অস্ট্রেলিয়ার এক শহরের ছবি এটা। ডেভেলপার কোম্পানী ৫০ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সেধেও এই লোকের জমি কিনতে পারে নাই। পরে এই লোকের জমির চারপাশে গড়ে উঠেছে শহর।
উন্নয়ন মানে শুধু দালান-কোঠা-ব্রিজ না! একটা দেশের নাগরিকদের অধিকারের মূল্য যত বেশী সেই দেশ তত উন্নত।
একজন আমাকে জিজ্ঞেস করলো, 'মুনজেরিন অক্সফোর্ডে পড়ালেখা করে বাংলাদেশের এই নরকে ব্যাক করলো কেন?'
আমি বললাম— ওখানে থেকে গেলে হয়তো অনেক টাকা আর্ন করতে পারতো, অনেক বড় কোন পোস্টে যেতে পারতো। কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাক করে যে লাখ লাখ লোকের জন্য কাজ করতে পারছে, এটা পারতো না। মানুশের জন্য জন্য কিছু করতে পারলে যে আনন্দ, এটা যারা করে শুধুমাত্র তারাই জানে।
এই ২০/২৫ লাখ টাকা ঘুষ যারা নেয়, তাদের কথা লেখার সাহস কি পত্রিকাওয়ালদের বা কারো আছে?
নাই!
আমি পুলিশের ঘুষের জাস্টিফিকেশন দিতেছি না। আমার পয়েন্ট হচ্ছে এই পরিস্থিতি যারা তৈরি করছে, তাদের নিয়ে হওয়া উচিত মূল আলাপটা।
গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখলাম ভয়াবহ ভূমিকম্প হচ্ছে ঢাকায়। একের পর এক বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ছে। আমি কিভাবে যেন একটা নৌকায় করে পানির মাঝখানে চলে গিয়েছি। ঐদিন ১২ নাম্বার সেক্টরের যে ছবিটা দিয়েছিলাম, ঐ বিলের মাঝখানে মনে হলো। উত্তরার বিল্ডিংগুলো ভেঙ্গে পড়া দেখছিলাম।
ঢাকা একটা বড় ধরনের ভূমিকম্পের দাঁড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। গবেষকদের তথ্যমতে ঢাকার অধিকাংশ বিল্ডিং এতে কলাপস করবে। কিন্তু, কবে এই ভূমিকম্প হবে কেউ জানে না। এবছরও হতে পারে কিংবা কয়েক বছর পরে।
আজকে এই নিউজটা দেখে মনে হলো এই সফটওয়্যার যদি ঢাকার ভূমিকম্পটা প্রেডিক্ট করে দিতে পারে, অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হতো। সংশ্লিষ্ট কেউ যদি থাকেন, দেখেন তো এদের সাথে যোগাযোগ করে কিছু করা যায় কিনা!
আজ থেকে ১২ বছর আগে উত্তরা সেক্টর ১২ ছিলো এরকম। আমি তখন ১৪ নাম্বার সেক্টরের ১২/১৩/১৪-র মোড়ে থাকি। ওখান থেকে দুই মিনিট হেঁটে নদীর পাড়ে যাওয়া যেত। পথে এই দৃশ্য তুলেছিলাম ১২ বছর আগের একদিন সকাল ১০টায়।
টাউন-সেন্টার নেটওয়ার্কের ৪৫-টা জেলার প্রায় ৬০ জনের তথ্য মতে ইন্টারনেট সবচাইতে বেশী ক্ষতির কারণ হয়েছে লোয়ার মিডল ক্লাশের জন্য। দুই/তিন বছর আগে আমার প্রাথমিক এজাম্পশানও এরকমই ছিলো। বিশেষ করে যেসব ফ্যামিলির কেউ মধ্যপ্রাচ্যে থাকে, সেসব ফ্যামিলির ছেলে/মেয়েরা বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে (আমার সাথে আলাপ হওয়া) সকলের ধারণা।
বিষয়টা যদি আসলেই এরকম হয়ে থাকে, তাহলে এটা প্রেডিক্ট করা খুব সহজ যে একটা বিশাল শ্রেণী আবার গরীব হয়ে যাবে। লোয়ার মিডল ক্লাশের জন্য ইন্টারনেট বেশী ক্ষতিকর হওয়ার পেছনে সম্ভবত প্যারেন্টদের অজ্ঞতা ও উদাসীনতা দায়ী।
৬৪ জেলায় টাউন-সেন্টার চালু হয়ে যাওয়ার পরে এই বিষয়ে আমরা একটা জরিপ চালাবো।
সরকারী কর্মচারীদেরও বেতন দিতে পারতো না টাকা না ছাপালে। কিন্তু এভাবে কতদিন? মূদ্রাস্ফিতি আরো বাড়বে। ডলার ২০০ টাকা অতিক্রম করবে এভাবে চলতে থাকলে।
এই স্কেলের বেতনে জব করার জন্য লোকজন ২০/৩০ লাখ টাকা খরচ করে জব নিলে দেশ থেকে দূর্নীতি কখনোই দূর হবে না।
বগুড়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত গরু আনতে ১৭ জায়গায় চাঁদা দেয়া লাগে।
এই ১৭ জায়গার চাঁদা কারা নেয় ও কেন নেয়, এই প্রশ্ন করা জরুরী।
এই স্ক্রিনশটের শেষের কমেন্টটা দেখেন। এটা এখন এদেশের অলমোস্ট সকল শিক্ষার্থীদের মনের ভাবনা। মেধা পাচারের সর্বোচ্চ চুড়ায় আছি আমরা।
এই ধরনের চিন্তার জন্য আমি তাদেরকে দোষ দিতে চাই না, পরিস্থিতি সেরকমই। কিন্তু, এই অবস্থার পরিবর্তন করা না গেলে এদেশের ভবিষ্যত অন্ধকার!