এআই (AI)

যেকোন কাজে AI যে পরিমানে সময় বাঁচিয়ে দিচ্ছে, আমার মনে হচ্ছে এটা অনেকটা ক্যালকুলেটরের মত কাজ করতেছে। ফলে আমরা যোগ-বিয়োগের পেছনে সময় নষ্ট না করে ক্যালকুলাস শেখায় মনোযোগ দিতে পারছি।

যারা AI ব্যবহার করতে পারবেন না, তারা এমনভাবে পিছিয়ে পড়বেন যে ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়ে যাবে আপনার।

এই ক্লাউডের যুগেও RnD পারপাস কিছু VPS পুষি। ব্লাক ফ্রাইডের ডিলে ৬৩% ডিসকাউন্ট পেয়ে হোস্টিংগার থেকে একটা VPS নিলাম। গতকাল পর্যন্ত যেটা ব্যবহার করতাম সেটার জন্য বছরে ৪১৯ ডলার দিতে হতো, এটায় দিচ্ছি ৭৫ ডলার মাত্র। একদিন টানা ম্যাসিভলি ব্যবহার করার পর বেশ ভালো মনে হলো।

যাহোক, মূল আলাপ এটা না। মূল আলাপ হচ্ছে ওদের সাপোর্টে দেখলাম AI লাগানো। জেনারেটিভ AI দিয়ে লাইভ সাপোর্ট দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত যা যা জিজ্ঞেস করেছি, বেশ ভালো উত্তর/সমাধান দিয়েছে। ইনফ্যাক্ট সাপোর্টের ক্ষেত্রে মানুশের চাইতে AI বেটার, অপ্রয়োজনীয় কথা কম বলে এবং টু দ্য পয়েন্টে বলে। অনলাইন সাপোর্টে কাজ করা লাখ লাখ লোকের কী হবে ভাবছিলাম!

পোস্টে সংযুক্ত ছবি AI দিয়ে বানানো।

AI এর দিনে বেকার সমস্যা মেটানোর জন্য সপ্তাহে ৩ দিন জবের দিকেই যেতে হবে আসলে। বিলগেটস সেটা খুব ভালো করেই জানে। কয়দিন পর দেখবেন সপ্তাহে ৩ দিন জব করা সব জায়গা থেকে প্রমোট করা হচ্ছে। অবশ্য, আমার মনে হয় সপ্তাহে ৩ দিন জব ভালো হবে।

এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত - ৭

আমি যা দেখতে পাচ্ছি তা যদি আপনাদের দেখাতে পারতাম, অধিকাংশের ঘুম হারাম হয়ে যেত। ভবিষ্যতে এডুকেশন সিস্টেম কেমন হওয়া উচিত এই বিষয়ে ChatGPT-4 এর সাথে কথা বলছিলাম। আমি গত ১২ বছর ধরে গবেষণা করে যা যা আউটলাইন করেছি, GPT-4 দেখলাম একই কথা বলছে।

জব মার্কেটের যে কী রেডিক্যাল পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, খুব কম লোকই তা কল্পনা করতে পারতেছে। জব মার্কেট চেঞ্জ মানে এডুকেশন সিস্টেম চেঞ্জ। সেই চেঞ্জ অনেক দ্রুত ও ব্যাপক হতে যাচ্ছে। এর সাথে তাল মিলিয়ে আগানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া দরকার! সময় খুব কম আমাদের হাতে।



AI জেনারেটেড টেক্সট ধরার অনেকগুলো টুলই তো আসলো কিন্তু এখন পর্যন্ত একটা টুলও ঠিকঠাক কাজ করেনি। আমি একটা অ্যালগরিদম ডেভেলপ করেছি যেটা শতভাগ কাজ করে। প্যাটেন্ট করার চেষ্টা করতেছি।

থিংকার কিডস-স্কুল-ভার্সিটিয়ানে এটা ইমপ্লিমেন্ট করবো।

কত কম সময়ে কত বেশী শেখানো যায় সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তার জন্য আবার ChatGPT টাইপ জেনারেটিভ AI থেকে সরাসরি তথ্য নিলেও সমস্যা। কারণ, এতে আপনার শেখায় গ্যাপ তৈরি হবে। জ্ঞানের কোন শর্টকার্ট নাই।

গাইডলাইন ছাড়া AI টুলগুলো ব্যবহার করা নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য বিপদজনক। এজন্য AI ব্যবহার করার নিরাপদ উপায় সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এখন সময়ের দাবী। সবার আগে শিক্ষকদেরকে ট্রেইনিং দিতে হবে এই বিষয়ে।

এই কাজ তো সরকারের করতে হবে। বেসরকারী পর্যায়ে আমরা Town-Center থেকে দেশব্যাপি ফ্রি প্রশিক্ষন কর্মশালা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কনটেন্ট ও গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে এখন। আগামী মাসে এর একটা রুপরেখা প্রকাশ করবো।

এসংক্রান্ত আপডেট Revolution 4.0 গ্রুপ ও আমার টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। আগ্রহীরা সাবস্ক্রাইব করে রাখতে পারেন।

ChatGPT প্রম্পট শেয়ারিং অপশনরে একটা গেমে পরিনত করা যাক। আমি একটা সিনেরিও তৈরি করে দু'টো প্রম্পটের রেজাল্ট বের করে শেয়ার দিচ্ছি (লিংক)। আপনি এই কনভারসেশন কন্টিনিউ করে এই সিনেরিওরে আরো এগিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আমার প্রথম প্রম্পটটার মত একটা প্লট দিয়ে ঘটনার মোড় ঘুরাতে পারবেন। কমেন্টে বা ইনবক্সে আপনার তৈরি করা সিনেরিওর আপডেট পাঠালে আমি আবার পাঠাবো।

এতে অংশ না নিলেও এক সপ্তাহ পর এসে সবগুলো প্রম্পটের জবাব দেখে যেতে পারেন। এটা আপনার কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এক সপ্তাহ পর ইনবক্সে পাওয়া সবগুলো লিংক একসাথে শেয়ার করবো।



Paragraphica নামের এই যন্ত্ররে ক্যামেরা বলা ঠিক হবে কিনা বুঝতেছি না। এটি কাজ করে ক্যামেরার মতই; যেকোন জায়গার ছবি তুলতে পারে। তবে সেই ছবি অপটিক্যাল লেন্সের মাধ্যমে না বরং লোকেশন ডাটা থেকে বর্ণনা তৈরি করে সেটাকে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সরে প্রোভাইড করে, এআই ছবিটা তৈরি করে।ইন্টারেস্টিং কনসেপ্ট!



এটা দেখে ভাবছিলাম— তাহলে তো ইমেজ স্টোরেজ সমস্যার একটা সমাধান হয়ে গেল! এক কিলোবাইট স্পেসেই ৪/৫-টা ছবির জায়গা হয়ে যাবে। মাত্র ২০০ বাইট স্পেসে একটা ছবি রাখা গেলে, দারুণ হয়! এধরনের জিনিষ সার্ভিলেন্স সিস্টেমে ব্যবহার করা গেলে খুব অল্প স্পেস ও প্রসেসিং ক্ষমতা ব্যবহার করে ম্যাসিভ স্কেলে সার্ভিলেন্স সম্ভব। এই ডাটারে যেহেতু সরাসরি রিড করা যাচ্ছে তার মানে এগুলোর উপরে সহজে কুয়েরি চালানো যাবে। আনস্ট্রাকচার্ড ডাটা প্রসেসিং তো এখন আর কোন সমস্যাই না।

জব মার্কেটের চাইতে পলিটিক্যাল সিস্টেমের উপরে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর প্রভাব নিয়া পশ্চিমারা বেশী চিন্তিত। এআই-রে তারা এখন পলিটিক্যাল কারেক্টনেস শেখানোর উপায় খুঁজতেছে। মনে হয় না তাতে কোন লাভ হবে।

কেন হবে না তার একটা কারণ বলি। জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করে অল্প সময়ের ভেতরেই প্রথম আলো টাইপ একটা মিডিয়া গ্রুপ তৈরি করে ফেলা সম্ভব। এটা তো শুধু একটা দিক। অন্য আরো বহু দিক আছে। এই পরিবর্তন ঠেকাতে পারবে না কেউ।

--

প্রাসঙ্গিক ভাবনা:
আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স পলিটিক্যাল ন্যারেটিভেরও বারোটা বাজিয়ে দিবে। প্রপারলি ব্যবহার করতে পারলে শত বছর ধরে দাঁড় করানো ন্যারেটিভ এক বছরের ভেতরেই একদম জিরো করে দেয়া সম্ভব।
(৩০ এপ্রিল, ২০২৩)

প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা যত বাড়বে জব মার্কেটের অবস্থা তত খারাপ হবে। কারণ, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়াররা মূলত অন্যদের জব খেয়ে ফেলার কাজটা করে দেয়।

কিভাবে?

মনে করেন একটা বিশেষ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এডাপ্ট করতে হবে। এই এডাপশনের জন্য ঐ বিশেষ সেক্টরের জন্য এআই ফ্রেমওয়ার্ক (ChatGPT-রে এক্ষেত্রে একটা ফ্রেমওয়ার্ক ধরে নিলাম আমরা) ইমপ্লিমেন্ট করবে। এধরনের এডাপশনে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রচুর কাজ থাকে। ফলে, প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ বাড়ছে মানে এধরনের ইমপ্লিমেন্টেশনের সংখ্যা বাড়ছে। প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা কত দ্রুত বাড়ছে তা একটু সার্চ করলেই আপনি জানতে পারবেন।

বর্তমানে প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের স্যালারি রেঞ্জ $175k to $335k US ডলার। সিক্স ফিগার স্যালারি দিয়ে এদের রাখা হচ্ছে আলটিমেটলি খরচ কমানোর জন্য। যেমন ধরেন একটা প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক স্যালারি দিতে হয় ২০০ মিলিয়ন ডলার। এই খরচর ৩০% থেকে ৫০% কমানো সম্ভব হলে তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইমপ্লিমেন্ট করতে এক কালীন ২০০-৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে দ্বিধা করবে না, কারণ আলটিমেটলি সেটা তাদের বিলিয়নস অব ডলার সেভ করবে। যদি কনজিউমার প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটাইপ কোম্পানী হয়, সেক্ষেত্রে এটা তাদের কস্ট কমিয়ে মার্কেট ক্যাপচার করতে হেল্প করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটা আরো ইফেক্টিভ।

একারণেই প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা এত দ্রুত বাড়ছে। এটা একটা এক কালীন বিনিয়োগ যা জব মার্কেট সঙ্কুচিত করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত প্রম্পট ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদাও কমে আসবে একটা পর্যায়ে। জব মার্কেটের ক্ষেত্রে এটা একটা সাপ যা নিজের লেজ থেকে থেকে খেতে শুরু করেছে।

Trivuz Alam

Trivuz Alam

কাজ করি তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে, বাদবাকী সব ভালো লাগা থেকে করা। নতুন কিছু শিখতে ভালো লাগে। গেমিং, বই পড়া, ফটোগ্রাফি, ভ্রমণ করা হয় ভালো লাগার জায়গা থেকে। আর ভালো লাগে চিন্তা করতে। সেসব চিন্তার কিছু কিছু প্রকাশ করবো এখানে।

সাম্প্রতিক লেখা

যেসব টপিক নিয়ে লেখালেখি করছি