জীবনদর্শন



ইন্টেলেক্ট দিয়া ইমোশন ব্যাখ্যা করা যায় না, ইনটুইশন লাগে। এজন্যই দেখবেন ইমোশনরে ইন্টেলেক্ট দিয়া হ্যান্ডেল করা যায় না। জেনেশুনেই লোকে বিষ করে তাই পান।

স্টিভ জবস এশিয়া ভ্রমণ করে বলেছিলেন— এশিয়ার লোকজন ইন্টেলেক্টের চাইতে ইনটুইশন দিয়া সিদ্ধান্ত বেশী নেয়। ইনটুইশন ইন্টেলেক্ট থেকে পাওয়ারফুল জিনিষ। এজন্য দেখবেন আমাদের এই অঞ্চলে লোকের ইমোশন বেশী এবং এখানকার মুভি সাহিত্য সব আলাদা। পশ্চিমাদের ইনটুইশন দুর্বল। তাই ওদের লাভ স্টোরিগুলোও দেখবেন আমাদের টাচ করতে পারে না ওভাবে (মিডিয়া জম্বিদের বাদে, অরা পানি খেয়েও মাতাল হয়ে যাবে যদি মিডিয়া ঐটারে শরাব বইলা প্রচার করে)। একই কারণে ইউরোপিয়ান দর্শন লইয়া সাহিত্য করা লেখকরা এখানে পাত্তা পায় না।

ইমোশনরে ইন্টেলেক্ট দিয়া বুঝতে গেলে যা হয়, ভ্যালেন্টাইনস ডে হইতেসে তার একটা উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ভালোবাসারে এরা বানিজ্যিকরণ করে ফেলছে। ভালোবাসা বস্তুবাদী জিনিষ না। ভালোবাসা বুঝার ক্ষমতা বস্তুবাদীদের নাই, কখনো হবেও না।

কারো সাথে ক্রমাগত অন্যায় করে যাওয়ার পরেও সে কিছু বলছে না মানে আপনি তারে হারায়া ফেলছেন। সে আর ফিরবে না।

ইন্টারনেটে পাওয়া একটা গল্প কিছুটা পরিবর্তন করে অনুবাদ করেছি। আমার মনে হলো এই গল্পটা আমাদের স্কুলের পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়ার মত। সেটা না করলেও অন্তত টিচার্স ট্রেইনিং এ এই গল্পটা রাখা উচিত। গল্পটা পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আমেরিকনরা লজিকরে বেশী প্রাধান্য দেয় আর এশিয়ানরা ইনটুইশন। এই পর্যবেক্ষন স্টিভ জবস দিয়েছিলেন। আরো বলছিলেন যে— উনি লজিক + ইনটুইশন ব্যবহার করেছেন অ্যাপলের প্রোডাক্টগুলো ডেভেলপ করতে গিয়ে।

জবস জাপানিজ আর জেন ফিলোসফি দ্বারাও প্রভাবিত ছিলেন। জাপানিজদের থেকে পারফেকশন, জেনদের থেকে মিনিমালিজম আর আমেরিকানদের থেকে লজিক্যাল চিন্তা ও টেকনোলজির এক অদ্ভুত কম্বিনেশন ছিলেন। আবার জন্ম সূত্রে মুসলিম ছিলেন।

এই বৈচিত্রময়তা উনার ইউনিকনেসের একটা কারণ হয়তো।

যখন মানুশ তার নিজের মূল্য বুঝতে পারে না তখন সে অন্যের কাছ থেকে মূল্য ও স্বীকৃতি খোঁজে।

বাগান তত্ত্ব - ১০

জীবনটাও একটা বাগানের মতন। সারাজীবন ধরে যা যা গাছ লাগাচ্ছেন, সেই বাগানই তৈরি হচ্ছে। যদি আগাছা নির্মূল না করেন, তাহলে জংলা তৈরি হবে। পরে আরেকজনের সুন্দর গোছানো বাগান দেখে আফসোস করে লাভ হবে না।

মনে করেন অদৃশ্য হয়ে গেছেন আপনি। এরপর নিজের সৌন্দর্যটুকু বুঝার চেষ্টা করুন। আপনার অনুপস্থিতিতেও বিরাজ করে এই সৌন্দর্য।

সময় একটা কারেন্সি এবং আপনার বেতন মাসে মাত্র ৭২০ ঘন্টা।

কেউ নিজের চাইতে ছোট কাউকে হিংসা করে না। তাই হিংসুকদের উপরে রাগ করবেন না। ছোটদের উপর রাগ করতে নেই।

যার সাথে আপনার ইগো যত কম কাজ করবে তার সাথে বন্ধুত্ব তত গাঢ় হবে। একদম ইগোলেস ফ্রেন্ডশীপ যার সাথে, সে আপনার সোলমেট।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি