বাংলাদেশে জন্ম হওয়াটা আমার কাছে ভাগ্যের ব্যাপার বলে মনে হয়। কয়েকটা কারণে, এর একটা হচ্ছে ফ্রেশ ফুড। ইউরোপের কিছু দেশ ও আমেরিকায় সেই লেভেলের পয়সাওয়ালা না হলে ফ্রেশ ফুড খাওয়ার কথা ভাবাও যায় না।
আমার ছোটবেলা কেটেছে চাঁদপুর শহরে। শহর থেকে চার/পাঁচ কিলোমিটার দূরেই ছিলো আমাদের গ্রাম যেখান থেকে নিজেদের জমিতে ফলানো ফসল, পুকুর ও নদীর মাছ, ফার্মের দুধ, ডিম, মাংস খেয়ে আমরা বড় হয়েছি। এখনো তো আমরা ফ্রেশ সবজি, মাছ, মাংস কিনতে পারি বাজার থেকে যা পাওয়ার জন্য আমেরিকায় মিলিওনিয়ার হতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা লাকি না?
বাংলাদেশে কিছু লোক বাদে বাকীরা এখনো ফ্রেশ জিনিষই খেতে পারে। এই কিছু লোকেরা ফ্রেশ জিনিষ কিনে আনলেও সেটা কেটেকুটে ফ্রিজে রেখে (ফ্রেশনেসটা নষ্ট করে) কয়েকদিন পরে খায়। কেন, কে জানে!
আমেরিকায় অটিজমের হার এত বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য এই খাদ্য দূষণ একটা বড় ভূমিকা রাখছে। আমরা তো এখনো লাকি এক্ষেত্রে, তাই না?
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গবেষণা থেকে বলা হয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে অটোমেশনের ফলে বর্তমান জব মার্কেটের ৮৩ মিলিয়ন (৮ কোটি+) জব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে AI ইমপ্লিমেন্টেশন ও ম্যানেজমেন্টের জন্য নতুন জব ক্রিয়েট হবে। ধারণা করা হচ্ছে ৮৩ মিলিয়ন জব বিলুপ্ত হয়ে ৬৯ মিলিয়ন নতুন জব তৈরি হবে।
কারা ঐ ৮৪ মিলিয়নে থাকবে এবং কারা নতুন ৬৯ মিলিয়ন জবের জন্য উপযুক্ত হবে?
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স যে ৮৩ মিলিয়ন জব বিলুপ্তের কারণ হতে যাচ্ছে এ সম্পর্কে সচেতন হয়ে নতুন ঐ ৬৯ মিলিয়ন জবের জন্য নিজেরে প্রস্তুত যারা করতে পারবে, শুধুমাত্র তারাই টিকে থাকবে।
এই সচেতনতা তৈরির জন্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে আমি এত এত পোস্ট করি। যারা এখন বিরক্ত হয়ে মনে মনে গালি দিচ্ছেন, তারা একদিন নিজেদের ভুল বুঝতে পারবেন।
ঈদরে ‘ইদ’ লেখা বাংলা একাডেমির গোরুগুলি আসলে বাছুর।
আম যেভাবে আমরা বাগান থেকে সরাসরি কিনি, তরমুজও এভাবে কেনার উদ্যোগ নিতে পারেন আপনারা। তাহলেই শুধু কৃষক বেঁচে থাকবে এবং আমরা ন্যায্য মূল্যে তরমুজ পাবো। অন্যসব কৃষি পণ্যেও এটা শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। এভাবেই একদিন সিন্ডিকেট ভেঙে পড়বে।
ভেরী ব্যাড মুভ!
ইচ্ছামত জিনিষপত্রের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিবাদ করতে না শিখলে ২০৩০ নাগাদ সবকিছুর দাম এখনকার দামের চার/পাঁচগুন হয়ে যাবে।
আশ্চার্য, লোকগুলো রেগে গেল কেন! বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় ভালো ছেলে। সে গাঁনজা পাতা চিনে না, পাট ক্ষেতও না... দ্যাশে ভালো ছেলেদের আজকাল কেউ দাম দেয় না!
সিরিয়াসলি একটা কথা বলি। গাঁজার একটা ছোটভাই জাত আছে যেটারে হ্যাম্প বলে। এই হ্যাম্পের তন্তু পাট থেকেও অনেকগুন ভালো ও দামী। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয় হয়তো হ্যাম্প চাষের কথা ভাবছে। আমি এপ্রিশিয়েট করবো বিষয়টা। কিছুদিন আগেই আম্রিকা থিকা ১৪ হাজার টাকা দিয়া একটা হ্যাম্প ব্যাগ অর্ডার করছিলাম। দেশে উৎপাদন হলে আরো কম দামে আমরা হ্যাম্প প্রোডাক্ট পাবো।
মাইক জিনিষটা নিষিদ্ধ করা উচিত।
ভূমিকম্পে সিরিয়া আর তুরস্কে বিশাল বিশাল বিল্ডি যেভাবে ধ্বসে পড়তে দেখলাম, ভয়াবহ! এখন পর্যন্ত দুই হাজার লোকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। খুবই দুঃখজনক!
Image source: Guardian News
সকল সায়েন্টিফিক ফ্যাক্ট ও ডাটা বলে ঢাকায় যেকোন সময় এধরনের বড় একটা ভূমিকম্প হবে। আরো এক যুগ আগে থেকেই আমরা এই ঝুঁকির ভেতরে আছি এবং একটা বড় ভূমিকম্প না হওয়া পর্যন্ত এই ঝুঁকি কাটবে না। বরং যত দেরিতে হবে টেকটনিক প্লেটের টেনশন তত বাড়বে এবং ভূমিকম্পটা তত মারাত্বক হবে। এরকম বড় মাপের ভূমিকম্পে ঢাকার অর্ধেকের বেশী বিল্ডিং টার্কি ও সিরিয়ার বিল্ডিংগুলোর মত ধ্বসে পড়বে এবং তাতে এক কোটি লোক মারা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কিছু লোক মারা যাবে ইনস্ট্যান্ট, বাকীরা আফটার ইফেক্টে। বিশেষ করে আগুন ও অন্যসব সমস্যার কারণে। এরপর ঢাকারে রিকোভার করা পুরোপুরি অসম্ভব হয়ে যাবে। অন্তত আগামী একশ বছরেও এই শহর রিভাইব করা সম্ভব হবে না। আমরা একটা এটম বম্বের উপরে বাস করছি। কিন্তু, কোথাও কোন প্রস্তুতি বা কিছু নেই।
বাংলা একাডেমীর বইমেলার অবস্থা পয়লা বৈশাখের মত হবে। বইমেলারে আমজনতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটা নির্দিষ্ট ঘরনার ইভেন্টে পরিনত করা হচ্ছে। বইমেলা তার সার্বজনিনতা হারাচ্ছে।