যাপিত জীবন নিয়ে বিক্ষিপ্ত চিন্তা-ভাবনা ও অভিজ্ঞতা
কোথায় যে সব
হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছেগুলো
হারিয়ে গেল।
এখন থেকে ভার্সিটিয়ান-থিংকার একটা আমেরিকান স্টার্টাপ। ছবিতে যে বাড়িটার সামনে একটা গাড়ি পার্ক করা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন, ওটা আমাদের সাময়িক হেড-কোয়ার্টার।
এখন অনেক রাত।
Such a beautiful gift, অসীম পিয়াস!
বাংলা ভাষায় আপনার মত ভালো অনুবাদ খুব কম লোকই করতে পারে।
May peace, safety, good health, and prosperity be yours.
ঈদ মুবাররক!
ভাবতে ভাবতে বিন্দাস মুডে চলে গেছি মোটামুটি। মির্জা গালিবের গজল শুনতে শুনতে ভাবতেছিলাম, এতকিছু করে কী হবে? তারপর Zillow-তে প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার দামের একটা বাড়ি দেখে মনে হলো, এরকম একটা পুকুরওয়ালা বাড়ি থাকলে সাঁতার কাটা যাইতো এট লিস্ট!
সবাই অনেক লম্বা ঈদের ছুটি পাচ্ছে দেখে নিজেকেও ছুটি দিয়ে দিছি কালকে। সমস্যাটা শুরু হয়েছে তারপর থেকে। রাত ২টার দিকে ঘুম ভাঙার পর থেকে মাথার ভেতরে আইডিয়া কিলবিলি কিলবিল করতেছে। এত বেশী আইডিয়া ফোকাস নষ্ট করে আসলে। কিন্তু, একটা আইডিয়া আমার মূল ফোকাসের সাথে রিলেটেড হওয়াতে ওটা নিয়ে বেশী ভাবতেছি। আইডিয়াটার প্রেক্ষাপট ও কিছুটা সামারি দেই।
ভার্সিটিয়ান-থিংকার নেটওয়ার্ক মূলত শিক্ষিতদের নিয়ে কাজ করবে। কিন্তু, দেশে শিক্ষিতদের বাইরেও তো বিশাল একটা জনগোষ্ঠী আছে। তাদের জন্য কী করা যায় এটা নিয়ে অনেকদিন ধরেই ভাবতেছিলাম। এই ভাবনার ধারাবাহিকতাতেই মনে হলো, ভার্সিটিয়ান-থিংকার নেটওয়ার্কের ব্যবহারকারীদের ক্রয় ক্ষমতা তো ভালো। ফলে, এখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীরে তো সহজেই যোগ করা যায়। কিভাবে যোগ করা যায়, এটা নিয়েই ভাবতেছি কাল রাত থেকে। অনেক অনেক আইডিয়া মাথায় আসতেছে। মনে হচ্ছে ৯ দিনের লম্বা ছুটি শেষ হওয়ার আগেই দারুণ কিছু দাঁড়িয়ে যাবে।
থিংকারের বুক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমটা দাঁড় করানো ও থিংকার কিডস/স্কুল নেটওয়ার্কের মার্কেটিং এর জন্য ৬৪ জেলায় ট্যুর ও ওয়ার্কশপ করার প্ল্যান আছে। তখন সাথে প্রান্তিক জনগনের জন্যও কোন ইভেন্ট তো চাইলেই রাখা যায়। এই যেমন কৃষকদের নিয়ে, ছোট ব্যবসায়ীদের নিয়ে, খেটে খাওয়া লোকদের নিয়ে বসা সম্ভব এই ট্যুরগুলোতেই।
ভাবতেছি!
আমি যা নিয়ে কাজ করছি, তার সামারি আছে এই ছবিতে। দশ বছর ধরে এই পুরো ব্যাপারটা নিয়ে গবেষণা ও ডেভেলেপমেন্ট চালিয়ে যাচ্ছি যা এখন ইমপ্লিমেন্টেশন ফেজে আছে। এটা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ভিত্তিক উদ্যোগ না, পুরো পৃথিবীজুড়ে চলবে এর কার্যক্রম। এই প্লাটফর্ম থেকে একদিন বিলিয়ন বিলিয়ন লোকের উপকার হবে। লোকজন তাদের ব্যক্তিগত জীবন, একাডেমিক জীবন, ক্যারিয়ার এবং জীবিকা অর্জনে সাহায্য পাবে এই প্লাটফর্ম থেকে।
সেই বিলিয়নের হিসাব বাদ দিয়ে যদি শুধুমাত্র বাংলাদেশের কথাই বিবেচনা করি এবং কমপক্ষে এক কোটি লোক যদি এর থেকে সরাসরি উপকার পায়, তাহলেও আমার জীবন স্বার্থক। আর এই এক কোটি লোকের উপকারে আসতে যদি আরো বিশ বছরও লেগে যায়, তাহলে আজকে থেকেই প্রতিদিন গড়ে ১৩৬৮ জনের বেশী লোকের উপকার হচ্ছে।
মানে, আমি যদি আর বিশ বছর বেঁচে থাকি এবং আমার কাজ থেকে কমপক্ষে এক কোটি লোকেরও উপকার হয় তাহলে এখন থেকে আমার প্রতিদিনের বেঁচে থাকার অর্থ হচ্ছে ১৩৬৮ জন লোকের উপকার হওয়া। নিজের জীবনকে এবং নিজেকে আমি এভাবেই মূল্যায়ণ করি।
যারা রাত জাগার বদ-অভ্যাস থেকে বের হতে পারছেন না, এই এক মাস আপনাদের জন্য একটা ভালো সুযোগ।
রামাদান কারিম।
ফ্রেন্ডলিস্ট কমাতে কমাতে ৩৮৯৩ আছে এখন। সেই প্রায় চার হাজার লোকের ভেতরে আসলেই কতজন আমার লেখা দেখতে পায় বা কেয়ার করে জানতে চেয়ে পোস্ট দিয়ে দেখা গেল সংখ্যাটা ৩০০ জনের কাছাকাছি। মানে ফ্রেন্ড লিস্টের মাত্র ৭.৫% লোক আমার লেখা দেখতে পায় বা কেয়ার করে।
যারা ফ্রেন্ডলিস্টে নেই, তারা এবার একটু জানাবেন? একটা ছোট গবেষণা বলতে পারেন এটা।