বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ
শুধুমাত্র ফেসবুক গ্রুপ বা পেজের উপরে নির্ভর করে ব্যবসা না করার জন্য কত বছর ধরে বলতেছি!
পরিচিত একজনের গার্মেন্টস আইটেমের ব্যবসায় ইনভেস্ট করেছিলাম। ঐ ব্যবসাটা পুরোপুরি ফেসবুক নির্ভর ছিলো। পার্টনাররে একটা ই-কমার্স সাইট বানিয়ে দিয়ে বলেছিলাম ফেসবুক থেকে কাস্টমারদেরকে সাইটে মুভ করতে। কথা শুনে নাই। কয়েক মাস পর লাখ খানেক লাইক/ফলোয়ার সমৃদ্ধ পেজ ডিজেবল হয়ে গেল। পুরো কাস্টমার বেজ গায়েব! এরকম কত কেস আছে...!
একটা বিষয় খেয়াল করলাম। একাডেমিক আলাপ আর একটিভিজমের ভেতরে পার্থক্য ধরতে না পারা লোকজনই সোশ্যাল মিডিয়াতে আইসা অন্যদের একাডেমিক ডিসকাশন শেখানোর চেষ্টা করে। ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা!
2050 সাল নাগাদ পৃথিবীর কোন দেশের পপুলেশন এজ গ্রুপ কেমন হবে, এখানে সেই ডাটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন দেখা যাচ্ছে। খেয়াল করেন— ইউরোপ, চায়না আর জাপানে কিভাবে বৃদ্ধের সংখ্যা বাড়ছে এবং তরুনদের সংখ্যা কমছে। এই ভূ-খন্ডগুলো আফ্রিকান আর এশিয়ানদের দখলে চলে যাবে। চীনারা যেমন হুট করে বিশাল শক্তি হয়ে উঠছে তেমনি হুট করেই হারিয়ে যাবে।
Cringe has become the new normal.
দুঃখজনক!
জব মার্কেটের চাইতে পলিটিক্যাল সিস্টেমের উপরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর প্রভাব নিয়া পশ্চিমারা বেশী চিন্তিত। এআই-রে তারা এখন পলিটিক্যাল কারেক্টনেস শেখানোর উপায় খুঁজতেছে। মনে হয় না তাতে কোন লাভ হবে।
কেন হবে না তার একটা কারণ বলি। জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে অল্প সময়ের ভেতরেই প্রথম আলো টাইপ একটা মিডিয়া গ্রুপ তৈরি করে ফেলা সম্ভব। এটা তো শুধু একটা দিক। অন্য আরো বহু দিক আছে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে পারবে না কেউ।
--
প্রাসঙ্গিক ভাবনা:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স পলিটিক্যাল ন্যারেটিভেরও বারোটা বাজিয়ে দিবে। প্রপারলি ব্যবহার করতে পারলে শত বছর ধরে দাঁড় করানো ন্যারেটিভ এক বছরের ভেতরেই একদম জিরো করে দেয়া সম্ভব।
(৩০ এপ্রিল, ২০২৩)
প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা যত বাড়বে জব মার্কেটের অবস্থা তত খারাপ হবে। কারণ, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা মূলত অন্যদের জব খেয়ে ফেলার কাজটা করে দেয়।
কিভাবে?
মনে করেন একটা বিশেষ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এডাপ্ট করতে হবে। এই এডাপশনের জন্য ঐ বিশেষ সেক্টরের জন্য এআই ফ্রেমওয়ার্ক (ChatGPT-রে এক্ষেত্রে একটা ফ্রেমওয়ার্ক ধরে নিলাম আমরা) ইমপ্লিমেন্ট করবে। এধরনের এডাপশনে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর কাজ থাকে। ফলে, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বাড়ছে মানে এধরনের ইমপ্লিমেন্টেশনের সংখ্যা বাড়ছে। প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কত দ্রুত বাড়ছে তা একটু সার্চ করলেই আপনি জানতে পারবেন।
বর্তমানে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের স্যালারি রেঞ্জ $175k to $335k US ডলার। সিক্স ফিগার স্যালারি দিয়ে এদের রাখা হচ্ছে আলটিমেটলি খরচ কমানোর জন্য। যেমন ধরেন একটা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক স্যালারি দিতে হয় ২০০ মিলিয়ন ডলার। এই খরচর ৩০% থেকে ৫০% কমানো সম্ভব হলে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইমপ্লিমেন্ট করতে এক কালীন ২০০-৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে দ্বিধা করবে না, কারণ আলটিমেটলি সেটা তাদের বিলিয়নস অব ডলার সেভ করবে। যদি কনজিউমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটাইপ কোম্পানী হয়, সেক্ষেত্রে এটা তাদের কস্ট কমিয়ে মার্কেট ক্যাপচার করতে হেল্প করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা আরো ইফেক্টিভ।
একারণেই প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে। এটা একটা এক কালীন বিনিয়োগ যা জব মার্কেট সঙ্কুচিত করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও কমে আসবে একটা পর্যায়ে। জব মার্কেটের ক্ষেত্রে এটা একটা সাপ যা নিজের লেজ থেকে থেকে খেতে শুরু করেছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স জব মার্কেটের উপরে বিপুল প্রভাব বিস্তার করতে যাচ্ছে, এমতাবস্থায় আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নিয়ে আমাদের কী ভাবা উচিত? এধরনের প্রশ্নের জবাব আমরা অনেকেই খুঁজতেছি এখন। গত সপ্তাহে CNBC-র সাথে ইলন মাস্কের সাক্ষাৎকারে এরকম একটা প্রশ্ন করা হয়েছিলো। ইলন মাস্ক বেশ কিছুক্ষন চুপ করে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত যথার্থ কোন উত্তর দিতে পারেননি। ইন্টারভিউটার ঐ অংশের লিংক কমেন্টে দিলাম।
আমরা সকলেই তো আসলে কনফিউজড! এসব নিয়ে আমাদের প্রচুর ভাবতে হবে এবং চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এই প্রশ্নের সঠিক জবাব বের করতে পারা গুরুত্বপূর্ন এখন।
AI এর ব্যাপারে শুধুমাত্র মিডিয়ার উপরে ভরসা রাখা বোকামী।
গত কয়েক মাসে AI নিয়া যে কয়টা ইন্টারভিউ হয়েছে, তার প্রায় সবগুলোই দেখলাম। গতকাল স্যাম অল্টম্যানের কনগ্রেস হেয়ারিং শুনলাম পুরোটা।
এগুলো দেখার পর একই বিষয়ে মিডিয়ার নিউজ/আর্টিকেলগুলো পড়লে আপনি কিছুটা অবাকই হবেন যে— মিডিয়া কী পরিমান টুইস্ট তৈরি করে। ইন্টারভিতে বলে একটা মিডিয়া লেখে আরেকটা।
কনটেন্ট ক্রিয়েশন, SEO থেকে অনলাইন মার্কেটিং— এই সেক্টরটা কিন্তু বেশ বড়। AI প্রথম বোমটা এদের উপরেই ফেললো!
সাইক্লোন মকা কিন্তু এখনো শেষ হয় নাই, সে বার্মা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাই দ্য ওয়ে, আরেকটা ঘূর্নিঝড় নাকি জট পাকাচ্ছে। আগেরটা নিয়ে অতিরঞ্জনের ফলে নতুনটারে একেবারে উড়িয়ে দিয়েন না। নজরে রাইখেন।