয়ালিটির কাছাকাছিও যেতে দেখি নাই।
সেই ভারতীয় ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটগুলো বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশীরা কেন ঐ মানের প্রশিক্ষন কেন্দ্র তৈরি করতে পারলাম না? নাকি আছে ওরকম কিছু? জানতে চাই।
জানতে চাই একারণে যে— থিংকার টাউন সেন্টারগুলোতে যারা সদস্য হবে, তাদেরকে ও তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন আমরা ভালো ও কার্যকরী প্রশিক্ষন কেন্দ্রের খোঁজ দিতে পারি।
ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে এধরনের প্রতিষ্ঠান যদি না থাকে, আমরা সাহায্য করবো তৈরি করতে। প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ও কনটেন্ট তৈরির দিক নির্দেশনা দেয়া হবে আমাদের তরফ থেকে।
আমরা চাই এধরনের অনেক প্রতিষ্ঠান তৈরি হোক এদেশে। আগ্রহীরা ইনবক্স কিংবা ইমেইলে (trivuz@জিমেইল) যোগাযোগ করতে পারেন।
জন্মদিনে যারা শুভেচ্ছা জানাইছেন এবং জানান নাই কিন্তু আমারে ভালোবাসেন, তাদের সকলরেই ধন্যবাদ দিতে চাই। কিন্তু সেটা শুধুমাত্র লিখিত বা মৌখিক ধন্যবাদ জানিয়ে না বরং কাজের মাধ্যমে। এই কাজের একটা হচ্ছে থিংকার টাউন সেন্টার। মনে আছে, কত কত আইডিয়া শেয়ার করেছি গত পাঁচ/ছয় বছর ধরে?
- গরীব লোকদের ডাটাবেস, যেখান থেকে দান করার মত কাউকে খুঁজে বের করতে পারবেন এরকম প্লাটফর্ম
- গরীব ছাত্রদের কম্পিউটার কিনতে হেল্প করা বা আপনাদের বাসা পড়ে থাকা পুরানো কম্পিউটার পার্টস ডোনেট করে সুবিধা বঞ্চিত কাউকে বিনামূল্যে একটা কম্পিউটার বিল্ড করার প্লাটফর্ম
- প্রাকৃতিক দূর্যোগে এক হয়ে কাজ করার একটা প্লাটফর্ম
- একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার প্লাটফর্ম
- প্রশ্নের উত্তর ও তথ্য দিয়ে সাহায্য করার প্লাটফর্ম
- লোকজনকে কিছু আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্লাটফর্ম
এবং এরকম আরো অনেকগুলো আইডিয়াই তো শেয়ার করেছিলাম। বিচ্ছিন্নভাবে এসব প্লাটফর্ম তৈরি করা সম্ভব হলেও সাসটেইন করা খুব কঠিন। কিন্তু যদি এরকম হয় যে, অন্য কোন সাসটেইনেবল প্লাটফর্মের ভেতরে এড-অনস হিসেবে এই সেবাগুলো থাকে, তাহলে কিন্তু সম্ভব। আর Thinkr এর এই Town Center জিনিষটা ঠিক তাই। থিংকার প্লাটফর্মের জন্য তৈরি করা বিভিন্ন মডিউল ও কমিউনিটি ফিচারের সমন্বয়ে এটা তৈরি।
৬৪ জেলা ক্যাম্পেইন যখন শুরু করবো তখন প্রতিটা জেলায় কমপক্ষে একটা করে টাউন সেন্টার সেটাপ করে আসবো। প্রতিটা টাউন সেন্টারের একজন লিডার থাকবে (মেয়রের মতন) আর কিছু কেন্দ্রীয় সদস্য। টাউন সেন্টারে ঐ এলাকার লোকজন জড়ো হবে, পাঠচক্র তৈরি করবে, সাহিত্য চর্চা করবে, একাডেমিক হেল্প পাবে, তথ্য পাবে, এবং কমিউনিটির সাহায্য নিয়ে নিজের ভালো কাজগুলোকে ছড়িয়ে দিতে পারবে। ব্যবসা বানিজ্য নিয়েও কিছু ব্যাপার আছে। পাশাপাশি কমিউনিটির সদস্যরা মিলে উপরের চ্যারিটি কার্যক্রমগুলোতেও সহায়তা করতে পারবে।
এই কেন্দ্রের নাম 'Town Center' না দিয়ে আরো ভালো কী দেয়া যায়, সেটা নিয়েও ভাবছি। এখন পর্যন্ত টাউন সেন্টারই যথার্থ মনে হচ্ছে।
৬৪ জেলায় ট্যুর দেয়ার সময় অন্তত ৬৪ জন লেখক খুঁজে বের করার চেষ্টা করবো যাদের লেখা পড়ার জন্য পাবলিক বছরে ১০০ টাকা দিয়ে তাদের সাবসক্রাইব করতে রাজী হবে। অন্তত তিন হাজার লোক যদি একজন লেখকরে সাবক্রাইব করে, সেই লেখকের মাসিক আয় দাঁড়ায় ২৫ হাজার টাকা। একজন ভালো লেখকরে এই আয় কিছুটা রিলাক্স করবে এবং আমরা আরো বেশী ভালো ভালো লেখা পাবো।
এরকম আরো অনেক প্ল্যান আছে।