লাইফস্টাইল

That's my life now. Personal time is only 30 hours a month (sometimes less than an hour a day). That monthly 30 hour includes personal peace time & social media activities. And, social media is a huge distraction, you know. Hardly give peace. So, I do not use social media every day. Probably an hour a week from now.
[photo]

বেয়াদবরা কখনো নিজেদের বেয়াদবি ধরতে পারে না। কারণ, বেয়াদব মানেই হচ্ছে আদব জ্ঞানের অভাব। এরা বুঝতে পারে না কেন এদের কথা বলার ভঙ্গি, টোন, ভাষা খারাপ। তার ভেতরে যদি একগাদা লোক এসে সমর্থন দিতে শুরু করে, তাহলে সেটা কালচারে পরিনত হয়। তখন এর থেকে এরা আর বের হতে পারে না। কালচারাল ট্রেইট সহজে বদলায় না।

আপনার মতের সাথে মিলে যাচ্ছে বলেই বেয়াদবী আর অভদ্রতারে প্রশ্রয় দিয়েন না। এগুলো করে ভালো কিছু হয় না।

এবার রোজার মাসে আপনি কী কী শিখলেন? আমি একটা বলি-
ইফতারের আগে মনে হয়
হালুম হালুম হালুম
সবকিছু আজ খালুম!

কিন্তু দেখা যায় অল্প কিছু খেয়েই আপনার ক্ষুদা শেষ। এরপর টেবিল ভর্তি খাবার থাকে কিন্তু আপনাকে কেউ জোর করেও সেটা খাওয়াতে পারবে না। আমাদের প্রয়োজন আর মনের চাহিদার ভেতরে ব্যবধানটা বুঝতে পারি আমরা এটা থেকে।
একজন ব্যক্তির আসলে খুব বেশী কিছু দরকার নেই। ইফতারে আমাদের খাবারের আসল চাহিদাটুকু মিটে যাওয়াতেই আমরা বুঝতে পারি যে, 'নাহ, আর খেতে পারবো না, আর দরকার নেই!' যদি না মিটতো? তাহলে বাকী জীবনই আপনি 'সবকিছু আজ খালুম' মুডে থাকতেন।

অন্য সব বিষয়েও আমাদের তা-ই ঘটে। আমরা পাই না বলে 'সবকিছু আজ খালুম' ভাবতে ভাবতে আফসোস নিয়ে জীবন কাটিয়ে দেই।

স্টেডিয়ামে কখনো খেলা দেখেছেন?
মসজিদে মিলাদ বা যিকিরে অংশ নিয়েছেন?
কিংবা বন্ধুরা মিলে কোন ঘটনায় একসাথে হেসে উঠেছেন?

এগুলোর যেকোন একটাও যদি করে থাকেন এবং সেই অনুভূতির কথা মনে করতে পারেন, তাহলে একা একা কিছু করা ও অনেকে মিলে করার মাঝে পার্থক্যটা ধরতে পারবেন।

স্টেডিয়ামে খেলা দেখার সাথে বাসায় বসে খেলা দেখার পার্থক্য কেন এত বেশী? একা একা ফেসবুকে মিম পড়ে হাসার চাইতে বন্ধুদের নিয়ে হাসলে আনন্দ এত বেড়ে যায় কেন?

যখন অনেকে মিলে কোনকিছু করা হয়, তখন একটা ভাইব তৈরি হয়। এই ভাইবটাই আসল। এটাই সবকিছু বাড়িয়ে দেয়।

ঈদের দিনটা আনন্দময় হয়ে ওঠে যখন সবার মনে একসাথে আনন্দ বিরাজ করে। কোন একটা দিনে সকলেই একসাথে আনন্দিত হলে যে ভাইবটা তৈরি হয়, সেটাই ঈদ। আমাদের ঈদগুলো ফিকে হয়ে যাচ্ছে বয়স বেড়ে যাওয়ার জন্য নয়। আমাদের ঈদগুলো ফিকে হচ্ছে সমল্লিত আনন্দ না থাকায়। আমাদের সঙ্ঘবদ্ধতার অভাবে। আমরা সবাই যদি শুধুমাত্র নিজের হ্যাপিনেস নিয়ে ভাবি, তাহলে কখনোই ঈদের আনন্দ ফিরবে না। সমাজের সকলের হ্যাপিনেস নিয়ে যখন আপনি ভাবা শুরু করবেন এবং কাজ করবেন, তখন দেখবেন আবার ঈদের আনন্দ ফিরতে শুরু করেছে।

ঈদ মুবারক!

আমাদের হ্যাপিনেসের মূল কারখানা যে আমাদের মন, এটা আবিষ্কার করতে পারলে দেখবেন আপনার জীবন বদলে যাচ্ছে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

লম্বা ছুটি পেয়ে শুধু ঢাকাই ফাঁকা হয়নি, ফেসবুকও অনেকটাই ফাঁকা। লোকজন পরিবারের সবার সাথে আনন্দে আছে।

'কথা বলার মানুশ থাকলে, ভালো সময় কাটানোর উপায় থাকলে কেউ ফেসবুকে সারাক্ষন পড়ে থাকে না', এটা আমার একটা ক্ষুদ্র পর্যবেক্ষণ।

পার্টনারশীপ - ৪

প্যারেন্টিং বইটা লিখতে গিয়ে মূলত পার্টনারশীপ নিয়ে আলাদা একটা বই লেখা দরকার মনে হলো, সেখান থেকে এই পার্টনারশীপ সিরিজের শুরু। তো, প্যারেন্টিং এর সাথে পার্টনারশীপের সম্পর্কটা কতটা গভীর তার একটা উদাহরণ দেই-
মনে করেন আপনার বাচ্চাকে শব্দ করে দরজা বন্ধ করা যে খারাপ, এটা শেখাতে চাচ্ছেন। কিন্তু, আপনার পার্টনারও এই কাজ করে। মানে, শব্দ করে দরজা বন্ধ করে। এখন আপনি যদি বাচ্চাকে শেখাতে যান, পার্টনার ভাববে ইনডাইরেক্টলি তাকে ইনসাল্ট করছেন। ফলে সম্পর্কে নেগেটিভ প্রভাব পড়বে। আবার যদি গোপনে বাচ্চাকে শেখান, সেটা অতটা কার্যকরী হবে না। কারণ, বাচ্চা দেখবে বাসায় অন্যরা শব্দ করে দরজা বন্ধ করছে।

তো, এক্ষেত্রে কী করবেন?

পুনশ্চঃ এটা একটা কালচারাল সমস্যা। পার্টনারের সাথে আলাপ করে আপনি তার এই অভ্যাস দূর করতে পারবেন না। কালচারাল/রুচিগত ও অভ্যাসগত সমস্যাগুলো আলাপ-আলোচনা করে সমাধান হয় না সাধারণত বরং পার্টনার অফেন্ডেড হয়। এই বিষয়টা নিয়ে আরেকদিন আলোচনা করবো।

প্যারেন্টিং - ৩৩

ভুল প্যারেন্টিং আপনার বাচ্চার ভেতরে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি করে। এই প্রতিশোধস্পৃহা খুব সুদূরপ্রসারী খারাপ প্রভাব বিস্তার করে আপনার বাচ্চার জীবনে। শাসনের নামে বাড়াবাড়ি করার ফলে এটা ঘটে থাকে।

আপনি প্যারেন্টস বলেই নিজের বাচ্চার সাথে যা খুশি তাই ব্যবহার করার শক্তি হয়তো আপনার আছে, কিন্তু এটা মাথায় রাখুন সেও একজন মানুশ। আপনার বাড়াবাড়ি ও অন্যায়ের সরাসরি প্রতিবাদের শক্তি বা সাহস তার ভেতরে হয়তো নেই, কিন্তু মনে মনে সে কিন্তু প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে একটা সময় পর অনেক বাচ্চা গোপনে প্রতিশোধ নিতে শুরু করে। যেহেতু ছোট মানুশ, জগৎ সংসার সম্পর্কে জানে না তেমন কিছু, তাই তাদের প্রতিশোধগুলো আসলে তাদের নিজেদের জন্যই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

আমি অনেক মাদকাসক্তের কথা জানি যারা বাবা-মায়ের উপরে 'প্রতিশোধ' নেয়ার জন্য গোপনে মাদক নিতে শুরু করেছিলো। আমি এরকম অনেক মেয়ের কথা জানি যারা গোপনে উলটা-পালটা কাজ করেছে শুধুমাত্র বাবা-মায়ের উপরে প্রতিশোধ নিতে। একটা সময় পরে এরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে, কিন্তু ততদিনে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। আর তাদের এই ক্ষতির দায় কিন্তু প্যারেন্টস হিসেবে আপনার।

এই প্রতিশোধস্পৃহা শুধু তার নিজেরই না, অন্যদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে তার লাইফ পার্টনারের উপরে প্রতিশোধ নেয়ার চেষ্টা করে যেটা তার ব্যক্তিগত জীবনে অসুখী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিশোধ নিতে গিয়ে সে তার বাচ্চাদের কাছে পার্টনারের নামে বানিয়ে বানিয়ে উলটা-পালটা বলে বাচ্চাদের মনোজাগতিক ক্ষতি করে (এই বিষয়ে প্যারেন্টিং - ৩০ পর্বে সংক্ষেপে কিছু আলাপ আছে, লিংক দিলাম কমেন্টে), যা বাচ্চাটার ভবিষ্যত জীবনে মারাত্বক নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।

আপনার উপরে প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এদের সবচাইতে বড় যে ক্ষতিটা হয় সেটা হচ্ছে প্রতিশোধস্পৃহায় আসক্ত হওয়া। এটা মাদকাসক্তির চাইতেও খারাপ আসক্তি। এর থেকে সে কখনোই বের হতে পারে না। এমনকি, প্রতিশোধস্পৃহা যে খারাপ, এটা বুঝতে পারলেও এর থেকে বের হতে পারে না। ব্যাপারটা মাদকাসক্তির মত ফাংশান করে ব্রেইনে। মাদকাসক্তরা যেমন ঘুরেফিরে আবার সেই মাদকের কাছেই ফিরে যায়, এরাও এদের প্রতিশোধ নেয়ার পৈশাচিক আনন্দের কাছে ফিরে যায়। এবং এই ভাইরাস তারা অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এভাবে একটা অসুস্থ সমাজ তৈরিতে ভূমিকা রাখে।

আপনার ভুল প্যারেন্টিং শুধুমাত্র আপনার বাচ্চার জীবনই নষ্ট করছে না, একটা সমাজ ধ্বংসেরও কারণ হচ্ছে।

চালাকি করার চেষ্টা করে মূলত বোকা মানুশেরা। তারা ভাবে চালাকি করে তারা খুব জিতসে। আসলে ঠকে। কোন কোন দিক থেকে ঠকে সেটা বুঝার মত বুদ্ধি তাদের নেই। তাদের সবচাইতে বড় নির্বুদ্ধিতা হচ্ছে- তারা ভাবে অন্যরা তাদের চালাকি ধরতে পারে নাই।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি