যখন থেকে আপনি হিংসা মুক্ত হতে পারবেন তখন থেকেই সত্যিকার অর্থে আপনার নেটওয়ার্ক তৈরি হতে শুরু করবে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
কমিউনিকেশন স্কিল - ১৫
উভয় পক্ষের বেনিফিট আছে যে যোগাযোগে, সেটা ব্যবসা। শুধুমাত্র নিজের বেনিফিটের জন্য যে যোগাযোগ তৈরি করা হয়, সেটাকে বলে ধান্ধাবাজি।
দিন শেষে ধান্ধাবাজদের কোন নেটওয়ার্ক থাকে না। এমনকি এদের সাথে চললে আপনাকেও অন্যরা ধান্ধাবাজ ভেবে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে পারে। কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এসব মাথায় রাখা জরুরী।
নেটওয়ার্কিং - ১০
পার্টনার ও কম্পিটিটরের ভেতরে পার্থক্য আছে। যে আপনাকে কম্পিটিটর ভাবে, তাকে কখনো সাজেশন দিতে যাবেন না, উপদেশ তো দূরের কথা। সাধারণ ফানেও সে অফেন্ডেড হতে পারে। কেয়ারফুল!
নেটওয়ার্কিং - ১১
ভালো নেটওয়ার্কিং এর জন্য আপনাকে এই চারটা বিষয়ে সচেতন হতে হবে- Confidence, Appearance, Temperance & Sense of humor.
Confidence/আত্মবিশ্বাস, সবাই জানেন এটা কী এবং কিভাবে কাজ করে। কোন বিষয়ে আত্মবিশ্বাসের অভাববোধ করলে আত্মবিশ্বাসের ভান করাও কাজে দেয়।
Appearance/এপিয়ারেন্স এর ভালো বাংলা কী হতে পারে ভাবছিলাম। যাহোক, এপিয়ারেন্স কী তা তো মনে হয় জানেন আপনারা। এটা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা একটা প্রবাদও আছে এটা নিয়ে- আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারি। ফলে, এই বিষয়ে যত্নবান হওয়া লাগবে। এক্ষেত্রে অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে বিপ্লবী হইতে যাইয়েন না (এই যেমন লুঙ্গি পড়ে ঢাকা ক্লাব বা ওয়েস্টিনে ঢুকে যাওয়া)। ঐটারে আত্মবিশ্বাস বলে না।
Temperance/মেজাজ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এর বেশী আর বলার দরকার নেই মনে হয়।
Sense of humor/সেন্স অফ হিউমার ভালো থাকলে আপনি সহজে মিশতে পারবেন যেকোন জায়গায়। যে আপনাকে হাসাতে পারে তার সাথে সহজ হওয়া সহজ। তাকে মানুশ দ্রুত বিশ্বাসও করে। তাই রামগরুরের ছানা হওয়া যাবে না (বাংলাদেশে কলকাতার সাহিত্য পড়ে যারা রামগরুরের ছানা হয়েছেন, তারা একটু হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে পড়াশুনা কইরেন যে! আর ৬০ এর দশকের সাহিত্যিকদের দ্বারা এত প্রভাবিত হইয়েন না।)।
তো, এই আরকি। এসব নিয়ে একটু ভাইবেন। আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে, অত সিরিয়াস হইয়েন না। চিল!
নেটওয়ার্কিং - ৯
নেটওয়ার্কিং ঠিক রাখার জন্য বেস্ট পলিসি হচ্ছে ফেসবুকে একাউন্ট না রাখা। অথবা, সিরিয়াস নেটওয়ার্কের লোকজনকে ফেসবুকে এড না করা। ফেসবুকের কিছু ফিচারের জন্য আপনার সাথে অন্যের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। এরকম কয়েকটি ফিচারের একটি হচ্ছে ফেসবুকের ইনবক্স সিস্টেম।
ফেসবুক ইনবক্সে কয়েকটা ব্যাপার ঘটে—
১) কেউ আপনাকে ম্যাসেজ দিলো, আপনি সীন দিয়ে রেখে দিলেন কিন্তু জবাব দিলেন না। এমনকি ব্যস্ততা শেষে দুই/একদিন পরেও দিলেন না। ঐ ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্কের অবনতি হবে।
২) আপনি অনেক ব্যস্ত থাকেন কিন্তু অপর ব্যক্তি ভাবছে সে ম্যাসেজ দেয়ার সাথে সাথেই আপনার জবাব দেয়া উচিত যা আপনি পারলেন না বা আপনার পক্ষে সম্ভব না। সম্পর্কের অবনতি হবে।
৩) ফেসবুকে ম্যাসেজ দেয়ার পর একটা গোল বৃত্তের মাঝে টিক চিহ্ন দিয়ে বুঝানো হয় ম্যাসেজটা ফেসবুক সার্ভার পর্যন্ত গিয়েছে। আর গোল বৃত্তটা হালকা কালার দিয়ে ভরাট করা থাকা মানে ম্যাসেজটা ব্যক্তির ডিভাইস পর্যন্ত পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে যা হয়- অনেকের ডিভাইস সারাদিন-রাত ফেসবুকে লগইন করা থাকে কিন্তু তারা আসলে ফেসবুকে নাই। হয়তো কোন কাজে ব্যস্ত, ফোন সাইলেন্ট করা। অথবা ঘুমাচ্ছেন। কিন্তু, যিনি ম্যাসেজ পাঠিয়েছেন তিনি ভাবছেন ম্যাসেজটা অপর ব্যক্তি দেখেছেন কিন্তু রিপ্লাই দিচ্ছেন না, এমনকি সীনও দিচ্ছে না ঘন্টার পর ঘন্টা। সম্পর্কের অবনতি হবে।
এরকম আরো বেশ কিছু বিষয় আছে যার কারণে সম্পর্কের অবনতি থেকে শুরু করে হেটার পর্যন্ত তৈরি হতে পারে ফেসবুক থেকে। অন্যদিকে, ফেসবুক থেকে সিরিয়াস বিজনেস নেটওয়ার্কিং হয় না ওভাবে। বিজনেস/ক্যারিয়ার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এটা আপনাকে পজেটিভ তেমন কিছু দিতে পারছে না কিন্তু ক্ষতি করে যাচ্ছে ক্রমাগত।
আপনি কথা বলে মানুষকে যতটুকু মুগ্ধ করতে পারবেন কথা শুনে তারচাইতে বেশী পারবেন।
বহু বছর আগে ডেল কার্নেগী বলে গেছিলেন। এখনো একইরকম আছে ব্যপারটা।