দিনলিপি

যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা



একজনরে গতকাল দিন-রাত কিভাবে হয় বুঝাইছিলাম। সাথে, চাঁদের আলো কোত্থেকে আসে দেখাইছিলাম ইউটিউবে। সে আমার থটবুকে সেই বিদ্যা পুরোটাই ঢেলে দিছে। আগামীকাল সকালে আমার প্রথম কাজ হইতেছে তারে একটা থটবুক কিনে দেয়া। যদিও তার থটবুক মেনটেইন করার বয়স এখনো হয় নাই, তবুও দেয়া যায় বা দরকার মনে হইতেছে।

ইন্টারেস্টিং ব্যপার হইলো, আজকে সকালেই প্যারেন্টিং নিয়া যে বইটা লিখতেছি, ওটায় থটবুকের বিষয়ে লিখতেছিলাম। থটবুক হলো একটা নোটবুক যেটায় আপনি আঁকাআকি করবেন, লিখবেন। অনেক বছর ধরেই আমি সব লেখালেখি কম্পিউটার আর মোবাইলে করি। কিন্তু এখনো চিন্তা করার সময় নোটবুকে আঁকাআকি অনেক হেল্প করে। এর কোন বিকল্প নাই আসলে। লেখার সময় এবং সেটা চোখে দেখার ফলে ব্রেইনের বিশেষ বিশেষ জায়গা একটিভ হওয়ার ফলে এই সুবিধা পাওয়া যায়। এর পেছনের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার বিস্তারিত আমার বইয়ে পাবেন।

আপাতত, সরাসরি এডভাইস হিসেবে নিতে পারেন- "আপনার ৮ বছরের বাচ্চার জন্য থটবুক কিনে ফেলেন।" আঁকাআকি, লেখালেখি একদম ছোটবেলা থেকেই শুরু করা ভালো।

তাতিন আমাকে বলতেছে, বাবা তুমি সব নামতা পারো?

হ্যাঁ পারি। দুইয়ে একে দুই, দুই দুগুনে চার....

তুমি একশ'র নামতা পারো?

হ্যাঁ পারি। একশো একে একশো, একশো দুগুনে দুইশ....

তুমি এক হাজারের নামতা পারো?

হ্যাঁ... এক হাজারে একে এক হাজার, এক হাজার দুগুনে দুই হাজার....

তুমি এক লক্ষের নামতা পারো?

হ্যাঁ পারি... এক লক্ষ একে এক লক্ষ, এক লক্ষ দুগুনে দুই লক্ষ.....

তাতিন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বাবা, তুমি দশ লক্ষের নামতাও পারো?

হ্যাঁ বাবা। দশ লক্ষ একে দশ লক্ষ, দশ লক্ষ দুগুনে বিশ লক্ষ....


তাতিন এবার ভাবতে শুরু করেছে, তার বাবা সব পারে! পাশের রুমে বসে এখন আমি শুনতেছি, সে তার আম্মুকে জিজ্ঞেস করতেছে। বাবা কিভাবে এতগুলো নামতা বলতে পারে?

বিয়িং কিড ইজ দ্যা সুইটেস্ট থিং ইনডিড!

আজকাল ফেসবুকে আসি ২/৩ মিনিটের জন্য। মোস্টলি হয়তো পোস্ট দিতে আসি এবং পোস্ট করেই ট্যাব ক্লোজ করে দেই। কিংবা একটা কমেন্টে বা ইনবক্সে রিপ্লাই দিতে আসি মাঝে মাঝে। কাজের মাঝখানে থাকলে তাও আসি না। আমার ওয়েব ট্রাকার বলতেছে — গত চার মাসে ফেসবুকে ১% এরও কম সময় দিছি। এটা একটা এ্যাচিভমেন্ট বলা যায়। অন্তত, টানা চারমাস ধরে করতে পারাটা।

তো, অনেকেই এই চারমাসে নোটিশ করেছেন যে ফেসবুকে আমি কম আসি বা মাঝে মধ্যে ২/৩ দিন আসিও না। কিভাবে এটা সম্ভব জানতে চাইছেন তারা। খুব বেসিক একটা ট্রিক ফলো করছি এক্ষেত্রে⁠ — গেটিং ইনভলব উইদ সামথিং মোর ইন্টারেস্টিং...

