পরিকল্পনা

টাউন-সেন্টারে যেকেউ প্রোফাইল বানাতে পারবে এবং আমরা ক্যাটাগরি, দেশ, এলাকা হিসাবে সেগুলো লিস্ট করার অপশন দেব। প্রফেশনালরা নিজেদের ব্রান্ডিং করতে পারবে যা তাদেরকে ক্লায়েন্ট ও বিজনেস পার্টনার পেতে সাহায্য করবে। এখানে প্রোফাইলগুলো টিপিক্যাল সোশ্যাল মিডিয়ার মত হবে না।
নেটওয়ার্কিং এর জন্য একটা মাস্ট হ্যাভ টুল হিসেবে দাঁড় করাচ্ছি এটাকে। আগামী অক্টোবরে বেটা রিলিজের পর বিস্তারিত জানাবো।

আর কিছুদিনের ভেতরে টাউন-সেন্টার থেকে বাংলাদেশের সকল নিউজ শিরোনাম ও সামারি চেক করতে পারবেন। বাংলা ও ইংরেজী, দু'টো ভাষাতেই আমরা দেশের সকল নিউজ কাভার করতে যাচ্ছি। মূলত বিভিন্ন পত্রিকা থেকে লিংক শেয়ার করা হবে, সাথে আমাদের জেলা প্রতিনিধিরা আপডেট দিবে। এখানে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ন খবর এবং জেলা অনুযায়ী খবর দেখা যাবে।

অক্টোবর থেকে দেশের সকল জাতীয় দৈনিক এবং নভেম্বর/ডিসেম্বর থেকে বিভিন্ন জেলার নিউজ আপডেট শুরু হবে।

আগামী বছরের ভেতরে আরো কয়েকটা দেশের নিউজ এভাবে এক জায়গাতে পাওয়া যাবে। ২০২৬ এর ভেতরে অন্তত ৫০ টা দেশের নিউজ এবং ২০৩০ এর ভেতরে ২৪৭ টা দেশের ১০ হাজার টাউন-সেন্টার থেকে পুরো পৃথিবীর নিউজ আমরা কাভার করার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি।

টাউন-সেন্টার নেটওয়ার্কের ৪৫-টা জেলার প্রায় ৬০ জনের তথ্য মতে ইন্টারনেট সবচাইতে বেশী ক্ষতির কারণ হয়েছে লোয়ার মিডল ক্লাশের জন্য। দুই/তিন বছর আগে আমার প্রাথমিক এজাম্পশানও এরকমই ছিলো। বিশেষ করে যেসব ফ্যামিলির কেউ মধ্যপ্রাচ্যে থাকে, সেসব ফ্যামিলির ছেলে/মেয়েরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে (আমার সাথে আলাপ হওয়া) সকলের ধারণা।

বিষয়টা যদি আসলেই এরকম হয়ে থাকে, তাহলে এটা প্রেডিক্ট করা খুব সহজ যে একটা বিশাল শ্রেণী আবার গরীব হয়ে যাবে। লোয়ার মিডল ক্লাশের জন্য ইন্টারনেট বেশী ক্ষতিকর হওয়ার পেছনে সম্ভবত প্যারেন্টদের অজ্ঞতা ও উদাসীনতা দায়ী।

৬৪ জেলায় টাউন-সেন্টার চালু হয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়ে আমরা একটা জরিপ চালাবো।

থিংকার ক্যারিয়ারের প্লাটফর্ম CSAI beta2 রিলিজ হলো আজকে। প্রথম ১০০০ আর্লিবার্ড সদস্যদের ভেতরে যারা এখনো ইনভাইটেশন পাননি তাদেরকে আগামীকাল থেকে ইনভাইটেশন পাঠানো শুরু হবে। ইনবক্সে নক করতে হবে না, ইনভাইটেশন পেয়ে যাবেন আপনার সিরিয়াল আসলেই। আপনি দেরিতে ইনভাইটেশন পাচ্ছেন মানে আমাদের কাছে আপনার গুরুত্ব কম এরকম না, আসলে প্লাটফর্মটা খুব দ্রুত রিলিজ দিচ্ছি বলে অনেক কিছুই এখনো স্ট্যাবল না। আমরা চাই না পেইড ইউজাররা কোন ধরনের সমস্যা ফেস করুক, ফলে একটু দেরিতে হলেও আপনারা ভালো সেবা পান যাতে, সেটার নিশ্চয়তা দেয়ার চেষ্টা করছি।



এই প্লাটফর্মটা থিংকার কিডস, স্কুল, কলেজ (ভার্সিটিয়ান) এর পরে ২০২৫-এ রিলিজ দেয়ার প্ল্যান ছিলো। কোভিড পরিস্থিতি এবং হঠাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্রেক থ্রু-র কারণে দুই বছর আগেই ডেপ্লয় শুরু করেছি। সেই সাথে অনেক সীমাবদ্ধতার ভেতরে কাজ করতে হয়, বুঝতেই পারছেন! এই সীমাবদ্ধতাটুকু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো। আর প্রি-অর্ডার যারা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা!
এবছর আরো ৯ হাজার পেইড সাবস্ক্রাইবার নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যাদের সাবস্ক্রিপশন ফি হবে বছরে ১২ ডলার। আর স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রি। তবে, শুধুমাত্র ভার্সিটিয়ানের ভেরিফাইড স্টুডেন্টরা এই ফ্রি একসেস পাবেন। গত কয়েক বছর ধরে যারা ভার্সিটিয়ান ব্যবহার করছেন এবং একাউন্ট ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন, তারা আজকে থেকেই CSAI (CareerSKiLLAI .com)-এ একসেস করতে পারবেন।

থিংকার ক্লাউডে মাইগ্রেশন চলার কারণে ভার্সিটিয়ানে নতুন সদস্য নেয়া বন্ধ আপাতত। আগামী মাস থেকে আবার একাউন্ট তৈরি ও ভেরিফিকেশন প্রসেস শুরু হবে ভার্সিটিয়ানে। ভেরিফিকেশন প্রসেসে আপনার স্কুল/কলেজ/ভার্সিটির Varsitian Club ও Town-Center থেকে সাহায্য পাবেন। এবছরের ভেতরেই আমরা ৬৪ জেলায় টাউন-সেন্টার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আমি নিজে আগামী ১৮ জুলাই থেকে জেলায় জেলায় ট্যুর শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি এই নেটওয়ার্ক তৈরি করার জন্য।

বলে রাখা ভালো যে— স্টুডেন্ট ভেরিফিকেশন প্রসেসে আপনাদের কিছুটা খরচ হতে পারে যা সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত হবে। এটা এক-কালীন ফি এবং এই টাকাটা মূলত টাউন-সেন্টারের পরিচালক ও ভার্সিটিয়ান ক্লাবের সদস্যরা নিবে, আমাদের (থিংকার ক্লাউডের) একাউন্টে আসবে না। যেহেতু এধরনের প্রসেসে জনবল ও সময় খরচ হবে, তাই এই সামান্য ফি তাদের প্রাপ্য বলে আমরা মনে করি এবং আমরা এই ফি কালেক্ট করার অনুমতি প্রদান করবো। তবে কোন টাউন-সেন্টারের পরিচালক যদি মনে করে তারা ফি নিবে না, সেটা তাদের বিষয়। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন এবং ভার্সিটিয়ান ক্লাব কিংবা টাউন-সেন্টারের কার্যক্রমে জয়েন করে থাকেন, এই ফি-এর একটা অংশ আপনিও পেতে পারেন। ভার্সিটিয়ান ক্লাবের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হওয়ার পর এবিষয়ে ভার্সিটিয়ান ও টাউন-সেন্টারে আপডেট পাবেন। আমরা আগামী এক বছরে দুই লাখ স্টুডেন্টদের ভেরিফাই করার একটা ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করাতে কাজ করে যাচ্ছি।

ফেসবুক থেকে যারা CSAI এর জন্য প্রি-অর্ডার করেছেন, এই পোস্টটা মূলত তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া। সেই সাথে বেটা রিলিজের পোস্টের পর স্টুডেন্টদের ফ্রি একসেস পাওয়ার উপায় যারা জানতে চেয়েছিলেন, তাদের উদ্দেশ্য একটা ক্যাজুয়াল পোস্ট, তাই প্রফেশনাল টোন পরিহার করা হয়েছে এবং ভাষাগত অসতর্কতা থাকতে পারে। যেকোন ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান রইলো, সেই সাথে যেকোন প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।





লেক্স ফ্রিডম্যানের নেয়া মি.বিস্টের ইন্টারভিউ দেখতেছিলাম। মি.বিস্টের একটা একটা স্ট্রেটেজি ভালো লাগছে। সে ইন্ড্রাস্ট্রি থেকে এক্সপেরিয়েন্স লোক না নিয়ে ফ্রেশারদের নিজে ৫/৬ মাস ধরে ট্রেইনিং দিয়ে বানিয়ে নেয়। একসময় আমিও এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার বানানোর জন্য এই স্ট্রেটেজি ফলো করছিলাম, কিন্তু বাংলাদেশে এটা কাজ করে না। পোলাপান শিখতেই চায় না, ফ্রি শেখালে আরো ফাঁকিবাজি করে।

আরেকটা ট্রাই দেব ভাবছি।



প্যারেন্টিং বইটা লেখা শেষ, এখন গুছাচ্ছি। প্রায় এক হাজার পৃষ্ঠার মত কনটেন্ট যাবে বইটায়, সাথে আরো প্রায় ১৫ হাজার পৃষ্ঠার মত কনটেন্ট আছে। এই বইটা লিখতে গত দশ বছরে আমি প্যারেন্টিং + সাইকোলজি ও ফুড সায়েন্স নিয়ে ৯৭-টা বই পড়েছি এবং উইশলিস্টে আরো ২০০+ বই আছে (যেগুলো পড়বো সামনে)। সাথে ওয়েব থেকে হাজার পাঁচেক আর্টিকেল পড়েছি ও ২০০+ ভিডিও দেখেছি যাতে প্রায় ৩০০ ঘন্টার মত কনটেন্ট ছিলো।

আমি যে নতুন বইয়ের ফরম্যাট দাঁড় করিয়েছি (যেটার নাম দিয়েছি Book 4.0) ওখানে এই সমস্ত কনটেন্টগুলো ধীরে ধীরে যুক্ত হতে থাকবে। মানে বিষয়টা এরকম যে- আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন প্যারেন্টিং এর উপরে কনটেন্ট ওখানে যোগ করতে থাকবো। Book 4.0 ব্যাপারটাই এরকম। আপনারা এরকম কোন টপিকের উপরে Book 4.0 নিয়ে কাজ করতে চাইলে জানাতে পারেন।

প্যারেন্টিং এর উপরে এই বইটা অক্টোবরের পরে রিলিজ দেয়ার প্ল্যান। ক্যারিয়ার প্লাটফর্মটা ফুল রিলিজ দিয়ে যখন Thinkr Kids রিলিজ শুরু করবো, তখন পেপারব্যাক বইটা পাবলিশ করে অনলাইনে Book 4.0 ডেপ্লয় শুরু হবে।
ছবিতে যে ছয়টা কাভার ফটো দেখছেন, এই ৬টা বিষয়ের উপরে ৬টা Book 4.0 লিখছি। কিংবা লিখছি না বলে বানাচ্ছি বলা ভালো। Book 4.0 মোর দ্যান অ্যা ট্রেডিশনাল বুক!



অনলাইনে নানা ধরনের সাইড-ইনকামের অপশন আছে। টেকিদের জন্য বেশী, নন-টেকিদের জন্যও প্রচুর আছে। এগুলো অনেকেই হয়তো জানতো কিন্তু শেয়ার করতো না। আমি প্রথম শুরু করি এগুলো নিয়ে লেখালেখি।
অনলাইনের এই সাইড-ইনকাম নিয়ে প্রথম লেখালেখি শুরু করেছিলাম ২০০৪/০৫ এর দিকে। সামুতেও গুগল এডসেন্স নিয়ে একটা সিরিজ লিখেছিলাম; যে কনটেন্ট পরে অন্যরা কপি করে সিডি/ভিডিও বানিয়ে বিক্রি করেছিলো। এরপর দেখা গেল অনলাইনের সাইড ইনকাম নিয়ে লেখালেখির একটা জোয়ার বয়ে গেল।
এদেশে কোনকিছু জনপ্রিয় হয়ে উঠলে লোকজন সেটারে পঁচিয়ে ছেড়ে দেয়। অনলাইন ইনকাম নিয়েও তা শুরু হলো এবং প্রচুর স্ক্যাম হতে লাগলো। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ালো যে অনলাইনে সাইড ইনকাম নিয়ে লেখাটাই রিস্কি হয়ে গেল, তাই এই বিষয়টা লেখালেখি বন্ধ রেখেছিলাম। CSAI প্লাটফর্মে এগুলো নিয়ে আবার লেখালেখি শুরু করবো, পেইড সাবস্ক্রাইবারদের জন্য।

অন্যদের প্লাটফর্ম থেকে আর্ণ করার অপশন দেখানোর পাশাপাশি টাউন-সেন্টার থেকে বাংলাদেশী একটা আর্নিং প্লাটফর্ম দাঁড় করানোর প্ল্যান আছে। কোন ধরনের টাকা-পয়সা ইনভেস্ট ছাড়াই লোকজন ইনকাম করতে পারবে এরকম একটা প্লাটফর্ম বানিয়ে রেখে দিয়েছি করোনার সময়। সব নিয়ে একবারে মাঠে নামার প্ল্যান এবছরের শেষের দিকে।

পুনশ্চঃ CSAI প্লাটফর্মের প্রথম ১০০০ সাবস্ক্রাইবারের কোটা শেষ। এবছর আমরা আরো ৯০০০ সাস্ক্রাইবার নেব। পাবলিক বেটা রিলিজের পর সেটার ঘোষণা দেয়া হবে।

বাগের সাথে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে ডিসেম্বরে আপকামিং জব প্লাটফর্মের UI নিয়া বসছি। একজন প্রফেশনাল সর্বোচ্চ ৩টা রিজিউমি বিল্ড করতে পারবে। এই রিজিউমিগুলো আবার কোনটা কোথায় সাবমিট করেছে তা ট্রাক করতে পারবে।
ব্যাকেন্ড নিয়া আমি হ্যাপি কিন্তু ফ্রন্টএন্ড বা UI নিয়া সহজে হ্যাপি হইতে পারি না। এজন্য UI ডেভেলপার না হওয়ার পরেও UI এর কাজ করি (বা করার চেষ্টা করি)।
এখানে তিনটা রিজিউমি দেখা যাচ্ছে তিনটা ব্লকে। আইকনগুলির জন্য একটু হিজিবিজি লাগতেছিলো। তিন রকমের শেড দিলাম, কোনটা ভালো লাগে?
১) আবছা ধূসর
২) গাঢ় ধূসর
৩) কালারফুল



এরকম একটা চিন্তা করছিলাম কয়েক বছর আগে। এধরনের ফ্রিজগুলোর অনেক দাম, তাই আর আগানো হয় নাই। টাউন-সেন্টার একটু বড় হয়ে উঠলে প্রতি জেলায় অন্তত একটা এরকম ফ্রিজ সেটাপ করবো ইনশা'আল্লাহ!



AI জেনারেটেড টেক্সট ধরার অনেকগুলো টুলই তো আসলো কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা টুলও ঠিকঠাক কাজ করেনি। আমি একটা অ্যালগরিদম ডেভেলপ করেছি যেটা শতভাগ কাজ করে। প্যাটেন্ট করার চেষ্টা করতেছি।

থিংকার কিডস-স্কুল-ভার্সিটিয়ানে এটা ইমপ্লিমেন্ট করবো।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি