এক যুগের বেশী সময় ধরে ঢাকার বাতাসের কোয়ালিটি মনিটর করছি, কখনো এত ভালো অবস্থা দেখিনি। যেখানে AQI ইনডেক্স কখনো ১০০’র নিচেই নামতে দেখিনি সেখানে এখন ১২ (৫০ এর নিচে থাকা স্বাস্থ্যকর)। ১০/১২ টাইপ ভালো কোয়ালিটির বাতাস উন্নত বিশ্বের দেশগুলো ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। ঢাকার AQI ইনডেক্স ২০০ থেকে ৫০০ এর ভেতরে উঠানামা করে সাধারনত।
ঢাকা কি পুরোপুরি শাটডাউন নাকি?
ইউরোপ আমেরিকায় নির্বোধের সংখ্যা বেশী হওয়ার জন্য দায়ী মূলত লেড। গাড়ির কালো ধোঁয়াতে এই লেড সবচাইতে বেশী থাকে। যেকারণে আমি সবসময় বলে আসতেছি যে বাংলাদেশের টপ তিনটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার সবচাইতে দূষিত বায়ূর এলাকা থেকে সরাতে। কারণ, এগুলোতে দেশের সেরা মেধাবীরা পড়তে আসে এবং এই দূষণ এদের ব্রেইন ড্যামেজ করে দেয়।
লেডের এই দূষণ নিয়া একটা ভিডিও দিলাম, দেখেন। কারো সময় থাকলে এই ভিডিওটার বাংলা করে আপলোড করে দিয়েন। জরুরী জিনিষ।
সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণায় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধির সাথে এয়ার পল্যুশনের যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রযুক্তি গ্রহণ করা তখনই ভালো যখন আপনি এর সাথে রিলেটেড জ্ঞানও গ্রহণ করবেন, নয়তো সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিস্তারিত এখানে।
ছবিতে আমার রুমের এয়ার ইডেক্স ৩৮ ও রুমের কার্বন-ডাই-অক্সাইড ৬৮৬ দেখাচ্ছে যা স্বাস্থ্যকর। এই স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখার জন্য আমি প্রতি ৩ ঘন্টা পর পর ৩০ মিনিটের জন্য জানালা/দরজা খুলে একটা ছোট ফ্যান দিয়ে বাতাস বিন্যাস করি।