তো, এই মোর ইন্টারেস্টিং ব্যপারটা কী? আমার ক্ষেত্রে অনলাইন গেম। বিশেষ করে একটিভ কমিউনিটি আছে এরকম কোন গেম। টর্ন নামের একটা গেম আমার অনেক কাজে আসছে। ওখানকার কমিউনিটি বিশাল। আর যেহেতু নিজেও একটা গেম ডেভেলপ করতেছি, ব্যপারটা শুধুমাত্র বিনোদনে সীমিত থাকে নাই, কাজেও হেল্প করতেছে। আগে যেমন ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুক চেক করতাম, এখন টর্ন চেক করি। ঐ গেমের ভেতরে জিম করা যায়, জব করা যায়, রাজনীতি করা যায় এবং আরো অনেক কিছু করা যায়। সকালে জিম করে এয়ারপোর্টে গিয়ে অন্য কোন একটা দেশে ফ্লাই দেই। তারপর আবার ৩/৪ ঘন্টা পর ঐ দেশ থেকে জিনিষপত্র কিনে ট্রর্নের উদ্দেশ্যে ফ্লাই দেই। এভাবে ৩/৪ ঘন্টা পর পর ১/২ মিনিট আর রাতে অন্য গেমারদের সাথে একটু টুকটাক কথাবার্তা বলি, তাদের ড্রামা দেখি আর গেমটার ইনসাইড পলিটিক্স এনজয় করি। সব মিলিয়ে দিনে ১ ঘন্টায় আমার বিনোদন হয়ে যাচ্ছে। সাথে নেটওয়ার্কিও হচ্ছে যা ভবিষ্যতে আমার নিজের গেমে প্লেয়ার ইনভাইট করতে কাজে দিবে।

আপনি যদি ফেসবুক ছাড়তে চান, তাহলে নিজের ইন্টারেস্টের সাথে মিলিয়ে কিছু একটা নিয়ে বিজি হয়ে যেতে পারেন। সাথে সেটা যদি আপনার কাজের সাথে রিলেটেড হয়, তাহলে তো আরো ভালো।

দুই একটা তাঁর না ছিঁড়া থাকলে মানুষ বোরিং হয়।

ফেইক আইডি থেকে কেউ আমাকে নক দিলে আমি কথা বলি। আগে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টও একসেপ্ট করতাম, এখন লিস্টে জায়গা নাই বলে করি না। কেন কথা বলি?

ওয়েল, আইডি ফেইক হলেও পেছনের মানুষটা কিন্তু রিয়েল। শুধু রিয়েলই না, সে আপনার প্রতি এতই ইন্টারেস্টেড যে ফেইক আইডি খুলেছে কথা বলার জন্য। তার ভেতরে যদি কোন ছেলে মেয়ে আইডি খুলে নক দেয়, সেটা তো আরো বেশী ইন্টারেস্টিং। মানে, এখানে ঘটনাটা তো আর স্বাভাবিক রইলো না। সাইকোলজি আমার প্রিয় সাবজেক্ট। একটা ছেলে মেয়ে আইডি খুলে নক কেন দিলো, এটা বেশী ইন্টারেস্ট জাগায়।

আগে অলমোস্ট সব ফেইক আইডির সাথেই কথা বলতাম, ইদানিং সময় কম থাকায় বেছে বেছে যাদেরকে পছন্দ হয় তাদের সাথে কথা বলি। পছন্দ হওয়ার ব্যপারটা আইকিউর সাথে রিলেটেড। আইকিউ বুঝার একটা সহজ তরিকা হইলো সেন্স অব হিউমার। এই যেমন ধরেন একটা ফেইক আইডি থেকে বললো-

ফেইক আইডিঃ Hi
ত্রিভুজঃ High
ফেইক আইডিঃ High?
ত্রিভুজঃ Higher
ফেইক আইডিঃ Higher?
ত্রিভুজঃ Highest
ফেইক আইডিঃ hehehehehhe

এরকম আরকি। তবে, এইসব মজা সবাই নিতে পারে না। যেমন, একবার জাহাঙ্গীর নগরের এক মেয়েরে প্রথমে ফেইক ভাবছিলাম, পরে দেখি ফেইক না। তার সাথে এরকম ফান করতে গিয়ে ব্লক খাইছিলাম। ফানটা অবশ্য সিরিয়াস একটা ব্যপারে করছিলাম। দুই/তিনদিন কথা বলার পরপরই সে তার জীবন কাহিনীর সংক্ষিপ্ত বয়ান দিয়া ফেলছিলো। সেই কাহিনী এরকম যে- একটা ছেলেরে সে অনেক পছন্দ করে কিন্তু ছেলেটা তারে পাত্তা দেয় না। আবার যেদিন সে ঐ ছেলেরে প্রপোজ করছিলো তারপর থেকে ঐ ছেলের রেজাল্ট ভালো হওয়া শুরু করছে। রেজাল্ট এই ভালো হওয়াটা তার অবদান বইলা দাবী করছিলো। আমি একটু ফান করছিলাম ব্যপারটা নিয়া, ইনস্ট্যান্ট ব্লক! এইরকম ব্লক খাওয়ার ভেতরেও শিক্ষনীয় অনেক ব্যপার আছে।

তো, গত এক যুগ ধরে অনেক ফেইক আইডির সাথে কথা বলে আমার অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেক কিছু অবজার্ভ করলাম। এগুলো সব নোট করা আছে। লেখালেখিতে এইসব কাজে আসবে ভবিষ্যতে। জগতের কোন কিছুই ফেলনা না। ফেইক আইডিরা সামটাইমস রিয়েল আইডি থিকাও বেশী গুরুত্বপূর্ন, লেখকদের জন্য।

তাতিন এসে বললো —
তোমার নাম ত্রিভুজ কেন? আর য়্যু অ্যা ট্রায়াঙ্গল?

ইয়াহু জিওসিটিসে আমার ৫টা সাইট ছিলো। আর্কাইভ ডট অর্গ সেগুলোর একটারে মনে রাখছে... ২০০৩ সালের সাইট, ২০০৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ৩টা স্ন্যাপ সেভ করছে দেখলাম।

কিছুদিন আগে লেখক বানানোর জন্য মেন্টরশীপের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তখন বেশ কয়েকজন আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩ জনকে পেলাম যারা সত্যিকার অর্থেই লেখালেখি শিখতে আগ্রহী।

যারা প্রথমে আগ্রহ দেখিয়ে পরে সরে গিয়েছেন তাদের দোষ দিচ্ছি না। আসলে কর্মজীবিদের অত সময় নাই লেখালেখি শেখার। তাই এবার শুধুমাত্র স্টুডেন্টদের জন্য ঘোষণা। বিশেষ করে যারা এখনো কলেজ অথবা ভার্সিটিতে পড়েন।

সাথে আরেকটা জিনিষ যোগ করি। লেখালেখি করে ঘরে বসে বেশ ভালো আয় করা সম্ভব। যদিও অনেক কষ্ট করতে হবে ঐ লেভেলে পৌঁছতে। কিন্তু একবার পৌঁছে গেলে আর পেছনে তাকাতে হবে না। ব্যপারটা সাইকেল চালানো শেখার মত। এবিষয়ে আগ্রহীদের বিস্তারিত জানানো হবে পরে।

আগেরবার লেখক বানানোর পেছনে আমার উদ্দেশ্য জানতে চেয়েছিলেন কয়েকজন। আমার উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। তবে উদ্দেশ্য খুবই মহৎ! পয়েন্ট আকারে বলি-
১) এদেশে বাংলা ভাষায় একাডেমিক কনটেন্টের অবস্থা খুব বেশী খারাপ। এই কনটেন্ট বাড়াতে চাচ্ছি।
২) স্টুডেন্টরা এখানে মূলত টিউশনি নির্ভর। তাদের জন্য একটা এক্সট্রা আয়ের পথ তৈরি।
৩) ছেলেপেলেরা পড়ালেখায় একদম মনোযোগী না ফলে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলো যোগ্য লোকের জন্য দেশের বাইরে থেকে রিক্রুট করতে বাধ্য হচ্ছে। এই গ্যাপটা কমিয়ে আনা।
৪) এদেশের মানুষের গড় মেধা অনেক ভালো। শুধুমাত্র খারাপ এডুকেশন সিস্টেমের কারণে বহু মেধাবী লোক কিছু করতে পারেনি। দেখা গেল ক্লাশ সেভেনে ভালো শিক্ষক না পাওয়াতে একজন শিক্ষার্থী বীজ গনিতের বেসিকটা বুঝলো না। পরে ক্লাশ এইটে এসেও আর পারে না। পরবর্তীতে সে অংক জিনিষটাকেই ভয় পেতে শুরু করে। এই সমস্যাটা দূর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে গোড়া থেকে তাকে ব্যপারগুলো সহজে বুঝিয়ে দেয়া। এর জন্য প্রচুর ভালো শিক্ষক দরকার। কিন্তু সেটি যেহেতু আমাদের সিস্টেমে সম্ভব না, তাই ফ্রিল্যান্স শিক্ষক টাইপ একটা ব্যপার দাঁড় করাতে চাচ্ছি।
৫) এদেশে ভালো ও মেধাবী লোকেরা শিক্ষকতার পেশায় খুব কমই আসে। ফ্রিল্যান্স শিক্ষকতা/কনটেন্ট তৈরির (সাথে অর্থ উপার্জনের অপশন) সুবিধা থাকায় অনেক মেধাবী শিক্ষক পাওয়া যাবে।
৬) ব্যপারটার সাথে অবশ্যই ব্যবসা জড়িত। কারণ, যেকোন উদ্যোগ সাসটেইন করার জন্য সেখানে একটা ভালো বিজনেস মডেল লাগে। এখানেও আছে। তবে এই মডেলে অংশগ্রহনকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়া হবে না। বরং তারা ভালো করতে পারলে এর থেকে ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

মোটামুটি এই হলো ভেতরের ব্যপার। এই পুরো ব্যপারটি বাস্তবায়ন করার জন্য আরো অনেক কিছু দাঁড় করানো হয়েছে। এখন আমরা কিছু মেধাবী লোকের খোঁজে আছি। আপাতত আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু লোককে মেন্টরিং করে এই কার্যক্রমটা শুরু করতে চাচ্ছি। পরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। আগ্রহী স্টুডেন্টরা ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপডেটঃ যারা যারা ইনবক্সে যোগাযোগ করেছেন এবং ইনবক্সে দেয়া ফরমটা ফিলআপ করেছেন, তারা সবাই কালকে সকালে মেইল চেক করবেন। সবাইকে আলাদা আলাদা করে ইনবক্সে ম্যাসেজ দেয়াটা একটু ঝামেলার তাই গ্রুপ মেইলে একবারে সব আপডেট এবং যোগাযোগ চলতে থাকবে।

আমি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম কলেজে থাকতে। ভার্সিটিতে উঠতে উঠতে আমার তৈরি করা হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বাজারে চলে এসেছিলো এবং আমি নিজের সমস্ত খরচ নিজের কাজ থেকে তুলতে শুরু করেছিলাম। এগুলো মূলত আমি সেল্ফ মটিভেটেড হয়ে করেছিলাম। তবুও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে অনেক ভুল করেছে, অনেক জায়গায় ধীর গতিতে এগিয়েছি, অনেকবার ভুল পথে সময় নষ্ট করেছি। কিন্তু আমার সবচাইতে বড় গেইন ছিলো অন্য দিকে। যেহেতু পড়ালেখার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে জড়িয়ে গিয়েছিলাম সেহেতু পড়ালেখাটা আমার কাছে অনেক অর্থবহ ছিলো। আমাদের এডুকেশন সিস্টেম এত বাজে হওয়ার পরেও কলেজ ও ভার্সিটির বইগুলো থেকে আমি অনেক শিখতে পেরেছি, সেগুলো নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পেরেছি। আমি মনে করি, প্রতিটা স্টুডেন্টের উচিত পড়ালেখার পাশাপাশি কোন না কোন কাজের সাথে জড়িয়ে যাওয়া। এতে করে পড়ালেখা থেকে সত্যিকার অর্থেই কিছু শেখা যাবে, স্কিল বাড়বে ও অভিজ্ঞতা অর্জন হবে। আর বোনাস হিসেবে কিছুটা অর্থও উপার্জন হবে। এর সবচাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে, প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ হওয়ার পর ক্যারিয়ার গড়তে সহজ হবে। ২ বছরের কলেজ লাইফ ও ৪/৫ বছরের ভার্সিটি লাইফ মিলে ৬/৭ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা একজন মানুষকে গড়ার জন্য যথেষ্ঠ। কেউ যদি কলেজ লাইফ থেকেই শুরু করতে না চায় তবুও ভার্সিটির ৪/৫ বছরের অভিজ্ঞতা অনেক হেল্প করবে। পাশাপাশি উপার্জিত অর্থের একটা অংশ জমাতে পারলে সেটা পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে আসে।

এই পুরো ব্যপারটা স্টুডেন্টদের জন্য সহজ করতে, তাদের একাডেমিক দিকগুলোতে হেল্প করতে ও পরবর্তীতে ক্যারিয়ার গঠনে সাহায্য করার জন্য গত ছয় বছর ধরে একটা প্লাটফর্ম দাঁড় করাতে কাজ করছিলাম। প্রজেক্টটা এখন ম্যাচিউর স্টেজে আছে এবং খুব শীঘ্রই বিশ্বব্যপি শুরু হবে।

এই ব্যপারটা এখানে শেয়ারের একটা উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ারদের কাছ থেকে একটা বিষয়ে মতামত জানা। পড়ালেখার পাশাপাশি কোন না কোন কাজের সাথে জড়ানোকে আপনারা কিভাবে দেখছেন? বা এই বিষয়ে আপনাদের মতামত কী?

মশারা দিন দিন বুদ্ধিমান হইতেছে। এই বুদ্ধিমান মশাদের নির্মূলের সবচাইতে ইফেক্টিভ পদ্ধতি হইতেছে শলার ঝাড়ুর ট্রিটমেন্ট, ঝাড়ুফাই। পদ্ধতিটা এরকম- একটা শলার ঝাড়ু পাশে নিয়ে বসবেন। মশা দেখা মাত্রই সপাং...

তো, হাতের কাছে একটা ঝাড়ু রাখছি। কিছুক্ষন পর পর চেয়ারসহ পেছনে চলে যাই আর পায়ের কাছের সব মশা মেরে ফেলি। ভালোই চলছিলো। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম মশারাও আমার চেয়ারের সাথে সাথে পেছনে চলে যায়। সুতরাং চেয়ার থেকে নেমে চেয়ারের নিচে ঝাড়ুফাই করে মশা মারা শুরু করলাম। কিছুক্ষন পর তারা সেটার প্রতিকারও বের করে ফেললো। আমি পেছনে আসলে তারা এসে আমার গায়ে বসে যায়। এখন কি আমি নিজেকে ঝাড়ু দিয়ে বাড়ি দেব? কি মুসিবত!

যাহোক, ঝাড়ুর বদলে হাত দিয়ে কিছুক্ষন মারলাম। এভাবে কয়েকদিন চলার পর দেখি ঝাড়ু হাতে নিলেই মশারা সব দরজা দিয়ে দৌড়ে পালায়। এখন কি আমি ঝাড়ু হাতে নিয়ে বসে থাকবো?

তারপর একদিন খেয়াল করলাম, আমার রুমে কোন মশা নাই। সব রুমে মশা আছে আমার রুমে নাই। মশারা বুদ্ধিমান না হইলে এই সুবিধা আমি ক্যামনে পাইতাম? এজন্যই কবি বলেছেন, ভুদাই বন্ধু থিকা বুদ্ধিমান শত্রু ভালো।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি