যোগাযোগ

কমিউনিকেশন স্কিল - ১৫

উভয় পক্ষের বেনিফিট আছে যে যোগাযোগে, সেটা ব্যবসা। শুধুমাত্র নিজের বেনিফিটের জন্য যে যোগাযোগ তৈরি করা হয়, সেটাকে বলে ধান্ধাবাজি।

দিন শেষে ধান্ধাবাজদের কোন নেটওয়ার্ক থাকে না। এমনকি এদের সাথে চললে আপনাকেও অন্যরা ধান্ধাবাজ ভেবে দুরত্ব বজায় রেখে চলতে পারে। কমিউনিকেশন ও নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এসব মাথায় রাখা জরুরী।

মানুষ দুর্বলরে সেইফ ভেবে আক্রমণ করে। অথচ, আঘাত করার জন্য দুর্বলেরা হচ্ছে বেশী বিপদজনক। ছোট ও দুর্বলেরা সাধারণত বেশী প্রতিশোধ পরায়ণ হয়। যেহেতু তারা ছোট এবং তাদের জগৎ ছোট, করার মত তেমন কিছু নাই, তাই প্রতিশোধ নেয়ার ব্যপারটাই তাদের মাথায় ঘুরতে থাকে সারাক্ষন। তাই, দুর্বল ও ছোটদের ব্যপারে সাবধান হে! এরা কখনো ক্ষমা করতে পারে না।

কমিউনিকেশন স্কিল ১০১ (পর্ব-৯)

পৃথিবী তিন রকমের নিয়মে চলে—

১) আপনার পৃথিবী আপনার নিয়মে
২) পৃথিবী নিজে তার নিজের নিয়মে
৩) আপনি যার সাথে কমিউনিকেট করতেছেন, তার নিয়মে

এই নিয়মগুলোরে আপনি ভাষা হিসেবে দেখতে পারেন। তো, যার সাথে কমিউনিকেট করতে চান, তার ভাষা জানা জরুরী।

Common Sense 101

গ্রামার আর বানানের অবস্থা না হয় ওভারলুক করা গেল, কিন্তু "R8", "ur", "dlvry", "rcv", "thw", এসব কী ভাই? ফরম্যাল কনভারসেশনে এসব মানুষ কিভাবে ব্যবহার করে? ইংরেজী না পারলে বাংলায় বলেন।

কমিউনিকেশন স্কিল ১০১

যতক্ষন পর্যন্ত আপনি ভালোভাবে কমিউনিকেট করতে না শিখবেন, ততক্ষন পর্যন্ত কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বেস্ট টিপস হচ্ছে নিজে থেকে কমিউনিকেট না করা।

দ্বিতীয় টিপস হচ্ছে, অন্য সবকিছুর আগে এই স্কিল বাড়ানো। কমিউনিকেশন স্কিল ভালো না হলে অন্য সব স্কিল কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা কঠিন।

তৃতীয় ব্যপার হচ্ছে⁠— যার কমিউনিকেশন স্কিল ভালো, তিনি আপনার কমিউনিকেশন স্কিলের সমস্যাটা কখনো দেখিয়ে দিবে না (আনলেস ক্লোজ কেউ হয়)। কারণ, এই ভুল ধরিয়ে দেয়াও কমিউনিকেশন স্কিল খারাপ থাকার লক্ষণ। ফলে, কমিউনিকেশন স্কিল ব্যপারটা আপনি অভিজ্ঞতা থেকে খুব কমই শিখতে পারবেন। ফ্যামিলি এডুকেশন আর প্রাইমারী/সেকেন্ডারী এডুকেশনের পর থেকে এটা সবসময় নিজে থেকে শেখার চেষ্টা করা লাগে।

চতুর্থ ব্যপার হচ্ছে— আপনি কাউকে যতই ক্লোজ ভেবে তার ভুল ধরিয়ে দেন না কেন, সে আর আপনার ভালো বন্ধু থাকবে না। কোনদিন সে নিজের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে না।

অনলাইনে দেখবেন সার্চ করলেই প্রচুর টিউটোরিয়াল, ব্লগ আর্টিকেল পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে। সবচাইতে বেশী পাওয়া যায় আইটি নিয়ে। বিশেষ করে প্রোগ্রামিং বিষয়ক।

বলেন তো, প্রোগ্রামিং নিয়ে মানুষ কেন এত আর্টিকেল লিখে?

উত্তরটা খুব সহজ। একজন মানুষ যখন নিজের প্রোগ্রামিং নলেজ শেয়ার করে, তখন অন্যরা জানতে পারে ঐ বিষয়ে তার জ্ঞানের গভীরতা কতটুকু, স্কিল কতটুকু। এতে তার কাজ পাওয়ার পরিমান বেড়ে যায়। বাংলাদেশে অন্তত এক ডজন লোকরে আমি চিনি যারা শুধুমাত্র লেখালেখি করেই বিদেশী প্রচুর কাজ পেয়েছে, পাচ্ছে। কয়েকজন লেখালেখি করে বিদেশী কোম্পানীতে ভালো জবও পেয়েছে। এদের কাউকে কাউকে কোম্পানী হায়ার করে নিজেদের দেশে নিয়ে গেছে।

তাই লেখালেখি করবেন। নিজের মার্কেটিং এর জন্য লেখালেখি গুরুত্বপূর্ন। এটা আপনার স্কিল ও যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যম।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি