বাংলাদেশে কিছুদিন পরপর মৃদু ভূমিকম্প হচ্ছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ঢাকার অধিকাংশ বিল্ডিং কলাপস করবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। ভূমিকম্পের প্রথম ধাক্কায় যত লোক মারা যাবে তার কয়েকগুন বেশী মারা যাবে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়ায়। তাই এই ধ্বংসস্তুপের ভেতরে সার্ভাইব করা ও এর থেকে বের হয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি রাখা ভালো। এই প্রস্তুতির জন্য আপনার যা যা প্রয়োজন... বাকীটুকু এখানে পড়ুন।
গেমঃ মাইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
এই গেমে একদল শয়তান নিয়ে খেলবে, অন্যদল এঞ্জেল নিয়ে। গেমে অনেক মানুশ থাকবে। শয়তান ও এঞ্জেলরা সেই মানুশদের মন একসেস করতে পারবে।
শয়তান ও এঞ্জেল মনের ভেতরে বিভিন্ন কাজ করার পক্ষে/বিপক্ষে নানা ধরনের জাস্টিফিকেশন তৈরি করবে। অনেকটা পাজল সলভিং এর মতন। এক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন মতবাদ তারা ব্যবহার করতে পারবে।
শয়তান নিয়ে যারা খেলবে তাদের লক্ষ্য হচ্ছে কেওয়াস তৈরি করা। গেমের ভেতরের মানুশদের মাইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করে তা করা যাবে। অনেক লোকের মাইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করতে পারলে সোশ্যাল ইঞ্চিনিয়ারিং হবে এবং এর ইফেক্ট চলতে থাকবে লম্বা সময় ধরে। এই কেওয়াস থেকে প্লেয়ার পয়েন্ট আর্ন করবে। কেওয়াস চরমে তুলে মানব সভ্যতা ধ্বংস করে দিতে পারলে শয়তান উইনার হবে। আর পৃথিবীতে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়, জাস্টিস চলে আসে তাহলে শয়তান পরাজিত হবে।
অন্যদিক এঞ্জেলরা করবে উলটোটা। তারাও মাইন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করবে তবে শান্তি ও জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য। একটা পীচফুল সভ্যতা তৈরি করা তাদের লক্ষ্য।
কাজের প্রেশার বেশী হয়ে গেলে আমার মাথায় অন্য কোন বিষয়ে আইডিয়া এসে গিজ গিজ করতে থাকে। এটা সেরকমই একটা আইডিয়া। আপাতত এই আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সময় নাই। থিংকার ক্লাউড আর টাউন-সেন্টার পুরোদমে চালু হওয়ার আগে অন্য কোন কিছু নিয়ে কাজ করবো না। ফলে, আইডিয়াটা আউটসোর্স করে দিতে চাচ্ছি।
গেমস ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আইডিয়া আছে বা ইউনিটি/জাভাস্ক্রিপ্ট খুব ভালো জানেন এরকম কেউ যদি আগ্রহী থাকেন, যোগাযোগ করতে পারেন। কনসেপ্ট থেকে শুরু করে মার্কেটিং পর্যন্ত হেল্প করতে পারবো। কসসেপ্ট দেয়ার পাশাপাশি ডেভেলপমেন্টের ব্যাকএন্ডে (বিশেষ করে ডাটাবেস ডিজাইনে) সাহায্য করতে পারবো। আর টাউন-সেন্টারের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফ্রি মার্কেটিং করার দায়িত্ব আমার। আপনার কাজ কনসেপ্ট অনুযায়ী ডেভেলপ করা। ৩০% শেয়ার আমার ৭০% আপনার, এরকম ডিলে আগ্রহী হলে ইনবক্সে টোকা দিয়েন।
লিপস্টিক বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে মানে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হতে যাচ্ছে, এরকম একটা ইন্টারেস্টিং ধারণা আছে ওয়েস্টে। এটাকে লিপস্টিক ইনডেক্স বলা হয়। এর পেছনের থিউরিটা এরকম— যখন মহিলাদের হাতে টাকা থাকে না তখন তারা লাক্সারি আইটেম কিনতে পারে না বলে লিপস্টিকের মত কমদামী জিনিষ বেশী কিনে। এটা ওরকম কোন ইকোনমিক থিওরি না তবে ব্যাপক আলোচিত ও পরিচিত টার্ম। Lipstick Index লিখে সার্চ দিলে আপনি এবিষয়ে ইন্টারেস্টিং সব তথ্য পাবেন।
তবে আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য ভিন্ন। লিপস্টিক ইনডেক্স নিয়া বিতর্ক থাকলেও এর পেছনের কারণটা কিন্তু সত্যি। মানুশের তো এন্টারটেইনমেন্ট লাগে। যখন সে টাকার অভাবে থাকে তখন সে স্বস্তায় বিকল্প কিছু খোঁজে, নিজেরে একটু হ্যাপি করার জন্য। এই ব্যাপারটা মাথায় রাখলে সম্ভবত মন্দার দিনে আপনি করার মত কোন ব্যবসা খুঁজে পাবেন। গুড লাক!
একুশ শতকে টিকে থাকতে হলে প্রতিদিন শেখার উপরে থাকতে হবে। Edx ডট .org, Udemy, এধরনের আপডেটেড কনটেন্ট থেকে শিখতে হবে। স্কুল-কলেজ-ভার্সিটি ও ছাপানো টেক্সটবুকের বিদ্যার উপরে নির্ভর করে থাকাটা ভুল হবে, কারণ ওগুলো আপডেটেড না। আর অবশ্যই আপনার একটা কম্পিউটার থাকতে হবে। মোবাইল দিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সম্ভব, শেখা বা গবেষণা সম্ভব না। কম্পিউটার কেনার ক্ষেত্রে হয় ম্যাকবুক কিনুন অথবা ডেস্কটপ। আইবিএম গোত্রের ল্যাপটপগুলোর ক্ষমতা কম ও কম টেকে।
এবং লার্নিং সাইটগুলোতে চোখ রাখুন। গতকালকেও Udemy তাদের প্রায় ১৫০০ ডলারের কোর্স ফ্রি করে দিয়েছিলো (Inspire to Learn গ্রুপে লিংক শেয়ার করেছিলাম)। এরকম অফার এখন প্রায়ই পাবেন এবং লার্নিং প্লাটফর্মের সংখ্যা এখন বাড়তেই থাকবে।
হ্যাপি লার্নিং... গুড লাক।
থ্রি-ডি'র (ক্যাড/ভিআর/এআর) ফিউচার অনেক ভালো। থ্রিডি নিয়া একটা স্টার্টাপ আইডিয়া দেই—
যেহেতু থ্রিডির মার্কেট এখনো অনেক বড় না, তাই স্টার্টাপটা শুরু হবে একটু অন্যরকম ফরম্যাটে। প্রথমে আপনি নিরিবিলি জায়গাতে একটা ৩/৪ রুমের বাসা ভাড়া নিবেন। সেখানে এক রুমে হবে টিউটোরিয়াল রুম, এক রুমে থ্রি-ডি স্টুডিও, এক রুমে কনফারেন্স (সাধারণত মাঝে যে কমন স্পেসটা থাকে, ওখানে) এবং বাকী রুমটা হবে অফিস।
টিউটোরিয়াল রুম
এই রুমে ৬টা হাই এন্ড কম্পিউটার থাকবে, যেগুলোতে থ্রি-ডির কাজ করা যাবে। এখানে ৬ জন শিক্ষার্থী জয়েন করবে। একজন ইনস্ট্রাকটর থাকবে, সে এদেরকে শেখাবে। শিক্ষা গ্রহণ করার পদ্ধতিও অন্যরকম হবে। প্রতিদিন চার ঘন্টা করে একজনের জন্য বরাদ্দ থাকবে। মাসে ৫ হাজার টাকা করে ৬ জন = ৩০ হাজার টাকা দিবে মাসে। দুই ব্যাচ তৈরি করতে পারলে মাসে ৫০-৬০ হাজার ইনকাম। এটা দিয়ে বাড়ি ভাড়া, ইউটিলিটি + টিউটরের বেতনের একাংশ হয়ে যাবে।
থ্রি-ডি স্টুডিও
স্টুডিওতে প্রথমে ২টা সিস্টেম দিয়ে শুরু হতে পারে। শিক্ষার্থীদের ভেতরে যারা মোটামুটি কাজ শিখে ফেলবে, তারা এখানে কাজ করবে টাকার বিনিময়ে কিংবা ইন্টারর্ন হিসাবে। প্রতিষ্ঠান যেসব কাজ পাবে সেগুলো এখানে হতে পারে কিংবা ইন-হাউজ কোন প্রজেক্ট। ২জন এখানে সবসময় কাজ করলে মাসে দেড় থেকে দুই লাখ সহজেই আর্ণ করা সম্ভব (দেশী বিদেশী কাজ মিলিয়ে)।
কনফারেন্স রুম
এই রুমটা কনফারেন্সের জন্য ভাড়া দেয়া যাবে। অনেকেই আজকাল মিটিং প্লেস ভাড়া নিচ্ছে। এর থেকেও মাসে একটা ভালো এমাউন্ট আসতে পারে।
টিউটোরিয়াল ফি + কনফারেন্স রুম ভাড়া + কনট্রাক্ট ওয়ার্ক = মোটামুটি চলার মত একটা এমাউন্ট আসতে থাকবে। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদের থ্রিডি শিখিয়ে তাদের ভেতর থেকে পটেনশিয়ালদের নিয়ে একটা টীম তৈরি করা, যারা ভবিষ্যতের বিশাল সম্ভববনাময় থ্রিডি মার্কেটপ্লেসে আপনার সাথে কাজ করবে।
এধরনের স্টুডিও যত বেশী হবে তত ভালো। মার্কেট তো বিশাল, কাজ করে শেষ করা যাবে না। খুটিনাটি আরো আইডিয়া লাগলে ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন। চেষ্টা করবো সাহায্য করতে।
অনলাইনে দেখবেন সার্চ করলেই প্রচুর টিউটোরিয়াল, ব্লগ আর্টিকেল পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে। সবচাইতে বেশী পাওয়া যায় আইটি নিয়ে। বিশেষ করে প্রোগ্রামিং বিষয়ক।
বলেন তো, প্রোগ্রামিং নিয়ে মানুষ কেন এত আর্টিকেল লিখে?
উত্তরটা খুব সহজ। একজন মানুষ যখন নিজের প্রোগ্রামিং নলেজ শেয়ার করে, তখন অন্যরা জানতে পারে ঐ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা কতটুকু, স্কিল কতটুকু। এতে তার কাজ পাওয়ার পরিমান বেড়ে যায়। বাংলাদেশে অন্তত এক ডজন লোকরে আমি চিনি যারা শুধুমাত্র লেখালেখি করেই বিদেশী প্রচুর কাজ পেয়েছে, পাচ্ছে। কয়েকজন লেখালেখি করে বিদেশী কোম্পানীতে ভালো জবও পেয়েছে। এদের কাউকে কাউকে কোম্পানী হায়ার করে নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে।
তাই লেখালেখি করবেন। নিজের মার্কেটিং এর জন্য লেখালেখি গুরুত্বপূর্ন। এটা আপনার স্কিল ও যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যম।
একটা বিজনেস আইডিয়া দেই। এইযে ভেজালের কারণে লোকজন ফল-মূল কিনে খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে, এতে ফল-মূলের চাহিদা মানুষের কাছে অনেক বেড়েছে। কারণ, বছরে একবার হলেও সবাই আম-কলা-তরমুজ খেতে চায়। গ্রাম অঞ্চলের দিকে এমন ধরনের রিসোর্ট ডিজাইন করতে পারেন যেখানে সুদৃশ্য গাছপালার পরিবর্তে শুধুমাত্র ফলের গাছ থাকবে। আমের বাগান, কলার বাগান, লিচুর বাগান। সাথে বিশাল দীঘিতে মাছের চাষ। দেশী মুরগি, টার্কির ফার্ম। অর্গানিক চাল-ডাল-শস্য, শবজি। একটা বিশাল গ্রামের মত হতে পারে বিষয়টা। বিভিন্ন ফল ও শস্যের মৌসমে মানুষ সেখানে বেড়াতে যাবে। রিসোর্টের বাগান থেকে আম-লিচু খাবে। দীঘি থেকে মাছ ধরে খাবে। অর্গানিক খাবার খাবে। যারা আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে সারাবছর অর্গানিক ফুড খেতে পারে না তারা বছরে একবার হলেও খেতে যাবে ওখানে। যখন ফসল বা ফলের মৌসুম থাকলো না, তখন সাধারণ রিসোর্টের মতই চললো সবকিছু। মানুষ কয়েক মাস আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখবে।
রিসোর্টের গেস্টদের খাওয়ানোর পরে যেসব ফল-মূল-ফসল বেঁচে যাবে, সেগুলো বাজারজাত করতে পারবেন। শুধু কষ্ট করে একবার ব্রান্ড ভ্যালু তৈরি করে নিলেই হলো। বিশ্বাস আপনার মূল পুঁজি।
একটা ব্যপার ভাবছিলাম। আমাদের দেশের অফিস-আদালতের সময়টা ১০টা-৫টা থেকে পরিবর্তন করে ভোর ৫টা-১টা করলে কেমন হয়? মানুষজন ভোর ৪টায় ঘুম থেকে উঠে হালকা কিছু খেয়ে বের হয়ে পড়লো। অফিসগুলোতে লাঞ্চ ব্রেকের মত ১০টার দিকে ব্রেকফাস্ট ব্রেক দিলো। তারপর ১টায় ছুটি। লোকজন দুপুরে বাসায় ফিরে পরিবারের সাথে লাঞ্চ করলো, আপনজনের সাথে বাকীটা দিন কাটালো। শপিং করলো, ঘুরলো। তারপর সন্ধ্যায় ডিনার করে ৮টার ভেতরে ঘুমিয়ে গেল। এর পজেটিভ সাইডগুলোর ভেতরে গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরা যাক-
১) ভোরে ঘুম থেকে ওঠার ফলে মানুষজনের কর্মস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। কাজকর্ম অনেক দ্রুত হবে।
২) পরিবারের সাথে সময় দেয়ার মত যথেষ্ঠ সময় পাওয়া যাবে।
৩) বাকী দিনটা যেহেতু ফ্রি, এসময়টা লোকজন শপিং আর ঘুরাঘুরি করতে পারলো। এতে ব্যবসাবানিজ্য বৃদ্ধি পাবে, পর্যটন/বিনোদন ব্যবসাগুলোও বৃদ্ধি পাবে।
৪) বিদ্যুৎ সমস্যা মিটবে। যেহেতু রাতের অধিকাংশ সময়টায় লাইট অফ থাকবে এবং শুধুমাত্র বেডরুমে ফ্যান/এসি চলবে। তাছাড়া সকালের ঠান্ডা পরিবেশের কারণে অফিসগুলোর বিদ্যুৎ কনজিউমও কমবে।
৫) ভোর রাতে যেহেতু বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা থাকে, অফিস যাওয়ার পথের গরমের কষ্টটা লাঘব হবে।
৬) স্কুল-কলেজগুলো ৮টার পরে শুরু হলে অফিসযাত্রীরা রাস্তায় জ্যামও কম পোহাবে। ভিআইপিরা সকাল দশটার পরে ও দুপুর ২টার পরে মুভ করে জ্যাম আরো কমাতে পারেন।
৭) স্কুল-কলেজ ও প্রফেশনাল কোর্সগুলো দুই শিফটে হতে পারে। এতে অফিস করার পাশাপাশি মানুষ ক্যারিয়ার বিল্ড করার জন্য দুপুরের পরে প্রফেশনাল কোর্স করতে পারবে।
৮) দুপুরের পরে ওভারটাইম কাজ করে লোকজন তাদের আয় বাড়াতে পারবে। সকালে অফিস করে বিকালে কোন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করলো বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পার্টটাইম কাজ করলো।
৯) প্রতিদিন দুপুরের পর অবসর পাওয়ার ফলে লোকজন পড়াশোনা ও বিনোদনে যথেষ্ঠ সময় দিতে পারলো। এতে দেশের মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ও মানসিক উন্নতি ঘটবে।
১০) অনেক ভোরে কার্যক্রম শুরু করায় বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে লেনদেন সহজ হবে। তাদের ওয়ার্কিং আওয়ারের সাথে সিন্ক করা সহজ হবে।
আরো অনেক সুবিধা আছে।