দিনলিপি

যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা

অপেক্ষায় থাকতাম, কখন রহস্য পত্রিকা প্রকাশিত হবে। ১৯৯৫ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সবগুলো রহস্য পত্রিকা আমার সংগ্রহে ছিলো। কী ছিলো না এই পত্রিকায়? হরর গল্প থেকে ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ডায়াগ্রাম, আধিভৌতিকতা থেকে বিজ্ঞান, সবই ছিলো। অপেক্ষায় থাকতাম নতুন ওয়েস্ট্রার্ন বইয়ের। নতুন কোন ক্লাসিকের অনুবাদের। তিন গোয়েন্দার। মাসুদ রানার। স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রতিদিনই খোঁজ নিতাম সেবার নতুন কোন বই আসছে কিনা!

আমার ছোটবেলা রঙ্গিন হওয়ার পেছনে অন্যতম অবদান এই সেবা প্রকাশনীর। কাজী আনোয়ার হোসেনের। আমাদের কাজী দা'র।

য়্যু উইল বি মিসড কাজী দা। আই লাভ য়্যু ম্যান!

এয়ার পিউরিফায়ার কিনলাম। পৃথিবীর সবচাইতে দূষিত শহরে বাস করার জন্য এই জিনিষ থাকা বাধ্যতামূলক মনে হয় আমার কাছে।

একটা এয়ার মনিটরিং এপ মোবাইলে সেটাপ করার পর ঢাকার বাতাসের অবস্থা দেখে মাস খানেক ধরে এয়ার পিউরিফায়ার নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে যা বুঝলাম সংক্ষেপে তা শেয়ার করি। ভবিষ্যতে যারা কিনবেন, তাদের কাজে আসবে হয়তো!

এয়ার পিউরিফায়ারে মূলত তিন ধরনের ফিল্টার থাকে-

১) ডাস্ট ফিল্টারঃ যেটা রুমের ধূলিবালি আটকে ফেলে।
২) কার্বন ফিল্টারঃ ধূয়া, দুর্গন্ধ ও বিভিন্ন ধরনের বড় দূষন (মূলত এলার্জির কারণ হয় যেগুলো) ধরে ফেলে এটা।
৩) HEPA ফিল্টারঃ HEPA ( high-efficiency particulate absorbing) ফিল্টার মূলত বাতাস থেকে অতি ক্ষুদ্র পার্টিকেলগুলে ধরে। ঢাকার বাতাসে এসব পার্টিকেলের উপস্থিতি স্বাভাবিকের চাইতে অনেকগুন বেশী। খেয়াল রাখতে হবে, True HEPA যেন থাকে। HEPA11 True HEPA ফিল্টার না। কমপক্ষে HEPA12 বা HEPA13 হতে হবে।

কিছু ব্রান্ড স্মার্ট অ্যাপ (IoT) ইন্টিগ্রেশনসহ কম দামে এয়ার পিউরিফায়ার বিক্রি করে যেগুলো আসলে কাজের না। ওসব পিউরিফায়ারে দেখবেন এয়ার কোয়ালিটি মনিটরিং ইন্ডিকেটর আছে যা স্মার্ট ফোন থেকে নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিন্তু এগুলো গিমিকি ফিচার। একটা ভালো এয়ার মনিটরিং সেন্সর ডিভাইসের দাম ২০০ থেকে ৩০০ ডলার। আর ওরা পুরো ডিভাইসের দামই রাখে ৩০০ ডলারের ভেতরে। কিভাবে সম্ভব? (IoT) ইন্টিগ্রেটেড পিউরিফায়ার নিতে হলে আপনাকে ৭০ থেকে ৯০ হাজার বাজেটের পিউরিফায়ার নিতে হবে। তাই, এই দিকটা খেয়াল রাখতে হবে। রুমের বাতাস আসলেই ক্লিন করতে পারছে কিনা; সেটা স্মার্ট অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন (IoT) থেকে বেশী জরুরী।

কমদামী পিউরিফায়ারগুলোতে আবার ডাস্ট ফিল্টার থাকে না সামনে, ফলে ভেতরের HEPA-ফিল্টারটা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ২-৩ মাস পরপর আপনাকে ৩-৪ হাজার টাকা দিয়ে নতুন ফিল্টার লাগাতে হবে। তাই ডাস্ট ফিল্টার আছে কিনা সামনে, এটা দেখে কিনতে হবে। তাহলে HEPA-ফিল্টারটা সহজে নষ্ট হবে না। আমার এটার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে ৩-৪ বছর পরে। কিছু পিউরিফায়ার ১০ বছরেরও গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।

আরেকটা ব্যাপার খেয়াল রাখবেন। কিছু ব্রান্ড কার্বন ফিল্টার ও HEPA ফিল্টার একসাথে প্যাক করে দেয়। এই দু'টো ফিল্টার আলাদা থাকা ভালো। তাহলে HEPA ফিল্টারের আগে আপনি কার্বন ফিল্টারটা রাখতে পারবেন যেটা HEPA ফিল্টারের লাইফ টাইম ও কার্যকারীতা বাড়িয়ে দিবে। আবার পরে শুধুমাত্র HEPA ফিল্টারটা আলাদা করে ক্লিন করা কিংবা পরিবর্তন করা যাবে।

আফটার সেলস সার্ভিসও এখানে জরুরী। পরে যদি আপনি ফিল্টার খুঁজে না পান তাহলে পুরো মেশিনই বাতিল। তাই, ব্রান্ড নেম ও এভেইলেবিলিটি দেখে নেয়া উচিত।

