পরিকল্পনা

সাতটা উপাদান আমাদের প্রতিদিন লাগে। একটা ফুড শপের ক্যাটাগরি সাজানো উচিত এই উপাদানগুলো দিয়ে। আমাদের টাউন-সেন্টারের ফুড শপে এভাবে থাকবে।

লোকজন এই উপাদানগুলো বিবেচনা করে গ্রোসারি কিনলে আমরা একটা সুস্থ-সবল ও বুদ্ধিমান জাতি তৈরি করতে পারবো। তাই, আইডিয়াটা ওপেন করে দিলাম। এই আইডিয়া অন্যরাও কপি করতে পারেন। এর ভেতরে আরো কিছু সুক্ষ বিষয়ও আছে, চাইলে পরামর্শ করতে আমার অফিসে আসতে পারেন।

প্রতিটা ব্যাক্তিরই কিছু না কিছু দেয়ার আছে। সময়-সুযোগের অভাব ও নানাবিধ কারণে সবাই নিজে থেকে তা দিতে পারে না। একটা প্লাটফর্ম লাগে এরকম লোকদেরকে সুযোগ দেয়ার জন্য।

আমি এরকম একটা প্লাটফর্ম তৈরির চেষ্টায় আছি। কতটুকু সফল হবো তা সময় বলে দিবে।

চ্যারিটি ফাউন্ডেশনগুলো কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুব সহজেই নিজেদের সমস্ত আয়-ব্যায় ও একটিভিটিসরে ট্রান্সপারেন্ট করতে পারে। থিংকার ক্লাউড থেকে এরকম একটা সিস্টেম তৈরি করে ফ্রি বিতরন করবো কিনা ভাবছি।

একটা ফাউন্ডেশন কিভাবে কত টাকা কালেকশন করলো এবং যারা ডোনেট করলো তারা অনলাইন থেকেই চেক করতে পারলো তার টাকাটা মূল ফান্ডে যোগ হয়েছে কিনা এবং সেটা কোথায় কিভাবে খরচ হলো, এরকম একটা ইনফরমেশন সিস্টেম। প্রতিটা টাকার হিসাবে এখানে ট্রান্সপারেন্ট হবে।

এরকম কিছু বানালে সফটওয়্যার/অ্যাপরের জন্য টাকা নেব না, ফ্রি বিতরন করবো। এটা আমার একটা চ্যারিটি হবে।



থিংকার কিডসের জন্য আমরা এই 7" e-Ink টাচ কালার ডিসপ্লে ডিভাইসটা ডিজাইন করেছি। আমেরিকার মার্কেটে এটা রিলিজ হবে। বাংলাদেশ মার্কেটে এধরনের প্রোডাক্ট কেমন চলতে পারে যাচাই করা হচ্ছে এখন। ডিভাইসের ক্ষেত্রে কোন প্রফিট না রেখে ২৫ হাজারে মার্কেটে দেয়া সম্ভব। সেই সাথে ৫ হাজার টাকার থিংকার ক্রেডিট (তাহলে ২০ হাজার টাকা খরচ পড়ে)।

এখন পর্যন্ত আমাদের মার্কেট এনালাইসিস বলে চলার সম্ভবনা কম। তবে, আমেরিকান মার্কেটে যদি আমরা অন্তত এক লাখ ইউনিট বিক্রি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশ মার্কেটে সাবসিডি দিয়ে রিলিজ দেয়ার প্ল্যান আছে।
যারা বইটই পড়েন তারা বুক রিডার হিসেবে ২৫ হাজারে এই জিনিষ নিবে কিনা, সেটাও বুঝার চেষ্টা করছি। তাহলে থিংকার ক্লাউডের (eBook Reader) প্রোডাক্ট হিসেবেও এখানে রিলিজ দেয়া যায়।



বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় একটা টীম নিয়ে ঘুরে ঘুরে টাউন-সেন্টার সেটাপ করার যে প্ল্যান করেছিলাম সেটা এক্সিকিউট করতে প্রায় দুই বছর লেগে যেত। কিন্তু যদি ২০-২৫টা টীম বানিয়ে ফেলি তাহলে কয়েক মাসের ভেতরেই ৬৪ জেলা কাভার করা সম্ভব।

কিছুদিন আগে হিসাব করে দেখলাম— প্রতি জেলায় টাউন-সেন্টার শুরু করলে সেখানে যে টীম তৈরি হবে সেই টীম যদি পরের জেলায় ট্রেইনিং এর কাজটা করতে পারে, তাহলে চার মাসের ভেতরে ৩৯টা টীম ৬৪ জেলা কাভার করে ফেলতে পারে। ব্যাপারটা কতটা কার্যকরী হতে পারে তা বুঝার জন্য দু'টো টীম বানিয়ে একটা টীমরে গত ২ তারিখে এক জেলায় পাঠিয়েছি এবং দ্বিতীয় টীম আরেকটা জেলায় পাঠালাম। ফলাফল সন্তোষজনক। এভাবে সব জেলা থেকে টীম তৈরি করা গেলে এপ্রিলের ভেতরেই ৬৪ জেলায় টাউন-সেন্টার দাঁড়িয়ে যাবে।

এই প্ল্যানারে তার টাইম-লাইন বসানো হয়েছে। এখানে T1D1 মানে টীম-১ ডিস্ট্রিক্ট-১। প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ সাতটা টীম একসাথে কাজ করলে এপ্রিলের ১১ তারিখের ভেতরে ৬৪ জেলা কাভার হয়ে যাওয়ার কথা। আরো ১৯ দিন এক্সট্রা ধরে এপ্রিলের শেষ দিন পর্যন্ত প্ল্যান সাজিয়েছি (সবুজ ও নীল)। মে-র দুই তারিখ থেকে আমার মূল টীম নিয়ে ট্যুর শুরু করবো (লাল)। এক দিন বিরতি দিয়ে প্রতি তিন দিনে একটা জেলায় গেলে মে-ডিসেম্বর এর ভেতরে ৫৬টা জেলা কাভার করা সম্ভব। আমরা মূলত দু'টো উদ্দেশ্য নিয়ে বের হবো। ১) যেসব টাউন-সেন্টার চলছে সেগুলো উদ্বোধন করতে ও ইউটিউবের জন্য ভিডিও তৈরি করতে।

আগামী মে পর্যন্ত আমি এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় টীম এই ৩৯টা টীম ও ৬৪ জেলার টাউন-সেন্টার সমন্বয়ের কাজ করবে। যে ৩৯টা টীম জেলায় জেলায় ঘুরবে, তাদের যাওয়া-আসা ও থাকা-খাওয়ার খরচ টাউন-সেন্টার ম্যানেজ করবে। ফলে, ফ্রি দেশ ভ্রমণ এর সাথে টাউন-সেন্টার নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্কিং হবে। প্রথম ৩৯ টা জেলা থেকে এই ৩৯ টীম তৈরির পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যে দু'টো টীম হয়ে গিয়েছে। আর বাকী ৩৭।

বিঃদ্রঃ যারা টাউন-সেন্টারের জন্য এপ্লিকেশন করেছেন তাদের সাথে ধীরে ধীরে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আরো নতুন এপ্লিকেশন না পড়লে এই সপ্তাহের ভেতরে সকলের সাথেই যোগাযোগ সম্পন্ন হবে আশা করা যায়। সবার সাথেই কথা হবে। নতুন করে যারা আবেদন করবেন, তাদের সাথে আগামী সপ্তাহে যোগাযোগ হবে।

২০২৩ সাল একটা ভয়াবহ বছর হতে যাচ্ছে।
থিংকার ক্লাউডের আমেরিকান পার্টনারের সাথে মিটিং করছিলাম। এই ভয়াবহ সময়ের ভেতরে আমরা কমপক্ষে ২ হাজার লোকের জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করলাম। অন্তত অর্ধেকও যদি রিচ করতে পারি, এই ভয়াবহ সময়ে সেটার গুরুত্ব অনেক।



পান্ডা মার্ট থেকে কেনার এক মাসের ভেতরেই নষ্ট হয়ে গেল মাউসটা (ডানে)। অতঃপর সেই পুরাতন ভূত্যের মতন A4Tech OP-620D কিনলাম। বুঝা যাচ্ছে, ডান দিকের মাউসটা A4Tech এর নামে সীল বসানো নকল মাউস।
টাউন-সেন্টারের মার্কেটপ্লেসে আমরা এধরনের নকল প্রোডাক্ট আসলের নামে বেচতে দেব না। আপনি কপি প্রোডাক্ট বেচতে চান— ফাইন, অ্যাপলের কপি বিক্রির মত জানিয়ে বেচেন। পাবলিক জেনে কিনুক যে তারা নকল প্রোডাক্ট কিনছে।

কোয়ালিটি প্রোডাক্ট যারা বেচবে, তাদেরকে আমরা বিশেষভাবে প্রোমোট করবো। এটাকে আমরা দেশ ও জনগনের জন্য কিছু করার অংশ হিসেবে নেব। দেখা যাক কতদূর কী করতে পারি।



এধরনের একটা খামার করার ইচ্ছা আছে। তাই পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে আর মিস করলাম না। নোয়াখালীর উপকূলবর্তী (উড়ির চরের কাছে) এই খামারে (উপকূল খামার বাড়ি) ঘুরে দেখলাম সব। দারুণ অভিজ্ঞতা!

এমন একটা সোশ্যাল মিডিয়া যেটা—

+ স্ট্রেস বাড়াবে না বরং কমাতে হেল্প করবে
+ পজেটিভ ও ভালো বন্ধু বানাতে হেল্প করবে
+ জ্ঞান অর্জন ও পড়ালেখায় হেল্প করবে
+ ক্যারিয়ারে হেল্প করবে
+ ব্যবসা প্রসারে হেল্প করবে
+ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হেল্প করবে
+ বিপদে সাহায্য পেতে হেল্প করবে
+ মানসিক শান্তির সোর্স হবে

থাকলে ভালো হতো না?

মনে করেন আপনি একগাদা বইয়ের ছবি তুলে দিয়ে দিলেন আর vAi পই পই করে বইগুলো সব আপনার লাইব্রেরী অ্যাপে এন্ট্রি করে দিলো...! হাউ কনভিনিয়েন্ট! :D

গত এক বছর ধরে চেষ্টা করেও আমার লাইব্রেরীর বইগুলো সব থিংকার লাইব্রেরীতে এন্ট্রি করা হয়ে উঠতেছিলো না। এখন vAi উইল টেইক কেয়ার অব ইট! জনৈক মনীষী বলে গেছেন— জগতের সকল ভালো ভালো জিনিষ অলসরা তৈয়ার করিয়াছে। অতীব সইত্য কথা! :P

থিংকার ক্লাবের পেইড সদস্যরা আজকে থেকেই এই ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন (মেইল চেক করেন)। বাকীরা আগামী ২৫ ডিসেম্বর থিংকার ক্লাউড আর টাউন-সেন্টার রিলিজের পর একসেস পাবেন।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি