পরিকল্পনা

আপনি যে ইন্ড্রাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, সেই ইন্ড্রাস্ট্রি এক্সপার্টদের থেকে সরাসরি মেন্টরিং পাওয়ার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি আমরা Town-Center.net + CSAI থেকে। এক্ষেত্রে মেন্টরিং ফ্রি কিংবা পেইড হতে পারে। আপাতত শুধুমাত্র CSAI এর সদস্যরা মেন্টর হতে পারবে। আগামী ১০ অক্টোবর থেকে CSAI এর সদস্যরা নিজেদের মেন্টর হিসেবে লিস্টেড করতে পারবেন। বাকীরা টাউন-সেন্টার থ্রু এই সেবা নিতে পারবেন। শুরুতে আমরা ৫০ টা ইন্ড্রাস্ট্রি নিয়ে কাজ শুরু করছি। আপনার ইন্ড্রাস্ট্রি যদি তালিকায় না দেখতে পান তাহলে জানাতে পারেন, রিলিজের আগে যুক্ত করা হবে।



মনে করেন একটা চেইন-স্টোর দাঁড় করালাম পৃথিবীজুড়ে। এই চেইন থেকে যত প্রফিট হবে তার পুরোটাই এর কাস্টমারদের মাঝে বিলিয়ে দিলাম বছর শেষে। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান তৈরি করা। কারণ, এই চেইন চালাতে কোটি কোটি লোক লাগবে।

কেমন হবে?

ব্রেকফার্স্ট, লাঞ্চ আর ডিনারের মিল রেটের ডাটাবেস বানানোর চেষ্টা করছি আমরা। এই ডাটা ব্যাচেলরদের অনেক কাজে দিবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইস রেঞ্জের ভেতরে কোথায় সবচাইতে ভালো খাবার পাওয়া যায়, তার ডাটাবেস বানানো। ধরেন আপনি ১০০ টাকা লিখে সার্চ দিলেন আর ১০০ টাকার ভেতরে কোথায় কী মেনু অফার করছে জানতে পারলেন।

এই ডাটা ব্যাচেলর ছাড়াও ও ট্রাভেলারদের হেল্প করবে। কোন এলাকায় গিয়ে সেই এলাকার সবচাইতে কম খরচে সবচাইতে ভালো খাবারটা খুঁজে বের করতে পারবেন। টাউন-সেন্টার থেকে এই ডাটা একসেস করা যাবে।



Computer, Gadgets, Home Appliance, Books, Fashion, Furniture, Grocery, and Organic Food- এই ৮টা ক্যাটাগরি থাকবে টাউন-সেন্টার শপে। প্রথম দিকে আমরা সরাসরি প্রোডাক্ট বিক্রির অপশন দেব না, শুধুমাত্র শপ ও পন্য মার্কেটিং এর অপশন থাকবে। ব্যবহারকারীদের জন্য এটা প্রোডাক্ট ডাইরেক্টিরি হিসেবে কাজ করবে আপাতত। মানে আপনি একটা পন্য খুঁজতেছেন, সেটার ডিটেইল এবং কোথায় কেমন দামে পাবেন তা জানতে পারবেন টাউন শপ থেকে।

শপ ও ই-কমার্স মালিকদের আমরা এতে ফ্রি ইন্টিগ্রেটের সুযোগ দেব। টাউন-সেন্টারের কর্মীরা আপনাদের ফ্রি সফটওয়্যার ও ট্রেইনিং প্রদান করবে।

ফেসবুক পেজ থেকে যারা ব্যবসা করছেন, তারা এখানে যুক্ত হতে হলে নিজেদের একটা ই-কমার্স সাইট থাকতে হবে। যাদের ই-কমার্স সাইট নেই; তাদেরকে কম খরচে ই-কমার্স সাইট করে দেয়ার জন্য আমরা একটা টীম তৈরি করছি। আগামী মাসের ১২ তারিখ থেকে এই টীম কাজ শুরু করবে। স্লট বুকিং দিয়ে রাখতে পারেন ইনবক্সে।
টাউন শপের ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ তৈরি হচ্ছে এখন, ওখানে সকল আপডেট পাবেন।

টাউন-সেন্টার থেকে দেশব্যাপী ৫১২টা লোকালাইজড ই-কমার্স প্লাটফর্ম চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। ৮ ধরনের মার্কেটে কয়েক হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানরে ফ্রি অনলাইন বিজনেসের ট্রেইনিং ও সফটওয়্যার দেয়ার পরিকল্পনা আছে।

Pray for us!



টাউন-সেন্টারে Stories নামে একটা ফিচার যুক্ত করেছি। এখানে বিভিন্ন দেশ ও জনপদের লোকজনের জীবন সংগ্রামের কাহিনী পাবলিশ হবে।

বিভিন্ন সেক্টরে সফল লোকদের পাশাপাশি আমরা সকল শ্রেণী ও বর্ণের সাধারণ লোকদের স্টোরিও পাবলিশ করবো। সফল লোকদের স্টোরির পড়ে লোকজন যেমন অনুপ্রাণিত হতে পারবে; বাকীদের স্টোরি জানার মাধ্যমে একটা দেশ-সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে।

আপনি যদি মনে করেন আপনার স্টোরি অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে কিংবা আপনার দেশ ও সমাজ সম্পর্কে অন্যদের ধারণা দিতে পারবে, তাহলে আমাদের ই-মেইলে story@town-center.net স্টোরি পাঠিয়ে দিন। অক্টোবরে রিলিজের পরে প্রাথমিক একটা বাছাইয়ের পর আপনার এলাকার টাউন-সেন্টারে এই স্টোরি পাবলিশ হবে। এসব স্টোরি থেকে বাছাইকৃত কিছু স্টোরি বাংলাদেশ-সেন্টারে প্রমোট করা হবে এবং পরবর্তীতে গ্লোবাল পেজে (town-center.net) পাবলিশ হবে।

লোকাল টাউন-সেন্টারের জন্য স্টোরি বাংলায় লিখে পাঠান। আর যদি মনে করেন গ্লোবালি পাবলিশ হওয়ার যোগ্য, তাহলে সাথে এর ইংরেজী সংস্করণও পাঠাবেন। কিংবা আপনার অনুমতি সাপেক্ষে আমাদের অনুবাদক টীমও ইংরেজী ভাষায় ট্রান্সলেট করে দিতে পারবে।

যাদের বায়োগ্রাফি/অটোবায়োগ্রাফি বই পাবলিশ হয়েছে কিংবা বিভিন্ন মিডিয়াতে ইন্টারভিউ ও ফিচার প্রকাশ হয়েছে, তারা স্টোরির সাথে এগুলোর লিংক পাঠাবেন।



টাউন-সেন্টারের পাইলটিং ও আলফা টেস্টিং শেষ হয়েছে এই মাসে। অক্টোবর নাগাদ পাবলিকের জন্য ওপেন করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ও চাঁদপুর টাউন-সেন্টারের কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী তিন মাসে অন্তত ৩০টা জেলায় ৩০টা সেন্টার চালু করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছি। প্ল্যান ছিলো এবছরের ভেতরে ৬৪ জেলায় এক্সপান্ড করার, সেটা সম্ভব হচ্ছে না আপাতত। ৬৪ জেলায় আগামী বছরের মার্চ/এপ্রিল নাগাদ চালু করা সম্ভব হবে।

প্রতি জেলায় সর্বোচ্চ দশ জন উপ-পরিচালক নিচ্ছি এখন। প্রথম তিন মাসের একটিভিটিসের উপরে ভিত্তি করে তাদের ভেতরে একজন পরিচালক হওয়ার সুযোগ পাবেন। টাউন-সেন্টারের মাধ্যমে CSAI, Thinkr Club এবং Varsitian এর কার্যক্রমও দেশব্যাপি চালু হতে যাচ্ছে।

CSAI-এ আমাদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স vAI পাওয়ারড জব এপ্লিকেশন ডিরেকশন সার্ভিসের আলফা টেস্টিং শুরু করেছি। যারা ইতিমধ্যে প্লাটফর্মে নিজেদের রিজিউমি/সিভি বিল্ড করেছেন তারা জব এপ্লিকেশনের লিংক সাবমিট করলে vAI আপনাদের সাজেশন ও গাইডলাইন দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করবে। যদি জবের লিংক কোথাও না থাকে, সেক্ষেত্রে আপনার CSAI আইডিসহ ইনবক্সে টেক্সট ফাইলে পাঠাতে পারেন, আমরা টেম্প লিংক বানিয়ে দেব।

যারা এখনো ইনভাইটেশন পাননি কিংবা প্রথম এক হাজার বেটা টেস্টার লিস্টে নেই, তারাও এই আলফা টেস্টিং-এ অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইনবক্সে আপনার রিজিউমি/সিভি ও জব এপ্লিকেশনের লিংক কিংবা টেক্সট/ডকুমেন্ট ফাইল পাঠাতে হবে। সিভি ও জব এপ্লিকেশন দু'টোই ইংরেজীতে হতে হবে এবং লিংক বা টেক্সট/ওয়ার্ড ডকুমেন্ট ফাইল হতে হবে।

যারা ম্যানুয়ালি ইনবক্সে পাঠাবেন; তাদেরকে প্রতি শনি-রবিবার জবাব দেয়ার চেষ্টা করবো।

আর এটা আলফা টেস্টিং, তাই এখনি আহামরি রেজাল্ট পাবেন না হয়তো। আশা করছি এই মাসের ভেতরেই এই ফিচারটার বেটা রিলিজ দিতে পারবো। এরপর বাকী ৯ হাজার জনের স্লট ওপেন করা হবে।

যারা আলফা টেস্টিং-এ অংশ নিবেন, তাদের জন্য বছরে ১২ ডলারের সাবস্ক্রিপশন ফি'র উপরে ২ ডলার ডিসকাউন্ট দেয়া হবে। সেক্ষেত্রে ইনবক্সে আপনার আগ্রহের কথা জানিয়ে রাখতে হবে।

পুনশ্চঃ ফেসবুকে খুব কম আসা হয় আমার, তাই ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়ে সাথে সাথে জবাব আশা না করাই ভালো। তবে প্রতি শনি-রবিবার অবশ্যই জবাব পাবেন।



ভোরে ঘুম থেকে উঠার পর আরো ৩০ মিনিটের মত শুয়ে থাকি এবং সারাদিনে কী করবো কিভাবে করবো তা নিয়ে ভাবি। আজকের ভাবনার বিষয় ছিলো ফুড ব্লগিং ও ফুড ক্রিটিক। টাউন-সেন্টারের ট্রাভেল সেকশানের একটা বড় অংশ বিভিন্ন দেশ ও এলাকার কালচার নিয়ে। ফুড তো কালচারের একটা অংশ। এক্সপ্লিসিট (Observable) এসপেক্ট অব কালচারে খাবার ও রন্ধনপ্রণালী (Food and cuisine) অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের খাবার ও সেগুলোর রন্ধনপ্রণালী/রেসিপির ডাটাবেস বানাচ্ছি আমরা অনেকদিন ধরেই। টাউন-সেন্টার যারা ব্যবহার করবে তারা এই ডাটাবেসে ফ্রি একসেস পাবে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবে। আজকে ভাবছি ফুড রিকমেন্ডেশন সিস্টেম যুক্ত করা যায় কিভাবে।

বিষয়টা এরকম হবে যে— আপনি কোন একটা এলাকায় গেলেন আর সেখানকার কোন খাবার কেমন লাগলো সেটা শেয়ার করলেন। ফলে আপনার দেশ থেকে অন্য কেউ যখন একই এলাকা ভ্রমণে আসবে, তাদের জন্য খাবার খুঁজে পেতে সহজ হবে। যেমন চীনে গিয়ে একজন আমেরিকান কোন কোন ফুড আমেরিকানদের টেস্টের সাথে যায় সেটা রেকমেন্ড করে রাখলো। একজন বাঙালিও তাদের স্বাদ ও রুচির সাথে মিলে এরকম খাবার রেকমেন্ড করলো। ফলে একজন আমেরিকান বা বাঙালি চীনে গেলে অন্য আমেরিকান বা বাঙালি ভাইদের রেকমেন্ড থেকে সহজে খাবার খুঁজে বের করতে পারবে। এই ফিচার ফুড ব্লগিংরে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

২৪৭ টা দেশের ১০ হাজার সিটিতে আমরা টাউন-সেন্টার তৈরি করবো। বেঁচে থাকলে এই ২৪৭টা দেশের সবগুলোতে একবার করে হলেও যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ভাবছি এই ফুড ব্লগিং এখন থেকেই শুরু করে দেব কিনা। মানে যেখানেই গেলাম সেখানকার সকল ফুড ট্রাই করার চেষ্টা করলাম। অন্তত জনপ্রিয় ফুডগুলো। তারপর রেকমেন্ড করলাম। আপাতত নোটবুকে টুকে রাখলাম, পরে টাউন-সেন্টারে এন্ট্রি দিয়ে দিলাম।

আমার এই পোস্ট যাদের নজরে পড়েছে তারা নতুন কোন এলাকায় গিয়ে সেখানকার ফুড ট্রাই করলে নিজের অভিজ্ঞতা নোট করতে পারেন। কিছুদিন পর এই নোট থেকে টাউনসেন্টরে আপডেট দিতে পারবেন। এটা আপনাকে যেমন বিশ্বব্যাপি পরিচিত করে তুলবে তেমনি অন্যরাও উপকৃত হবে। এই ডাটাগুলো আমরা ফ্রি ডিস্ট্রিবিউট করবো, ফলে কোটি কোটি লোকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আর কিছুদিন পর যখন বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে রেজিঃ সম্পন্ন হবে তারপর দেখবেন জীবন কতটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। খরচ বাড়ছে, জনগনের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ছে না।

কিভাবে জীবন কঠিন হবে সেটা নিয়ে হাজার পৃষ্ঠার বই লেখা সম্ভব। শুধু শিক্ষার্থীদের পাঠ্য-বই নিয়ে বলি। আপনারা নীলক্ষেত থেকে যে বইটা এখন ১২০-৩০০ টাকা দিয়ে কিনছেন এই বইগুলো তখন ১৫০০-৫০০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে, কারণ জেনুইন কপি কিনতে হবে। তো, আমাদের দরিদ্র জনগন কিভাবে এসব বই কিনবে? পড়াশোনা, জ্ঞান অর্জন তো করতে হবে!

এর একটা সমাধান নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেই কাজে আপনিও অংশ নিতে পারবেন আর কিছুদিন পর। কিন্তু তার জন্য দু'টো প্রস্তুতি লাগবে—
১) বাংলা ও ইংরেজী ভাষার উপরে দখল যতটা সম্ভব বাড়ানো,
২) যেকোন একটা বিষয়ের উপরে যতটা সম্ভব বিশেষজ্ঞ হওয়া।

এই প্রস্তুতি নিতে থাকেন। সামনে ক্যারিয়ার, পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জন, সবই বদলে যাবে। এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সময় কম আমাদের হাতে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি