যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা
একসময় আমার ধারণা ছিলো একটা দেশের রাজনীতি ঠিক করলে দেশটা ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু পরে দেখলাাম, মানুষ ঠিক না করে শুধু রাজনীতি ঠিক করে কোন লাভ নাই। ইন ফ্যাক্ট, মানুষ ঠিক না থাকলে রাজনীতিবিদরাও ঠিক হয় না। কারণ, তারা জনগনেরই প্রতিনিধিত্ব করে। এই উপলদ্ধি আমার জীবনের লক্ষ্য পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমার সমস্ত চিন্তা-ভাবনা, কাজকর্ম, প্রজেক্ট.. সবকিছুরই একটা মৌলিক উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষ ঠিক করা। এর জন্য যে কয়েকটা প্রজেক্ট আমি হাতে নিয়েছি তার ভেতরে আছে-
১) বই লেখা (টপিকঃ প্যারেন্টিং, কমনসেন্স ও কার্টেসি, সার্ভাইভাল ও ব্যবহারিক জ্ঞান, হিউম্যান সিভিলাইজেশন ও হিস্টোরী)
২) শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্টুডেন্টদের নিয়ে কাজ করার জন্য একটা প্লাটফর্ম। কর্মসংস্থানের ব্যপারেও এই প্লাটফর্ম ম্যাসিভলি হেল্প করবে। এটা আমার সবচাইতে বড় ও দীর্ঘমেয়াদি দু'টো প্রকল্পের একটি। একইসাাথে আমার ক্যারিয়ারেরও অংশ।
৩) গ্রীন ব্লাড প্রকল্প (এটা একটা সামাজিক আন্দোলন। একটা কমিউনিটি দাঁড়াবে। কর্মজীবন থেকে অবসরের পর এটার কার্যক্রম শুরু হবে। এখন প্রস্তুতিপর্ব চলছে..)
এগুলো আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য... purpose of my life.
রিটায়ারমেন্টের পর এই ব্যাড প্যারেন্টিং এর বিরুদ্ধে আমি যুদ্ধ ঘোষণা করবো। যদি বেঁচে থাকি...
সহজ জীবন - ৮
যে মানুষগুলোরে বেশীরভাগ মানুষ পছন্দ করে না, এদের সাথেও আমার ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয় এবং টিকে থাকে। বা, আমি টিকিয়ে রাখি। এদের থেকে আমি শিখেছি- অন্যের সাথে কেমন আচরণ করতে হয় এবং কী করা উচিত না। কথা বলার সময় কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। মনোভাব কেমন হলে অন্যরা আপনাকে বিরক্তিকর ভাববে না।
এসব ব্যপার প্রাকটিক্যালি আর কোথায় শিখতে পারতাম?
বন্ধু Russel Khan-এর বাসায় ছিলাম এক রাত। রাতে ঘুমানোর আগে সে আমাকে বিভিন্ন রকমের বাদাম, এক চামচ খাঁটিি মধু ও এক চামচ কালোজিরা দিলো খেতে। সে নাকি প্রতিদিন খায়। আমি চমৎকৃত হলাম। ফুড এন্ড নিউট্রিশন নিয়ে গত ৪/৫ বছর ধরে ভালোই ঘাঁটাঘাটি করেছি। এগুলোর গুরুত্ব আমাকে কারো বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই কিন্তু এভাবে ব্যপারটাকে আভ্যাসে পরিনত করে ফেলার কথা কখনো ভাবিনি। কিছু কিছু খাবার অভ্যাসে পরিনত করা খুব ভালো।
বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টি সমস্যা ভয়াবহ! আমরা কৃষি প্রধান দেশ, আমাদের পুষ্টির অভাব হওয়ার কথা না। স্রেফ সচেতনতার অভাবে আমাদের পুষ্টিগত এই সমস্যা। খাওয়া দাওয়ার ব্যপারে আমাদের এই উদাসীনতার কারণে এখানে মানুষ খুব দ্রুত বুড়িয়ে যায়, নানারকম রোগ ব্যাধির শিকার হয়। পুষ্টির ব্যপারে আমাদের সচেতনতা বাড়ানোর তেমন কোন উদ্যোগও চোখে পড়ে না। অথচ, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন। একজন মানুষের সুস্থ্য ও আনন্দময় জীবনের জন্য এ বিষয়ে জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। খাওয়া দাওয়া ও পুষ্টির বিষয়ে গ্লিএরাতে একটা সিরিজ পোস্ট শুরু করেছি। ৩ পর্ব লেখা হয়েছে, সামনে আরো আসবে (কমেন্টে লিংক দিলাম)। আপাতত শর্টকাটে একটা লিস্ট দেই, দেখেন ফলো করতে পারেন কিনা (কিছু মিস থেকে যেতে পারে, পুষ্টি বিশারদগনের সুদৃষ্টি কামনা করছি)
প্রতিদিন যা খাওয়া উচিত-
১) প্রতিদিন ২টা কলা, কমপক্ষে ১টা
২) প্রতিদিন এক গ্লাস গরুর দুধ।
(প্যাকেটজাত গুড়া দুধ বা পাস্তুরিত দুধ খেয়ে তেমন কোন লাভ নাই)
৩) কমপক্ষে ১টা গাজর
৪) দুই গ্লাস লেবুর সরবত
৫) প্রতিদিন ৩/৪ পিস আলমন্ড, ২/৩ পিস কাজু বাদাম, ৫০-১০০ গ্রাম চিনা বাদাম (মাস্ট)
৬) রেড মিট সপ্তাহে দুইদিনের বেশী নয়, মুরগীও না
৭) বিভিন্ন প্রকার ফল-মূল, যত বেশী খাওয়া যায়। বিশেষ করে দেশী ফলগুলো।
৮) ডাল রান্না করলে, প্রচুর ডাল। দরকার হলে খাওয়া শেষে এক কাপ ডাল স্যুপের মত খেয়ে ফেলা যায়।
৯) নিয়মিত সবজি। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার।
১০) প্রতিদিন কমপক্ষে ১টা ডিম
১১) এক চামচ খাঁটিি মধু (সম্ভব হলে)
১২) সপ্তাহে কমপক্ষে দুইদিন মাছ (একদিন ছোট মাছ )
১৩) বিভিন্ন প্রকার আলু, বিশেষ করে মিস্টি আলু (প্রতিদিন)
১৪) বেদানা (সপ্তাহে কমপক্ষে একটা, বিশেষ করে মেয়েরা)
১৫) পর্যাপ্ত পানি (২-৩ লিটার, এর বেশী না)
এছাড়াও ঔষধি গুনের কারণে যা যা খাওয়া উচিত-
১) সপ্তাহে কমপক্ষে দুইবার ২ চামচ কাঁচা হলুদের রস। কাঁচা হলুদ না পেলে ৩/৪ চামচ গুড়া হলুদ চা অথবা হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) প্রতিদিন ২ কোয়া রসুন পেস্ট বানিয়ে সকালবেলা খেয়ে ফেলবেন
৩) পুদিনা পাতার ভর্তা/শরবতে দিয়ে
৪) কালোজিরা, প্রতিদিন এক চা চামচ
৫) বাসিল সীডের শরবত (সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন)
৬) পেঁয়াজের রস, দু্ই চামচ (সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন)
লেখাটা কি বেশী বড় হয়ে গেল? আরেকটু বিস্তারিত ও আরো সুন্দরভাবে গ্লিএরাতে পোস্ট করবো পরে।
তথ্য-প্রযুক্তিরে পেশা হিসেবে নেয়ার পেছনে আমার ভেতরে দু'টো ব্যপার কাজ করেছে। এক- এখানে দূর্নীতি করা লাগবে না এবং দুই- কম্পিউটার জিনিষটা আমার সেই স্কুল লাইফ থেকেই ভালো লাগে। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তির খুব খারাপ একটা দিকও আছে। একসময় এই তথ্য প্রযুক্তির কারণে কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে যাবে। এই ব্যপারটা বোঝার পর থেকে একটা খারাপ লাগা কাজ করতে শুরু করে নিজের ভেতরে। এই খারাপ লাগা থেকে ২০১২ সালে একটা RnD স্টার্টাপ শুরু করি। উদ্দেশ্য ছিলো এমন একটা প্লাটফর্ম বানানো যেটা কোটি কোটি মানুষের জীবিকার ব্যবস্থা করবে। অন্তত কেউ যাতে না খেয়ে না মারা যায়, এটা নিশ্চিত করা। এটা মূলত একটা ইন্ট্রিগ্রেশন প্লাটফর্ম। একদম স্কুলের একজন স্টুডেন্ট থেকে যেকোন বয়সের যেকোন ব্যক্তি যাতে এর সুফল ভোগ করতে পারে, সেটা মাথায় রেখে পুরো গবেষণা ও ডেভেলপমেন্টটা চলেছে। এমনকি, প্রচলিত কোন কোম্পানী বা প্রোডাক্ট যাতে মার না খেয়ে যায়, কারো বাজার যাতে নষ্ট না হয়, সেটাও এখানে যতদূর সম্ভব দেখা হয়েছে। কারো রুজি নষ্ট করা নয় বরং সকলের জন্য বাজার তৈরি করা ও মাস পিপলকে যুক্ত করা হচ্ছে এর মূল উদ্দেশ্য। ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত পাঁচ বছরে এই RnD একটা ম্যাচিউর স্টেজে পৌঁছেছে। ২০১৭ থেকে এর বাস্তবায়ন ও মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। পুরো ব্যপারটার ৮০ ভাগও যদি সফলভাবে ইমপ্লিমেন্ট করে যেতে পারি তাহলে কয়েক বিলিয়ন মানুষের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে যেতে পারবো আশা করি।
এই প্রকল্পের একটা অংশ হচ্ছে টিকে থাকার জন্য মানুষকে যোগ্য করে তোলার একটা একাডেমিক প্লাটফর্ম। টিউটোরিয়াল বা কোচিং সেন্টার টাইপ কিছু না। গাইডলাইন ও ইস্পায়ার করা টাইপ ব্যপার নিয়ে কাজ হবে ওখানে। এক্ষেত্রে নিজের অভিজ্ঞতা ও রিয়েলাইজেশন আমাকে ব্যপকভাবে অনুপ্রানিত করেছে। আমি ক্যারিয়ার শুরু করেছি একদম কলেজ লাইফ থেকে। কিন্তু এত আগে থেকে ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন থাকার পরেও এমন অনেক ভুল করেছি যেগুলো না করলে অনেক ভালো হতো। আসলে গাইডলাইনে অভাব ছিলো। মেন্টর ছিলো না। তরুনদের ঠিকভাবে গাইড করা গেলে সোনা ফলানো সম্ভব। বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুনদের ব্যাপারে আমার আস্থা আছে। তারা মেধাবী, সুযোগ আর গাইডলাইনের অভাবে সময় নষ্ট করছে। গাইডলাইনের অভাবে অনেক তরুনই ভার্সিটির শেষ বর্ষে যাওয়ার আগে ক্যারিয়ার নিয়ে ওভাবে সচেতন হয় না, কাজ শুরু করে না। অথচ ক্যারিয়ার নিয়ে স্কুল থেকে ভাবা উচিত, কাজ শুরু করা উচিত কলেজ জীবন থেকে। ১৮ বছর হওয়ার পর প্রতিটা মানুষেরই নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা জরুরী। এই প্লাটফর্মের একাডেমিক দিকটা সেই ব্যপারগুলো নিয়ে কাজ করবে।
আল্লাহ যদি আর দশ বছরও আমাকে বাঁচিয়ে রাখে, তাহলে এই জিনিষ আমি শতভাগ ইমপ্লিমেন্ট করে যাবো ইনশা'আল্লাহ।
আমি যদি কোনদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হই, তাহলে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার মত করে দু'টো জিনিষ ইমপ্লিমেন্ট করবো। অনেক টাকা থাকলেও সম্ভব হতো।
১) প্যারেন্টিং কোর্স
২) ফুডস এন্ড নিউট্রেশন কোর্স
প্যারেন্টিং নিয়া কিছু লেখালেখি করবো ভাবছি। আমাদের দেশের মানুষ প্যারেন্টিং জানে না।
#প্যারেন্টিং
Sarahah-তে একজন আমার ক্যারিয়ার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ক্যারিয়ার নিয়া আমি অত ভাবি না। আমি ভাবি আমার গোলগুলো নিয়ে। অনেক বড় বড় জায়গা থেকে বের হয়ে এসেছি শুধুমাত্র নিজের গোল/লক্ষ্য ধরে কাজ করার জন্য। অনেক জায়গায় অনেক ভালো ভালো অফার গ্রহণ না করে নিজের করে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছি, গোলগুলো বাস্তবায়নের জন্য। আমার জীবনে এধরনের বড় গোল তিনটা।
১) মানুষকে অনুপ্রানিত করার জন্য একটা প্রজেক্ট। এটা একই সাথে ব্যক্তিগত জীবন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম ও বিজনেস প্লাটফর্ম। গত পাঁচ বছরে এটার RnD শেষ করেছি। এখন বাস্তবায়ন (implementation) ফেজে আছে।
২) এডুকেশন নিয়ে কাজ করা। এটা নিয়েও গত পাঁচ বছর রিসার্চ করেছি। এখন বাস্তবায়ন (implementation) ফেজে আছে।
৩) একটা চমৎকার সোসাইটি তৈরি করে যাওয়া। এটা নিয়ে বলতে গেলে সারাজীবন ধরে গবেষণা করছি। ৪০ এর পর কাজ থেকে অবসরে যাওয়ার পর এটা বাস্তবায়ন শুরু করবো (যদি বেঁচে থাকি)। এই প্রজেক্টটার নাম Green Blood. বছর তিনেক আগে এটার জন্য একটা ফেসবুক গ্রুপও তৈরি করেছিলাম, কিন্তু যেহেতু এখন সময় দিতে পারবো না তাই ঘোষণা দেইনি। (কমেন্টে গ্রুপের লিংকটা দেয়া হলো)
এই তিনটা প্রজেক্ট শেষ করে যেতে পারলে নিজেকে সফল ভাববো। ক্যারিয়ার বলতে আপনারা যা বোঝেন সেভাবে দেখতে চাইলে আমাকে একজন গবেষক ভাবতে পারেন।
আইটি ক্যারিয়ারের (বিশেষ করে ডেভেলপারদের বেলা) সবচাইতে আকর্ষনীয় কয়েকটা দিক হইতেসে-
১) অসৎ উপার্জন/ধান্ধাবাজী ছাড়াও প্রয়োজনের অধিক আয় করা সম্ভব, উপার্জনে সৎ পথে থাকা অনেক বেশি সহজ এখানে
২) কাজই বিনোদন, আলাদা বিনোদনের প্রয়োজন হয় না (যদি সত্যিকার অর্থে কেউ আইটি ভালোবাসে)
৩) সৃষ্টির আনন্দ আছে। কবি-সাহিত্যিকরাও সৃষ্টির আনন্দ পায় কিন্তু আইটি সৃষ্টির আনন্দ+টাকা পয়সা দুইটাই পায়, এটা অন্য কোন পেশায় এত সহজে হয় না
আইটিতে না আসলে কৃষক হইতাম, আমার ধারণা কৃষকদেরও এই তিনটা বিষয় আছে, যদি কারো চাহিদা আকাশচুম্বী না হয়...
একজন আমাকে বললেন- 'আপনি সাংবাদিক বা লেখক হলে ভালো হতো, আরো বেশি সময় দিতে পারতেন'
আমি হেসে বললাম, 'মোটেও না, বরং তখন আমাকে কলম চালাতে হতো অনেক ভেবে-চিন্তে। অনেক সত্য চেপে যেতে হতো কৌশলে, ক্যরিয়ার সুইসাইডের ভয়ে।'
মিডিয়া যাদের দখলে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কেউ মিডিয়াতে বেশিদূর যেতে পারে না, এটা একটা নির্মম সত্য। আর ক্যারিয়ারের ঝূঁকি নিয়ে তারা সত্য বলতে যাবেই বা কেন? যাদের জন্য সত্য বলবে তাদের তো মূল্যায়ণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে, মিডিয়ার গুরুত্ব বোঝার মত ঘিলু থাকতে হবে। যারা মিডিয়ার গুরুত্ব বোঝে না তাদের পক্ষে কোন ভালো লেখক সাংবাদিক তাই যেতে চায় না, নীরবে সত্য চেপে যায়।
কিন্তু ব্লগার? তাদের ক্যারিয়ার সুইসাইডের ভয় নাই, তারা চাইলেই সত্য প্রকাশ করে দিতে পারে। এই একটা কারণে ব্লগ নিয়ে আমি অনেক আশাবাদী, যদিও এখন পর্যন্ত ব্লগারদের ভেতরে বেশির ভাগই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবুও, অনেক অনেক দায়িত্বশীল ব্লগার নিশ্চয় একদিন পাওয়া যাবে।
একটা সত্য কথা কার পক্ষে যাবে বা কার বিপক্ষে যাবে এটা চিন্তা না করে লেখালেখিতে সততা শুধুমাত্র ব্লগারদের পক্ষেই দেখানো সহজ।