বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ
ঘূর্নিঝড়ের কেন্দ্র থেকে একটু দূরে সর্বোচ্চ ৫১ নট গতি দেখাচ্ছে। আজকে দুপুরেও যা ছিলো ১১৩ নট। ৫১ নট = ৫৮-৫৯ মাইল/ঘন্টা। এটা একটা গুড নিউজ!
যে মাথামোটারা ইমরান খানরে গ্রেফতার করলো, তারা আসলে কী গেইন করলো? ইমরানের পপুলারিটি যেকোন সময়ের চাইতে তুঙ্গে এখন।
জব মার্কেটের চাইতে কালচারাল হেজমনির উপরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের প্রভাব নিয়ে পশ্চিমারা বেশী চিন্তিত। সব ধ্বসে পড়বে!
ইমরান খানের এরেস্টে লাভ হচ্ছে চায়নার, ক্ষতি হচ্ছে ডেমোক্রেসির। এই ইস্যুতে ইন্ডিয়ার ভূমিকা ইন্টারেস্টিং লাগতেছে।
যেসব কোম্পানী পৃথিবীর সবচাইতে শক্তিশালী আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ডেভেলপ করেছে, IBM তাদের ভেতরে অন্যতম।
IBM এর আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স প্রোডাক্ট হিসেবে IBM Watson নামে পরিচিত যার প্রথম কমার্শিয়াল এপ্লিকেশন লঞ্চ হয় ২০১৩ সালে। তারপর এক বছরেই IBM এর এম্প্লয়ী সংখ্যা এক লাফে ৫০ হাজার+ কমে যায়। হেড কাউন্ট এর এই আচমকা পরিবর্তনের জন্য তারা কোম্পানী রিস্ট্রাকচার ও ক্লাউড কম্পিউটিং-এ শিফটিং এর কারণ দেখালেও হঠাৎ করে এত লোক ছাঁটাই করেও নিজেদের কাজ কিভাবে ম্যানেজ করেছে তার সবচাইতে গ্রহনযোগ্য জবাব হলো IBM Watson.
এত বছর ধরে নিজেদের এত শক্তিশালী AI প্রোডাক্ট থাকার পরেও সাম্প্রতিক AI ডেভেলপমেন্টের প্রেক্ষিতে IBM CEO জানিয়েছে তারা আরো ৩০% কর্মী ছাঁটাই করবে আগামী কয়েক বছরের ভেতরে।
এক লোক ভাবতেছে সে যদি দুইটা মুরগি কিনে আনে আর প্রতিটা মুরগীি ১০টা করে ডিম দেয় তাহলে তার ২২টা মুরগি হবে। ২২টা মুরগি থেকে ২২০টা মুরগি, ২২০টা থেকে ২২০০ মুরগি। এভাবে একদিন তার এক বিলিন মুরগি হবে এবং দশ বিলিয়ন ডিম বাজারে বিক্রি করে ব্রলোক হয়ে যাবে!
তার মাথায় এটা কখনো আসে না যে ৮ বিলিয়ন পৃথিবীতে ১০ বিলিয়ন ডিম কে খাবে?
প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের সময় মানুশ টেকনোলোজিরে ভয় পাইছিলো কিন্তু বাস্তবে বরং জব বেড়ে গেছে, পুরানা টেক্সবুকে এই ইতিহাসের এনালাইসিস পড়ে তারা ভাবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সময়েও এভাবে জব বাড়তেই থাকবে। ঐদিকে ডিমান্ড যে বাড়ে না, মার্কেট যে স্যাচুরেটেড হয়ে আছে, এসব তারা বিবেচনা করে না কিংবা জানেই না। এক বিলিয়ন মুরগি দশ বিলিয়ন ডিম দিবে, সেই হিসাব নিয়া তারা বসে আছে।
রিসেশন কেন হয়, শুধুমাত্র এই একটা প্রশ্ন নিয়ে যদি তারা ভাবতো, তাহলে নিজেদের বোকামী ধরতে পারতো।
আগামী পাঁচ বছরে প্রায় দেড় কোটি জব ভ্যানিশ হয়ে যাবে ইকোনমিক উইকনেস ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এডাপশনের কারণে।
— World Economic Forum
একটা পেজ থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো— ডিভোর্স রেট কেন বাড়তেছে?
৩২ হাজার+ রিপ্লাই ছিলো। বিচ্ছিন্নভাবে শ'খানেক রিপ্লই পড়ে টায়ার্ড হয়ে ফেসবুক ট্যাব ক্লোজ করে দিয়েছিলাম। এদেশের মাস পিপলের ধ্যান-ধারণা খুব অদ্ভুত!
যাহোক, আমার মনে হয় ডিভোর্সের একটা বড় কারণ হচ্ছে সম্মানবোধের অভাব।
'বেয়াদব হওয়া খুব কুল ব্যাপার'— এটা সম্ভবত আমাদের আগের জেনারেশন (Generation X) থেকে শুরু হয়েছিলো। অধিকাংশ হিন্দি ও কিছু মারদাঙ্গা থার্ডক্লাশ ইংলিশ মুভি এর জন্য অনেকটা দায়ী। আমার মনে আছে, পোলাপান খুব ভাব নিয়ে বলতো— 'আই ডোন্ট কেয়ার!' আমাদের জেনারেশনের (Millennials - Gen Y) অনেকেই এদেরকে অন্ধ অনুসরণ করেছে। পরবর্তী জেনারেশগুলোর ভেতরে যাদের ফ্যামিলি কয়েক প্রজন্ম ধরে শিক্ষিত, তারা এটা অনেকটাই ওভারকাম করতে পেরেছে।
আমার একটা ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন হচ্ছে— মানুশ যত বড় ও উন্নত হয়, অন্যের প্রতি তার সম্মানবোধ তত বাড়তে থাকে। ফলে, ডিভোর্স রেট তখনি কমবে যখন আমরা উন্নত মানুশ গড়ে তোলার ব্যবস্থা করতে পারবো।
ইলন মাস্কের ৩ বিলিয়ন ডলার দামের স্টারশীপ আকাশে এক্সপ্লোড করছে। পাবলিক যেভাবে তালি দিচ্ছিলো মনে হলো বাজি ফুটাইছে।
আপনারা যারা এখানে জয় দেখতেছেন, সেটা আসলে জয় না। আপনাদের নৈতিক পরাজয়। দু’টো প্রতিষ্ঠান থেকেই যদি হিসাব চাইতেন, তাহলে সেটা জয় হতো।