বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে RO (Reverse Osmosis) প্রযুক্তির পানির ফিল্টার থাকা একেবারে বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে। এই প্রযুক্তির ভালো পিউরিফায়ারগুলোর দাম একটু বেশী, কিন্তু ফ্যামিলির কারো ক্যান্সার হলে যে পরিমান খরচ হয় সে তুলনায় নগন্য।
নতুন যা শিখতে শুরু করি সেটারই প্রেমে পড়ে যাই। মনে হয় সব বাদ দিয়ে এটা নিয়েই থাকি। কী এক মুসিবত! কয়েক হাজার বছর বাঁচলে সম্ভবত পৃথিবীর সবকিছু শিখে ফেলতাম।
অফিসের ইন্টেরিয়র করাবো। তো, ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে একটু ঘাঁটতে গিয়ে মজা পেয়ে গিয়েছি। আলটিমেটলি একজন ডিজাইনারকে দিয়েই করাবো। কিন্তু ব্রান্ডিং এর জন্য পারফেক্ট কালার ঠিক করতে হবে। সাদা-কালো-অরেঞ্জ, এই তিনটা কালারের কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতেছি। সাদা-কালো কম্বিনেশনে ফার্নিচার খুব চমৎকার লাগে, কিন্তু কার্পেট/ম্যাট আর পর্দা নীল ভালো লাগে। ওয়েবসাইট, প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়ালে কালোর সাথে নীল ভালো যায় না, কমলা ভালো লাগে। সাদা-কালো-কমলারে যদি ব্রান্ডিং এ ব্যবহার করি, তার সাথে অফিস রুমে নীল কার্পেট আর পর্দা যাবে কিনা বুঝতেছি না। কিন্তু এই সেটিংসটা খুব ভালো লাগতেছে। কী করা যায়... কী করা যায়!
Black & White
সহজ জীবন - ৭ এবং সহজ জীবন - ১৭
কাউকে দেখিয়ে দেয়ার জন্য লক্ষ্য স্থির করবেন না। এটা খুব ছোট ব্যাপার। লক্ষ্য অনেক বড় হতে হয়। তাছাড়া, যাকে দেখিয়ে দিতে চাচ্ছেন, সে ইরিলিভেন্ট হয়ে যাবে শিঘ্রই। তখন মোটিভেশন হারিয়ে ফেলবেন।
এছাড়াও এটা আপনার ভেতরে অশান্তি তৈরি করবে। ক্রিয়েটিভিটির জন্য ইনার পীস লাগে।
অসমাপ্ত ভাবনা - ১
হিউমেন সাইকোলজি এমনিতেই আমার প্রিয় সাবজেক্ট। প্যারেন্টিং নিয়ে স্টাডি করতে গিয়ে এই বিষয়ে সিরিয়াসলি পড়া শুরু করেছিলাম। মূলত তাতিনের জন্য। ৬/৭ বছর ধরে এসব নিয়ে স্টাডি করে কিছুটা হলেও আমাদের মূল সমস্যাগুলো বুঝতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি কেন বাংলাদেশের মানুশের ব্রেইন এত ভালো হওয়ার পরেও আমরা ভালো করতে পারছি না। এর সমাধানগুলো নিয়েও ভেবেছি অনেক। এখন পর্যন্ত আলাদা একটা সমাজ গঠনের চাইতে বেটার সমাধান পাইনি।
আলাদা সমাজ মানে আপনি এমন কিছু মানুশজনদের নিয়ে একটা কমিউনিটি গড়ে তুলবেন যারা এই সমস্যাগুলোর বিষয়ে সচেতন। যারা প্যারেন্টিং জানে। যারা তাদের বাচ্চাদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠার প্রয়োজনীয় পরিবেশ দিতে প্রস্তুত। কিন্তু, এধরনের পাবলিকদের আপনি খুঁজে পেলেও তারা সকলে তো আপনার প্রতিবেশী না। দেয়াল ঘেরা একটা ছোট শহর বা জনপদ তো আর তৈরি করতে পারবেন না একসাথে থাকার জন্য। যে স্কুলে আপনার বাচ্চা যাবে সেখানে তো অসচেতন ফ্যামিলিগুলোর সন্তানেরাও আসবে। আপনার বাচ্চাকে প্রটেক্ট করতে পারবেন না ওখানে।
তাহলে?
মানুষ নিয়া গবেষণা করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ শতাধিক হিউমেন ট্রেইটের ব্যপারে ঘাঁটলাম। শ'খানেক মেজর হিউমেন ট্রেইট নিয়ে পড়ার পর নিজের অজান্তেই আপনি বলে উঠবেন- কীয়েক্টাবস্থা! মানুষ সম্পর্কে জানার জন্য মানুষের ট্রেইটগুলো জানার কোন বিকল্প নাই সম্ভবত। মনোবিজ্ঞানীরা ভালো বলতে পারবেন।
মানুষের চরিত্র বাদ দিলেও যদি শুধু তাদের শারীরিক গঠন কিংবা ফ্যাশন নিয়েও পড়েন, আপনি আবার বলে উঠবেন- কীয়েক্টাবস্থা! এই যেমন, পুরুষদের ২০/২৫ রকমের চুলের স্টাইল দেখে ভাবতে পারেন, ছেলেরাও রং-ঢং-এ কমতিতে নাই। মেয়েদের চুলের স্টাইল নিয়ে আর কী বলবো। কত ধরনের হেয়ার স্টাইল যে আছে! এই যেমন পনি টেইল। পনি টেইল তো আমাদের দেশে বেশ পরিচিত। কিন্তু পিগ টেইল কি পরিচিত? হ্যাঁ, খুব ভালোভাবেই পরিচিত। মেয়েদের বেনী করা চুল হচ্ছে পিগ টেইল। ভাবছিলাম, এদেশের পাবলিক যদি জানে এটা পিগ টেইল, তারা কি আর চুল বেনী করবে?
একটা স্ক্রিনশটে শুধুমাত্র চুলের স্টাইলগুলোর একটা তালিকা দিলাম।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা পুষ্টিবিদগন, সবচাইতে কম খরচে ও কম খেয়ে কিভাবে ব্যালেন্স ডায়েট মেনটেইন করা যায়, এসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করুন। মানুষ যাতে ১ মাসের বাজার দিয়ে কমপক্ষে ৩ মাস চলতে পারে, এই ব্যপারে সাহায্য করুন। এটা অনেক বড় চ্যারিটি হবে।
একজন ফ্রিল্যান্সারের সুইসাইড নোট দেখলাম। বেশ দুঃখজনক! নোটটা পড়ে মনে হলো কিছু কথা বলা দরকার যেগুলো গত ১০/১২ বছর ধরে বিচ্ছিন্নভাবে বলে আসছি।
ক) ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং ভালো না।
আইটিতে বাংলাদেশের একদম প্রথম দিকের কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারের একজন হিসেবে এটা আমার অভিজ্ঞতা লব্ধ জ্ঞান। ফ্রিল্যান্সিং কেন খারাপ, এই ব্যাখ্যা গত দশ/বারো বছর ধরে নানাভাবে বিভিন্ন জায়গায় দিয়ে আসছি। Freelancer @ Bangladesh গ্রুপে ২০১৪ সালে সম্ভবত শেষবারের মত এবিষয়ে লিখেছিলাম (লিংক কমেন্টে)। তখন ফ্রিল্যান্সিং এর বিরুদ্ধে কিছু লেখা খুব রিস্কি ছিলো, লোকজন ভালোভাবে নিতো না। যাদের জন্য বলা, তারাই ভুল বুঝলে আসলে বলে লাভ নাই তেমন। তাই এসব নিয়ে গত ছয়/সাত বছর আর তেমন কিছু বলা হয়নি।
ফ্রিল্যান্সিং ভালো না, তো কী করবেন? এ বিষয়ে আমার পরামর্শ হচ্ছে-
১) ফ্রিল্যান্সিং একেবারে নিষিদ্ধ বলছি না। ট্রাই করতে পারেন। তবে, ফ্রিল্যান্সিং করার আগে কমপক্ষে ৪/৫ বছরের জব এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে নিলে ভালো। ফ্রিল্যান্সার হওয়ার আগে আমার ছয় বছরের জব এক্সপেরিয়েন্স ছিলো। আবার ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেয়ার পরেও নিজের স্টার্টাপের পাশাপাশি টুকটাক ফ্রিল্যান্সিং এখনো করি (বিশেষ করে বিদেশী কাজ)। আপনিও করতে পারেন, সময়-সুযোগ হলে। কিন্তু ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার? কখনোই না!
২) ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পেছনে সবচাইতে বড় কারণ সম্ভবত টাকা-পয়সা। ফ্রিল্যান্সিং এ হুট করে অনেক উপার্জন সম্ভব যেটা লোকজনকে আকর্ষণ করে বেশী। অথচ, ক্যারিয়ারের প্রথমে টাকার দিকে তাকাতে হয় না। আমার প্রথম জবের স্যালারি ছিলো মাত্র পাঁচ হাজার টাকা। এই পাঁচ হাজার টাকার বেতনেও শেষ দুই মাসের বেতন দেয়নি। কিন্তু এটা নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই। এই জব থেকে আমি যা শিখেছি, তার মূল্য কোটি টাকা। আমি এখনো কৃতজ্ঞ ঐ প্রতিষ্ঠানের প্রতি, ওখানকার বড় ভাইদের প্রতি, যারা অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন।
৩) ফ্রিল্যান্সিং কিংবা স্টার্টাটাপ, আগে কমপক্ষে পাঁচ বছর জব এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে নেয়া ভালো। তারপর কিছুদিন ফ্রিল্যান্সিং ট্রাই করতে পারেন, কিন্তু ভালো হবে যদি আপনার মত আরো কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়ে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে নিতে পারেন। বাসায় বসেই কাজ করেন সমস্যা নাই, কিন্তু সব প্রাতিষ্ঠানিক ফরম্যাটে করুন।
৪) আপনার ক্যারিয়ার যদি হয় সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট লাইনে, তাহলে কনট্রাক্ট ওয়ার্কের পাশাপাশি নিজেদের কিছু প্রোডাক্ট ডেভেলপ করতে থাকুন। আলটিমেটলি প্রোডাক্টই আপনাদের বাঁচিয়ে রাখবে। শুধুমাত্র কনট্রাক্ট ওয়ার্ক দিয়ে খুব বেশীদূর যাওয়া যায় না, টিকে থাকা কঠিন।
৫) আইটিতে আপনার ক্যারিয়ার যদি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বাদে অন্য কিছু হয়, তাহলে খুব বেশীদিন ফ্রিল্যান্সার না থাকাই ভালো। হয় জবে জয়েন করুন অথবা নিজের একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করুন। অথবা, ক্যারিয়ার সুইচ করুন।
৬) সামনে খুব খারাপ সময় আসতেছে। কিন্তু এই খারাপ সময়ের প্রাথমিক দিকে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা অনেক বাড়ার সম্ভবনা আছে। সাবধান! এটা খুবই সাময়িক একটা অবস্থা। এটা যেন আপনাকে প্রলুব্ধ করতে না পারে। ফ্রিল্যান্সিং আপনার প্রোফাইলে কোন ভ্যালু এড করে না। প্রোফাইলই সবকিছু, টাকা পয়সা না।
খ) যতটা সম্ভব, আপনার পারিবারিক সমস্যা নিজেদের ভেতরে রাখুন।
এই বিষয়টা নিয়ে অল্প কথায় কিছু বলা মুশকিল, পাবলিক ভুল বুঝতে পারে। তাও রিস্ক নিয়ে অল্প কথায় কিছু পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করি-
১) আপনার পারিবারিক সমস্যা যত কম লোকে জানবে, তত ভালো। খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড না হলে এসব সমস্যা নিয়ে কথা বলা উচিত না।
২) আপনার নিজের পারিবারিক সমস্যায় অন্যের পরামর্শ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়। কারণ, তিনি পুরো পরিস্থিতি জানেন না।
৩) আপনার নিজের ফ্যামিলিতে বাইরের লোকের হস্তপক্ষেপ যত কম করতে দিবেন, তত ভালো। হ্যাঁ, এটা খুব কঠিন কাজ। বিশেষ করে ভুল ফ্যামিলিতে বিয়ে করলে এটা সম্ভবই না। তাই, বিয়ের আগেই এই বিষয়টা নিয়ে সতর্ক থাকা ভালো। বিয়ের আগে ছেলে বা মেয়ে দেখার চাইতে তাদের ফ্যামিলি দেখা বেশী গুরুত্বপূর্ন।
৪) কিছু মানুষ আছে, অন্যের ফ্যামিলি ভাঙা যাদের জীবনের আনন্দের অন্যতম উৎস। এদের ব্যপারে খুব সাবধান! এরা আপনার ফ্যামিলিতে অশান্তি লাগিয়ে দিয়ে দূরে বসে মজা দেখতে ভালোবাসে। এদের কথায় ডিভোর্স নেয়ার পর দেখবেন এরা আর আপনার পাশে নাই।
৫) অধিকাংশ মানুষই অন্যের ভালো করতে গিয়ে ক্ষতি করে ফেলে। বিশেষ করে নির্বোধ ও কমবুদ্ধির লোকেরা। এদেরকে আপনার ফ্যামিলিতে একসেস যত কম দিবেন তত ভালো। আপাত দৃষ্টিতে এদেরকে খুব ভালো মানুষ মনে হলেও এরাই সবচাইতে বেশী ক্ষতিকর। নির্বোধ বন্ধুর চাইতে বুদ্ধিমান শত্রু ভালো।
৬) চুপ থাকা শিখেন। একদম চুপ। কথা যত কম বলবেন, তত ভালো।
আজকে এপর্যন্তই থাকুক! বেঁচে থাকলে এসবের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ নিয়ে বই লিখবো হয়তো। ভালো থাকুক প্রতিটা মানুষ।
সকালে ঘুমানো আর ব্রেকফাস্ট না করা যে একটা 'বড়লোকি' ব্যপার, এইটা বাঙালির মাথায় কারা ঢুকিয়েছে?
বাংলা সিনেমা?
একজনরে গতকাল দিন-রাত কিভাবে হয় বুঝাইছিলাম। সাথে, চাঁদের আলো কোত্থেকে আসে দেখাইছিলাম ইউটিউবে। সে আমার থটবুকে সেই বিদ্যা পুরোটাই ঢেলে দিছে। আগামীকাল সকালে আমার প্রথম কাজ হইতেছে তারে একটা থটবুক কিনে দেয়া। যদিও তার থটবুক মেনটেইন করার বয়স এখনো হয় নাই, তবুও দেয়া যায় বা দরকার মনে হইতেছে।
ইন্টারেস্টিং ব্যপার হইলো, আজকে সকালেই প্যারেন্টিং নিয়া যে বইটা লিখতেছি, ওটায় থটবুকের বিষয়ে লিখতেছিলাম। থটবুক হলো একটা নোটবুক যেটায় আপনি আঁকাআকি করবেন, লিখবেন। অনেক বছর ধরেই আমি সব লেখালেখি কম্পিউটার আর মোবাইলে করি। কিন্তু এখনো চিন্তা করার সময় নোটবুকে আঁকাআকি অনেক হেল্প করে। এর কোন বিকল্প নাই আসলে। লেখার সময় এবং সেটা চোখে দেখার ফলে ব্রেইনের বিশেষ বিশেষ জায়গা একটিভ হওয়ার ফলে এই সুবিধা পাওয়া যায়। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বিস্তারিত আমার বইয়ে পাবেন।
আপাতত, সরাসরি এডভাইস হিসেবে নিতে পারেন- "আপনার ৮ বছরের বাচ্চার জন্য থটবুক কিনে ফেলেন।" আঁকাআকি, লেখালেখি একদম ছোটবেলা থেকেই শুরু করা ভালো।