জাতীয়তাবাদ এবং জাতির বিকাশের ধারণা দুটো আলাদা বিষয়।
— বদরুদ্দীন উমর

গত ১৫ বছর ধরে বহু লোকরে এটা বুঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি। ফলাফল খুব একটা আশাপ্রদ না, এখন পর্যন্ত।
https://samakal.com/editorial-subeditorial/article/211289508

ছোটবেলা এক খাটে ৫/৬জন কাছাকাছি বয়সের ভাই-বোন-কাজিনদের সাথে লেপের নিচে ঢুকে ভূতের গল্প শুনার সেই দিনগুলো যে আর কখনোই আসবে না, এটা ভাবতেই শীতকালটা আরো শীতল হয়ে আসে।

অ্যাপলের ইভেন্টগুলো কখনো মিস দেই না। যদিও স্টিভ জবসরে যতটা পছন্দ করতাম টিম কুকরা ততটাই অপছন্দ করি, তাও তাদের প্রেজেন্টেশনগুলোর জন্য ইভেন্টগুলো দেখি। একটা টেক ইভেন্ট কতটা চমৎকার হতে পারে সেটা অ্যাপলের ইভেন্ট দেখলে বুঝা যায়। এতদিন ভাবতাম, অন্যরা কেন এদের ফলো করে না। কালকে ফেসবুকের ইভেন্টটা দেখে মনে হলো, ফাইনালি আরেকটা কোম্পানী চমৎকার ইভেন্ট বানানো শিখেছে।

মজা লাগছে জাকারবার্গরে অভিনয় করতে দেখে। হা হা। ভালো ছিলো। অকুলাসের নেকস্ট আপডেটের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

নতুন যা শিখতে শুরু করি সেটারই প্রেমে পড়ে যাই। মনে হয় সব বাদ দিয়ে এটা নিয়েই থাকি। কী এক মুসিবত! কয়েক হাজার বছর বাঁচলে সম্ভবত পৃথিবীর সবকিছু শিখে ফেলতাম।

অফিসের ইন্টেরিয়র করাবো। তো, ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে একটু ঘাঁটতে গিয়ে মজা পেয়ে গিয়েছি। আলটিমেটলি একজন ডিজাইনারকে দিয়েই করাবো। কিন্তু ব্রান্ডিং এর জন্য পারফেক্ট কালার ঠিক করতে হবে। সাদা-কালো-অরেঞ্জ, এই তিনটা কালারের কম্বিনেশন নিয়ে ভাবতেছি। সাদা-কালো কম্বিনেশনে ফার্নিচার খুব চমৎকার লাগে, কিন্তু কার্পেট/ম্যাট আর পর্দা নীল ভালো লাগে। ওয়েবসাইট, প্রিন্টিং ম্যাটেরিয়ালে কালোর সাথে নীল ভালো যায় না, কমলা ভালো লাগে। সাদা-কালো-কমলারে যদি ব্রান্ডিং এ ব্যবহার করি, তার সাথে অফিস রুমে নীল কার্পেট আর পর্দা যাবে কিনা বুঝতেছি না। কিন্তু এই সেটিংসটা খুব ভালো লাগতেছে। কী করা যায়... কী করা যায়!

Black & White

আমার ওয়ার্ক ডেস্কের পাশে কী সোন্দর রইদ এসে পড়ে। দুপুরে গোছল করে এক ঘন্টার মত এই রইদ পাই। আর বারান্দায় যাওয়া লাগে না।

শীতকালে প্রত্যেকদিন গোছল করবেন। তারপর আধা ঘন্টা রইদে বইসা থাকবেন। ভিটামিন ডি পাইবেন, শরীর ও মন ভালো থাকবে।

এই পরামর্শ যাদের কাজে লাগবে, তারা আমারে এক'শ টাকা বিকাশ করবেন। যারা লাভ দিবেন নাকি হাহা দিবেন ভেবে কনফিউড, তারা দুই'শ দিবেন।

হ্যাশট্যাগঃ নো ফ্রি এডভাইস

তিনটা টার্কিশ টিভি সিরিজ দেখে ওদের ফ্লিম ইন্ড্রাস্ট্রিরে বলিউড কোয়ালিটি ভাবতে শুরু করেছিলাম। টার্কিশ সিরিজ বা মুভি দেখার আগ্রহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। Mucize The Miracle দেখে মনে হলো- নাহ, আরো কিছু টার্কিশ মুভি দেখা যেতে পারে।

ট্রু-স্টোরি বেসড মুভি। ভালো লাগছে।

SCRIBD একটা অসাধারণ প্লাটফর্ম। গত বছরের প্রথম দিকে আমার রেফারেল লিংক শেয়ার করেছিলাম, সেখানে ১৬ জন সাইন আপ করায় ১৬ মাস ফ্রি পেয়েছিলাম। গত তিন মাস ধরে মাসে দশ ডলার করে পে করে ব্যবহার করছি। এটা এত চমৎকার একটা প্লাটফর্ম যে দশ ডলার আসলে কিছুই না সেই তুলনায়। এর সাথে CuriosityStream-সহ আরো চারটা প্লাটফর্ম এর ফ্রি একসেস পাওয়া যায়।
রেফারেল লিংক থেকে জয়েনের সুবিধা হচ্ছে প্রথম দুই মাস (৬০ দিন) ফ্রি পাবেন। ভাবলাম কারো যদি দরকার হয়, সাথে আমিও আরো কিছুদিন ফ্রি পেলাম।

আমার রেফারেল লিংক - https://www.scribd.com/g/2wuovx

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি